মিরপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১০০ একর জমি উদ্ধার
Published: 21st, May 2025 GMT
রাজধানীর মিরপুরের গোড়ান-চটবাড়ি এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১০০ একর জমি উদ্ধার করা হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধিগ্রহণকৃত জায়গা থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে এই জমি উদ্ধার করা হয়।
বুধবার ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে পুলিশ ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অংশ নেয়।
পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়। এতে বলা হয়, অভিযানে মিরপুর বেড়িবাঁধের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পঞ্চবটী থেকে গোড়ান-চটবাড়ি এলাকা পর্যন্ত অবৈধ দখল ও স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উচ্ছেদ অভিযানে মাইশা কনস্ট্রাকশন লিমিটেড, করিম রেডিমিক্স, এবিসি রেডিমিক্স, শেল, সাদী ফিলিং, জ্যাক বাংলাদেশ, পাথ বিল্ডার্স, আমিন মোহাম্মদ গ্রুপ, ঢাকা বোট ক্লাব, তুরাগ রিক্রিয়েশন সেন্টার, এনডিই রেডিমিক্স প্ল্যান্ট-২সহ বিরুলিয়া এলাকার অবৈধ দোকানপাট ও স্থাপনা অপসারণ করা হয়।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
শ্বেতাঙ্গ গণহত্যা নিয়ে মিথ্যা অভিযোগ ট্রাম্পের, পরিস্থিতি সামলে নিলেন রামাফোসা
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার সঙ্গে বৈঠক করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৈঠকে ট্রাম্প দক্ষিণ আফ্রিকায় শ্বেতাঙ্গ গণহত্যা ও তাদের জমি দখলের মিথ্যা অভিযোগ করেন। তবে বাকবিতণ্ডায় না জড়িয়ে পরিস্থিতি সামলে নিয়েছেন রামাফোসা।
বুধবার হোয়াইট হাউসে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। খবর বিবিসির।
ওভাল অফিসে দুই নেতা মধ্যে বৈঠকটি হাসি মুখে শুরু হলেও কিছুক্ষণ পর তা উত্তেজনায় রূপ নেয়। ট্রাম্প দক্ষিণ আফ্রিকায় শ্বেতাঙ্গের বিরুদ্ধে নিপীড়নের খতিয়ান মেলে ধরেন। একপর্যায়ে একটি ভিডিও চালিয়ে দেন এবং ছাপানো খবরের কিছু কাটিং উল্টে-পাল্টে দেখাতে থাকেন। এসব নিজের অভিযোগের পক্ষের প্রমাণ বলে দাবি করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
রামাফোসার কাছে অভিযোগ করে ট্রাম্প বলেন, ‘মানুষ নিজেদের নিরাপত্তার জন্য দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে পালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের জমি দখল করে নেয়া হচ্ছে এবং অনেক ক্ষেত্রে তাদের হত্যা করা হচ্ছে।’
ট্রাম্প যে ভিডিওটি প্রদর্শন করেছেন, তা ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ধারণ করা। এটি ধারণ করার এক সপ্তাহ আগে দক্ষিণ আফ্রিকার একটি খামারে দু’জন নিহত হয়েছিল। এর প্রতিবাদে সেখানে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে ক্ষমতা গ্রহণের পর ট্রাম্প দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। যার মধ্যে রয়েছে- দেশটির রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার, জরুরি মার্কিন সহায়তা বাতিল, দক্ষিণ আফ্রিকার শ্বেতাঙ্গ সংখ্যালঘু আফ্রিকানারদের যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয়ের ঘোষণা এবং আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে করা গণহত্যার মামলার সমালোচনা।
দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার যুক্তরাষ্ট্র। এজন্য ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা করতে আসার আগেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলেন রামাফোসা। তবে ট্রাম্পের সাজিয়ে রাখা পূর্বপরিকল্পনা ধরতে পারেননি রামাফোসা।
ওভাল অফিসে বৈঠকের সময় ট্রাম্পের একের পর এক অভিযোগ উত্থাপনের সময় পাশের চেয়ারে রামাফোসা শান্ত ও স্থিরভাবে বসে সংযতভাবে প্রতিবাদ জানান। বিশ্বের যেসব দেশে সবচেয়ে বেশি হত্যাকাণ্ড হয়, দক্ষিণ আফ্রিকা তাদের একটি। কিন্তু হত্যাকাণ্ডে নিহত বেশির ভাগই কৃষ্ণাঙ্গ মানুষ।