সিলেটে পাঁচ দিন ৩৯ এলাকায় সাড়ে ৫ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে
Published: 22nd, May 2025 GMT
সিলেটে জরুরি মেরামত ও সংরক্ষণ কাজের জন্য আজ বৃহস্পতিবার থেকে পাঁচ দিন ৩৯ এলাকায় সাড়ে ৫ ঘণ্টা করে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) গতকাল বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিউবো সিলেট বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১–এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরাফাত স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার থেকে আগামী সোমবার পর্যন্ত সিলেটের কয়েকটি এলাকায় ভোর সাড়ে ৫টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সাবস্টেশন প্রকল্পের ঠিকাদার কর্তৃক জরুরি কাজ সম্পাদনের জন্য, বার্ষিক জরুরি মেরামত ও সংরক্ষণ কাজের জন্য সিলেটের লাক্কাতুরার ৩৩/১১ কেভি উপকেন্দ্রের আওতাধীন ১১ কেভি কাকুয়ারপাড়, বিমানবন্দর থানা, বাইশটিলা, ওসমানী বিমানবন্দর এক্সপ্রেস, ধোপাগুল, বনশ্রী, বড় বাজার, লাক্কাতুরা স্টেডিয়াম ফিডারসমূহের অধীন লাক্কাতুরা বাজার, মুসলিম পাড়া, মালনীচড়া, বাঁশবাড়ী গলির মুখ, বাদাম বাগিচা, আঙ্গুরমিয়ার গলির মুখ, রুপসা আবাসিক এলাকা, খাসদবীর প্রাইমারী স্কুল, ইসরাইল মিয়া গলি, দারুস সালাম মাদ্রাসা রোড, বড় বাজার, আবাদানি, বড়শালা বাজার মসজিদের পাশে আংশিক, পর্যটন, ফরিদাবাদ, সিলভার সিটি, কেওয়াছড়া, হিলুয়াছড়া চা-বাগান, ধোপাগুল, মহালদিক, উমদারপাড়া, আলাইবহর, লিলাপাড়া, দাপনাটিলা, সাহেবের বাজার, কালাগুল, লালবাগ, পীরেরগাঁও, ছালিয়া, রঙ্গিটিলা, সালুটিকর ঘাট ও এর আশেপাশের এলাকাগুলোতে বৃহস্পতিবার থেকে আগামী সোমবার পর্যন্ত ভোর সাড়ে ৫টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
বিউবো সূত্র আরও জানায়, নির্ধারিত সময়ের আগে কাজ শেষ হয়ে গেলে তাৎক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হবে। সাময়িক বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
গ্যাস সংকটে উৎপাদন বন্ধ ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে
নরসিংদীর পলাশের ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের অবস্থা নাজুক। গ্যাস সংকটের কারনে কেন্দ্রের সাতটি ইউনিটের মধ্যে সব ইউনিটেরই উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. এনামুল হক সমকালকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, গত দুই বছর ধরেই এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে গ্যাস সংকট চলছে। কিন্তু ঈদুল আজহার পর থেকে গ্যাস সংকটের কারনে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৩৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৪ নম্বর ইউনিট, ২১০ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৫ নম্বর ইউনিট ও ৩৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৭ নম্বর ইউনিটের উৎপাদন একেবারে বন্ধ রয়েছে। সরকার সারখানায় গ্যাস সরবরাহ করার কারনে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের গ্যাস বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছি, বিকল্পভাবে আমাদের গ্যাস সরবরাহ করার জন্য। গ্যাস সরবরাহ করলেই আমরা পুরো দমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম হব।
তিনি আরও বলেন, এ তিনটি ইউনিট পুরোপুরি চালু করার মতো রয়েছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৩৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৩ নম্বর ইউনিটটি অনেক দিন ধরে টারবাইনের রোটারের ব্লেডে সমস্যা দেখা দেয়। এর ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদন দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। তবে এটি মেরামত চলছে, এখন তা শেষ পর্যায়ে। গ্যাস সংযোগ দিলে এটাও উৎপাদনে চলে আসবে।
বিদ্যুৎকেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের জুন মাসে ২১০ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৬ নম্বর ইউনিটে আগুন লেগে এর টারবাইন পুড়ে যায়। সেই থেকে এই ইউনিটটি বিদ্যুৎ উৎপাদন পুরো বন্ধ হয়ে যায়। অপরদিকে ১৯৬৭ সালে ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১ নম্বর ইউনিটটি রাশিয়া টেকনোপ্রম এক্সপার্ট নির্মাণ কাজ শেষ করলে ১৯৭৪ সালের জানুয়ারি মাসে মাত্র ৫৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে এর যাত্রা শুরু করা হয়। পরে ৫৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার অপর ২ নম্বর ইউনিটটি ১৯৭৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে উৎপাদনে আসে। এ দুটি ইউনিটে বার বার যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে এ দুটি ইউনিটেরও উৎপাদন বন্ধ করে দিযেছে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ।
সূত্রে জানা যায়, ১ ও ২ নম্বর ইউনিট দুটি ভেঙে নতুন করে অপর নতুন ইউনিট স্থাপন করার পরিকল্পনা রয়েছে।