দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার একটি গ্রামে ৯ বছর বয়সী দ্বিতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী শিশুটি স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী।

অভিযুক্ত যুবকের নাম নুরন্নবী ইসলাম (২১)। সে ওই এলাকার টংগুয়া কছিরপাড়ার শফিকুল ইসলামের ছেলে। অভিযুক্ত যুবক সম্পর্কে ভুক্তভোগী ওই শিশুর চাচা হবেন। তারা ওই এলাকার পাশাপাশি বাড়ির বাসিন্দা।

এই ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে সোমবার রাতে খানসামা থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করেছেন।

শিশুটির পরিবার ও এজাহার সূত্রে জানা গেছে, রোববার বিকেলে ভুক্তভোগী ওই স্কুল ছাত্রীর বাবা-মা পার্শ্ববর্তী একটি চাতালে ধান ও খড় শুকানোর কাজে ব্যস্ত ছিল। এ সময় অন্য শিশুদের সাথে ভুক্তভোগী ওই শিশুও বাড়ির সামনে খেলাধুলা করছিল। এই অবস্থায় পানির তৃষ্ণা হলে অভিযুক্ত নুরুন্নবী ইসলামের বাড়িতে যায় শিশুরা। এই সময়ে সুযোগ পেয়ে অভিযুক্ত যুবক ওই শিশুকে জোরপূর্বক তার শয়নকক্ষে নিয়ে গিয়ে মুখ চেপে ধর্ষণ করে। এই সময়ে ওই যুবক অজ্ঞান অবস্থায় ভুক্তভোগীকে রেখে পালিয়ে যায়। বিষয়টি টের পেয়ে অভিযুক্ত যুবকের বাবা-মা স্কুল ছাত্রীকে বাড়ির বাহিরে রেখে আসে। পরে সহযোগী শিশুদের মাধ্যমে খবর পেয়ে ভুক্তভোগী স্কুল ছাত্রীর বাবা-মা শিশুকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নীলফামারী সদর হাসপাতালে ভর্তি করায়।

ভুক্তভোগী ওই শিশুর মা বলেন, আমার নাবালক মেয়ের ওপর এই জঘন্য অত্যাচারের সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা নিশ্চিত করে খানসামা থানার ওসি নজমূল হক বলেন, স্পর্শকাতর এই বিষয়ে অভিযোগ পেয়েই ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও প্রাথমিক তদন্ত শেষে মামলা রুজু হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারসহ পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে থানা পুলিশ সর্বদা সজাগ রয়েছে। স্থানীয়রা এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ওই শ শ

এছাড়াও পড়ুন:

প্রথমার্ধে লিডে কলম্বিয়া, গোল বাতিলের হতাশা আর্জেন্টিনার

দীর্ঘদিন পর ঘরের মাঠ মনুমেন্টাল স্টেডিয়ামে নেমেছেন আর্জেন্টিনার ‘ফুটবল রাজা’ লিওনেল মেসি। তাকে দেখেই সমর্থকদের প্রত্যাশা ছিলো আকাশচুম্বী। তবে সেই প্রত্যাশায় এখন পর্যন্ত জল ঢেলেছে কলম্বিয়া। একক প্রচেষ্টায় লুইস দিয়াজের গোলে প্রথমার্ধ শেষে ১-০ গোলে এগিয়ে রয়েছে কলম্বিয়া।

ম্যাচের শুরুতে দুই দলই পাল্টাপাল্টি আক্রমণে চালায়। চতুর্থ মিনিটেই গোলের সম্ভাবনা জাগান মেসি। ফ্রি-কিক থেকে কলম্বিয়ার ডিফেন্স বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হলে আবার আক্রমণে ফেরেন এনজো। তিনি মেসিকে বল বাড়ান, কিন্তু মেসির বাঁ পায়ের শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।

১৬ মিনিটে পাল্টা আক্রমণে সুযোগ পেয়েছিল কলম্বিয়াও। হামেস রদ্রিগেজের থ্রু পাস ধরে বক্সে ঢুকে শট নেন মাচাদো, তবে গোলপোস্টের বাইরে দিয়ে যায় বল। ২২ মিনিটে আবার সুযোগ আসে আর্জেন্টিনার সামনে। বক্সের বাইরে থেকে আলভারেজ নেওয়া শট ঠেকিয়ে দেন কলম্বিয়ার গোলরক্ষক।

অবশেষে ২৪ মিনিটে খেলা জমিয়ে দেন লুইস দিয়াজ। বাঁ প্রান্ত থেকে বল নিয়ে একের পর এক তিন জন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে দুর্দান্তভাবে গোলটি করেন তিনি। এমিলিয়ানো মার্টিনেজ কোনোভাবেই রুখে দিতে পারেননি এই গোল। ৩০ মিনিটে সমতা ফেরানোর সুযোগ পেয়েও হতাশ হতে হয় আর্জেন্টিনাকে। প্রথম শটটি ঠেকালেও এনজো ফার্নান্দেজের গোলটি অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায়।

৩৯ মিনিটে আবারও গোলের কাছাকাছি গিয়েছিল স্বাগতিকরা। আলভারেজের সামনে ছিল পরিষ্কার সুযোগ, কিন্তু সানচেজ সময় মতো ব্লক করে সেই চেষ্টা ব্যর্থ করে দেন। শেষ পর্যন্ত প্রথমার্ধ শেষে ১-০ গোলে এগিয়ে আছে কলম্বিয়া। যদিও বল দখল ও আক্রমণে এগিয়ে ছিল আর্জেন্টিনা। দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ এখন স্কালোনির শিষ্যদের সামনে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ