কক্সবাজারের টেকনাফের হ্নীলায় রোহিঙ্গাদের দুটি পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের এইচ-ব্লক ও আই-ব্লকসংলগ্ন জাকেরের ডেইল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আশ্রয়শিবিরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুটি সন্ত্রাসী দল সাদ্দাম গ্রুপ ও নূর কামাল গ্রুপের মধ্যে এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

আশ্রয়শিবিরে নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। জানতে চাইলে টেকনাফ ১৬ এপিবিএনের অধিনায়ক মোহাম্মদ কাউছার সিকদার গোলাগুলির ঘটনা প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন। স্থানীয়দের বরাতে তিনি বলেন, উভয় পক্ষ অন্তত ৫০-৮০ রাউন্ড গুলি ছুড়েছে। খবর পেয়ে এপিবিএন সদস্যরা উপস্থিত হলে সন্ত্রাসী আশ্রয়শিবিরের পশ্চিমের পাহাড়ি এলাকার দিকে পালিয়ে যান।

এপিবিএন কর্মকর্তা মোহাম্মদ কাউছার সিকদার আরও বলেন, মূলত রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের অপরাধকর্ম নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে দুটি পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি হয়েছে। ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।

রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে ব্যবস্থাপনা কমিটির দায়িত্বে থাকা কয়েকজন রোহিঙ্গা নেতা (মাঝি) বলেন, আশ্রয়শিবিরের মাদক ব্যবসা ও অপহরণসহ নানা ধরনের অপরাধ কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সাদ্দাম ও নূর কামাল গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলি হয়েছে। সাধারণ রোহিঙ্গারা দুই পক্ষের গোলাগুলির ঘটনার পর থেকে আতঙ্কে রয়েছেন।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ একটি দল পাঠানো হয়েছিল। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেছেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ ল গ ল র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

১২ দিনের সংঘাতে অন্তত ১৪ ইরানি বিজ্ঞানীকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের

১২ দিনের সংঘাতে ইরানের অন্তত ১৪ বিজ্ঞানীকে হত্যা করার দাবি করেছে ইসরায়েল। তাঁদের মধ্যে রসায়নবিদ, পদার্থবিদ ও প্রকৌশলী আছেন। বার্তা সংস্থা এপির বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে আল-জাজিরা।

ফ্রান্সে নিযুক্ত ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত জোশুয়া জারকা দাবি করেছেন, এসব হত্যাকাণ্ডের ফলে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের বোমা হামলা থেকে যে পারমাণবিক অবকাঠামো ও উপকরণ টিকে আছে, সেগুলো দিয়ে ইরানের পক্ষে অস্ত্র তৈরি প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়বে।

রাষ্ট্রদূত জোশুয়া বলেন, ইরানি বিজ্ঞানীদের গোটা দল নিশ্চিহ্ন হওয়ার ঘটনা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে অনেক বছর পিছিয়ে দিয়েছে।

রাষ্ট্রদূত জোশুয়া গত সোমবার এ কথা বলেন। এরপর গতকাল মঙ্গলবার ইসরায়েলি হামলায় ইরানের রাজধানী তেহরানে দেশটির আরও একজন পরমাণুবিজ্ঞানীর নিহত হওয়ার খবর জানা যায়। ইরানি টেলিভিশনে প্রচারিত খবরে বলা হয়, এই বিজ্ঞানীর নাম মোহাম্মদ রেজা সেদিঘি সাবের।

এর আগে সংঘাত শুরুর দিন, অর্থাৎ ১৩ জুন বিজ্ঞানী সাবেরের ওপর এক দফা হামলা হয়েছিল। তবে সে যাত্রায় বেঁচে যান তিনি। যদিও হামলায় নিহত হয় তাঁর ১৭ বছর বয়সী ছেলে।

আরও পড়ুনইসরায়েলি হামলায় ইরানের শীর্ষস্থানীয় পরমাণুবিজ্ঞানীসহ পরিবারের ৭ সদস্য নিহত১৪ ঘণ্টা আগে

জোশুয়ার এমন দাবি সত্ত্বেও বিশ্লেষকদের অনেকে বলছেন, ইরানে আরও বিজ্ঞানী বেঁচে আছেন। তাঁরা শিগগির নিহত বিজ্ঞানীদের স্থলাভিষিক্ত হবেন। এসব হত্যার ঘটনা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে পিছিয়ে দিতে পারে, তবে শেষ করতে পারবে না।

টানা ১২ দিনের নজিরবিহীন পাল্টাপাল্টি হামলার পর যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে ইরান ও ইসরায়েল। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের তৎপরতায় শেষ পর্যন্ত পাল্টাপাল্টি হামলা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় মধ্যপ্রাচ্যের দেশ দুটি।

১৩ জুন ইরানে হামলা চালায় ইসরায়েল। জবাবে ইসরায়েলে পাল্টা হামলা শুরু করে ইরান। এই সংঘাতের মধ্যে ২১ জুন ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্র হামলা চালায়। এর জবাব দেয় ইরান। ২৩ জুন কাতারে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি নিশানা করে ইরান হামলা চালায়। টানা ১২ দিন ধরে চলা এমন সংকটের মধ্যে হঠাৎ যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, যা গতকাল মঙ্গলবার কার্যকর হয়েছে।

আরও পড়ুনতেহরানের এক বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ পরমাণুবিজ্ঞানীকে হত্যা করল ইসরায়েল১৭ জুন ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ