‎রূপগঞ্জের ভোলাব শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র জোবায়ের বিন মোহাম্মদ এর খুনীদের ফাঁসি ও প্রধান আসামিকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করছে স্বজনরা। ‎মঙ্গলবার (২৪ জুন) সকাল ১১টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে মাধ্যমে নিহত জোবায়ের পরিবার ও ভোলাব শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দাবি জানান।

‎সংবাদ সম্মেলনে নিহত শিক্ষার্থীর মা মিনারা বেগম বলেন, আমার একটা মাত্র ছেলে সন্তান ছিল, এখন আমি কি নিয়া বাঁচমু। আমার ছেলে মেধাবী শিক্ষার্থী ছিল, আমার একটাই ছেলে ছিল, এখন দুনিয়াতে কারে নিয়া বাঁচমু।

‎এসময় সংবাদ সম্মলনে উপস্থিত ছিলেন, স্বজনদের মধ্যে ছিলেন নানা মো আব্দুল আজিজ ,নানী নিলুফা বেগম মামী সামিয়া, মামা ফায়জুল, নিহত ও ভোলাব শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং এলাকাবাসীরা।

‎জোবায়ের মা  বলেন,  আমার ছেলে বাড়ি থেকে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে শাহিন ডেকে নিয়ে যায় তাদের সাথে আরো ছিলো- রাব্বি,  সিয়াম, আক্তার হোসেন। তারা পরস্পর যোগসাজসে পূর্ব ‎শত্রুতার জের ধরে আমার ছেলেকে শীতলক্ষ্যা নদীতে নিয়ে গিয়ে মাথায় ও বুকে আঘাত করে শ্বাসরোধ করে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে। 

পরে লাশ গুম করার চেষ্টা করে এবং মিথ্যা প্রচারনা করে বলে ‎আমার ছেলে নদী পারাপারের সময় নদীতে পড়ে  ডুবে মারা গেছে।  কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসে আমার ছেলে কে মাথায় ও বুকে আঘাত করে এবং শ্বাসরোধ করে মারা হয়।

‎শাহিনসহ তার সহযোগীরা নদী পার হতে পারছে তাহলে আমার ছেলে মরলো কেনো। আমি আমার সন্তান পাবো না, কিন্তু সন্তান হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।

‎শাহিনের পরিবারের সাথে শত্রুতা ছিলো দাবি করে তিনি বলে, আমার বাড়ি সিমানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে শত্রুতা ছিলো তাদের কারণে একটা দিন শান্তিতে থাকতে পারি নাই। শহিনের মামা তার সাথে আরো ৪/৫ জন মিলে আমার বাসায় ডাকাতি করে। এ বিষয় পুলিশ প্রশাসন জানতে চাইলে আমার সন্তান হারার ভয়ে তাদের নাম বলি নাই কিন্তু সেই সন্তান আজ হারালাম।

‎তিনি সংবাদ সম্মেলনে থেকে প্রশাসনের কাছে প্রধান আসামি শাহীনকে দ্রুত গ্রেপ্তার ও তার সহযোগীদের সুষ্ঠ বিচারে মাধ্যমে ফাঁসির দাবি জানায়।

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: হত য র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ আম র ছ ল

এছাড়াও পড়ুন:

যাচাই-বাছাই ছাড়াই ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন হাসনাত: দুদক

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহর একটি পোস্ট দৃষ্টি গোচর হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)। সংস্থাটি বলছে, পোস্টটিতে তিনি যাচাই-বাছাই ছাড়াই দুদকের মহাপরিচালকসহ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মানহানিকর বক্তব্য দিয়েছেন।এ বিষয়ে সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে, একটি প্রতারক দুদকের চেয়ারম্যান, মহাপরিচালক বা কর্মকর্তা পরিচয়ে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার কথা বলে প্রতারণা করে আসছে। এর সঙ্গে দুদকের কর্মকর্তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। 

মঙ্গলবার দুদক মহাপরিচালক ও মুখপাত্র মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। 

তিনি আরও বলেন, দুদক ইতোমধ্যে এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নিয়েছে এবং প্রতারক চক্রের অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগেও দুদক প্রতারণা রোধে সবাইকে সতর্ক করে আসছে। যা বিভিন্ন জাতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এমন প্রতারণার শিকার হয়ে অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুদককে দোষারোপ করে, যার ফলে দুদকের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়।

দুদক মহাপরিচালক বলেন, প্রতারণামূলক ফোন কল, বার্তা বা ব্যক্তিগত যোগাযোগের মাধ্যমে কারও কাছ থেকে টাকা চাওয়া হলে কিংবা কোনো প্রতারণা বা অনিয়মের তথ্য পাওয়া গেলে দুদকের টোল ফ্রি হটলাইন-১০৬ নম্বরে জানানোর অথবা নিকটস্থ দুদক কার্যালয় বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ