ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, পশ্চিম ফ্রন্টে ভারতীয় সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে উচ্চগতির ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে পাকিস্তান। এর ফলে ক্ষয়ক্ষতি হলেও তা সীমিত মাত্রায়। শনিবার ভারতীয় সেনাবাহিনীর কর্নেল সোফিয়া কুরেশি এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেছেন।

তিনি জানান, পাকিস্তান ইউ-ক্যাব ড্রোন, দূরপাল্লার অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে ভারতীয় সামরিক অবকাঠামো লক্ষ্যবস্তু করার চেষ্টা করেছে। তবে পাকিস্তানের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।

তার দাবি, শ্রীনগর থেকে নালিয়া পর্যন্ত আন্তর্জাতিক সীমান্ত এবং নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ২৬টিরও বেশি স্থানে পাকিস্তানের বিমান অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছে। কিন্তু ভারতীয় সেনাবাহিনী সফলভাবে এগুলো প্রতিহত করেছে।

আরো পড়ুন:

পারমাণবিক অস্ত্র কমিটির কোনো বৈঠক ডাকা হয়নি: খাজা আসিফ

ভারতে যুদ্ধ উত্তেজনার মধ্যে বাজার নিয়ন্ত্রণে টাস্কফোর্স

তিনি বলেন, “উধমপুর, পাঠানকোট, আদমপুর এবং ভূজ, বাথিন্ডা স্টেশনের মতো বিমান স্টেশনগুলোতে সীমিত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।.

..আমি আরো উল্লেখ করতে চাই যে পাকিস্তান রাত ১টা ৪০ মিনিটে একটি উচ্চগতির ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে পাঞ্জাবের বিমানঘাঁটি স্টেশনকে লক্ষ্যবস্তু করার চেষ্টা করেছিল।”

ভারত জানিয়েছে, পাকিস্তান শ্রীনগর, বান্ডিপোরা এবং উধমপুরে বিমান বাহিনীর বিমান ঘাঁটি, স্বাস্থ্যসেবা এবং স্কুলগুলিকেও লক্ষ্যবস্তু করেছে।

কর্নেল সোফিয়া কুরেশি বলেন, “ভারতের সশস্ত্র বাহিনী সর্বোচ্চ প্রস্তুত অবস্থায় রয়েছে। সব শত্রুভাবাপন্ন পদক্ষেপের সঠিক জবাব দেওয়া হয়েছে।”

ঢাকা/শাহেদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর লক ষ য

এছাড়াও পড়ুন:

সামরিক উত্তেজনা বৃদ্ধির জন্য একে অপরকে দুষছে ভারত-পাকিস্তান  

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা কমানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশের আহ্বানের মধ্যেই দেশ দুটি উত্তেজনা বৃদ্ধির জন্য একে-অপরকে দোষারোপ করেছে। বৃহস্পতিবার ভারতের সেনাবাহিনী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতশাসিত কাশ্মীরের উধমপুর এবং পাঞ্জাবের পাঠানকোটের তিনটি সামরিক স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন দিয়ে হামলা  চালানোর অভিযোগ করেছে। 

তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ভারতের এই অভিযোগ নাকচ করে বলেছেন, ভারতশাসিত কাশ্মীরে কোনো হামলার দায় তার দেশের নয়। তিনি বলেন, পাকিস্তান যখন হামলা চালাবে, তখন ‌তা সারা বিশ্ব জেনে যাবে। খবর-বিবিসি

ভারতীয় সেনাবাহিনী তাদের এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছে, ওইসব হামলার ফলে তাদের কোনোরকম ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। হামলাগুলো নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করছে, জম্মু, পাঠানকোট আর উধমপুরে সামরিক ঘাঁটির ওপরে পাকিস্তানের দিক থেকে ড্রোন আর ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করা হয়েছিল। এসব হামলা রুখে দেওয়া গেছে। কোনো জানমালের ক্ষতি হয়নি। 

মঙ্গলবার রাতভর অভিযানের পর ভারত আরও বলেছে, তারা পাকিস্তান এবং পাকিস্তানশাসিত কাশ্মীরের ৯টি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা চালিয়েছে। 

অন্যদিকে পাকিস্তান বলেছে, তারা ৬টি স্থানে আঘাত হেনেছে এবং পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান এবং ২৫টি ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত করেছে। তবে এ ব্যাপারে ভারত কোনো মন্তব্য করেনি।

পাকিস্তান জানিয়েছে, বুধবার সকাল থেকে পাকিস্তান এবং পাকিস্তানশাসিত কাশ্মীরে বিমান হামলা এবং নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর গুলিবর্ষণে ৩১ জন নিহত এবং ৫৭ জন আহত হয়েছে।

এদিকে ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তাদের সীমান্তে পাকিস্তানের দিক থেকে আসা গুলিতে কমপক্ষে ১৬ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে।

ভারত বলছে, তাদের প্রাথমিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলাটি ছিল গত মাসে পেহেলগামে ভারতীয় পর্যটকদের ওপর এক জঙ্গি হামলার প্রতিশোধ। ইসলামাবাদ ওই হামলায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে। 

ভারতশাসিত কাশ্মীর কয়েক দশক ধরে চলমান বিদ্রোহের সাক্ষী, যেখানে হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। ভারত ও পাকিস্তান উভয়ই কাশ্মীরের সম্পূর্ণ মালিকানা দাবি করে।

এদিকে রয়টার্স জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারও দুই দেশের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার খবর পাওয়া গেছে। একে অপরের বিরুদ্ধে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার অভিযোগ এনেছে ইসলামাবাদ ও নয়াদিল্লি। এ দিন রাতেই একাধিক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে।  


 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পাকিস্তানের আক্রমণের যোগ্য জবাব দেওয়া হয়েছে, তাদের দাবি ভুয়া: ভারত
  • নিয়ন্ত্রণরেখার দিকে এগোচ্ছে পাক সেনা, জবাব দিতে তৈরি ভারত
  • সামরিক উত্তেজনা বৃদ্ধির জন্য একে অপরকে দুষছে ভারত-পাকিস্তান  
  • ভারতের সেনা-স্থাপনায় হামলা, অস্বীকার পাকিস্তানের