টাঙ্গাইলে সাপের কামড়ে শিক্ষার্থীসহ নিহত ২
Published: 10th, May 2025 GMT
টাঙ্গাইলের ঘাটাইল ও সখীপুর উপজেলায় সাপের কামড়ে স্কুল শিক্ষার্থী এবং এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৯ মে) রাত ১টার দিকে ঘাটাইলের দেওপাড়া ইউনিয়নে ও শনিবার (১০ মে) সকালে সখীপুরের বহুরিয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুইটি ঘটে।
মারা যাওয়া স্কুল শিক্ষার্থীর নাম মোছা. আঁখি (১৪)। সে দেওপাড়া ইউনিয়নের কালিকাপুর উত্তর পাড়া গ্রামের আয়েজ উদ্দিনের মেয়ে। কাজলী বেগম (৬০) বহুরিয়া ইউনিয়নের কালমেঘা দক্ষিণপাড়া এলাকার শহিদুল ইসলামের স্ত্রী।
কালিকাপুর উত্তর পাড়া গ্রামের বাসিন্দারা জানান, আঁখি মেধাবী শিক্ষার্থী ছিল। শুক্রবার রাতে সে নিজ ঘরে পড়তে বসে। এসময় পড়ার টেবিলের নিচে থাকা একটি সাপ তার পায়ে কামড় দেয়। পরিবারকে জানালে রাতেই তাকে কালিহাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখান থেকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে আঁখির মৃত্যু হয়।
আরো পড়ুন:
কামড় খেয়ে জীবন্ত গোখরা নিয়ে হাসপাতালে সাপুড়ে
পটুয়াখালীতে অজগর সাপ উদ্ধার
স্থানীয় ইউপি সদস্য ইব্রাহিম মিয়া জানান, আঁখির পায়ে সাপের কামড়ের চিহ্ন ছিল। বিষধর সাপের কামড়েই তার মৃত্যু হয়েছে।
কালমেঘা দক্ষিণপাড়া গ্রামের বাসিন্দারা জানান, কাজলী বেগম শনিবার সকালে পানি আনতে ঘরের পাশের নলকূপে যান। সেখানে একটি সাপ তার বাঁ হাতে ছোবল দেয়। তিনি চিৎকার করে বিষয়টি ছেলেকে জানান। ছেলে তার মাকে দেড় ঘণ্টার মধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মনিরুল ইসলাম পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে কাজলী বেগমকে মৃত ঘোষণা করেন।
কাজলী বেগমের ছেলে হোসেন আলী বলেন, “মার চিৎকার শুনে দৌঁড়ে যাই। আমি সাপটি দেখতে পাইনি। হাতে সাপে কামড়ানোর চিহ্ন দেখে মাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। মাকে বাঁচাতে পারলাম না।”
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মনিরুল ইসলাম বলেন, “হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই ওই নারী মারা গেছেন। তার বা হাতের দুটি আঙুলে ক্ষতচিহ্ন দেখে বিষধর সাপের কামড় বলেই মনে হয়েছে। বিষয়টি থানায় জানিয়ে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।”
ঢাকা/কাওছার/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সিদ্ধিরগঞ্জে সাবেক কাউন্সিলর ইকবালের পরিচয়ে নির্মাণ কাজে বাধা, হামলা
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি মৌচাক এলাকায় সাবেক কাউন্সিলর বিএনপি নেতা ইকবাল হোসেনের লোক পরিচয়ে মো: জালাল উদ্দিন (৬৫) নামের এক ব্যক্তির জমিতে দেয়াল তুলতে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এসময় হামলা চালিয়ে নির্মাণ কাজে দেওয়াল ভেঙ্গে মো. হাসনাইন (৩২) নামে এক নির্মাণ শ্রমিককে মারধর করে জালাল ও তার লোকজন। এসময় জমিতে থাকা একটি সাব মার্শেবল পানির পাম্প, বৈদ্যুতিক তার ও সিমেন্টের বস্তাসহ আনুমানিক ৪৫ হাজার টাকার মালামাল জোর করিয়া নিয়া যায় হামলাকারীরা।
এ ঘটনায় জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে সাবেক কাউন্সিলর ইকবাল হোসেনের সহযোগী মো. ফারুককে এজাহার নামীয় এবং অজ্ঞাত ১০/১২ জনকে আসামী করে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযুক্ত মো: ফারুক নাসিক ২নং ওয়ার্ডের মিজমিজি এলাকার পেদা মিয়ার ছেলে এবং সাবেক কাউন্সিলর ইকবাল হোসেনের বাড়ির ভাড়াটিয়া।
অভিযোগে মো: জালাল উদ্দিন উল্লেখ করেন, গত বুধবার সকাল আনুমানিক সাড়ে ৯টায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন মিজমিজি মৌচাক বাস স্ট্যান্ড এলাকায় খোর্দ্দঘোষ পাড়া মৌজাস্থিত সিএস খতিয়ান নং ৮৪, এসএ খতিয়ান ১৪, সিএস ও এসএ দাগ নং ১২২, ১২৩ এবং আরএস-৫৬২ নং দাগে তাঁর জমিতে মিজমিজি পাগলাবাড়ী এলাকার আবুল কালামের ছেলে মো: হাসনাইন (৩২) সহ ১০ জন রাজমিস্ত্রী নির্মান কাজ করিতেছিল।
ওই সময় সাবেক কাউন্সিলর ইকবাল হোসেনের বাড়ির ভাড়াটিয়া বিবাদী ফারুকসহ আরো অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন বেআইনিভাবে ঐ জমিতে অনধিকার প্রবেশ করে তাঁর নির্মাণ শ্রমিকদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে পাকা নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয় এবং সাবেক কাউন্সিলর ইকবালের সাথে কথা না বলে কাজ করতে নিষেধ করে অন্যথায় বিপদ হবে।
এসময় রাজমিস্ত্রি হাসনাইন মোবাইল ফোনে আমাকে খবর দেয়ার জন্য ফোন দিলে বিবাদী তাকে চর-থাপ্পর মেরে নীলা-ফুলা জখম করে এবং তার সিম্ফনি বাটন মোবাইল ফোন নিয়া যায় এবং জমির বাউন্ডারী দেওয়াল ভেঙ্গে আনুমানিক ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে। এসময় বিবাদীরা জমিতে থাকা একটি সাব মার্শেবল পানির পাম্প, বৈদ্যুতিক তার ও সিমেন্টের বস্তা সহ আনুমানিক ৪৫ হাজার টাকার মালামাল জোর করে নিয়ে যায়।
এছাড়াও বিবাদীর সাথে যোগাযোগ না করলে জমিতে পাকা নির্মান কাজ করতে দিবে না এবং খুন করিয়া লাশ গুম করে ফেলবে বলে হুমকি দিয়ে তারা চলে যায়। উক্ত হুমকির পরিপেক্ষিতে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভূগতেছি।
ভুক্তভোগী জালাল বলেন, অভিযোগ দায়েরের পরও পুলিশ কোন ব্যাবস্থা না নেয়ার ফারুকের ভয়ে আমার কোন লোক কাজ করতে পারছেনা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সাবেক কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন জানান, ফারুক বিএনপির নেতা। সে কোথায় গেল না গেল সেটা তার ব্যাপার। আমার কোন লোক সেখানে যায়নি। আর এখানে আমাকে জড়ানোর কি আছে।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো: আতাউর রহমান জানান তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।