পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে গোসল করতে নেমে রাজেশ কুমার পাল (৪০) নামের এক পর্যটক মারা গেছেন। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

রাজেশ কুমার পালের বাড়ি রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার নামাজপুর গ্রামে। তাঁর বাবার নাম সরোজ কুমার পাল।

রাজেশ কুমারের ভগ্নিপতি কমল কুমার পাল বলেন, পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কুয়াকাটায় বেড়াতে এসেছিলেন তাঁরা। আজ সকালে ‘সাগর নীড়’ নামে একটি আবাসিক হোটেলে ওঠার পর সবাই মিলে সৈকতে যান। গোসল করতে সাগরে নেমে রাজেশ পানিতে ডুবে যান। রাজেশ স্বাস্থ্যবান ছিলেন, হয়তো ঢেউয়ের চাপ সামলাতে পারেননি। পরে কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তাঁকে উদ্ধার করে কুয়াকাটা ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ট্যুরিস্ট পুলিশের কুয়াকাটা জোনের উপপরিদর্শক সবুর মিয়া বলেন, সৈকতের জিরো পয়েন্ট সংলগ্ন পশ্চিম পাশে তাঁরা গোসলে নেমেছিলেন। সেখানেই রাজেশ কুমার ঢেউয়ের তোড়ে ডুবে যান। পর্যটকদের চিৎকার শুনে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই পর্যটককে উদ্ধার করেন।

কুয়াকাটা ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের উপসহকারী মেডিকেল কর্মকর্তা রিয়াজ উদ্দিন বলেন, ওই পর্যটক সম্ভবত পানিতে নেমেই হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম বলেন, পর্যটকের মরদেহ থানায় রয়েছে। পরিবারের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

অস্ত্রবিরতির পরেও প্রস্তুত ও সতর্ক আছি: ভারতীয় সামরিক বাহিনী

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে অস্ত্রবিরতি ঘোষণা ও কার্যকর হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ভারতীয় সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গত কয়েকদিনের সংঘর্ষে পাকিস্তানি বাহিনীর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করতে পেরেছে।

পাকিস্তানের পক্ষ থেকে গত কয়েকদিন ‘অনেক মিথ্যা ও ভুয়া খবর প্রচার’ করা হয়েছে বলে অভিযোগও তুলেছে তারা।

সামরিক বাহিনীর বিশেষ বৈকালিক ব্রিফিংয়ে এই প্রথমবারের মতো ভারতীয় নৌবাহিনীর এক সিনিয়র অফিসার হাজির হয়েছিলেন।

নৌবাহিনীর সেই কর্মকর্তা কমোডর রঘু নায়ার বলেন, যুদ্ধবিরতি ঘোষণা হয়েছে, সেই নির্দেশ তিন বাহিনীই পালন করবে। তবে বাহিনীগুলো সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত ও সজাগ আছে।

‘পাকিস্তানের তরফ থেকে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল তা শক্তি দিয়ে রোখা হয়েছে বা ভবিষ্যতেও যদি আবারও উত্তেজনা বাড়ে, সেক্ষেত্রেও উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে। রাষ্ট্র রক্ষা করতে যে কোনো প্রয়োজনীয় সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আমরা সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত আছি,’ বলেন কমোডর নায়ার।

সেনাবাহিনীর কর্নেল সোফিয়া কুরেশি বলেন, সংঘর্ষ চলাকালে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ‘ব্যাপকহারে মিথ্যা তথ্য’ ছড়ানো হয়েছিল।

‘ভারতীয় বিমান ও স্থল বাহিনীর যেসব স্থাপনা তারা ধ্বংস করতে বা ক্ষতি সাধন করতে পেরেছে বলে দাবি করেছিল, সে সবই ভুয়া দাবি,’ বলেছেন কর্নেল কুরেশি।

অন্যদিকে পাকিস্তানের সেনা ও বিমানবাহিনীর ব্যাপক ক্ষতি সাধন করতে পেরেছে বলে ভারতীয় সামরিক বাহিনী দাবি করেছে।

বিমানবাহিনীর উইং কমান্ডার ভ্যোমিকা সিং বলেন, পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বারবার সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ তোলা হয়েছে যে ভারতীয় বাহিনী নাকি সে দেশের মসজিদ নিশানা করে আক্রমণ করেছে।

‘স্পষ্টভাবে বলতে চাই যে ভারত একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র এবং ভারতের সামরিক বাহিনীগুলো সাংবিধানিক মূল্যবোধের প্রতিফলন। তারা প্রতিটা ধর্মীয় উপাসনালয়কে সর্বোচ্চ সম্মান দিয়ে থাকে। আমাদের অপারেশনগুলোর একমাত্র লক্ষ্য ছিল সন্ত্রাসীদের শিবিরগুলো এবং যেসব স্থাপনাকে ভারতবিরোধী কাজের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছিল সেগুলো। কোনো ধর্মীয় স্থান ভারতীয় বাহিনীর নিশানায় ছিল না,’ বলেন উইং কমান্ডার সিং। সূত্র: বিবিসি

সম্পর্কিত নিবন্ধ