বগুড়ার শেরপুরে আওয়ামী লীগ কর্মী বাবা-ছেলেসহ গ্রেপ্তার ৩
Published: 10th, May 2025 GMT
বগুড়ার শেরপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও সহিংসতার ঘটনায় করা মামলায় শ্রমিক লীগ ও ছাত্রলীগের ৩ কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে দুজন সম্পর্কে বাবা ও ছেলে। গতকাল শুক্রবার রাতে পৌর শহরের দুবলাগাড়ি এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন শ্রমিক লীগ কর্মী শামসুল হক (৫৩) ও তাঁর ছেলে ছাত্রলীগ কর্মী শাহিন হোসেন (২৪)। গ্রেপ্তার অন্য ব্যক্তি নাহিদ ইসলাম (২৫) ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁদের সবার বাড়ি পৌরশহরের দুবলাগাড়ি এলাকায়।
পুলিশ সূত্র জানা যায়, শেরপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ১৭ জুলাই দুপুরে শহরের ধুনট রোড বাসস্ট্যান্ড মোড়ে ছাত্র-জনতার মিছিলে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হামলা করা হয়। এ ঘটনায় গত ২ নভেম্বর শেরপুর থানায় বাদী হয়ে একটি মামলা করেন রিফাত সরকার নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি। ওই মামলায় শামসুল, শাহিন ও নাহিদকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এ মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি সংখ্যা ১৪৭ জন। এ ছাড়া আরও অজ্ঞাতপরিচয় আসামি আছেন।
শেরপুর থানা-পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) তোফাজ্জল হোসেন বলেন, বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের দায়ের করা ওই মামলায় আসামি হিসেবে শামসুল হকের নাম আছে। একই মামলায় তদন্তের পর শামসুলের ছেলে শাহিনসহ নাহিদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। আজ আদালতের মাধ্যমে তাঁদের বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ভারত যুদ্ধবিরতি মেনে চলবে, তবে সেনাবাহিনী প্রস্তুত থাকবে: ব্রিফিংয়ে সামরিক মুখপাত্র
যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরেই আজ শনিবার সন্ধ্যায় ভারত জানিয়ে দিল, তারা যুদ্ধবিরতি মেনে চলবে। তবে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ভারতীয় বাহিনী প্রস্তুত থাকছে। ভারতীয় বাহিনী দেশের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সদা সতর্ক।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলনে অন্য দিনের মতোই উপস্থিত ছিলেন কর্নেল সোফিয়া কুরেশি ও উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং। এই কয়েক দিন ধরে পাকিস্তান নানা অপপ্রচার চালিয়েছে অভিযোগ তুলে তাঁরা সেগুলো তুলে ধরেন।
কর্নেল সোফিয়া ও উইং কমান্ডার ব্যোমিকা দাবি করেন, পাকিস্তানের দাবি চীনের তৈরি জে এফ–১৭ যুদ্ধবিমান দিয়ে তারা ভারতের এস–৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। এই প্রচার মিথ্যা। তারা প্রচার করেছে শ্রীনগর, জম্মু, পাঠানকোট ও ভুজের বিমানঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে। এটাও ভুয়া প্রচার। চণ্ডীগড় ও বিয়াসের অস্ত্র ভান্ডারও নাকি ধূলিসাৎ করেছে। এই দাবিও অসত্য।
এই দুই সামরিক কর্মকর্তা দাবি করেন, পাকিস্তান আরও প্রচার করেছে ভারতীয় বাহিনী নাকি বেছে বেছে মসজিদ ভেঙেছে। এই প্রচারও পুরোপুরি অসত্য। ভারতীয় বাহিনী দেশের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র সম্পর্কে শ্রদ্ধাশীল। সংবিধানের প্রতি বিশ্বস্ত। তারা মূল্যবোধ রক্ষায় বিশ্বাসী। ভারতীয় বাহিনীর লক্ষ্য ছিল শুধু সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটি। তাদের শিবির।
কর্নেল সোফিয়া কুরেশি ও উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিংয়ের দাবিমতে, এই কয়েক দিনে স্কারদু, সরগোদা, জাকোয়াবাদ, ভুলারিতে পাকিস্তানি সেনাঘাঁটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিমান হানা রুখে পাল্টা আক্রমণ করার ক্ষমতা পুরোপুরি নষ্ট করা হয়েছে। নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর পাকিস্তানি সেনাঘাঁটিগুলো প্রবলভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।