জম্মু-কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকধারীদের তীব্র গোলাগুলি
Published: 15th, May 2025 GMT
ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের অবন্তিপুরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকধারীদের তীব্র গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ দল দক্ষিণ কাশ্মীরের ট্রাল এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে। খবর এনডিটিভির।
কাশ্মীর পুলিশ এক্স পোস্টে লিখেছে, অবন্তিপুরের নাদের ও ট্রালে গোলাগুলি শুরু হয়েছে। পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী কাজ করছে। গেল ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এটি দ্বিতীয় সংঘর্ষ। এর আগে গত মঙ্গলবার জম্মু-কাশ্মীরের শোপিয়ানে গোলাগুলিতে তিন বন্দুকধারী নিহত হয়।
এনডিটিভির প্রতিবেদন বলছে, গোলাগুলি শুরু হয় কুলগামে। পরে তা শোপিয়ানের একটি বনাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বন্দুকধারীদের ঠেকাতে যায় নিরাপত্তা বাহিনী।
ভারতীয় সেনাবাহিনী এক্স পোস্টে জানিয়েছে, ১৩ মে রাইফেলস ইউনিটের গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শোপিয়ানের শোয়েকাল কেলার এলাকায় বন্দুকধারীদের উপস্থিতি নিশ্চিত হয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনী ‘সার্চ অ্যান্ড ডেস্ট্রয়’ অভিযান শুরু করে। অভিযান চলাকালে বন্দুকধারীরা ব্যাপক গুলিবর্ষণ করলে তীব্র গোলাগুলি হয়, যাতে তিন চরমপন্থি নিহত হয়। অভিযান এখনও চলছে।
গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর থেকে জম্মু-কাশ্মীরে নিয়মিতভাবে অভিযান চলছে। সেই হামলার জবাবে ৭ মে পাকিস্তান ও আজাদ কাশ্মীরে নয়টি ‘সন্ত্রাসী ঘাঁটি’ লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ভারত; এ অভিযানের নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’। ওই অভিযান নিয়ে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে ওঠে, পাল্টাপাল্টি হামলা শুরু হয়।
এরপর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ভারত ও পাকিস্তান অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হয়। তবে চুক্তি কার্যকর হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তা লঙ্ঘনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ওঠে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত
নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।
দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।
ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।
৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।
ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট