ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের অবন্তিপুরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকধারীদের তীব্র গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ দল দক্ষিণ কাশ্মীরের ট্রাল এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে। খবর এনডিটিভির।

কাশ্মীর পুলিশ এক্স পোস্টে লিখেছে, অবন্তিপুরের নাদের ও ট্রালে গোলাগুলি শুরু হয়েছে। পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী কাজ করছে। গেল ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এটি দ্বিতীয় সংঘর্ষ। এর আগে গত মঙ্গলবার জম্মু-কাশ্মীরের শোপিয়ানে গোলাগুলিতে তিন বন্দুকধারী নিহত হয়।

এনডিটিভির প্রতিবেদন বলছে, গোলাগুলি শুরু হয় কুলগামে। পরে তা শোপিয়ানের একটি বনাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বন্দুকধারীদের ঠেকাতে যায় নিরাপত্তা বাহিনী।

ভারতীয় সেনাবাহিনী এক্স পোস্টে জানিয়েছে, ১৩ মে রাইফেলস ইউনিটের গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শোপিয়ানের শোয়েকাল কেলার এলাকায় বন্দুকধারীদের উপস্থিতি নিশ্চিত হয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনী ‘সার্চ অ্যান্ড ডেস্ট্রয়’ অভিযান শুরু করে। অভিযান চলাকালে বন্দুকধারীরা ব্যাপক গুলিবর্ষণ করলে তীব্র গোলাগুলি হয়, যাতে তিন চরমপন্থি নিহত হয়। অভিযান এখনও চলছে।

গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর থেকে জম্মু-কাশ্মীরে নিয়মিতভাবে অভিযান চলছে। সেই হামলার জবাবে ৭ মে পাকিস্তান ও আজাদ কাশ্মীরে নয়টি ‘সন্ত্রাসী ঘাঁটি’ লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ভারত; এ অভিযানের নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’। ওই অভিযান নিয়ে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে ওঠে, পাল্টাপাল্টি হামলা শুরু হয়।

এরপর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ভারত ও পাকিস্তান অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হয়। তবে চুক্তি কার্যকর হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তা লঙ্ঘনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ওঠে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

শেয়ারবাজারে পৌনে ৫ বছরে সর্বনিম্নে সূচক

দর পতনের পুরোনো বৃত্তে শেয়ারবাজার। টানা তৃতীয় দিনে আজ বৃহস্পতিবারও তালিকাভুক্ত সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ার দর হারিয়েছে। এতে প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৫৪ পয়েন্ট হারিয়ে ৪৭৮১ পয়েন্টে নেমেছে। সূচকের এ অবস্থান ২০২০ সালের ২৫ আগস্ট বা পৌনে পাঁচ বছরের সর্বনিম্ন। দর পতন ঘনীভূত হওয়ায় লেনদেনও ৩০০ কোটি টাকার নিচেই অবস্থান করছে।

যদিও আজ দিনের শুরুতে বেশিরভাগ শেয়ারের দরবৃদ্ধি নিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছিল। লেনদেনের প্রথম আধা ঘণ্টায় দুই শতাধিক শেয়ারের দরবৃদ্ধিতে ভর করে ডিএসইএক্স সূচক প্রায় ২১ পয়েন্ট বেড়ে ৪৮৫৬ পয়েন্টে উঠেছিল। তবে এরপর ক্রমাগত দরপতনে লেনদেন শেষ হওয়ার কয়েক মিনিট আগে দিনের সর্বোচ্চ অবস্থান থেকে ৭৭ পয়েন্ট হারিয়ে ৪৭৭৯ পয়েন্ট পর্যন্ত নেমেছিল।

গত আগস্টে সরকার বদলের পর প্রথম চার কর্মদিবসে বড় উত্থান হয়েছিল শেয়ারদর, সূচক ও লেনদেনে। তবে এর পর থেকে ক্রমাগত দর পতন হচ্ছে। 

তবে দ্রুতই প্রবাসীদের পাঠানো রেকর্ড রেমিট্যান্স আয় এবং রপ্তানি খাতের প্রবৃদ্ধি ডলারসংকট অনেকটা প্রশমিত করার পাশাপাশি দেশের চলতি হিসাবে স্বস্তিকর অবস্থায় পৌঁছেছে। এর প্রতিফলন শেয়ারবাজারে নেই। 

সবশেষ প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শীর্ষ বৈঠক থেকে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে স্বল্পমেয়াদি কোনো পদক্ষেপ না থাকায় হতাশা আরও বেড়েছে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। এমনটা জানিয়েছেন বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউস কর্মকর্তারা।

দিনের লেনদেন শেষের প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ডিএসইতে তালিকাভুক্ত ৩৬০ কোম্পানির শেয়ারের মধ্যে ৩৫৭টির কেনা-বেচা হয়েছে, যার মাত্র ৪০টির দর বেড়েছে। বিপরীতে ২৮৫ কোম্পানির শেয়ার দর হারিয়েছে, অপরিবর্তিত ৩২টির দর। এছাড়া তালিকাভুক্ত ৩৭ মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৩১টিই দর হারিয়েছে।

পর্যালোচনায় দেখা গেছে, আজ সব খাতেরই সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ার দর হারিয়েছে। যেখানে ৩ শতাংশের ওপর ১১ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের দর বেড়েছে, তার বিপরীতে সম হারে দর হারিয়েছে ৮০টি।

এদিকে গতকালও ঢাকার শেয়ারবাজারের লেনদেন তিনশ কোটি টাকার নিচেই ছিল। এদিন মোট লেনদেন হয়েছে প্রায় ২৯৭ কোটি টাকার শেয়ার, যা বুধবারের তুলনায় আড়াই কোটি টাকা বেশি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ