দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগে সুপারিশ প্রণয়নে সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি সহ-উপাচার্য ও কোষাধক্ষ্য নিয়োগের ক্ষেত্রেও একই দায়িত্ব পালন করবেন। কমিটির সভাপতি করা হয়েছে শিক্ষা উপদেষ্টাকে। কমিটির সদস্য আছেন আরও চার জন। গতকাল রোববার (১৮ মে) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর কর্তৃক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের (সাধারণ, কৃষি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং প্রকৌশল) নিজ নিজ আইনের আলোকে উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হবে। এ জন্য প্রাপ্ত আবেদনপত্রগুলোর মধ্যে থেকে তিনজন প্রার্থীর সুপারিশ প্রণয়নের জন্য সার্চ কমিটি গঠন করা হলো। কমিটির সভাপতি শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার। সদস্য হিসেবে রয়েছেন ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান ও অধ্যাপক মো.

সাইদুর রহমান, রাজশাজী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফেরদৌস আজিম।

আরও পড়ুনসাত কলেজে নতুন প্রশাসক, প্রধান দপ্তর ঢাকা কলেজে১৮ ঘণ্টা আগে

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সার্চ কমিটি প্রয়োজনে, বিশেষত কৃষি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে নতুন সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের বিশ্ববিদ্যালয় অনুবিভাগ এ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা করবে।

কমিটির কার্যপরিধি—

উপাচার্য নিয়োগের জন্য যোগ্য ব্যক্তিদের জীবন বৃত্তান্ত সংগ্রহ করা জীবন বৃত্তান্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে উপযুক্ত তিনজন ব্যক্তি বাছাই করা এবং বাছাইকৃত তিনজন ব্যক্তির মধ্যে থেকে একজনকে মনোনয়নের জন্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদন গ্রহণে সরকারের কাছে সুপারিশ পাঠানো।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, কমিটি উপাচার্যের অনুরূপ সহউপাচার্য ও কোষাধক্ষ্য নিয়োগের ক্ষেত্রেও একই দায়িত্ব পালন করবেন।

ছাত্র জনতার অভ্রুত্থানের ক্ষমতাচূত হয় আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ সময়ে নিয়োগ পাওয়া বিভিন্ন পাবলিক বিদ্যালয়ের উপাচার্যরা ছাত্র জনতার অভ্রুত্থানের পর পদত্যাগ করেন। এর পরই অন্তবর্তী সরকার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন উপাচার্য নিয়োগ দেয়।

আরও পড়ুনঢাকার সাত কলেজ: ইউজিসিকে চিঠি দিয়ে সাত করণীয় জানাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়০১ মে ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপ চ র য ন য স র চ কম ট প বল ক ব কম ট র সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

রাজধানীতে ঝটিকা মিছিল, গ্রেপ্তার ১৬

রাজধানীতে ঝটিকা মিছিলবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সংগঠনের ১৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগের সদস্য জাকির হোসেন বেপারী, বরগুনা জেলার সাবেক জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য নাজমুল হাসান সোহাগ, বরগুনা জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিরাজ হোসেন, যাত্রাবাড়ী থানার আওয়ামী লীগ কর্মী শফিকুল ইসলাম শফিক, সুবাড্ডা ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফ হোসেন, বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগ কর্মী মহিউদ্দিন, বংশাল থানা ছাত্রলীগের সদস্য মো. ফাইসাল হোসেন, কদমতলী থানা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. আবু হোসেন, ঢাকা জেলার ছাত্রলীগ সমর্থক আর রহমান, কেরানীগঞ্জ থানার ছাত্রলীগ কর্মী জাহিদ হাসান, পল্টন থানার আওয়ামীলীগ কর্মী করিম, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ. লতিফ ঢালী, পল্টন থানা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পাল, সবুজবাগ ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মেহেদী হাসান, ৬২ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সহকারী সেক্রেটারি রাসেল ওরফে পাংকু রাসেল ও আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলের সংগঠক, ধানমন্ডি ৩২ হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের অ্যাডমিন গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলার যুবলীগ নেতা পিন্টু মিত্র।

সোমবার (১৯ মে) ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য জানান।

আরো পড়ুন:

সাম্য হত্যার বিচার দাবিতে ইবিতে বিক্ষোভ

সাম্য হত্যা: শাহবাগ থানার সামনে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ  

তিনি জানান, ১৮ মে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাজধানীর গুলিস্তান এলাকা থেকে ১ থেকে ১১ নম্বর আসামিকে গ্রেপ্তার করে ডিবি ওয়ারী বিভাগের একটি দল। একই দিনে ডিবি-মিরপুর বিভাগের একটি দল সন্ধ্যার দিকে মিরপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আ. লতিফ ঢালীকে গ্রেপ্তার করে।

রবিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে মতিঝিল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সুব্রত পালকে গ্রেপ্তার করে ডিবি-রমনা বিভাগের একটি দল। রবিবার দিনগত রাত ২টার দিকে মিরপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মো. মেহেদী হাসানকে গ্রেপ্তার করে ডিবি-মিরপুর বিভাগের একটি দল। একই দিন রাত সাড়ে ১২টার দিকে যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে রাসেল ওরফে পাংকু রাসেলকে গ্রেপ্তার করে ডিবি-ওয়ারী বিভাগের একটি দল।

এছাড়া রবিবার রাত ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে মুগদা এলাকা থেকে পিন্টু মিত্রকে গ্রেপ্তার করে ডিবি-সাইবার বিভাগের একটি দল।

গ্রেপ্তার সবার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগে বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে। তারা সংঘবদ্ধ হয়ে আইনশৃঙ্খলা বিনষ্টের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করাসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিল করার মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিলেন।

ঢাকা/এমআর/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ