মালদ্বীপে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে সরকারের অভিযান জোরদার করা হয়েছে। দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ জানিয়েছে, এ পর্যন্ত ১৫০৭টিরও বেশি অভিবাসন মামলা নথিভুক্ত হয়েছে।

এর মধ্যে ৯৭৬টি মামলায় ইমিগ্রেশন বিভাগ সরাসরি জড়িত, যা অভিবাসন ইস্যুকে কেন্দ্র করে চলমান কার্যক্রমের পরিধি তুলে ধরে।

মালদ্বীপ ইমিগ্রেশন বিভাগ আরো জানিয়েছে, এখনো ২৪৪টি মামলা যাচাই করা হয়নি এবং ১১৬টি মামলা তদন্তাধীন রয়েছে।

এছাড়াও, ইমিগ্রেশন সংস্থার বাইরে থেকে ১৭১টি মামলা দায়ের হয়েছে, যা এই সমস্যার বহুমাত্রিকতাকে স্পষ্ট করে।

সরকার শুধুমাত্র অবৈধ অভিবাসীদের ধরপাকড় নয়, বরং শহর, আবাসিক এলাকা, শিল্প গ্রাম ও কৃষি গ্রামে অবস্থানরত বিদেশিদের তথ্য সংগ্রহ করতে মাঠপর্যায়ে অভিযান চালাচ্ছে। জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে খাদ্য প্রস্তুতকারী সাইটগুলোতে নিরাপত্তা যাচাইয়ের জন্য আলাদা অপারেশনও চালু করা হয়েছে।

মালদ্বীপের বর্তমান সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে, মালদ্বীপে সব বিদেশি নাগরিকের তথ্য একটি কেন্দ্রীয় ডাটাবেজে সংরক্ষণ। আগামী তিন বছরের মধ্যে অভিবাসন সমস্যার পূর্ণ সমাধান।

অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানকে দেশটির নিরাপত্তা ও অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনায় স্থিতিশীলতা আনার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

ঢাকা/হাসান/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

নগদ থেকে জমা ও উত্তোলন ছাড়া অন্য সেবা বন্ধ রাখা হয়েছে: গভর্নর

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, আপাতত ব্যাংকগুলোর সঙ্গে কথা বলে নগদ থেকে টাকা জমা ও উত্তোলন ছাড়া অন্য সেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। এখন যারা এই প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন আগের অর্থে তারা যেন এক্সেস না পান (প্রবেশাধিকার) সে ব্যাপারে ব্যাংকগুলোকে বলা হয়েছে।

তিনি বলেন, এমএফএস সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান নগদে অন্তত ২ হাজার ৬৬০ কোটি টাকার জালিয়াতি হয়েছে। ৬৬০ কোটি টাকার জাল ই–মানি ইস্যু এবং সরকারের বিভিন্ন তহবিল বিতরণ না করে ২ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে আগের পরিচালনার সঙ্গে যুক্তরা। জালিয়াতির সঙ্গে যুক্তদের হাতে এখন আবার প্রতিষ্ঠানটির নিয়ন্ত্রণ চলে গেছে।

সোমবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর এসব তথ্য জানান।

এ সময় অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও বিএফআইইউ প্রধান এ এফ এম শাহীনুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

দেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধার কার্যক্রমের অগ্রগতি বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে নগদ ও ব্যাংক রেজুলেশন অধ্যাদেশসহ বিভিন্ন বিষয় ওঠে আসে।

এক প্রশ্নের উত্তরে গভর্নর বলেন, আইন অনুযায়ী– এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলো এক টাকা ব্যাংকে রেখে তার সমপরিমাণ টাকা ছাড়তে পারে। এটা অমান্য করে জালিয়াতির মাধ্যমে তারা অন্তত ৬৬০ কোটি টাকা ইস্যু করেছে। যে কারণে আমরা তাদের জালিয়াত হিসেবে চিহ্নিত করেছি। এই জালিয়াতির জন্য তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দরকার আছে। বিষয়টি এখন আইনগতভাবে সমাধানের অপেক্ষায় আছে। আমরা আশা করি দ্রুত সমাধান হবে।

গভর্নর বলেন, ব্যাংক রেজুলেশন একটি শক্তিশালী অধ্যাদেশ। এই অধ্যাদেশ আমরা প্রয়োগ করতে যাচ্ছি। একবারে সব ব্যাংকের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে না। ধাপে–ধাপে নেওয়া হবে। ব্যাংকিং খাত যেন আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারে সে জন্য অত্যন্ত কার্যকর ভাবে এটা করা হবে। কোনো তড়িঘড়ি হবে না। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সক্ষমতা বাড়ানো হবে।

প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে নগদ পরিচালনায় যুক্তরা সবাই পলাতক। এরকম অবস্থায় বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রশাসক ও একটি ব্যবস্থাপনা বোর্ড গঠন করে দেয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রশাসক নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে একটি রিট হয়। গত ফেব্রুয়ারিতে রিট খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের ওপর চেম্বার জজ আদালতে আপিল করেন তারা। গত ৮ মে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও আকস্মিকভাবে গত ৭ মে একতরফা শুনানি করে ৮ সপ্তাহের জন্য হাইকোর্টের রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ দেন আদালত। এরপর আগের সিইও তানভীর এ মিশুক ই-মেইল যোগে নতুন করে সাফায়েত আলম নামের একজনকে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নিয়োগ করেছেন। সাফায়েত নগদের ৬৬০ কোটি টাকার জাল ই–মানি ইস্যুর ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের মামলার ৪ নম্বর আসামি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ