ইশরাককে মেয়র ঘোষণার গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে লিভ টু আপিল
Published: 26th, May 2025 GMT
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায় ও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে লিভ টু আপিল করা হয়েছে।
আজ সোমবার আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় লিভ টু আপিলটি (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) দায়ের করা হয়।
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায় এবং ইসির গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে করা রিট সরাসরি খারিজ করে ২২ মে আদেশ দেন হাইকোর্ট। এই আদেশের বিরুদ্ধে মেয়র ঘোষণা ও গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে আজ লিভ টু আপিল করেন রিট আবেদনকারী।
লিভ টু আপিলকারীর জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায় এবং ইসির গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে লিভ টু আপিলটি দায়ের করা হয়েছে। আজ বা আগামীকাল চেম্বার আদালতে শুনানি হতে পারে।’
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায় এবং ইসির গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে মো.
২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হয়। আওয়ামী লীগের (বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ) প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস মেয়র নির্বাচিত হন। একই বছরের ২ ফেব্রুয়ারি ভোটের ফলাফলের গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। শপথ নিয়ে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন তাপস।
নির্বাচনে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ফলাফল বাতিল চেয়ে ২০২০ সালের ৩ মার্চ মামলা করেন ইশরাক।
গত বছরের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। একই বছরের ১৯ আগস্ট ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনসহ সিটি করপোরেশনের মেয়রদের অপসারণ করা হয়। এর মধ্যে ইশরাকের করা নির্বাচনী মামলায় চলতি বছরের ২৭ মার্চ রায় দেন ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল। রায়ে তাপসকে নির্বাচিত ঘোষণা বাতিল করা হয়। ইশরাককে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করা হয়। আদালতের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে ইশরাককে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে গত ২৭ এপ্রিল গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
যেসব সেবা মিলবে রিটার্ন ছাড়া
করদাতারা অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ের প্রথম দিন থেকে আয়কর কর্তৃপক্ষের কাছে বার্ষিক আয়, ব্যয় এবং সম্পদের তথ্যাবলী নির্ধারিত ফরমে উপস্থাপন করেন বা রিটার্ন জমা দেন। গত বছর বেশকিছু সেবা পেতে রিটার্ন জমা দেওয়া বাধ্যতামূল ছিল। তবে, এবার আয়কর রিটার্ন ছাড়াই মিলবে বেশকিছু সরকারি-বেসরকারি সেবা।
আয়কর রিটার্ন ছাড়া যেসব সেবা মিলবে, সেগুলো মধ্যে আছে—ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করার জন্য ই কমার্স ব্যবসার লাইসেন্স নেওয়া, ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত সঞ্চয়পত্র কেনা, ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড নেওয়া বা নবায়ন, ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিট হিসাব খোলা ও নবায়ন, ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিট হিসেবে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত রাখা, পোস্ট অফিস সঞ্চয়ী হিসাব খুলে ৫ লাখ টাকার বেশি রাখা, নতুন ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণ; চিকিৎসক, দন্তচিকিৎসক, আইনজীবী, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্ট, চার্টার্ড সেক্রেটারি, আইনজীবী, প্রকৌশলী, স্থপতি, সার্ভেয়ার ইত্যাদি পেশাজীবীদের স্বীকৃত পেশাজীবী সংস্থার সদস্য পদ গ্রহণ, সমবায় সমিতির নিবন্ধন, সাধারণ বিমা কোম্পানিগুলোর তালিকাভুক্ত সার্ভেয়ারদের নতুন লাইসেন্স গ্রহণ, ১০ম গ্রেড বা তার উপরের পদধারীদের এমপিওভুক্তির অর্থ গ্রহণ, স্ট্যাম্প, কোর্ট ও কার্টিজ পেপারের ভেন্ডর বা দলিল লেখক হিসেবে লাইসেন্স নিবন্ধন/তালিকাভুক্তি, ৩ চাকার মোটরযানের (অটোরিক্সা) নিবন্ধন, মালিকানা পরিবর্তন বা ফিটনেস নবায়ন, স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতাদের মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস বা মোবাইল ব্যাংকিং বা ইলেকট্রনিক মাধ্যমে কমিশন, ফি বা অন্য আর্থিক সুবিধা গ্রহণ।
এসব সেবা নিতে আয়কর রিটার্ন জমা না দিলেও ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (টিআইএন) সার্টিফিকেট দেখাতে হবে।
ঢাকা/নাজমুল/রফিক