আদালতের বাইরে বিক্ষোভ থেকে পিছু হটল ইসলামী আন্দোলন
Published: 3rd, May 2025 GMT
বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) মেয়র পদ চেয়ে মামলার পাশাপাশি এ বিষয়ে শুনানির প্রতিটি তারিখে আদালতের বাইরে বিক্ষোভ করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীমের অনুসারীরা। আগামী সোমবার এই মামলার শুনানির দিন নির্ধারিত আছে। এদিনও আদালতের বাইরে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছিলেন ফয়জুলের অনুসারীরা। তবে সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে দলটি। সোমবার মামলার নির্ধারিত দিনে কোনো বিক্ষোভ হবে না বলে জানিয়েছেন মেয়র পদপ্রত্যাশী ফয়জুল করীম। তিনি চরমোনাই পীর সৈয়দ রেজাউল করীমের ভাই।
২০২৩ সালের ১২ জুন অনুষ্ঠিত বিসিসি নির্বাচনে ফয়জুল হাতপাখা প্রতীকে মেয়র প্রার্থী হয়েছিলেন। ওই নির্বাচনে জয়ী হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই আবুল খায়ের আবদুল্লাহ। কিন্তু দলীয় কর্মী ও প্রশাসন দিয়ে কেন্দ্র দখল করে পরাজিত করা হয়েছে এমন দাবি তুলে গত ১৭ এপ্রিল বরিশাল নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন ফয়জুল। মামলাটি বিচারযোগ্য কিনা, সে সিদ্ধান্ত জানাতে তিন দফা তারিখ পরিবর্তনের পর ৫ মে শুনানির দিন ধার্য করেন আদালত। আগের প্রতিটি তারিখে পীর অনুসারী সহস্রাধিক নেতাকর্মী আদালতপাড়ায় বিক্ষোভ করে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করেন। যা আদালতের ওপর চাপ প্রয়োগের শামিল করে মনে মন্তব্য করেন আইনজীবীরা।
শনিবার বরিশাল প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন ফয়জুল করীম। তিনি বলেন, সোমবার রাজপথে না নামার জন্য দলীয় নেতাকর্মীকে নির্দেশ দিয়েছি। আদালত অবমাননা হয়, আমরা এমন কিছু করতে চাই না। তবে ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের পর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের দুই প্রার্থী মামলা করে ন্যায়বিচার পেয়েছেন। তাই আদালতের ওপর ভরসা রেখে এবং দলীয় নেতৃত্বের নির্দেশনায় আমিও আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি।
এক প্রশ্নের জবাবে ফয়জুল বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সব দলের প্রার্থী অংশ নিয়েছেন। কেউ নামে, কেউ বেনামে। আমরা বেনামে অংশ নিইনি। যারা বেনামে নিয়েছেন, তারা মুনাফেকি করেছেন।
এদিকে শনিবার ফয়জুলের সংবাদ সম্মেলনের খবর সংগ্রহে প্রেস ক্লাবে গিয়েছিলেন যুগান্তরের সাংবাদিক মনিকা চৌধুরী। কিন্তু ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীরা তাঁকে সভা থেকে বের করে দেন। সংবাদ সম্মেলন শুরুর আগে এ ঘটনা ঘটে।
সাংবাদিকরা জানান, ঘটনার সময় ফয়জুল করীম প্রেস ক্লাবের নিচতলায় অতিথি কক্ষে ছিলেন। তিনতলায় সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনের প্রস্তুতি চলছিল। মনিকা সভাকক্ষে ঢুকলে পর্দার কথা বলে তাঁকে বের হয়ে যেতে বলেন পীর অনুসারীরা। মনিকা যেতে না চাইলে এক পর্যাযে পীর অনুসারীরা বলেন, ‘না গেলে আপনাকে বের করে দেওয়া হবে।’ তখন মনিকা কাঁদতে কাঁদতে সভাকক্ষ থেকে বের হয়ে যান।
পরে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকরা ফয়জুল করীমের কাছে এ বিষয়ে প্রতিবাদ জানালে তিনি বলেন, আমরা ইসলামী শরিয়ত অনুযায়ী পর্দা মেনে চলি। অন্যদের পর্দা মেনে চলার জন্য উদ্বুদ্ধ করি। এ জন্য সভা থেকে চলে যেতে বলা হয়েছে। এর পেছনে অন্য কোনো উদ্দেশ্য নেই।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: বর শ ল র অন স র র কর ম র ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
আফতাবনগরে পশুর হাট বসানো যাবে না: হাইকোর্ট
রাজধানীর আফতাবনগর আবাসিক এলাকায় কোরবানির পশুর হাট বসানোর ইজারা বিজ্ঞপ্তির কার্যক্রম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। এর ফলে চলতি বছরও আফতাবনগরে গরুর হাট বসানো যাবে না বলে জানিয়েছেন আইনজীবী।
রোববার বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটে পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ।
এর আগে গত ২৫ এপ্রিল রাজধানীর আফতাবনগর আবাসিক এলাকায় কোরবানির পশুর হাট বসানোর ইজারা বিজ্ঞপ্তি চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউনূস আলী আকন্দ হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দায়ের করেন।
আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউনূস আলী আকন্দ বলেন, গত ২১ এপ্রিলের ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন আফতাবনগর আবাসিক এলাকায় পশুর হাট বসানের জন্য ইজারা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। অথচ হাইকোর্টে এ বিষয়ে রুল বিচারাধীন।