চাঁদের দুই পৃষ্ঠের চিত্র আলাদা, অভ্যন্তরও সমান নয়
Published: 16th, May 2025 GMT
চাঁদের গঠন কেমন, তা নিয়ে অনেক দিন ধরেই গবেষণা চলছে। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণাপ্রতিষ্ঠান নাসার গবেষকেরা চাঁদের গঠন নিয়ে নতুন তথ্য দিয়েছেন। নাসার দুটি রোবোটিক মহাকাশযান থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে তাঁরা বলছেন যে চাঁদের অভ্যন্তর সমান নয়। পৃথিবীর দিকে মুখ করে থাকা চাঁদের এক পাশের সঙ্গে চাঁদের অন্য পাশের গঠনে ভিন্নতা রয়েছে।
নাসার গ্র্যাভিটি রিকভারি অ্যান্ড ইনটেরিয়র ল্যাবরেটরি (গ্রেইল) নামের মিশনের তথ্য অনুযায়ী, চাঁদের গভীর অভ্যন্তর ভাগটি অসমান। গবেষকদের মতে, সম্ভবত কয়েক বিলিয়ন বছর আগে চাঁদের সামনের দিকে প্রবল আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণ ঘটেছিল। এর ফলে চাঁদের পৃষ্ঠের গঠনে বড় ধরনের প্রভাব পড়ে।
গবেষণায় দেখা গেছে, পৃথিবীর আকর্ষণ শক্তির কারণে চাঁদের উপবৃত্তাকার কক্ষপথে আবর্তনের সময় সামনের দিকটি পেছনের তুলনায় সামান্য বেশি মোচড় খায়, যাকে বলা হয় টাইডাল ডিফরমেশন। এটি ইঙ্গিত দেয় যে চাঁদের দুই পাশে অভ্যন্তরীণ কাঠামো, বিশেষ করে ‘ম্যান্টল’ স্তরের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে।
নাসার জেট প্রোপালশন ল্যাবরেটরির সৌরজগৎ গতিবিদ্যা দলের প্রধান ও গবেষণাপত্রটির প্রধান লেখক রায়ান পার্ক বলেন, গবেষণা দেখিয়েছে যে চাঁদের অভ্যন্তর সমান নয়। পৃথিবীর দিকে মুখ করা পাশটি ভেতর থেকে বেশি উষ্ণ এবং ভূতাত্ত্বিকভাবে বেশি সক্রিয়।
গবেষকদের তথ্য অনুযায়ী, চাঁদের সামনের দিক বিস্তৃত সমতলভূমিতে আচ্ছাদিত, যা গলে যাওয়া পাথর থেকে তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে পেছনের দিকটি অনেক বেশি খাঁজযুক্ত ও অসমান, যেখানে সমতলভূমি খুব কম।
বিজ্ঞানীরা অনেক দিন ধরেই ধারণা করে আসছেন যে সামনের দিকে ঘটেছে প্রবল আগ্নেয়গিরি বিস্ফোরণ, যার ফলে তেজস্ক্রিয় ও তাপ উৎপাদনকারী উপাদান সেই পাশে জমা হয়েছে। নতুন গবেষণায় এই ধারণার পক্ষে সবচেয়ে শক্ত প্রমাণ পাওয়া গেছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, চাঁদের সামনের দিকের ম্যান্টল পেছনের তুলনায় গড়ে ১০০ থেকে ২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি গরম।
চাঁদের ব্যাস প্রায় ৩ হাজার ৪৭৫ কিলোমিটার; পৃথিবীর এক–চতুর্থাংশের কম।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স মন র দ ক র গঠন
এছাড়াও পড়ুন:
চাঁদের দুই পৃষ্ঠের চিত্র আলাদা, অভ্যন্তরও সমান নয়
চাঁদের গঠন কেমন, তা নিয়ে অনেক দিন ধরেই গবেষণা চলছে। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণাপ্রতিষ্ঠান নাসার গবেষকেরা চাঁদের গঠন নিয়ে নতুন তথ্য দিয়েছেন। নাসার দুটি রোবোটিক মহাকাশযান থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে তাঁরা বলছেন যে চাঁদের অভ্যন্তর সমান নয়। পৃথিবীর দিকে মুখ করে থাকা চাঁদের এক পাশের সঙ্গে চাঁদের অন্য পাশের গঠনে ভিন্নতা রয়েছে।
নাসার গ্র্যাভিটি রিকভারি অ্যান্ড ইনটেরিয়র ল্যাবরেটরি (গ্রেইল) নামের মিশনের তথ্য অনুযায়ী, চাঁদের গভীর অভ্যন্তর ভাগটি অসমান। গবেষকদের মতে, সম্ভবত কয়েক বিলিয়ন বছর আগে চাঁদের সামনের দিকে প্রবল আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণ ঘটেছিল। এর ফলে চাঁদের পৃষ্ঠের গঠনে বড় ধরনের প্রভাব পড়ে।
গবেষণায় দেখা গেছে, পৃথিবীর আকর্ষণ শক্তির কারণে চাঁদের উপবৃত্তাকার কক্ষপথে আবর্তনের সময় সামনের দিকটি পেছনের তুলনায় সামান্য বেশি মোচড় খায়, যাকে বলা হয় টাইডাল ডিফরমেশন। এটি ইঙ্গিত দেয় যে চাঁদের দুই পাশে অভ্যন্তরীণ কাঠামো, বিশেষ করে ‘ম্যান্টল’ স্তরের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে।
নাসার জেট প্রোপালশন ল্যাবরেটরির সৌরজগৎ গতিবিদ্যা দলের প্রধান ও গবেষণাপত্রটির প্রধান লেখক রায়ান পার্ক বলেন, গবেষণা দেখিয়েছে যে চাঁদের অভ্যন্তর সমান নয়। পৃথিবীর দিকে মুখ করা পাশটি ভেতর থেকে বেশি উষ্ণ এবং ভূতাত্ত্বিকভাবে বেশি সক্রিয়।
গবেষকদের তথ্য অনুযায়ী, চাঁদের সামনের দিক বিস্তৃত সমতলভূমিতে আচ্ছাদিত, যা গলে যাওয়া পাথর থেকে তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে পেছনের দিকটি অনেক বেশি খাঁজযুক্ত ও অসমান, যেখানে সমতলভূমি খুব কম।
বিজ্ঞানীরা অনেক দিন ধরেই ধারণা করে আসছেন যে সামনের দিকে ঘটেছে প্রবল আগ্নেয়গিরি বিস্ফোরণ, যার ফলে তেজস্ক্রিয় ও তাপ উৎপাদনকারী উপাদান সেই পাশে জমা হয়েছে। নতুন গবেষণায় এই ধারণার পক্ষে সবচেয়ে শক্ত প্রমাণ পাওয়া গেছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, চাঁদের সামনের দিকের ম্যান্টল পেছনের তুলনায় গড়ে ১০০ থেকে ২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি গরম।
চাঁদের ব্যাস প্রায় ৩ হাজার ৪৭৫ কিলোমিটার; পৃথিবীর এক–চতুর্থাংশের কম।