রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সমুদ্রে ফেলে দেওয়ায় জামায়াতের নিন্দা
Published: 18th, May 2025 GMT
ভারতীয় নৌ বাহিনীর জাহাজ থেকে ৪০ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আন্দামান সমুদ্রে ফেলে দেওয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
রবিবার (১৮ মে) দলটির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাছুম এক বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানান।
আরো পড়ুন: ৪০ রোহিঙ্গাকে আটকের পর সাগরে ফেলে দিয়েছে ভারত
আরো পড়ুন:
ভারতের রোহিঙ্গাদের পুশইন পরিকল্পিত: বিজিবি মহাপরিচালক
ভাসানচর থেকে পালানো ৩৫ রোহিঙ্গা চট্টগ্রামে আটক
তিনি বলেন, “ভারতের দিল্লী থেকে নারী-শিশুসহ অন্তত ৪০ জন রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আটক করে আন্দামান সমুদ্রের মিয়ানমার সীমান্তের কাছে নিয়ে লাইফ জ্যাকেট পরিয়ে আন্তর্জাতিক পানি সীমানায় নিয়ে ভারতীয় নৌ বাহিনীর জাহাজ থেকে গত ৮ মে সমুদ্রে ফেলে দেওয়া হয়। দুনিয়ার সভ্য ইতিহাসে এই ধরনের ঘটনা বিরল। আমরা ভারতের এই অমানবিক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এই অমানবিক ঘটনার মাধ্যমে ভারত আন্তর্জাতিক আইন, মানবাধিকার ও জাতিসংঘ সনদ লঙ্ঘন করেছে।”
তিনি আরো বলেন, “ভারতের এই ধরনের মর্মান্তিক আচরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার জন্য আমরা শান্তিকামী বিশ্বাসীদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। ভবিষ্যতে এই ধরনের অমানবিক ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে সেজন্য ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে ভুয়া ওয়েবসাইট, ইউজিসির সতর্কতা
নারায়ণগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে একটি ভুয়া ওয়েবসাইট খুলে প্রতারক চক্র শিক্ষার্থী ভর্তির নামে অবৈধ কার্যক্রম চালাচ্ছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। প্রতারণা এড়াতে এসব প্রলোভনের ফাঁদে পা না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে সতর্ক করেছে ইউজিসি।
গতকাল রোববার ইউজিসি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ২০২৩ সালে অনুমোদন পাওয়া এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগসহ কোনো প্রশাসনিক কিংবা একাডেমিক কার্যক্রম এখনও শুরু হয়নি। অথচ একটি প্রতারক চক্র https://ngstu.ac নামে একটি ওয়েবসাইট চালু করে সেখানে ভুয়া তথ্য দিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম চালানোর চেষ্টা করছে।
এতে আরও জানানো হয়, ইতোমধ্যে ইউজিসির সংশ্লিষ্ট বিভাগ ওয়েবসাইটটি পর্যালোচনা করে দেখতে পেয়েছে, এতে ‘ভিসি’র নামে ভারতের কলকাতার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপনার ছবি।
ইউজিসি জানিয়েছে, এ ধরনের কর্মকাণ্ড শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বিভ্রান্ত করছে। ফলে কেউ যেন বিভ্রান্ত হয়ে কোনোরকম আর্থিক লেনদেন বা ভর্তি-সংক্রান্ত কার্যক্রমে অংশ না নেন, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
একই সঙ্গে জালিয়াতি এড়াতে ইউজিসির পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে, সরকারি অনুমোদনপ্রাপ্ত নতুন কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি কিংবা যোগাযোগের আগে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের তথ্য ইউজিসির ওয়েবসাইটে যাচাই করে নেওয়ার জন্য।