কয়েদির কাগজের কম্বল

নতুন বই, পুরনো বই,

সব ছেঁড়া পাতার গাদাগাদি

কম্বল না থাকার চেয়ে

ভালো এই কাগজের গাদি

কারুকাজ করা কম্বলে

ঘুমাও যারা রাজপুত্তুর

তোমরা কি জানো

কারাগারে কত লোক

সারা রাত একটুও ঘুমাতে পারে না?

শরতের রাত

ফটকের সামনে এক প্রহরী

কাঁধে বন্দুক।

আকাশে, মেঘের ফাঁকে

পালিয়ে বেড়ায় চাঁদ।

বিছানায় ছাড়পোকার ভিড়,

রাতের আঁধারে যেন এগিয়ে আসে

সেনাদের সতর্ক কালো ট্যাংক।

মশার ঝাঁক,

যেন ধেয়ে আসা আক্রমণকারী যুদ্ধবিমান।

ভাবি আমার দেশের কথা।

স্বপ্ন দেখি উড়ে যাচ্ছি বহু দূর।

স্বপ্ন দেখি আমি ঘুরছি আশাহীন,

আটকে আছি যাতনার ঢেউয়ের ভেতর।

এখানে কেটে গেল আরেকটা বছর।

কী আমার অপরাধ?

চোখের জলে লিখি

আরেকটা কারাগারের কবিতা।

উজ্জ্বল সকাল

সকালের সূর্য জ্বলে ওঠে

কারার দেয়ালের ওপর

আর দূরে চলে যায়

নিরাশার ছায়া ও ধোঁয়াশা

পৃথিবীজুড়ে বয়ে যায়

সঞ্জীবনী হাওয়া।

একশত বন্দির মুখে

হাসি ফুটে আবার।

ঠান্ডা রাত

শরতের রাত।

না বালিশ, না কোনো চাদর।

ঘুম নেই। শরীর কুঁকড়ে আসে।

পায়ে খিঁচুনির টান।

হিমে ঢাকা কলাপাতায়

জ্বলছে ঠান্ডা চাঁদ।

আমার গরাদের বাইরে

নিরিবিলি আকাশে শুয়ে আছে মহান ভালুক

সুদিন আসছে

সবকিছু বদলায়,

আইনের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরাম।

বৃষ্টির পরে আসে রোদ।

চোখের পলকে বিশ্বজগৎ

ছুড়ে ফেলে তার কাদার পোশাক।

দশ হাজার মাইলজুড়ে

ছড়িয়ে পড়ে নিসর্গশোভা

যেন বিরাট এক রেশমি পর্দায়

রঙিন কারুকাজ।

কোমল রোদ।

হালকা বাতাস।

ঝিকিমিকি পাতার ফাঁকে হাসে ফুল।

সব পাখি গায় একসাথে।

মানুষ আর প্রাণী জেগে ওঠে আবার

পুনর্জন্ম যেন।

এর চেয়ে স্বাভাবিক

আর কিছু কী আছে?

বেদনার পরে আসে আনন্দ।

মুক্ত আমি, পাহাড়ে হাঁটি আর দৃশ্য দেখি

(এই কবিতাটি কারাগার থেকে মুক্তির পর লেখা। জেল থেকে ছাড়া পেয়ে স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধারে ওয়েস্টার্ন রেঞ্জে গিয়েছিলেন হো। এই কবিতা তখন লেখা।)

পাহাড়ের বুকে মেঘ

মেঘের আলিঙ্গনে পাহাড়

দূরে নিচে ঝলমলে এক নদী,

উজ্জ্বল, নিদাগ আয়না যেন।

একাকী, দুরুদুরু হৃদয়ে

হাঁটি পশ্চিমের পাহাড়ি পরিসীমায়,

আর তাকিয়ে থাকি দক্ষিণে,

ভাবি আমার পুরোনো সঙ্গীদের কথা।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

পেশোয়ারকে উড়িয়ে প্লে–অফে সাকিবের লাহোর

যারা জিতবে, তারা উঠবে প্লে-অফে। যারা হারবে, তারা টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়বে। পিএসএলে লাহোর কালান্দার্স ও পেশোয়ার জালমির এমন সমীকরণ লড়াইটিকে ‘অঘোষিত কোয়ার্টার ফাইনাল’ বানিয়ে ফেলে। এমন এক ম্যাচ দিয়েই দুই বছর পর পাকিস্তান সুপার লিগে প্রত্যাবর্তন সাকিব আল হাসানের। বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ককে নিয়েই আজ ম্যাচটি খেলেছে লাহোর কালান্দার্স। আর পেশোয়ার জালমিকে ২৬ রানে হারিয়ে চতুর্থ দল হিসেবে নিশ্চিত করেছে প্লে-অফ খেলা। অবশ্য প্রথম এলিমিনেটরে খেলতে হবে লাহোরকে।

দুই বছর পর পিএসএলে সাকিবের প্রত্যাবর্তন ম্যাচটি হতে পারবে কি না, তা নিয়ে দেখা দিয়েছিল সংশয়। রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম ধূলি-ঝড় ও পরে বজ্র-বৃষ্টিতে ম্যাচটি নির্ধারিত সময়ে শুরু হতে পারেনি। আবহাওয়া শান্ত হওয়ার পর যখন খেলা শুরু হলো ম্যাচটি হয়ে গেছে ১৩ ওভারের।

টসে জিতে সাকিবের লাহোরকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় পেশোয়ার। লাহোর ১৩ ওভারে করে ৮ উইকেটে ১৪৯ রান। রান তাড়ায় নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো পেশোয়ার ১৩ ওভারে করতে পারে ৮ উইকেটে ১২৩ রান। সাতে নেমে ১৪ বলে সর্বোচ্চ ২৬ রান করেন ড্যানিয়েল স্যামস। নয়ে নেমে ১৪ বলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৪ রান করেন আহমেদ দানিয়াল। সাকিব ২ ওভারে ১৮ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি। এর আগে লাহোরের  ওপেনার ফখর জামান ৩৬ বলে করেছেন সর্বোচ্চ ৬০ রান। সাকিব ব্যাটিংয়ে নামেন ১১তম ওভারে। তবে প্রথম বলেই আউট হয়ে গেছেন এক সময়ের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।

প্রথম বলেই বোল্ড হয়েছেন সাকিব আল হাসান

সম্পর্কিত নিবন্ধ