সোনারগাঁয়ের প্রত্ন সম্পদের বর্তমান পরিস্থিতি,সুরক্ষা ও সংরক্ষণ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সকালে সোনারগাঁ প্রেস ক্লাব কার্যালয়ে সোনারগাঁয়ের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও প্রত্ন সম্পদ সংরক্ষণ কমিটির উদ্যোগে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে সোনারগাঁয়ের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও প্রত্ন সম্পদ সংরক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক কবি শাহেদ কায়েস এর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সদস্য সচিব লেখক রবিউল হুসাইন।

অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সোনারগাঁ প্রেস ক্লাবের সহসভাপতি  ফজলে রাব্বী সোহেল, সোনারগাঁ সাহিত্য নিকেতনের সভাপতি আসমা আখতারী, উদিচী সোনারগাঁ শাখার সভাপতি শংকর প্রকাশ, সোনারগাঁ সাহিত্য নিকেতনের উপদেষ্টা মতিউর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোফাখখার সাগর, শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক মোয়াজ্জেনুল হক, সোনারগাঁ প্রেস ক্লাবের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক খায়রুল আলম খোকন, সাংবাদিক  মোকাররম মামুন, এরশাদ হুসাইন অন্য, কামরুল ইসলাম পাপ্পু, সোনারগাঁ সাহিত্য নিকেতনের নির্বাহী সদস্য রোকেয়া বেগম, সংস্কৃতিকর্মী শামীমা নাসরিন, খাদিজা আক্তার মৌসুমী, পল্লবী সরকার, মো.

রাশেদ ও ইসকান্দার আলী আলভী।

বৈঠকে সোনারগাঁয়ের প্রত্ন সম্পদের বর্তমান পরিস্থিতি,সুরক্ষা ও সংরক্ষণ নিয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের আহ্বায়ক কবি শাহেদ কায়েস।

এ সময় বক্তারা বলেন, সোনারগাঁ হচ্ছে প্রাচীণ বাংলার রাজধানী। এখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক নির্দশন। এসব নিদর্শন জরুরি ভিত্তিতে সুরক্ষা ও সংরক্ষণের আওতায় আনতে হবে।

ইতিমধ্যে বহু প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ধংস হয়ে গেছে। এখানকার প্রত্ন সম্পদগুলো সংরক্ষণ করে সোনারগাঁকে একটি পর্যটনবান্ধব এলাকা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানান বক্তারা।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ স রক ষ স ন রগ

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রাম্পের জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব আদেশে বিপাকে সুপ্রিম কোর্ট

জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব পাওয়ার অধিকার সীমিত করে দেওয়া প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ নিয়ে মার্কিন সুপ্রিম কোর্টে তুমুল বিতর্ক হয়েছে। প্রেসিডেন্টের দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম দিনেই সই হওয়া ওই আদেশ অনুযায়ী, যেসব শিশুর বাবা-মায়ের কেউ মার্কিন নাগরিক বা গ্রিন কার্ডধারী নন, যুক্তরাষ্ট্রে জন্মালেও তারা আর নাগরিকত্ব পাবে না।

রয়টার্স জানায়, ট্রাম্প চাচ্ছেন নাগরিকত্ব নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানে দেওয়া প্রচলিত ব্যাখ্যায় বড় পরিবর্তন আনতে। তাঁর এ চেষ্টা সফল হলে তা প্রতিবছর যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া লাখো শিশুর নাগরিকত্বকে ঝুঁকির মুখে ফেলবে। ট্রাম্পের ওই আদেশ বাস্তবায়নে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন মেরিল্যান্ড, ওয়াশিংটন ও ম্যাসাচুসেটসের ফেডারেল বিচারকরা। ট্রাম্প প্রশাসন চাইছে, এ বিচারকদের ক্ষমতা খর্ব করতে যেন তাদের আদেশ দেশজুড়ে কার্যকর না হয়।

ট্রাম্পের আদেশ আটকে দেওয়া স্থগিতাদেশগুলো প্রত্যাহারে প্রশাসনের জরুরি আবেদন নিয়ে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে দুই ঘণ্টার বেশি শুনানি হয়েছে। সরকার পক্ষের যুক্তি হচ্ছে, ফেডারেল বিচারকরা দেশজুড়ে একসঙ্গে স্থগিতাদেশ দেওয়ার এখতিয়ার রাখেন না। সেজন্য তাদের স্থগিতাদেশগুলো বাতিল করে প্রশাসনকে প্রেসিডেন্টের আদেশ বাস্তবায়নের সুযোগ করে দিতে হবে।

প্রশাসনের পক্ষে সলিসিটর জেনারেল ডি জন সাওয়ার বলেন, বিচারকদের দেশজুড়ে স্থগিতাদেশ জারির ক্রমবর্ধমান প্রবণতা ‘বিকারে’ পরিণত হয়েছে।অন্যদিকে লিবারেল বিচারক সোনিয়া সোটোমেয়র বলেছেন, ‘আমরা যদি সেই হাজার হাজার শিশুর কথা চিন্তা করি, নাগরিকত্বের কাগজপত্র ছাড়া জন্মগ্রহণ করায় যারা রাষ্ট্রহীন হয়ে পড়তে পারে এবং তারা সরকারি সুযোগ-সুবিধাও পাবে না, তাহলে অবশ্যই আদালতের এই (নির্বাহী) আদেশের বৈধতা বিবেচনা করা উচিত।’

ট্রাম্পের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে যারা মামলা করেছেন তারা বলছেন, প্রেসিডেন্টের নির্বাহী আদেশ কার্যকর হলে প্রতি বছর দেড় লাখের বেশি নবজাতক নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত হবে। মামলাকারীদের তালিকায় ২২টি অঙ্গরাজ্যের ডেমোক্র্যাট অ্যাটর্নি জেনারেলের পাশাপাশি অভিবাসন অধিকার কর্মী ও অন্তঃসত্ত্বা অভিবাসীরাও আছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ