৭ ব্রোঞ্জ জিতেও ব্যর্থ বাংলাদেশ, পায়নি এশিয়ার টিকিট
Published: 27th, April 2025 GMT
কাঠমান্ডুতে আজ শেষ হওয়া দক্ষিণ এশিয়ান যুব টেবিল টেনিসে অনূর্ধ্ব-১৫ ও অনূর্ধ্ব-১৯ বিভাগে ৭টি ব্রোঞ্জ জিতেছে বাংলাদেশ। কিন্তু এবার এশিয়ান যুব টেবিল টেনিসের মূল পর্বে যেতে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ। মূল পর্বের টিকিট মেলে সাফ যুব চ্যাম্পিয়নশিপে অনূর্ধ্ব-১৯ ছেলে বা মেয়েদের দলীয় সোনা বা রুপা জিতলে। এর আগে ২০২২ সালে এই ইভেন্টে ছেলেদের বিভাগে সোনা ও ২০২৪ সালে একই বিভাগে রুপা জিতে মূল পর্বে ওঠে বাংলাদেশ। কিন্তু এবার কোনো বিভাগেই রুপা পায়নি বাংলাদেশ।
এই ব্যর্থতার কারণ হিসেবে প্রস্তুতি স্বল্পতাকে দায়ী করছে টিটির বর্তমান অ্যাডহক কমিটি। যদিও ১৬ খেলোয়াড়ের ১৪ জনই বিকেএসপির নিয়মিত খেলোয়াড়, যাঁরা সারা বছর মোস্তফা বিল্লাহর অধীন অনুশীলন করেন। মোস্তফা বিল্লাহ এই সফরে জাতীয় দলের প্রধান কোচ হয়ে গেছেন। ব্যর্থতা নিয়ে কাল কাঠমান্ডু থেকে তিনি বলেছেন, ‘অনূর্ধ্ব-১৯ বিভাগে আমাদের সেরা খেলোয়াড় আবুল হাশেম হাসিব অসুস্থ থাকায় কোনো ম্যাচই খেলতে পারেনি। ফলে আমরা দারুণ নেপালের সঙ্গে দারুণ লড়লেও ফাইনালে ওঠা সম্ভব হয়নি। তা ছাড়া প্রস্তুতির স্বল্পতা ছিল। মাত্র ২৫ দিন পেয়েছি। তারপরও একটুর জন্য হলো না।’
ব্রোঞ্জজয়ী বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৯ টিটি দল.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সাবেক মন্ত্রীসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
সাবেক এলজিআরডি মন্ত্রী তাজুল ইসলামসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ফারহানা সুলতানা এই পরোয়ানা জারি করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কাইমুল হক রিংকু।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ৩ আগস্ট রাতে লাকসাম পৌরসভার নশরতপুর এলাকার বাইপাস মার্কেটের সামনে রাস্তার ওপর ও ১৮ আগস্ট রাতে বসতবাড়িতে হামলা ভাঙচুর চালানো হয়। এসব ঘটনায় সাবেক মন্ত্রী তাজুল ইসলামসহ ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় ৯০ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা করেন লাকসাম পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনির আহমেদ। পরে লাকসাম থানা পুলিশ তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেয়। ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের বিচারক ফারহানা সুলতানা সাবেক এলজিআরডি মন্ত্রী তাজুল ইসলামসহ ১৫ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
মামলার বাদী মনির আহমেদ জানান, যখন হামলা হয় তখন মন্ত্রী এলাকায় ছিলেন না। তাই তার বিরুদ্ধে হুকুমের আসামি করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়া অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন– এলজিআরডি মন্ত্রীর শ্যালক ও লাকসাম উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মহব্বত আলী, লাকসাম পৌরসভার সাবেক মেয়র অধ্যাপক আবুল খায়ের, কাউন্সিলর মোহাম্মদ উল্লাহ, বিপুলাসার ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ, গোবিন্দপুর ইউপি চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন শামীম, কান্দিরপাড় ইউপি চেয়ারম্যান ওমর ফারুক, কাউন্সিলর খলিলুর রহমান, মনোহরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও মন্ত্রীর ভাতিজা আমিরুল ইসলাম, তাজুলের উন্নয়ন সমন্বয়কারী কামাল হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম, আজকরা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, রুহুল আমিন, আবদুল কাদের শাহীন ও কাওছার আহমেদ।