অর্থনৈতিক অঞ্চল ও কারখানায় সন্ত্রাসী হামলায় জিরো টলারেন্স ঘোষণা
Published: 21st, May 2025 GMT
জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে মঙ্গলবার একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ও উদ্বেগজনক ঘটনা ঘটেছে। সেখানে একটি রাজনৈতিক দলের পরিচয়ে কতিপয় স্থানীয় সন্ত্রাসী একটি কারখানায় জোরপূর্বক প্রবেশ করে চাঁদা দাবি করে এবং পরবর্তী সময়ে কারখানার কর্মকর্তাদের মারধর করে। ঘটনার পরপরই সংশ্লিষ্ট কারখানার পক্ষ থেকে থানায় মামলা করা হয়। মামলার ভিত্তিতে পুলিশ ইতোমধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে এবং বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
সরকার এই ঘটনাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে এবং স্পষ্টভাবে জানিয়েছে যে, দেশের অর্থনৈতিক অঞ্চল ও শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করা হবে।
মঙ্গলবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এসব তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)।
এত বলা হয়, ওই কারখানায় জোরপূর্বক প্রবেশ করে চাঁদা দাবির ঘটনায় অপরাধ সংঘটনের সঙ্গে সঙ্গেই দোষীদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে সরকার তার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে তৎপরতার প্রমাণ দিয়েছে।
সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সন্ত্রাস দমন এবং বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ বজায় রাখতে বাংলাদেশ পুলিশসহ অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে সমন্বিতভাবে কাজ করা হচ্ছে। শিল্পাঞ্চল ও অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে বেজা ও বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের কোনো দল নেই। তারা সমাজ ও অর্থনীতির শত্রু। দেশের সব রাজনৈতিক দলকে এ বিষয়ে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে এবং সহযোগিতা করতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি, রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃত্ব এসব কার্যকলাপ সমর্থন করেন না। তাদের ইতিবাচক ভূমিকা ছাড়া দেশে টেকসই বিনিয়োগ পরিবেশ নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করতে চাই যে, এই ধরনের অপরাধ দমন এবং ভবিষ্যতে প্রতিরোধে সরকার সর্বোচ্চ আন্তরিক ও প্রস্তুত।’
বিডার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির চালিকাশক্তি হিসেবে অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বাড়ছে। এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা শুধু বিনিয়োগের পরিবেশ নষ্ট করে না, বরং দেশের ভাবমূর্তিকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
হেরা ফেরি থ্রি: জটিলতা নিয়ে মুখ খুললেন পরিচালক
সুনীল শেঠি, অক্ষয় কুমার ও পরেশ রাওয়াল অভিনীত বলিউডের জনপ্রিয় কমেডি সিনেমা ‘হেরা ফেরি’। এ সিনেমা ফ্যাঞ্চাইজির প্রথম পার্ট মুক্তি পায় ২০০০ সালে। অর্ধযুগের বিরতি ভেঙে নির্মিত হয় সিনেমাটির দ্বিতীয় পার্ট। এ সিনেমা ফ্যাঞ্চাইজিতে রাজু, শ্যাম ও বাবুরাও চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের মুগ্ধ করেন অক্ষয়, সুনীল ও পরেশ।
নির্মিত হচ্ছে ‘হেরা ফেরি’ ফ্যাঞ্চাইজির তৃতীয় কিস্তি। কয়েক দিন এ সিনেমার কাজ ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দেন পরেশ রাওয়াল। ‘হেরা ফেরি থ্রি’ সিনেমা প্রযোজনা করছেন অক্ষয় কুমার। পরেশ রাওয়ালের ঘোষণা আসার পর তার বিরুদ্ধে ২৫ কোটি রুপি লোকসানের জন্য আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন অক্ষয়। তারপর থেকে নানা ধরনের গুঞ্জন উড়ছে বলিপাড়ায়। অবশেষে বিষয়টি নিয়ে নীরবতা ভাঙলেন পরিচালক প্রিয়দর্শন।
বম্বে টাইমসকে প্রিয়দর্শন বলেন, “কী ঘটছে সে বিষয়ে আমার কোনো ধারণা নেই। তার চলে যাওয়ার ঘটনা আমার জন্য বড় ধাক্কা। আমি ভীষণ আহত হয়েছি।”
আরো পড়ুন:
কানে পা রেখেই রূপের দ্যুতি ছড়ালেন জাহ্নবী
২৮৭ কোটি টাকা ছাড়িয়ে অজয়ের সিনেমার আয়
পরেশ রাওয়ালের আচরণে আহত হয়েছেন প্রিয়দর্শন। তা জানিয়ে এই পরিচালক বলেন, “আমি সিনেমাটির তৃতীয় কিস্তির কাজ শুরু করেছি। হঠাৎ করেই সে কাজটি ছেড়ে দিল। এ বিষয়ে আমাকে কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি। আমি আহত হয়েছি। পরেশ আমার পরিবারের মতো এবং সে আমাকে কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি। ব্যাখ্যা না দিয়ে সে বলেছে, ‘আমার সঙ্গে তার কোনো বিরোধ নেই, আমাকে সে সম্মান করে, আমাদের মাঝে সৃজনশীল কোনো মতপার্থক্যও নেই।’ সত্যি বলছি, আমি ভীষণ আহত হয়েছি। এর পেছনে কোনো ষড়যন্ত্র আছে কি না তা জানি না।”
গুঞ্জন উড়ছে, পরেশ রাওয়াল সিনেমাটির কাজ ছেড়ে দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে ২৫ কোটি রুপি ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করবেন অক্ষয় কুমার। এ বিষয়টি জানতে চাইলে পরিচালক প্রিয়দর্শন বলেন, “এসব বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। আমি চেন্নাইয়ে বসবাস করি। আমি বলিউডের রাজনীতির বিষয়েও বেশি কিছু জানি না।”
বছরের পর বছর ধরে, ‘হেরা ফেরি থ্রি’ সিনেমার চিত্রনাট্যে অসংখ্য পরিবর্তন করেছেন সংশ্লিষ্টরা। শুরু থেকেই দর্শকরা চাচ্ছিলেন অক্ষয়, সুনীল, পরেশ রাওয়াল একসঙ্গে পর্দায় আসুক। কিন্তু তাতে নানা জটিলতা দেখা দেয়। সর্বশেষ পরেশ রাওয়ালের এই সিদ্ধান্ত সিনেমাটির ভবিষ্যৎ ঝুঁকিতে ফেলে দিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে পরিচালক ঠিক কীভাবে সিনেমাটির কাজ সামনে এগিয়ে নেবেন তাই এখন দেখার বিষয়!
ঢাকা/শান্ত