জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে মঙ্গলবার একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ও উদ্বেগজনক ঘটনা ঘটেছে। সেখানে একটি রাজনৈতিক দলের পরিচয়ে কতিপয় স্থানীয় সন্ত্রাসী একটি কারখানায় জোরপূর্বক প্রবেশ করে চাঁদা দাবি করে এবং পরবর্তী সময়ে কারখানার কর্মকর্তাদের মারধর করে। ঘটনার পরপরই সংশ্লিষ্ট কারখানার পক্ষ থেকে থানায় মামলা করা হয়। মামলার ভিত্তিতে পুলিশ ইতোমধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে এবং বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

সরকার এই ঘটনাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে এবং স্পষ্টভাবে জানিয়েছে যে, দেশের অর্থনৈতিক অঞ্চল ও শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করা হবে। 

মঙ্গলবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এসব তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)।

এত বলা হয়, ওই কারখানায় জোরপূর্বক প্রবেশ করে চাঁদা দাবির ঘটনায় অপরাধ সংঘটনের সঙ্গে সঙ্গেই দোষীদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে সরকার তার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে তৎপরতার প্রমাণ দিয়েছে।

সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সন্ত্রাস দমন এবং বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ বজায় রাখতে বাংলাদেশ পুলিশসহ অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে সমন্বিতভাবে কাজ করা হচ্ছে। শিল্পাঞ্চল ও অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে বেজা ও বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের কোনো দল নেই। তারা সমাজ ও অর্থনীতির শত্রু। দেশের সব রাজনৈতিক দলকে এ বিষয়ে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে এবং সহযোগিতা করতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি, রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃত্ব এসব কার্যকলাপ সমর্থন করেন না। তাদের ইতিবাচক ভূমিকা ছাড়া দেশে টেকসই বিনিয়োগ পরিবেশ নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করতে চাই যে, এই ধরনের অপরাধ দমন এবং ভবিষ্যতে প্রতিরোধে সরকার সর্বোচ্চ আন্তরিক ও প্রস্তুত।’

বিডার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির চালিকাশক্তি হিসেবে অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বাড়ছে। এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা শুধু বিনিয়োগের পরিবেশ নষ্ট করে না, বরং দেশের ভাবমূর্তিকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের বেতন বাড়াল বিসিবি

জাতীয় দলের নারী ক্রিকেটারদের বেতন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। আজ মিরপুরে বিসিবি পরিচালকদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এত দিন ‘এ’ ক্যাটাগরিতে থাকা মেয়েরা ১ লাখ ২০ হাজার টাকা মাসিক বেতন পেতেন। তাঁদের বেতন ৪০ হাজার টাকা বাড়ানো হচ্ছে। ‘বি’ ক্যাটাগরিতে থাকা ক্রিকেটাররা পেতেন ১ লাখ টাকা করে বেতন। তাঁরা এখন থেকে ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা বেতন পাবেন।

‘সি’ ক্যাটাগরিতে থাকা ক্রিকেটারদের বেতন ৭০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯৫ হাজার টাকা করা হয়েছে আর ‘ডি’ ক্যাটাগরিতে ৬০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ হাজার টাকা।
এ ছাড়া জাতীয় দলের অধিনায়কদের জন্য ৩০ হাজার ও সহ-অধিনায়কদের জন্য ২০ হাজার টাকা অতিরিক্ত দেওয়ার সিদ্ধান্তও হয়েছে।
১ জুলাই থেকে কার্যকর হওয়া নারী ক্রিকেটারদের নতুন চুক্তিতে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে আছেন তিন ক্রিকেটার—নিগার সুলতানা, নাহিদা আক্তার ও শারমিন আক্তার। ‘বি’ ক্যাটাগরিতে আছেন ফারাজনা হক, রিতু মনি, ফাহিমা খাতুন, মারুফা আক্তার, রাবেয়া খান ও সোবহানা মোস্তারি। ‘সি’ ক্যাটাগরিতে একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে আছেন স্বর্ণা আক্তার।

আরও পড়ুনবিশ্বকাপে কোনো ম্যাচ না জিতলেও ৩ কোটি টাকা পাবেন নিগাররা৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

‘ডি’ ক্যাটাগরিতে আছেন সুমাইয়া আক্তারর, ফারিহা ইসলাম, রুবাইয়া হায়দার, সানজিদা আক্তার, নিশিতা আক্তার। এই চুক্তির বাইরে থাকা ক্রিকেটারদের কেউ জাতীয় দলে এলে মাসে ৬০ হাজার টাকা বেতন পাবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ