দেশে প্রথম রোবটিক রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার চালু হচ্ছে। বুধবার দুপুর ১২টায় রাজধানীর শাহবাগে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) সুপারস্পেশালাইজড হাসপাতালের বেজমেন্ট-১ এ নির্মিত কেন্দ্র উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। উপস্থিত থাকবেন ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
বিএমইউর একাধিক কর্মকর্তা ও চীনা দূতাবাস জানায়, চীনের সহায়তায় স্থাপিত রোবটিক রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টারে মিলবে পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগের বিশ্বমানের সেবা। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতরা প্রথমে বিনামূল্যে সেবা নেওয়ার সুযোগ পাবেন। কারও সহযোগিতা ছাড়াই রোগীর চাহিদা অনুযায়ী সেবা দিতে সক্ষম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন (এআই) ২২টি রোবট কেন্দ্রে স্থাপন করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, কেন্দ্রটি চালুর জন্য প্রায় ২০ কোটি টাকা মূল্যের যন্ত্রপাতি দিয়েছে চীন সরকার। মোট রোবট রয়েছে ৬২, যার মধ্যে ২২টি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন। কেন্দ্রে জুলাই গণঅভ্যুত্থানসহ যারা দীর্ঘমেয়াদে সমস্যায় ভুগছেন ও যাদের পুনবার্সন প্রয়োজন, তাদের সেবা দেওয়া হবে। পর্যায়ক্রমে সাধারণ রোগীর জন্য উন্মুক্ত করা হবে। তবে কত টাকায় কী সেবা, সে তালিকা প্রকাশ করা হয়নি।
কেন্দ্রের প্রধান অধ্যাপক ডা.

আব্দুস শাকুর বলেন, ‘এটি দেশের প্রথম রোবটিক ফিজিওথেরাপি কেন্দ্র। এআই রোবট নিজে রোগীর সমস্যা চিহ্নিত করে, সে অনুযায়ী সেবা দিতে পারবে। প্রয়োজন হলে চিকিৎসকরাও কাস্টমাইজ করতে পারবেন। এআই রোবট খুবই বুদ্ধিদীপ্ত, রোগীর নড়াচড়া দেখেই সে তার ফাংশন ঠিক করে।’
তিনি বলেন, ‘ফিজিক্যাল মেডিসিনের চিকিৎসকরা রোবটগুলো ডিল করবেন। এ জন্য চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে চীনের কারিগরি দল। আগামী ১০ দিন প্রশিক্ষণ চলবে। কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হলে গড়ে দিনে ৩০০ রোগী থেরাপি নিতে পারবেন।’

গণঅভ্যুত্থান-সংক্রান্ত বিশেষ সেলের তথ্য, জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ১১ হাজার ৩০৬ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে গুলিতে আহত ৮০ শতাংশের অবস্থা খুবই জটিল। উন্নত চিকিৎসার জন্য ইতোমধ্যে ৪৭ জনকে বিদেশে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে ১২ জনকে ব্যয়বহুল রোবটিক ফিজিওথেরাপি দেওয়া হচ্ছে।
বিএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শাহিনুল আলম জানান, যেসব রোগীর ফিজিক্যাল ও নিউরোলজিক্যাল ক্ষতি হয়েছে, কেন্দ্রে তাদের কার্যকরী চিকিৎসা মিলবে। মেরুদণ্ডের ইনজুরির কারণে পক্ষাঘাতগ্রস্তরা নিতে পারবেন বিশেষভাবে কাস্টমাইজড রোবটিক সেবা। দুর্ঘটনায় পঙ্গুত্ব বা নার্ভ ইনজুরিতে যারা ভুগছেন, তাদের জন্য রয়েছে দীর্ঘমেয়াদি ফিজিক্যাল থেরাপির ব্যবস্থা।
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

ফেসবুকে সরকারের সমালোচনার নজরদারি প্রথা বন্ধ করেন: আশফাক নিপুন

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার একটা বক্তব্য নিয়ে সমালোচনা করে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার ৪ মাস পর বরখাস্ত হওয়া শিক্ষক মনিবুল হক বসুনিয়ার চাকরি ফিরায়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন নির্মাতা আশফাক নিপুন। সেই সঙ্গে ফেসবুকে সরকারের সমালোচনার নজরদারি ও ব্যবস্থা নেওয়ার প্রথা বন্ধ করার জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে অনুরোধ জানান তিনি।

রোববার দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্টে এ দাবি জানান এই নির্মাতা। পোস্ট আশফাক নিপুন লিখেছেন, ‘প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার একটা বক্তব্য নিয়ে সমালোচনা করে ফেসবুকে পোষ্ট দেয়ার ৪ মাস পরে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে শিক্ষক মনিবুল হক বসুনিয়াকে। অন্যদিকে সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়েরের মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে নিয়ে লেখা এক পোস্টে দু:খিত রিয়্যাক্ট দেওয়ায় শোকজ করা হইছে একই মন্ত্রণালয়ের ৫ জন কর্মচারীকে। অবিশ্বাস্য!’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘আপনারা গণঅভ্যুত্থানের বিজয়ের ফলে প্রাপ্ত নাগরিক সরকার। প্রধান উপদেষ্টা প্রায়শই তার বক্তৃতায় বলেন, মন খুলে সরকারের সমালোচনা করতে। নাগরিকদের সমালোচনা করার জায়গা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। সেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরকারের সমালোচনা করতে গিয়ে যদি শিক্ষক বরখাস্ত হন আর নির্দোষ রিয়্যাক্ট দিতে গিয়ে কর্মকর্তা শোকজ নোটিশ খান তাহলে দ্বিচারিতার এরচেয়ে বড় উদাহরণ আর হইতে পারে না।’

ফেসবুকে সমালোচনা করার কারণে শাস্তি দেওয়া সংস্কারের কোন পর্যায়েই পড়ে না বলে মনে করেন আশফাক নিপুন। তিনি লিখেছেন, ‘ফেসবুকে সমালোচনা করার অপরাধে শাস্তি দেওয়া সংস্কারের কোন পর্যায়েই পড়ে না। বরং শেখ হাসিনার আমলে শুরু হওয়া এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখালেখির কারণে শাস্তির সংস্কার হতে পারে সব ধরণের সমালোচনাকে আমলে নেওয়া, সহ্য করা, নাগরিকের ক্ষোভ, বেদনা বোঝা, তাকে নিরাপত্তা দেয়া এবং প্রয়োজনে আইন সংস্কার করা।’

সব শেষে তিনি লিখেছেন, ‘অবিলম্বে শিক্ষক বসুনিয়ার চাকরি ফিরায়ে দেন। এবং যে সকল মন্ত্রণালয় থেকে এই ধরণের শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হইছে তাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করেন। সরকারের সমালোচনা করা রাষ্ট্রের নাগরিকদের অধিকার, প্রাপ্ত কোন দয়াদাক্ষিণ্য না।’

প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে গণঅভ্যুত্থান পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছিলেন দেশেও অনেক তারকাশিল্পী। কেউ রাজপথে, আবার কেউ সোশ্যাল মিডিয়ায় কথা বলেছেন তাদের পক্ষে। নির্মাতা আশফাক নিপুনও ছিলেন এই দলে। রাজপথে নেমেছিলেন। পট পরিবর্তনের পর এখনও সরব তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কিশোরগঞ্জে আ’লীগ-জামায়াত-এনসিপি নিয়ে যে স্লোগান দিলেন বিএনপি নেতাকর্মীরা
  • সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্যান্সারে আক্রান্ত
  • চিকিৎসা পেয়ে বনে ফিরল দলছুট হাতি
  • রাজনৈতিক উত্তরণের ছবিটি স্পষ্ট করুন
  • ফেসবুকে সরকারের সমালোচনার নজরদারি প্রথা বন্ধ করেন: আশফাক নিপুন