Samakal:
2025-05-21@01:11:18 GMT

শিশুর স্বস্তির পোশাক

Published: 20th, May 2025 GMT

শিশুর স্বস্তির পোশাক

গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নানা ধরনের রোগের প্রবণতা বাড়ছে। এ সময় বড়দের চেয়ে শিশুর অসুখ-বিসুখের প্রবণতা বেশি হচ্ছে। কারণ বড়দের চেয়ে শিশুর ত্বক অনেক বেশি নরম, কোমল ও তাপীয়ভাবে অপরিপক্ব। স্বভাবত বড়দের শরীরে যে তাপমাত্রা স্বাভাবিক, তা শিশুর বেলায় অসহ্যকর। এ জন্য তাপমাত্রার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে শিশুকে স্বস্তিতে রাখতে সঠিক কাপড় বেছে নেওয়াটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 
উপযুক্ত কাপড় নির্বাচন করুন
সুতির মতো প্রাকৃতিক উপকরণে তৈরি পোশাক সবসময়ই উপযুক্ত নির্বাচন। সুতির পাশাপাশি লিনেন, মসলিন কিংবা পাতলা সাটিন কাপড়ের হালকা রং– যেমন সাদা, হালকা নীল রং কিংবা গোলাপি আভার পোশাক নির্বাচন করাই ভালো। এ ধরনের কাপড় নরম, অ্যালার্জিমুক্ত, শরীরে রক্ত সঞ্চালন ঘটায় এবং সহজে শরীরে বায়ু চলাচল বাড়ায়। অবশ্যই পোশাকের প্যাটার্নের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। ছোট বাচ্চাদের জন্য এ সময় অতিরিক্ত নকশাযুক্ত বা অলংকৃত পোশাক নির্বাচনে এড়িয়ে চলুন। গরমে সিন্থেটিক, পলিয়েস্টার, নাইলন, মোটা ফেব্রিকস অথবা গাঢ় রং শিশুর শরীরে অস্বস্তি তৈরি করে। এ ধরনের কাপড় নির্বাচন করা থেকে বিরত থাকুন।
শিশুর গরমের পোশাক যেমন হওয়া উচিত
বয়সের তারতম্যের ভিত্তিতে এ গরমে শিশুর জন্য বিভিন্ন ধরনের পোশাকের সমাহার রয়েছে।
(০-৩ মাস) বয়সী নবজাতকের জন্য ছোট হাতা বা হাতাহীন বডি স্যুট উপযুক্ত পোশাক। এ ধরনের কাপড় নবজাতকের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ও রক্ত চলাচলের বিঘ্ন ঘটায় না।
(৩-১২ মাস) বয়সী শিশু ঘরেই থাকে এবং অল্পবিস্তর ওঠাবসা করে। এ বয়সে ছেলেদের জন্য ছোট হাতা বডি স্যুট বা স্লিভলেস রম্পারের সঙ্গে সুতির প্যান্ট বা শর্টস ও টি-শার্ট নির্বাচন করুন। মেয়েদের জন্য স্লিভলেস ড্রেস বা বাবল রম্পার ব্যবহার করা ভালো।
(১-৩ বছর) বয়সী শিশুরা নড়াচড়া ও হাঁটাচলা শেখে। এ বয়সে ছেলেশিশুর জন্য ঢিলেঢালা সুতির টি-শার্ট ও শর্টস এবং মেয়ের জন্য প্লে-স্যুট কিংবা অর্গানিক কটনের পোশাক বেছে নিন।
(৩-৫ বছর) বয়সী শিশুরা বাইরে যায় ও দৌড়ঝাঁপ করে এবং কেউ কেউ নিজে নিজে পোশাক পরতে চায়। তাই ছেলেদের জন্য ইলাস্টিক ওয়েস্ট শর্টস এবং সুতির ঢিলেঢালা হাফ হাতা শার্ট ও মেয়েদের জন্য স্লিভলেস টপ, হালকা ফ্রক ও স্কার্ট গরমে আরামদায়ক বোধ করতে সাহায্য করে।
গরমে পোশাক পরিচর্যা টিপস
গ্রীষ্মে দুপুর ১২টা থেকে ৪টার মধ্যে শিশুকে বাইরে যেতে একেবারে নিরুৎসাহিত করুন। ঘামে ভেজা কাপড় পানিতে ভিজিয়ে ধুয়ে রোদে দিন। যেসব বাচ্চা ডায়াপার পরে তাদের দিনে নির্দিষ্ট সময় ছাড়া অতিরিক্ত ডায়াপার ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। বাইরে গেলে শিশুকে লম্বা হাতা এবং প্রশস্ত ছায়াযুক্ত টুপি পরিয়ে দিন। এটি মাথা, গলা ও কানকে রক্ষা করে এবং হিটস্ট্রোক এড়াতে সাহায্য করে। তবে ইলাস্টিকযুক্ত টুপি এড়িয়ে চলুন। কারণ এটি রক্ত সঞ্চালনের বাধা দিতে পারে।
কেমন দাম 
সুতি ও সাদামাটা নকশা হওয়ায় এ ধরনের পোশাকের দাম অন্যান্য পোশাক থেকে একটু কম। পোশাকের ধরন ও স্থান অনুযায়ী এ ধরনের পোশাকের দাম পড়বে ৩০০ থেকে শুরু করে ১ হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত। তবে রাজধানীর নিউমার্কেট, বঙ্গবাজার,  মৌচাক, মতিঝিল, মিরপুরসহ দেশের খোলা মার্কেটগুলোয় এর দাম পড়বে ৮০ থেকে শুরু করে ৫০০ কিংবা ৬০০ টাকা পর্যন্ত।
কোথায় পাবেন 
বিভিন্ন ফ্যাশন হাউস যেমন–  শৈশব, আড়ং, নিপুণ, রঙ বাংলাদেশ, যাত্রা, বিশ্ব রঙ ইত্যাদিতে পাবেন শিশুর জন্য উপযোগী বাহারি পোশাক। 
তাছাড়া বসুন্ধরা সিটি, যমুনা ফিউচার পার্ক, উত্তরার রাজলক্ষ্মীসহ বিভিন্ন শপিংমলে তো থাকছেই। ঘরে বসে অনলাইনেও কিনে নিতে পারেন আপনার শিশুর জন্য আরামদায়ক পোশাক। 
দেশীয় ফ্যাশন হাউস ‘রঙ বাংলাদেশ’-এর কর্ণধার সৌমিক দাস বলেন, ‘এই গরমে অবশ্যই আরামদায়ক সুতির কাপড়ে হতে হবে শিশুর পোশাক। সঙ্গে আঁটসাঁট প্যাটার্ন না হয়ে স্বাচ্ছন্দ্যের দিকে মনোযোগ দিতে হয় শিশুর এ সময়ের পোশাকে।’ তিনি আরও জানান, রং এবং ভ্যালু অ্যাডিশনের দিক থেকে হালকা রং বা মিডিয়া ব্যবহার করতে হবে।
এ গরমে শিশুর যত্নে সবচেয়ে ভালো উপায় হলো তাকে সঠিকভাবে পোশাক পরানো এবং হালকা আরামদায়কভাবে ঢেকে রাখা। এতে আপনার শিশু বিভিন্ন রোগবাহী জীবাণু থেকে সুরক্ষা পাবে এবং স্বাচ্ছন্দ্যে বেড়ে উঠবে। v
ছবি সৌজন্য: রঙ বাংলাদেশ
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: শ শ র জন য দ র জন য এ ধরন র

এছাড়াও পড়ুন:

নুসরাতকে কারাগারে পাঠানোর ঘটনা বিচার প্রক্রিয়াকে প্রহসনে পরিণত করছে: এনসিপি

অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়াকে গ্রেপ্তার ও কারাগারে পাঠানোর ঘটনা বিচার প্রক্রিয়াকে প্রহসনে পরিণত করছে বলে মনে করে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।

সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলেছে এনসিপি। দলের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তিটি পাঠিয়েছেন এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আমরা দেখেছি, জুলাই অভ্যুত্থানে হামলা ও গুলি করার ঘটনায় অভিযুক্ত সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ চলতি মাসেই কোনো রকম বাধাবিপত্তি ছাড়াই দেশত্যাগ করেছেন। অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন সেনানিবাসে আশ্রিত ৬২৬ জন ব্যক্তির পরিচয় এখনও প্রকাশিত হয়নি। উপরন্তু, জুলাই গণহত্যার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত পতিত ফ্যাসিবাদি ও এর সমর্থকরা এখনও জনপরিসরে ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এদেশের নাগরিকবিরোধী অপতৎপরতা জারি রেখেছে।

জুলাই গণহত্যার বিচার প্রক্রিয়াকে লঘু করে দেখানোর প্রবণতা সৃষ্টি করছে উল্লেখ করে বলা হয়, জুলাই গণহত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় না এনে এ ধরনের লোকদেখানো ও ঢালাওভাবে আসামি করা মামলায় গ্রেপ্তার ও জামিন না দিয়ে কারাগারে প্রেরণের ঘটনা গণহত্যার বিচার প্রক্রিয়াকে লঘু করে দেখানোর প্রবণতা সৃষ্টি করছে।

এতে বলা হয়, আমরা মনে করি, বিদ্যমান রাষ্ট্রকাঠামো ও প্রশাসনের মধ্যে থাকা একটি পক্ষ এই ধরনের অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ‘জুলাই গণহত্যা’ এবং এর বিচার প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। অথচ এখন পর্যন্ত এই গণহত্যার বিচারে আমরা দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি দেখতে পাচ্ছি না। 

বিচার কার্যক্রমকে গতিশীল করতে অন্তর্বর্তী সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল– ২ গঠনের সিদ্ধান্ত নিলেও এখন পর্যন্ত এর বাস্তবায়নকল্পে আমরা কোনো প্রজ্ঞাপন দেখতে পাইনি বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। 

এতে বলা হয়, আগামী জুলাই মাসের মধ্যেই জুলাই গণহত্যার বিচারপ্রক্রিয়ায় দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখতে চায় জাতীয় নাগরিক পার্টি – এনসিপি। সেই লক্ষ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আশু ও যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের জোর দাবি জানাই আমরা। এছাড়াও, হরেদরে মামলা এবং মামলা বাণিজ্যের বিষয়টিকে আমলে নিয়ে মামলা গ্রহণের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আহ্বান জানায় এনসিপি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নুসরাতকে কারাগারে পাঠানোর ঘটনা বিচার প্রক্রিয়াকে প্রহসনে পরিণত করছে: এনসিপি