হঠাৎ দেখলেন, কম্পিউটারের প্রসেসরের মান বা কাজের তুলনায় গতি কমে গেছে। কম্পিউটার র্যামের তুলনায় বেশি পরিমাণ কাজ করলে বুঝতে হবে ইন্টারনাল হ্যাং করেছে। কম্পিউটার র্যামের পরিমাণ কম, কিন্তু অনেক বড় আদলের কয়েকটি প্রোগ্রাম সচলে রেখেছেন। তাহলে হ্যাং তো হবেই।
কম্পিউটার হার্ডডিস্কের কানেকশন ও প্রসেসরের সংযোগ ঠিকঠাকমতো না হলে বারবার হ্যাং করার সমস্যা সামনে আসে। কারণ খুঁজে না পেলে যদি বারবার হ্যাং হয়, তাহলে কুলিং ফ্যানটা ঠিকমতো ঘুরছে কিনা তা দেখে নেবেন। হার্ডডিস্কে ব্যাড সেক্টর পড়ে থাকলে বা অন্য কোনো হার্ডওয়্যারে ত্রুটি থাকলে সমস্যা হতে পারে। অন্যদিকে অপারেটিং সিস্টেমে ত্রুটি থাকলে, অর্থাৎ কোনো সিস্টেম ফাইল ডিলিট হয়ে যাওয়াকে বোঝায়। যার কারণে কম্পিউটার পুরোপুরি অকার্যকর হয়ে পড়বে।
আবার অজ্ঞাতে কম্পিউটার ভাইরাসে আক্রান্ত হলে সাধারণত হ্যাক হয়ে
যায়। এমন কারণেই কম্পিউটারে
বেশি হ্যাং হয়।
ভাইরাস অপারেটিং সিস্টেমের কিছু ফাইলের কার্যপদ্ধতিকে বন্ধ করে দেয়। যার কারণে পিসি হুটহাট হ্যাং হয়ে পড়ে। অবশ্যই পিসিতে পরীক্ষিত ও নির্ভরযোগ্য অ্যান্টিভাইরাস সক্রিয় রাখা প্রয়োজন। তা ছাড়া হাই গ্রাফিকস গেমের কারণে র্যাম সম্পূর্ণ লোড হয়ে গেলে হ্যাং হয়। পিসির সব ফাইল অগোছালো থাকলে তার জন্যও হ্যাং
হতে পারে। রিফ্রেশ চেপে রান অপশনে গিয়ে ট্রি (tree) চাপলে সিস্টেম স্ক্যান হয়ে যাবে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সীমান্তের অতিরিক্ত সেনা সরাচ্ছে ভারত-পাকিস্তান
সংঘাতের সময় সীমান্তে মোতায়েন করা অতিরিক্ত সেনাসদস্যদের চলতি মাসের শেষ নাগাদ শান্তিকালীন অবস্থানে ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে ভারত ও পাকিস্তান। মঙ্গলবার পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর জ্যেষ্ঠ একজন কর্মকর্তা এএফপিকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাকিস্তানি ওই নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেছেন, উভয় দেশের সেনারা চলতি মাসের শেষের দিকে সংঘর্ষ-পূর্ব অবস্থানে ফিরে যাবেন। উভয় দেশ ধাপে ধাপে, বিশেষ করে কাশ্মীরের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা লাগোয়া এলাকা থেকে অতিরিক্ত সেনা ও অস্ত্র প্রত্যাহারের বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে।
গত মাসে ভারতশাসিত কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর হামলার ঘটনার জেরে ভারত ও পাকিস্তানের মাঝে চার দিন ধরে হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে। দুই দেশের সামরিক বাহিনীর এই সংঘাতে অন্তত ৭০ জন নিহত হন। কাশ্মীরে হামলার ঘটনায় নয়াদিল্লি ইসলামাবাদকে দায়ী করলেও পাকিস্তান এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।
এনডিটিভি জানায়, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা ১০ মে কিছুটা কমার পর ভারতের ভেতরে দেশবিরোধী কথা বলার অভিযোগে একাধিক শিক্ষাবিদ বা সাংস্কৃতিককর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। এতে আতঙ্কিত হচ্ছে দেশের বুদ্ধিজীবী মহলের একাংশ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু প্রশ্ন তোলায় গত রোববার আলি খান মাহমুদাবাদ নামের একজন শিক্ষাবিদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাশাপাশি যুক্তরাজ্যে বসবাসরত ভারতীয় বংশোদ্ভূত কাশ্মীরি পণ্ডিত অধ্যাপক নিতাশা কলের ওসিআই (ওভারসিজ সিটিজেনশিপ অব ইন্ডিয়া) কার্ড বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির পদোন্নতি পেয়ে জেনারেল থেকে ফিল্ড মার্শাল হয়েছেন, যা দেশটির সেনাবাহিনীর মধ্যে সর্বোচ্চ র্যাঙ্ক। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম পিটিভি জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভায় গতকাল এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভারতের সঙ্গে দ্বন্দ্বে অসাধারণ ভূমিকা রাখায় তাঁকে এই পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।