বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে নারী কোটা বাদ
Published: 22nd, May 2025 GMT
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রবেশ পদে (এন্ট্রি লেভেলে) শিক্ষক নিয়োগে নারী কোটা থাকবে না। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ ১৫ মে এক প্রজ্ঞাপন জারি করে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবলকাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২১–এর পরিশিষ্ট ঘ–এর (ক)-এ বিদ্যালয় অংশের ক্রমিক ২৪-এ ‘সহকারী শিক্ষক (শারীরিক শিক্ষা)’ পদের বিষয়ে এবং (খ)-এ কলেজ অংশের ক্রমিক ১৫-এ ‘শরীরচর্চা শিক্ষক’ পদে নিয়োগের জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা (ন্যূনতম) ও শর্ত অপরিবর্তিত থাকবে।
আরও পড়ুনসরকারি চাকরিতে কোটাপদ্ধতি প্রয়োগ পর্যালোচনায় কমিটি গঠন২৫ মার্চ ২০২৫সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে গত বছর আন্দোলনে নামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। পরে এই আন্দোলন সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ নেয়। গণ-অভ্যুত্থানের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। কিন্তু এর আগে জুলাই মাসে আদালতের রায়ের ভিত্তিতে সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করে জানায়, সরকারি চাকরিতে সরাসরি নিয়োগে সব গ্রেডে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হবে ৯৩ শতাংশ। বাকি ৭ শতাংশ নিয়োগ হবে কোটার ভিত্তিতে। এর মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ কোটা, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জন্য ১ শতাংশ এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য ১ শতাংশ কোটা থাকবে। তবে নির্ধারিত এই কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে কোটার শূন্য পদও সাধারণ মেধাতালিকা থেকে পূরণ করা হবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
৫৬% ফোনকলের সঙ্গে সেবা প্রত্যাশার সম্পর্ক নেই
প্রতিষ্ঠার পর থেকে জাতীয় জরুরি সেবা ‘৯৯৯’ গত আট বছরে প্রায় সোয়া ছয় কোটি ফোন গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে সাড়ে তিন কোটি ফোনকলের সঙ্গে সেবা প্রত্যাশার কোনো সম্পর্ক নেই। এ ধরনের অপ্রয়োজনীয় কল করে সেবাপ্রাপ্তিকে বিঘ্ন না করতে অনুরোধ জানিয়েছে ৯৯৯ কর্তৃপক্ষ।
আজ বৃহস্পতিবার পুলিশ সদর দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, ২০১৭ সালের ডিসেম্বর থেকে গত ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ৬ কোটি ২৩ লাখ ৮০ হাজার ৯০৭টি ফোনকল গ্রহণ করেছে ৯৯৯। এর মধ্যে জরুরি মুহূর্তে পুলিশ, ফায়ার ও অ্যাম্বুলেন্স সেবাসহ বিভিন্ন তথ্যসেবা দেওয়া হয়েছে ২ কোটি ৭২ লাখ ৭৯ হাজার ৮৮৬ জন কলারকে। যা মোট কলের ৪৩ দশমিক ৭৩ শতাংশ। তবে এ সময় ৩ কোটি ৫১ লাখ ১ হাজার ২১টি কলের সঙ্গে সেবা প্রত্যাশার কোনো সম্পর্ক নেই। যা মোট কলের ৫৬ দশমিক ২৭ শতাংশ। এ কারণে সত্যিকারের বিপদগ্রস্ত জরুরি সেবা প্রার্থীর সেবাপ্রাপ্তি ব্যাহত হচ্ছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০১–এর ৭০(১) ধারায় বিরক্তিকর কলের জন্য এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ডের শাস্তির বিধান থাকলেও ৯৯৯ এখন পর্যন্ত কারও বিরুদ্ধে এই আইনে অভিযোগ আনেনি। বরং ৯৯৯ জনসচেতনতার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে। অপ্রয়োজনীয় কল শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে নাগরিক ও গণমাধ্যমের সহযোগিতা কামনা করেছে ৯৯৯ কর্তৃপক্ষ।