সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে আওয়ামী লীগ (বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ) নেতা ডা. খন্দকার রাহাত হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে ৪টায় রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, ডা.

খন্দকার রাহাত হোসেন সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমুর খালাতো ভাই এবং শেখ হাসিনাসহ শেখ পরিবারের অত্যন্ত আস্থাভাজন ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে রামপুরা থানায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঘটনায় মামলা রয়েছে।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

২ হাজার ৩৬৯ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাতে প্রস্তুত ভারত: জয়সোয়াল

বর্তমানে ২ হাজার ৩৬৯ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাতে ভারত প্রস্তুত রয়েছে বলে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল জানিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। জয়সোয়াল বলেন, ভারতে অবৈধভাবে বসবাসকারী নাগরিকদের বাংলাদেশ দ্রুত চিহ্নিত করুক, যাতে তাঁদের ফেরত পাঠানো যায়।

কিছু দিন ধরে ভারতের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে লোকজনকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানো (পুশ ইন) হচ্ছে। এঁদের মধ্যে অনেক রোহিঙ্গাও আছেন। ভারতের এই ‘পুশ ব্যাক’–এর নিন্দা ও উদ্বেগ জানিয়ে ভারতকে একাধিক চিঠি লিখেছে বাংলাদেশ সরকার। ভারতকে ‘পুশ ব্যাক’ বন্ধ করার অনুরোধও জানানো হয়েছে। এ প্রসঙ্গে ভারতের অভিমত জানতে চেয়ে আজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে প্রশ্ন করা হলে রণধীর জয়সোয়াল বলেন, বাংলাদেশকে বলা হয়েছে অবৈধ নাগরিকদের চিহ্নিতকরণের বিষয়টি দ্রুত সেরে ফেলতে।

জয়সোয়াল বলেন, ভারতে যাঁরা অবৈধভাবে বসবাস করছেন, তাঁরা যে দেশের নাগরিকই হোন, স্থানীয় আইন ও রীতি অনুযায়ী তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এই অবৈধ বসবাসকারীদের মধ্যে বহু বাংলাদেশি ফেরত পাঠানোর অপেক্ষায় রয়েছেন। এঁদের নাগরিকত্ব যাচাই করার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে বলা হয়েছে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আরও বলেন, এই মুহূর্তে মোট ২ হাজার ৩৬৯ জনের তালিকা প্রস্তুত। এঁদের প্রত্যেককেই ফেরত যেতে হবে। এই নাগরিকদের অনেকের জেল খাটার মেয়াদ পূর্ণ হয়েছে। এঁদের ফেরত পাঠানোর জন্য তাঁদের নাগরিকত্ব যাচাই করা প্রয়োজন। কেউ কেউ সে জন্য ২০২০ সাল থেকে অপেক্ষায় রয়েছেন। পাঁচ বছর কেটে গেছে সেই অপেক্ষার। বাংলাদেশকে বিষয়টি ত্বরান্বিত করার জন্য বলা হয়েছে, যাতে তাঁদের ফেরত পাঠানো যায়। বাংলাদেশের উচিত বিষয়টির দ্রুত নিষ্পত্তি করা।

বাংলাদেশের কক্সবাজারে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা ও বিমানবাহিনীর মহড়া নিয়ে প্রশ্ন করা হলে রণধীর জয়সোয়াল বলেন, সব ঘটনার ওপরেই তীক্ষ্ণ নজর রাখা হয় এবং উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ