প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেছেন, ‘‘মিয়ানমারের সঙ্গে মানবিক করিডোর খোলার বিষয়ে সরকার এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। তাই, এ নিয়ে সীমান্ত জনপদের মানুষের উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই।’’

বৃহস্পতিবার (২২ মে) কক্সবাজার শহরের লাবণী পয়েন্টে একটি অভিজাত হোটেলের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আবুল কালাম বলেন, “মফস্বল সাংবাদিকরা সীমান্ত, মাদক, রোহিঙ্গা, মানবপাচারসহ নানা চ্যালেঞ্জের মধ্যে কাজ করেন। সীমান্ত সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে তাদের সাহস ও সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

আরো পড়ুন:

‘বিভাজনমূলক’ বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ উপদেষ্টা মাহফুজের

নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের মেয়াদ বাড়ল

কক্সবাজার প্রেস ক্লাবের আয়োজনে ও এনজিও সংস্থা ফ্রেন্ডশিপের সহযোগিতায় এ কর্মশালার উদ্বোধন করেন প্রেস ক্লাবের সভাপতি মাহাবুবুর রহমান। প্রধান অতিথি হিসেবে কর্মশালায় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও পুনর্বাসন কমিশনার শামসুদ্দৌজা নয়ন।

প্রশিক্ষক হিসেবে বক্তব্য দেন ফ্রেন্ডশিপের হেড অব কমিউনিকেশন তানজিলা শারমিন, কক্সবাজার পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মতিউর রহমান, বৈশাখী টিভির হেড অব নিউজ জিয়াউল কবির সুমন প্রমুখ।

কর্মশালায় উপকূলীয় অঞ্চলের প্রাকৃতিক দুর্যোগ, সীমান্ত সাংবাদিকতা ও ফ্যাক্ট চেকিং বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এতে জেলায় কর্মরত প্রায় ৫০ জন সাংবাদিক অংশ নেন। দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণ শেষে অংশগ্রহণকারী সাংবাদিকদের মাঝে সনদ বিতরণ করা হয়।

ঢাকা/তারেকুর/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

ভিক্ষা না ছাড়ায় বাবাকে হত্যা, ছেলে আটক

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে নিজ ঘর থেকে এক বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নিহতের রিকশাচালক ছেলে আল আমিনকে (২৬) আটক করা হয়েছে। সোমবার (২৩ জুন) দুপুরে ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার ফুয়াদ রুহানী এ তথ্য জানান।

রবিবার (২২ জুন) রাত দেড়টার দিকে উপজেলার ভৈরবপুর উত্তরপাড়া এলাকায় হত্যার শিকার হন হাফিজ উদ্দিন (৬৫) নামে ওই ব্যক্তি।

নিহত হাফিজ উদ্দিন নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মনিপুরা গ্রামের মোল্লা বাড়ির বাসিন্দা। তিনি ভৈরবপুর উত্তরপাড়ার জালাল মিয়ার বাড়িতে ছেলেকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন। একসময় কাঠমিস্ত্রির কাজ করা হাফিজ উদ্দিন বার্ধক্যজনিক কারণে ভিক্ষা করতে শুরু করেন।

আরো পড়ুন:

জামিনে মুক্তি পেলেন বেরোবির শিক্ষক মাহমুদুল হক

নারায়ণগঞ্জে চার ঘণ্টার ব্যবধানে জোড়া খুন

ভৈরব থানার ওসি খন্দকার ফুয়াদ রুহানী জানান, রাত দেড়টার দিকে পাশের রুমের বাসিন্দারা চিৎকার শুনে গিয়ে দেখেন, নিহতের রুম ভেতর থেকে বন্ধ। ডাকাডাকি করে কোনো সাড়া না পেয়ে তারা জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন। পুলিশ গিয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে দেখতে পায়, রুমের ভেতরে নিহত বৃদ্ধের রক্তাক্ত মরদেহ মাটিতে পড়ে আছে। পাশেই তার ছেলে বসে আছেন। 

ছেলে আল আমিনকে আটক করে থানায় আনার পর জিজ্ঞাসাবাদে করলে, তিনি তার বাবাকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। ছেলে জানায়, তারা বাবা ভিক্ষা করে এটা তিনি মানতে পারছিলেন না। নিষেধ করলেও মানছিলেন না তিনি। এ কারণে গলাটিপে এবং খাটের সঙ্গে মাথা থেতলে বাবার মৃত্যু নিশ্চিত করেন আল আমিন। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

ঢাকা/রুমন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ