জীববৈচিত্র্য টিকিয়ে রাখা পরিবেশের পাশাপাশি অর্থনীতির জন্যও গুরুত্বপূর্ণ
Published: 22nd, May 2025 GMT
বাস্তুতন্ত্র হারিয়ে যাচ্ছে। বাধাগ্রস্ত হচ্ছে সুস্থ পরিবেশ বিকাশের প্রক্রিয়া। জীববৈচিত্র্য বিনষ্ট হচ্ছে। সুস্থভাবে বাঁচার পরিবেশ পাচ্ছে না। জীববৈচিত্র্য টিকিয়ে রাখা কেবল পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্যই নয়, অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। এ কারণে পরিবেশের যে ক্ষতি হয়েছে, তা পুনরুদ্ধার করতে হবে। একই সঙ্গে যেটুকু টিকে আছে, তা সংরক্ষণে জোরালো ভূমিকা রাখতে হবে। অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদ বিষয়টি উপলব্ধি করেছেন। এ জন্য তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অর্থনীতিবিদ মোজাফ্ফর আহমদের ত্রয়োদশ মৃত্যুবার্ষিকী আজ ২২ মে। এ উপলক্ষে আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে এ মন্তব্য করেন বৈঠকের সভাপতি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক এম এ সাত্তার মণ্ডল।
‘পরিবেশ পুনরুদ্ধার: সময়ের প্রবাহে সংকট ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক এই গোলটেবিল বৈঠক আয়োজন করে অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদ স্মৃতি সংসদ। কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ের সভাকক্ষে সকালে এ গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে পরিবারের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন তাঁর স্ত্রী অধ্যাপক রওশন জাহান ও মেয়ে ড.
রওশন জাহান বলেন, তিনি দেশ ও দশের কল্যাণে নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন। আজীবন সমতাভিত্তিক অর্থনীতিকে এগিয়ে নেওয়ার সাধনা করে গেছেন। বৈঠকে উপস্থিত সবাইকে তিনি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সভাপতি এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সুজনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন মোজাফ্ফর আহমদ। দীর্ঘদিনের স্মৃতিচারণা করে বলেন, তাঁর সঙ্গে সহজে কথা বলা যেত, তর্ক করা যেত, যুক্তি দেওয়া যেত। যুক্তি গ্রহণযোগ্য হলে তিনি নিজের মত থেকে সরে আসতেন। এই গুণটি তাঁর মতো একজন এত বড়মাপের বুদ্ধিজীবীর মধ্যে দেখা যায় না। পাশাপাশি তিনি ছিলেন অত্যন্ত স্পষ্টভাষী, নির্ভীক ও প্রতিবাদী মানুষ।
‘পরিবেশ পুনরুদ্ধার: সময়ের প্রবাহে সংকট ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক এই গোলটেবিল বৈঠক আয়োজন করে অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদ স্মৃতি সংসদউৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যুর সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব।’’
তিনি মনে করেন, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান এলে যেকোনো অসাংবিধানিক প্রক্রিয়া ঠেকানো যাবে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনকে যদি অনিশ্চিত করা হয় বা বিলম্বিত করা হয়, তাহলে তার সুযোগ নেবে ফ্যাসিবাদী বা অসাংবিধানিক শক্তি। এর পরিণতি জাতি অতীতে বহুবার ভোগ করেছে। আমরা আবার সে পরিস্থিতি চাই না।’’
অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে পৃথক এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতেই সাংবিধানিকভাবে এই সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সে দেওয়া সেই মতামত এখনো বহাল আছে। এর বিপরীতে সুপ্রিম কোর্ট কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তাই এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলা আসলে রাজনৈতিক বক্তব্য, এর কোনো আইনি ভিত্তি নেই।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘যেকোনো সাংবিধানিক আদেশ জারি হলে তা আগামীকাল বা পরশু চ্যালেঞ্জ হতে পারে। আমরা এমন খারাপ নজির জাতির সামনে আনতে চাই না। তাই সমাধানের বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করেছি। সবাইকে বিবেচনায় নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।’’
পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের অধিকার আছে। তবে পিআর পদ্ধতি চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়, শেষ পর্যন্ত জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।’’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘‘পিআর পদ্ধতিতে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের ঝুঁকি থেকে যায়। তাতে রাষ্ট্র ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ সম্ভব হয় না। আমরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যেতে পারি না।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘জনগণই হলো সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। এই দেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে এবং বারবার গণতন্ত্রকে সংকট থেকে উদ্ধার করেছে।’’
আগামী সংসদে কিছু মৌলিক বিষয়ে সংশোধনের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, ‘‘আমরা কিছু বিষয়ে ইতোমধ্যে একমত হয়েছি। তবে, ঐকমত্য কমিশনের সনদের ভেতরে যেসব পরিবর্তন হবে, সেগুলোতে অবশ্যই গণভোট নিতে হবে।’’
ঢাকা/আসাদ/রাজীব