মাঠে ফিরেই বিদায় নিলেন নেইমার, অনিশ্চিত নতুন চুক্তিও
Published: 23rd, May 2025 GMT
সিআরবির বিপক্ষে কোপা দো ব্রাজিলের ম্যাচ দিয়ে নেইমারের মাঠে ফেরাটা অনেকটাই নিশ্চিত ছিল। আজ সকালে তৃতীয় রাউন্ডে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে শুরুতে বেঞ্চে থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধের ৬৬ মিনিটে তাঁকে মাঠে নামান সান্তোস কোচ ক্লেবার হাভিয়ার।
কিন্তু নেইমার নেমেও ম্যাচে কোনো পার্থক্য গড়তে পারেননি। প্রথম লেগে ১–১ গোলে ড্র হওয়া ম্যাচটি দ্বিতীয় লেগে শেষ হয় গোলশূন্য ড্রয়ে। শেষ পর্যন্ত ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ হয় টাইব্রেকারে।
টাইব্রেকারে দলের প্রথম শটে নেইমার গোল করলেও শেষ রক্ষা হয়নি। সান্তোস ম্যাচ হেরে যায় ৫–৪ গোলে। এর ফলে চোট কাটিয়ে প্রায় এক মাস পর মাঠে ফিরেই দলের বিদায় দেখতে হলো ব্রাজিল তারকাকে।
আরও পড়ুনআনচেলত্তির ব্রাজিল দলে ফিরতে কতটা প্রস্তুত নেইমার২১ মে ২০২৫ম্যাচ শেষে দলের বিদায় নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন নেইমার। এককভাবে তাঁর ওপর নির্ভর করে ফল পাওয়া যাবে না বলেও মন্তব্য করেন এ ফরোয়ার্ড।
নেইমার বলেছেন, ‘জানি, আমি মাঠে নামলে পরিস্থিতি ভিন্ন হয়। ২০ বা ২৫ মিনিটেই আমি পার্থক্য গড়ে দিতে পারি। আমি জানি, আমি আমার সতীর্থদের সাহায্য করতে পারি। এটা অনেক দিন পর আমার প্রথম ম্যাচ। কিন্তু সবকিছু শুধু আমার ওপর নির্ভর করতে পারে না। সবাই জানে আমরা কী অবস্থায় আছি এবং এই পরিস্থিতি থেকে বের হতে আমাদের সব খেলোয়াড়ের প্রয়োজন।’
আরও পড়ুননেইমারের বিশৃঙ্খল দুনিয়াটা কেমন৩১ মার্চ ২০২৫আগামী ৩০ জুন সান্তোসের সঙ্গে নেইমারের চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে। নতুন করে চুক্তি নবায়নের সম্ভাবনা নিয়ে জানতে চাইলে নেইমার বলেছেন, ‘আমি এখনো জানি না।’
দলের বিদায়ের পাশাপাশি অন্য রকম অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন নেইমার।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: দল র ব দ য়
এছাড়াও পড়ুন:
গুলির শব্দে থামল কুতিনিওর সাক্ষাৎকার
ফিলিপে কুতিনিওকে মনে আছে? সেই যে ২০১৩ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত লিভারপুলে আলো ছড়ানো ব্রাজিলিয়ান অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার। বার্সেলোনায় যোগ দেওয়ার সময় যাঁর জন্য কেঁদেছিলেন লিভারপুলের সমর্থকেরা। ৩২ বছর বয়সী কুতিনিও এবার আলোচনায় অন্য কারণে। ক্লাবের অনুশীলন মাঠে ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যম ‘গ্লোবো টিভি’কে সাক্ষাৎকার দিচ্ছিলেন কুতিনিও। এ সময় মাঠের পাশে মুহুর্মুহু গুলির শব্দে ভেস্তে যায় কুতিনিওর সাক্ষাৎকার।
আরও পড়ুনরিয়ালের হয়ে যে ইতিহাস গড়ে বিদায় নিচ্ছেন আনচেলত্তি২ ঘণ্টা আগেবার্সা ছেড়ে ২০২২ সালে অ্যাস্টন ভিলায় যোগ দেওয়ার পর কাতারি ক্লাব আল দুহাইলে গত মৌসুম ধারে খেলেন কুতিনিও। গত বছর সেখান থেকে আবারও ধারে ব্রাজিলের ক্লাব ভাস্কো দ্য গামায় ফেরেন বার্সার হয়ে লা লিগা ও বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে বুন্দেসলিগা জয়ী এ ফুটবলার। ভাস্কোর অনুশীলন মাঠ মোয়াকির বারবোসা ট্রেনিং গ্রাউন্ডে গ্লোবো টিভিকে সাক্ষাৎকার দিচ্ছিলেন কুতিনিও। কথা বলার মাঝপথে হঠাৎ করেই গুলির শব্দ ভেসে আসে। কুতিনিও একটু থেমে যান এরপর মুখে হাসি ফুটিয়ে মজাও করেন। তাঁর দুই ক্লাব সতীর্থ লিও জার্দিম ও নুনো মোরেইরাও তখন সাক্ষাৎকার দিচ্ছিলেন। তাঁরা গুলির শব্দে প্রথমে একটু হতচকিত হয়ে গেলেও নিজেদের সামলে নিয়ে হেসে ফেলেন।
গ্লোবো জানিয়েছে, ভাস্কোর এই অনুশীলন মাঠের পাশের অঞ্চলটির নাম সিদাদে দে দেউস। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় সেখানে অপরাধপ্রবণতা বেড়েছে। গত সোমবার ব্রাজিলের সিভিল পুলিশের এলিট ফোর্সের কর্মকর্তা হোসে আন্তোনিও লৌরেন্তো সিদাদে দে দেউসে অভিযান চালাতে গিয়ে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। এরপর সেখানে পুলিশি অভিযানে গুলির শব্দ শোনা গেছে বলে জানিয়েছে ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যম। ভাস্কোর স্টাফরা জানিয়েছেন, হেলিকপ্টার ও গুলির শব্দ সেখানে স্বাভাবিক ঘটনা। ২০২০ সালে এই অনুশীলন মাঠ চালু করে ভাস্কো, যেখানে নিরাপত্তাব্যবস্থাও বেশ ভালো।
আরও পড়ুনটেস্ট ছাড়ার ঘোষণা ম্যাথুসের, শেষ টেস্ট বাংলাদেশের বিপক্ষে৩ ঘণ্টা আগেকুতিনিও, গোলকিপার জার্দিম ও উইঙ্গার মোরেইরার এই সাক্ষাৎকার দেওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর মন্তব্য করেছেন নেটিজেনরা। একজনের মন্তব্য, ‘সবচেয়ে অবিশ্বাস্য ব্যাপার হলো (গুলির শব্দ শুনে) কেউ একটু নড়াচড়াও করেনি। এমন স্বাভাবিক থাকাটা ভয়ের।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘বুলেট ধেয়ে চলার মধ্যে রিওর বাসিন্দাদের এমন চুপচাপ থাকায় আমি মুগ্ধ।’
ভাস্কোয় ফেরার পর একাদশে নিয়মিত হয়েছেন কুতিনিও। ভালো খেললেও অবশ্য নিজের সেরা ফর্মে এখনো ফিরতে পারেননি। ক্লাবটির কোচ ফাবিও কারিল্লে কুতিনিওকে স্থায়ীভাবে ধরে রাখবেন কি না, সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত করে কিছু বলেননি। গত মার্চে কারিল্লে বলেছিলেন, ‘আমরা অপেক্ষা করব। টেকনিক্যাল দৃষ্টিকোণ থেকে ঠিক আছে (ধরে রাখার মতো)। কিন্তু আর্থিক দিকেও তাকাতে হবে।’
তবে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘মিরর’ জানিয়েছে, কুতিনিওর ভিলায় না ফেরার সম্ভাবনাই বেশি। ক্লাবটির হয়ে ৪৩ ম্যাচে ৬ গোল করানোর পাশাপাশি ৩টি গোল করিয়েছেন কুতিনিও। তাঁর সেরা সময় কেটেছে লিভারপুলে, যেখানে ২০১ ম্যাচে ৫৪ গোলের পাশাপাশি ৪৪টি গোলও করিয়েছেন। তবে কিছু জিততে পারেননি। খেলেছিলেন ২০১৫–১৬ মৌসুমে লিগ কাপ ও ইউরোপা লিগের ফাইনালে।