সিআরবির বিপক্ষে কোপা দো ব্রাজিলের ম্যাচ দিয়ে নেইমারের মাঠে ফেরাটা অনেকটাই নিশ্চিত ছিল। আজ সকালে তৃতীয় রাউন্ডে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে শুরুতে বেঞ্চে থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধের ৬৬ মিনিটে তাঁকে মাঠে নামান সান্তোস কোচ ক্লেবার হাভিয়ার।

কিন্তু নেইমার নেমেও ম্যাচে কোনো পার্থক্য গড়তে পারেননি। প্রথম লেগে ১–১ গোলে ড্র হওয়া ম্যাচটি দ্বিতীয় লেগে শেষ হয় গোলশূন্য ড্রয়ে। শেষ পর্যন্ত ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ হয় টাইব্রেকারে।

টাইব্রেকারে দলের প্রথম শটে নেইমার গোল করলেও শেষ রক্ষা হয়নি। সান্তোস ম্যাচ হেরে যায় ৫–৪ গোলে। এর ফলে চোট কাটিয়ে প্রায় এক মাস পর মাঠে ফিরেই দলের বিদায় দেখতে হলো ব্রাজিল তারকাকে।

আরও পড়ুনআনচেলত্তির ব্রাজিল দলে ফিরতে কতটা প্রস্তুত নেইমার২১ মে ২০২৫

ম্যাচ শেষে দলের বিদায় নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন নেইমার। এককভাবে তাঁর ওপর নির্ভর করে ফল পাওয়া যাবে না বলেও মন্তব্য করেন এ ফরোয়ার্ড।

নেইমার বলেছেন, ‘জানি, আমি মাঠে নামলে পরিস্থিতি ভিন্ন হয়। ২০ বা ২৫ মিনিটেই আমি পার্থক্য গড়ে দিতে পারি। আমি জানি, আমি আমার সতীর্থদের সাহায্য করতে পারি। এটা অনেক দিন পর আমার প্রথম ম্যাচ। কিন্তু সবকিছু শুধু আমার ওপর নির্ভর করতে পারে না। সবাই জানে আমরা কী অবস্থায় আছি এবং এই পরিস্থিতি থেকে বের হতে আমাদের সব খেলোয়াড়ের প্রয়োজন।’

আরও পড়ুননেইমারের বিশৃঙ্খল দুনিয়াটা কেমন৩১ মার্চ ২০২৫

আগামী ৩০ জুন সান্তোসের সঙ্গে নেইমারের চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে। নতুন করে চুক্তি নবায়নের সম্ভাবনা নিয়ে জানতে চাইলে নেইমার বলেছেন, ‘আমি এখনো জানি না।’
দলের বিদায়ের পাশাপাশি অন্য রকম অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন নেইমার।

দলের বিদায় দেখলেন নেইমার.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: দল র ব দ য়

এছাড়াও পড়ুন:

দাপুটে জয়ে ক্যাম্প ন্যুতে বার্সেলোনার প্রত্যাবর্তন

ফেরান তোরেসের দুর্দান্ত জোড়া গোল আর শুরুর দিকেই রবার্ট লেভানদোভস্কির আঘাত; সব মিলিয়ে দুই বছর পর ন্যু ক্যাম্পে ফিরে এসে একেবারে রাজকীয় ভঙ্গিতেই নিজেদের উপস্থিতি জানান দিল বার্সেলোনা। ১০ জনের বিলবাওকে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করে লা লিগায় টানা তিন জয়ের আনন্দে ভাসল কাতালানরা।

নবায়ন কাজের কারণে দীর্ঘ বিরতির পর ন্যু ক্যাম্পে এটি ছিল বার্সার প্রথম ম্যাচ। শুরুতেই যেন সেই অপেক্ষার সব ক্ষত মুছে দিলেন লেভানদোভস্কি। ম্যাচের মাত্র চার মিনিটে প্রতিপক্ষের বক্সের বাইরে বল কাড়ার পর নিচু শটে উনাই সিমোনকে পরাস্ত করেন তিনি।

আরো পড়ুন:

দ্রুততম ৪৪ গোলে রোনালদোর রেকর্ড ভাঙলেন এমবাপ্পে

মৌসুমের প্রথম এল ক্লাসিকোতে বার্সেলোনাকে হারাল রিয়াল

এরপর দানি ওলমোর প্রচেষ্টা ঠেকিয়ে দেয় বিলবাওয়ের রক্ষণ দেয়াল। লামিন ইয়ামালের শটও রুখে দেন সিমোন। অন্যদিকে আক্রমণে উঠেও সুযোগ নষ্ট করেন উনাই গোমেজ ও নিকো উইলিয়ামস। আয়েরিক লাপোর্তের হেডও পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়।

এরপর ফেরান তোরেস ও ফিরমিন লোপেজও গোলের খোঁজে সক্রিয় হন। গার্সিয়া চোট কাটিয়ে একাদশে ফিরেই বিলবাওয়ের নিশ্চিত গোল ঠেকান।

হাফটাইমের ঠিক আগে ইয়ামালের দারুণ বাঁকানো পাসে সুযোগ পান তোরেস। নিচু শটে সিমোনকে পরাস্ত করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তিনি। সিমোন ছুঁয়ে দিলেও গোল ঠেকাতে পারেননি।

বিরতির পর মাত্র তিন মিনিটের মাথায় লোপেজ দারুণ এক প্রচেষ্টায় সোজা শটে তৃতীয় গোলটি করেন। ৫৪ মিনিটে লোপেজের ওপর বিপজ্জনক ট্যাকল করে ওইহান সানসেট লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে বিলবাওয়ের দুর্ভাগ্য আরও ঘনীভূত হয়।

এরপর ডানি ভিভিয়ান হুমকি তৈরি করলেও লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি। পাল্টা আক্রমণে ওলমোর শটও অল্পের জন্য বাইরে যায়। ভিভিয়ান পরে আরেকবার হেডে গোল করতে উদ্যত হয়েছিলেন, তবে গার্সিয়ার গ্লাভসে আটকে যায় বল।

অবশেষে ৯০ মিনিটে ইয়ামালের সূক্ষ্ম পাস ধরে ঠান্ডা মাথার ফিনিশিংয়ে ম্যাচের শেষ শব্দটি লিখে দেন ফেরান তোরেস।

দুই বছর পর ঘরের মাঠে ফিরল বার্সেলোনা। আর তোরেস-ইয়ামালরা যেন সেই আনন্দকে ফুটিয়ে তুললেন মাঠজুড়ে গোলের আতশবাজিতেই।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ