ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আঞ্চলিক বাহিনীর ৩২টি পদাতিক ব্যাটালিয়নের মধ্যে ১৪টি ব্যাটালিয়নকে ২০২৮ সাল পর্যন্ত দেশজুড়ে মোতায়েনের জন্য সক্রিয় করেছে। শুক্রবার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, ‘উচ্চতর প্রস্তুতি এবং কৌশলগত শক্তিবৃদ্ধির’ জন্য আঞ্চলিক বাহিনীকে আহ্বান জানানো হচ্ছে।
টেরিটোরিয়াল আর্মি বা আঞ্চলিক সেনাবাহিনী ভারতের নিয়মিত সেনাবাহিনীর একটি অংশ। এর বর্তমান ভূমিকা হচ্ছে নিয়মিত সেনাবাহিনীকে স্থির দায়িত্ব থেকে মুক্তি দেওয়া এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় এবং সম্প্রদায়ের জীবন প্রভাবিত হয় বা দেশের নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন হয় এমন পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় পরিষেবা রক্ষণাবেক্ষণে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করা। এছাড়া প্রয়োজনে নিয়মিত সেনাবাহিনীর জন্য ইউনিট সরবরাহ করাও এর কাজ।
আরো পড়ুন:
ভারতের ২৫ সেনা নিহত হয়েছে: পাকপ্রতিরক্ষামন্ত্রী
৭ পাকিস্তানি অনুপ্রবেশকারীকে হত্যার দাবি ভারতের
স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মতে, ভারতের প্রায় ১৪ লাখ ৭৫ হাজার সক্রিয় সামরিক কর্মী রয়েছে। এছাড়া এর আধাসামরিক বাহিনীতে ১৬ লাখেরও বেশি সদস্য রয়েছে। এদিকে, পাকিস্তানের সক্রিয় সামরিক সদস্যের সংখ্যা সাত লাখেরও কম। দেশটির আধাসামরিক বাহিনীর সদস্য সংখ্যা ২ লাখ ৯০ হাজার।
গত সপ্তাহে ভারত পাকিস্তানের কয়েকটি এলাকায় সামরিক হামলা চালায়। এর জবাবে পাকিস্তানও ভারতের সীমান্ত রেখায় হামলা চালায়। দুই দেশের মধ্যেই প্রতিদিন সামরিক উত্তেজনা বাড়ছে। সংঘাত যেকোনো সময় বিস্তৃত পরিসরে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বৃহস্পতিবার রাতে ৩০০ থেকে ৪০০ ড্রোন দিয়ে হামলা চালায় পাকিস্তান: ভারত
ভারতের ৩৬টি স্থানে বৃহস্পতিবার রাতে পাকিস্তান ৩০০ থেকে ৪০০টি ড্রোন ব্যবহার করে হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে নয়াদিল্লি। এই স্থানগুলো ভারতের সীমান্তবর্তী লেহ থেকে স্যার ক্রিক এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত। শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেছেন ভারতের সামরিক বাহিনীর উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং।
ব্যোমিকা সিং বলেন, পাকিস্তানের এসব ড্রোনের অনেকগুলো ধ্বংস করেছে ভারতের সশস্ত্র বাহিনী। পাঞ্জাবের ভাতিন্ডা সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালাতে একটি সশস্ত্র ড্রোন পাঠানো হয়েছিল। তবে তা ব্যর্থ করে দেওয়া হয়। জবাবে পাকিস্তানের চারটি আকাশ প্রতিরক্ষা স্থাপনা নিশানা করে সশস্ত্র ড্রোন হামলা চালানো হয়। এ সময় দেশটির একটি রাডার–ব্যবস্থা ধ্বংস করতে সক্ষম হয় ভারত।
আল–জাজিরার তথ্য অনুযায়ী, সংবাদ সম্মেলনে ব্যোমিকা সিং বলেন, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে তুরস্কের তৈরি ড্রোন ব্যবহার করে হামলা চালায় পাকিস্তান। ইসলামাবাদ বাণিজ্যিক উড়োজাহাজকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে বলেও দাবি করেছেন ভারতীয় বিমান বাহিনীর এই কর্মকর্তা।
ভারত সরকারের দাবি, বৃহস্পতিবার রাতভর ভারতের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে পাকিস্তানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র। সেগুলো রুখে দিতে ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাগুলো সক্রিয় করা হয়। এসব প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে ছিল— ‘এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ’, ‘বারাক-৮’, ‘আকাশ’ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ‘ডিআরডিওর’ ড্রোন–বিধ্বংসী প্রযুক্তি।
আরও পড়ুনভারতের হামলার পর কী জবাব দেবে পাকিস্তান, সামনে চারটি বড় প্রশ্ন৫ ঘণ্টা আগেএদিকে শুক্রবার ভারতের হরিয়ানার রাজ্যের আম্বালা জেলায় রাতে সব আলো নিভিয়ে রাখার (ব্ল্যাকআউট) নির্দেশনা দেয় জেলা প্রশাসন। জেলাটিতে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ বিমানঘাঁটি রয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী, জেলাটিতে রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত আলো জ্বালানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তা কার্যকর থাকবে।
আরও পড়ুনদুই দিনে ভারতের পাঠানো ৭৭টি ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি পাকিস্তানের৫ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুনমুরিদকেতে ভারত কি ‘সন্ত্রাসীদের ঘাঁটি’তে হামলা চালিয়েছে, নাকি মসজিদে৯ ঘণ্টা আগে