চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের জলিলগেট এলাকায় একটি তেলের ডিপোতে ট্যাংকের বর্জ্য পরিষ্কার করতে গিয়ে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরও তিন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে জামাল কোম্পানি নামের এক ব্যক্তির মালিকানাধীন ওই ডিপোতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ঘটনার পর কুমিরা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে অচেতন অবস্থায় চারজনকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। আহত শ্রমিকেরা হলেন মীর আহমদ (২৮), মোহাম্মদ আরিফ (২৯), মোস্তফা কামাল (৩৫) ও পেয়ারু হাসান (৩৮)।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নুরুল আলম আজ রাত সাড়ে ১১টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, মীর আহমদ, মোস্তফা কামাল এবং আরও দুজন অজ্ঞাতপরিচয় শ্রমিককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত ব্যক্তির পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

কুমিরা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা আল মামুন বলেন, ওই ডিপোতে স্ক্র্যাপ জাহাজ থেকে সংগ্রহ করা পরিত্যক্ত কালো তেল আনা হয়। এসব তেল প্রক্রিয়াজাত করে মবিলসহ বিভিন্ন পণ্য তৈরি করে বাজারজাত করা হয়। তেল রাখার জন্য একটি সিলিন্ডার আকৃতির ট্যাংক ব্যবহার করা হয়। তেল প্রক্রিয়াজাতের পর ট্যাংকের নিচে জমে থাকা বর্জ্য (গাদ) শ্রমিকেরা পরিষ্কার করেন।

বৃহস্পতিবার রাতে একজন শ্রমিক ট্যাংকের ভেতর নেমে বর্জ্য পরিষ্কার করার সময় অক্সিজেনের অভাবে অচেতন হয়ে পড়েন। তাঁকে উদ্ধারে একে একে আরও তিনজন নামলে তাঁরাও অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে ডিপো কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ফায়ার সার্ভিসকে জানায়।

ফায়ার সার্ভিসের দল গিয়ে চারজনকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

গাজায় ২৬ হাজার শিশু তীব্র অপুষ্টির শিকার: জাতিসংঘ

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ২৬ হাজারের মতো শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে। এর মধ্যে শুধু গাজা নগরীতে এই সংখ্যা ১০ হাজারের বেশি। এসব শিশুর জন্য জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজন।

গত মঙ্গলবার জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন জাতিসংঘের শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ) দক্ষিণ গাজার আল-মাওয়াসি এলাকার মুখপাত্র টেস ইনগ্রাম। মঙ্গলবারই ইসরায়েলি সেনারা গাজা নগরীতে বড় ধরনের স্থল অভিযান শুরু করেছেন।

ইনগ্রাম বলেন, আগস্টে গাজায় প্রতি আট শিশুর একজন মারাত্মক অপুষ্টিতে আক্রান্ত ছিল, যা এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ হার। গাজা নগরীতে এই অনুপাত প্রতি পাঁচে একজন। তিনি বলেন, গাজা নগরী থেকে বিপুলসংখ্যক মানুষকে জোরপূর্বক সরানো হচ্ছে। এতে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুদের প্রাণনাশ হতে পারে। ইসরায়েলের স্থল অভিযানের মুখে শহরের পুষ্টিকেন্দ্রগুলো বন্ধ হয়ে গেছে।

ইসরায়েলি সেনারা বলছেন, দক্ষিণ গাজার আল-মাওয়াসি এলাকায় আশ্রয় নেওয়া মানুষ খাদ্য, ওষুধ ও তাঁবু পাবেন। তবে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই আগ্রাসনে ঘোষিত ‘মানবিক আশ্রয়’ এলাকাগুলোতেও হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। ইনগ্রাম বলেন, ‘গাজায় সাত শতাধিক দিনের যুদ্ধ-ধ্বংসযজ্ঞে প্রায় পাঁচ লাখ শিশুকে এক নরক থেকে আরেক নরকে ঠেলে পাঠানো হয়েছে, যা অমানবিক।’

জাতিসংঘের হিসাবে, গাজা নগরী ও আশপাশের এলাকাগুলোর ১০ লাখ মানুষের প্রায় ৪০ শতাংশ ইতিমধ্যে বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গাজায় ২৬ হাজার শিশু তীব্র অপুষ্টির শিকার: জাতিসংঘ
  • খাজা শরফুদ্দীন চিশতির মাজারে হাত দিলে পরিণাম হবে ভয়াবহ: আহলে সুন্
  • জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ
  • শেরপুরে পুলিশের উপর হামলা: থানায় মামলা, গ্রেপ্তার ৪
  • যারা জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলকে নিষিদ্ধ চায়, তারা আদালতে অভিযোগ দিতে পারে: সালাহউদ্দিন আহমদ
  • প্রাথমিকে গানের শিক্ষক বাদ দিয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে
  • মাঠের জবাব মাঠে দেওয়া হবে: সালাহউদ্দিন 
  • পনেরো বছরে থেমে গেল শিশুশিল্পীর জীবন
  • পাকিস্তানে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে ৫ সেনা নিহত
  • আলোচনা অব্যাহত থাকা অবস্থায় কর্মসূচি দেওয়া স্ববিরোধিতা মনে করছে বিএনপি