কালভার্টের মুখ বন্ধ করে ভবন নির্মাণ, জলাবদ্ধতার শঙ্কা
Published: 23rd, May 2025 GMT
বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে কালভার্টের মুখ বন্ধ করে ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। কালভার্টটি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া ও বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার সীমান্ত দিয়ে প্রবাহিত রাজিহার-বাটরা-রামশীল খালে। খালের পানি প্রবাহ বন্ধ হলে আশপাশের বাড়িঘরে জলাবদ্ধতার শঙ্কা রয়েছে।
রাজিহার-বাটরা-রামশীল খালের পানি সেচ দিয়ে কোটালীপাড়া উপজেলার রামশীল ও আগৈলঝাড়া উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের কয়েকশ বিঘা জমির চাষাবাদ হয়ে আসছে। খালটির কালভার্টের মুখ বন্ধ করে ভবন নির্মাণ করায় সেচকাজ বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। বিষয়টি দুই উপজেলার সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) মৌখিকভাবে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। অভিযুক্ত বিএনপি নেতা অ্যাপোলো তালুকদার কোটালীপাড়া উপজেলার রামশীল ইউনিয়নের রামশীল গ্রামের বাসিন্দা। ভয়ে তাঁর বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস করেননি স্থানীয়রা।
তবে আগৈলঝাড়া উপজেলার বাটরা গ্রামের কৃষক অমল বৈরাগী জানান, খালের এক পাশে কৃষিজমি, অন্য পাশে বসতবাড়ি। এ খালের কালভার্টের মুখে পাকা ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে পানি চলাচল বন্ধ হবে। বোরো মৌসুমে সেচের পানির সংকট দেখা দেবে। বিল থেকে বৃষ্টির পানি নামতে পারবে না। জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে অনেক বাড়িঘরে পানি উঠবে।
বাটরা বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও রাজিহার ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক পরিতোষ রায় বলেন, অ্যাপোলো তালুকদার দলীয় প্রভাব খাটিয়ে কালভার্টের মুখে ভবন নির্মাণ করছেন। এতে কৃষক যেমন জমি চাষাবাদ নিয়ে ঝুঁকিতে পড়বেন, তেমনি খালপাড়ে বসবাসকারী পরিবারগুলো জলাবদ্ধতার শিকার হবে।
কালভার্টের মুখে ভবন নির্মাণের অভিযোগ স্বীকার করেছেন রামশীল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি অ্যাপোলো তালুকদার। তাঁর ভাষ্য, জায়গাটি তাঁর পৈতৃক।
কোটালীপাড়া ও আগৈলঝাড়া উপজেলা সীমান্তের এই খালের কালভার্টের মুখে ভবন নির্মিত হলে খালের পানি প্রবাহে কোনো সমস্যা হবে না। পানি প্রবাহের ব্যবস্থা রেখেই ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে চাষাবাদ ক্ষতিগ্রস্ত বা জলাবদ্ধতার কোনো সমস্যা দেখা দেবে না।
কোটালীপাড়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবুল বাশার হাওলাদার বলেন, ‘অ্যাপোলো তালুকদার ভবন নির্মাণে দলীয় কোনো প্রভাব বিস্তার করেননি। আমি যতটুক শুনেছি, জায়গাটি আগৈলঝাড়া উপজেলার মধ্যে পড়েছে।
কালভার্ট ঘেঁষে তাঁর পৈতৃক সম্পত্তি রয়েছে বলে জানতে পেরেছি।’
আগৈলঝাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) উম্মে ইমামা বানিন বলেন, ‘বিষয়টি জানতে পেরেছি। ঘটনাস্থলে প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছি। প্রতিনিধি দলের প্রতিবেদন হাতে পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
কোটালীপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাসুম বিল্লাহ সাংবাদিকদের জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরেছেন। ঘটনাস্থলের অবস্থান দুই উপজেলার সীমান্তে। তাই এ ব্যাপরে আগৈলঝাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনারের সঙ্গে সমন্বয় করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: বর শ ল উপজ ল র প রব হ ব এনপ সহক র
এছাড়াও পড়ুন:
‘যশ ও খ্যাতি পিছলধরা শেওলা-রাস্তা’
শৈশবের প্রিয় মুহূর্ত
মায়ের সঙ্গে ছোট ভাইকে নিয়ে রেলের কূপে ভ্রমণ। শান্তিনিকেতনে পাঠভবনের দিনগুলোতে খেলার মাঠ।
যখন আপনি নবীন চিত্রশিল্পী
চোখ ভরা স্বপ্ন। আর প্রতিবাদের ভাষায় যা সমর্থন করি না তার বিপক্ষে যা হওয়ার কথা ভেবেছি তা করার চেষ্টা করা। তারই ধারাবাহিকতায় বন্ধুরা মিলে আয়োজন করা হলো প্রথম “সমকালীন নবীন শিল্পীদের প্রদর্শনী ১৯৯১’’ (Contemporary young artist’s exposition 1991).
আড্ডা-তর্কের সঙ্গী যাঁরা
পিতা দেবদাস চক্রবর্তী, শ্রদ্ধেয় মুর্তজা বশীর, সৈয়দ আব্দুল্লাহ খালিদ, মোহাম্মদ খসরু, সেন্টু রায়, আখতার হুসেন, বন্ধুবর শাহরিয়ার খান, শাহানা হুদা, পুত্র সৃজন...।
প্রথম প্রদর্শনী ঘিরে স্মৃতি
ছোট ছোট জলরঙের ছবিতে (মিনিয়েচার) বড় স্বপ্ন দেখেছি। প্রদর্শনীর আগে সমালোচনা এবং পরামর্শ শোনার জন্য এক সন্ধ্যায় ভূতের গলির বাড়িতে পিতৃবন্ধু কবি শামসুর রাহমান, শিল্পী নিতুন কুন্ডু, মুর্তজা বশীর, সাদেক খান, বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর, সৈয়দ আব্দুল্লাহ খালিদ এবং সুবীর চৌধুরীর উপস্থিতি। সেই সঙ্গে বশীর চাচার পরামর্শ– শোন গৌতম আমাকে ফতেহ লোহানী বলেছিল “যশ ও খ্যাতি পিছলধরা শেওলা-রাস্তা। তোমার পায়ে ক্রেপের স্যান্ডেল। সাবধানে হাঁটতে হবে নয়তো পিছল খেয়ে পড়বে–’’ কথাটা মনে রেখো।
প্রিয় চিত্রশিল্পী যারা এবং যে কারণে তাঁরা প্রিয়
দেশে এবং বিদেশে অসংখ্য প্রিয় শিল্পী, বিবিধ কারণে। তবু বলি। কামরুল হাসান, এস এম সুলতান, রশীদ চৌধুরী, মুর্তজা বশীর, গণেশ পাইন, রামকিঙ্কর বেইজ, মনজিৎ বাওয়া, সোমনাথ হোড়, পিকাসো, মার্ক শাগাল, ডেভিড হকনি...
এখন যা আঁকছেন–
যা আঁকা শুরু করেছিলাম সেগুলো, তার সঙ্গে নতুন বিষয় এবং এইসব নিয়ে আরও বিশদ বিস্তারের চেষ্টা।
প্রিয় উদ্ধৃতি
‘আমি জানি এই ধ্বংসের দায়ভাগে
আমরা দুজনে সমান অংশীদার;
অপরে পাওনা আদায় করেছে আগে,
আমাদের ’পরে দেনা শোধবার ভার।
তাই অসহ্য লাগে ও–আত্মরতি।
অন্ধ হলে কি প্রলয় বন্ধ থাকে?
ভ্রান্তিবিলাস সাজে না দুর্বিপাকে।’
—সুধীন্দ্রনাথ দত্ত
এবং
‘... মরা ছাড়া তোমাদের কিছুই রোচেনা
তোমাদের হিসেবী খাতায় বীর নেই
শহীদ রয়েছে শুধু।’
—হাসান হাফিজুর রহমান v
lগ্রন্থনা-ফরিদুল ইসলাম নির্জন