আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে পানি প্রবাহ বন্ধ করে দেবে ভারত। মঙ্গলবার ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ ঘোষণা দিয়েছেন।

মোদি বলেছেন, “এখন, ভারতের পানি ভারতের স্বার্থে প্রবাহিত হবে, এটি ভারতের স্বার্থে সংরক্ষণ করা হবে এবং এটি ভারতের অগ্রগতির জন্য ব্যবহার করা হবে।”

মোদি পানি বন্টনের বিষয়ে পাকিস্তানের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেননি। তবে তার এই মন্তব্য ভারত তার প্রতিবেশীর সাথে ৬৫ বছরের পুরনো পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করার প্রায় দুই সপ্তাহ পরে এসেছে।

গত মাসে ভারত-শাসিত কাশ্মীরে পর্যটকদের উপর সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্কের তীব্র অবনতি ঘটেছে। ভারত পাকিস্তানকে আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার অভিযোগ করেছে - এই অভিযোগ ইসলামাবাদ স্পষ্টভাবে অস্বীকার করেছে। ওই সময়ে ভারত সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করে। বুধবার পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ভারত। অন্তত ৭০ সন্ত্রাসী এই হামলায় নিহত হয়েছে বলে দাবি ভারতের। তবে পাকিস্তান এ দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, ২৬ জন নিহত হয়েছে এবং এরা সবাই বেসামরিক নাগরিক।

ভারত থেকে বেশ কয়েকটি নদী পাকিস্তানে প্রবাহিত হয়েছে। এই নদীগুলোর বদৌলতে পাকিস্তানের প্রায় ৮০ শতাংশ কৃষিজমিতে পানি সরবরাহ করা হয়। ১৯৬০ সালের সিন্ধু পারি চুক্তির (আইডব্লিউটি) মাধ্যমে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সিন্ধু অববাহিকার ছয়টি নদীর পানি বণ্টন নিয়ন্ত্রণ করে দিল্লি। পাকিস্তানি নেতারা সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন, জলপ্রবাহ বন্ধ করার যে কোনো প্রচেষ্টা ‘যুদ্ধের পরিণতি হিসেবে বিবেচিত হবে।’

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রব হ

এছাড়াও পড়ুন:

রক্তের প্রতিটি ফোঁটার বদলা নেবে সেনাবাহিনী: পাকিস্তান

পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক লেফটেনেন্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী বলেছেন, পাকিস্তানের প্রত্যেকটি বেসামরিক নাগরিকের রক্তের বদলা নেওয়া হবে। বুধবার টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে তিনি এ কথা বলেছেন।

পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার বদলা নিতে মঙ্গলবার গভীর রাতে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ৯ সন্ত্রাসী আস্তানায় ২৪টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ভারত। সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, হামলায় পাকিস্তানে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১ এ পৌঁছেছে। বুধবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে পাকপ্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

মহাপরিচালক লেফটেনেন্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী বলেছেন, ভারত এমন সময় এই হামলা চালিয়েছে যখন পাকিস্তান একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল। ভারত যেসব স্থানের ব্যাপারে মিথ্যা অভিযোগ করছিল সেসব স্থানে তদন্তের জন্য আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের নিয়ে যাচ্ছিল পাকিস্তান। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে পাকিস্তান যখন কঠোর হতে শুরু করেছে ঠিক তখনই ভারত এই হামলা চালিয়েছে।

তিনি বলেন, “নিরপরাধ বেসামরিক নাগরিকদের উপর ঝরে পড়া রক্তের প্রতিটি ফোঁটার প্রতিশোধ নেবে” সেনাবাহিনী।

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ