ভুটানকে উড়িয়ে সাফের সেমিফাইনালে যুবারা
Published: 11th, May 2025 GMT
বাংলাদেশ ৩–০ ভুটান
সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মালদ্বীপের সঙ্গে ড্র করার পর আজ ভুটানকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ।
গ্রুপ পর্বের দুই ম্যাচে এক ড্র আর এক জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে গোলাম রব্বানীর দল। ভারতের অরুণাচল প্রদেশের ইউপিয়ার গোল্ডেন জুবিলি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের হয়ে ১টি করে গোল করেছেন মোরশেদ আলী, সুমন সরেন ও নাজমুল হুদা।
প্রথমার্ধে বাংলাদেশ বেশ গোছানো ফুটবল খেলে। তাতে গোল পেতেও বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি তাদের। ১৩ মিনিটে একক প্রচেষ্টায় ভুটানের রক্ষণ ভাঙেন মোরশেদ আলী। তাঁর বাঁ পায়ের শট খুঁজে নেয় প্রতিপক্ষের জাল।
১৬ মিনিটে আরেকটি আক্রমণ শানায় বাংলাদেশ। ডি-বক্স ভেঙে প্রবেশের পথে কর্নারের বিনিময়ে মোরশেদকে আটকান প্রতিপক্ষ এক খেলোয়াড়।
২৭ মিনিটে আবারও মোরশেদ, এবার ডান পাশ দিয়ে ড্রিবলিং করে বলটা গোলমুখের বাঁ প্রান্তে থাকা সুমন সরেনকে দেন মোরশেদ। সুমনও সুযোগটা হাতছাড়া করেননি। নিখুঁত শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এই ফরোয়ার্ড।
বাংলাদেশ–ভুটান ম্যাচের একটি মুহূর্ত.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামি গ্রেপ্তার
ঢাকার পিলখানায় ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরে হত্যাকাণ্ডের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর নাম রেজাউল করিম। আজ সোমবার সকালে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার ফোর সিজন এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
র্যাব-৭ চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) এ আর এম মোজাফফর হোসেন আজ প্রথম আলোকে বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে খবর পেয়ে পিলখানা হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রেজাউল করিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করেছে র্যাব।
আদালত সূত্র জানায়, ১৬ বছর আগে ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিডিআরের (বর্তমানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ—বিজিবি) সদর দপ্তর ঢাকার পিলখানায় নৃশংস হত্যাকাণ্ড চালানো হয়। এতে বিডিআরের তৎকালীন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা নিহত হন। সব মিলিয়ে তখন পিলখানায় নিহত হন ৭৪ জন। সেদিন পিলখানায় থাকা সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্যরাও নৃশংসতার শিকার হয়েছেন।
পিলখানায় হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় ২০০৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে পৃথক মামলা হয়। এর মধ্যে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলায় ৮৫০ জনকে আসামি করা হয়। দেশের বিচার বিভাগের ইতিহাসে আসামির সংখ্যার দিক থেকে এটিই সবচেয়ে বড় মামলা। বিচারিক আদালত ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর এ মামলার রায় দেন। রায়ে ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। রায়ে খালাস পান ২৭৮ জন। রায় ঘোষণার আগে চার আসামি মারা যান।