ঢাকার পৃথক দুই থানার তিন মামলায় গান বাংলা টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কৌশিক হোসেন তাপসসহ চার জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

বুধবার (৭ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট  জি.এম.ফারহান ইশতিয়াকের আদালত তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।

গ্রেপ্তার দেখানো অপর আসামিরা হলেন, নিয়ন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর আব্দুস সালাম, সাংবাদিক সিকদার লিটন ও যুব মহিলা লীগ নেত্রী আশা আক্তার।

এর মধ্যে তাপসকে হত্যাচেষ্টা মামলায়, সিকদার লিটন ও আশা আক্তারকে ভাটারা থানার হত্যা মামলায় এবং আব্দুস সালামকে ধানমন্ডি থানার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

এরআগে তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়। আদালত গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়ে শুনানির দিন বুধবার ধার্য করা হয়।

এদিন শুনানিকালে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। পরে আদালত তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।

তাপসের মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, জুলাই আন্দোলনের সময় ১৯ জুলাই গুলশানের শাহজাদপুরের কনফিডেন্স টাওয়ারের সামনে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলিবর্ষণ করা হয়। এতে জব্বার আলী হাওলাদার গুলিবিদ্ধ হন।  চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১০৯ জনের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলা করেন।

আব্দুস সালামের মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট রাজধানীর ধানমন্ডির সাইন্স ল্যাব এলাকা থেকে জিগাতলা এলাকায় যাওয়ার পথে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মক আহত হন মো.

রিয়াজ (২৩)। দুই সপ্তাহ চিকিৎসাধীন থাকার পর ১৭ আগস্ট বিকেলে মারা যান তিনি। এ ঘটনায় নিহতের মা মোসা. শাফিয়া বেগম ৯ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।  

আশা ও সিকদার লিটনের মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে,  জুলাই আন্দোলনের সময় ২১ জুলাই রাজধানীর ভাটারা থানাধীন এলাকায় আন্দোলনকারীদের ওপর চড়াও হন আসামিরা। তারা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালায় এতে মো. জাহাঙ্গীরসহ কয়েকজন আহত হন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ নিউরোসাইন্স হাসপাতালে মারা যান জাহাঙ্গীর। এ ঘটনায় ২৪ ফেব্রুয়ারি ভাটারা থানায় একটা হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।

ঢাকা/এম/ইভা 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ধ নমন

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই অভ্যুত্থানকে নস্যাতের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা–৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকে জুলাই অভ্যুত্থান নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে উল্লেখ করে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা বলেছেন, এই ষড়যন্ত্র রুখে দিতে তারা ঐক্যবদ্ধ অবস্থানে রয়েছেন।

শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই অঙ্গীকার করেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর নেতারা। বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি, ইনকিলাব মঞ্চের নেতারা এবং আইন উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন:

বিএনপির প্রতিবাদ কর্মসূচি: নয়াপল্টনে এসে মিলছে সব পথের মিছিল

তারেক রহমান দেশে ফিরছেন ২৫ ডিসেম্বর: মির্জা ফখরুল

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “ওসমান হাদির ওপর হামলা ছিল পূর্বপরিকল্পিত এবং গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। এর পেছনে বড় শক্তি কাজ করছে, যাদের লক্ষ্য নির্বাচন বানচাল করা। তিনি বলেন, হামলাটি ছিল প্রতীকী শক্তি প্রদর্শন এবং প্রাপ্ত তথ্যে প্রশিক্ষিত শুটার ব্যবহারের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। এসব মোকাবিলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”

বিএনপির সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “এই পরিস্থিতিতে পরস্পরের দোষারোপ বন্ধ করে ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে একযোগে আওয়াজ তুলতে হবে।”

তিনি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করার পরামর্শ দেন।

জামায়াত নেতা মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “নিজেদের মধ্যে দোষারোপের প্রবণতায় বিরোধীরা সুযোগ নিচ্ছে।”

ক্ষুদ্র দলীয় স্বার্থে জাতিকে বিভক্ত করা থেকে সরে আসার আহ্বান জানান তিনি।

এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানকে খাটো করতে সুসংগঠিত অপতৎপরতা চলছে। মিডিয়া, প্রশাসন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর ন্যারেটিভ তৈরি করা হচ্ছে।”

তিনি বলেন, “অনৈক্যই ষড়যন্ত্রকারীদের সবচেয়ে বড় শক্তি।”

তিন দলের নেতারা জুলাই অভ্যুত্থানের স্পিরিট ধরে রাখতে ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। 

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ