Samakal:
2025-12-01@20:06:40 GMT

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

Published: 11th, May 2025 GMT

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

গত ৫ মে সমকাল অনলাইনে প্রকাশিত ‘হাসপাতালে বসে মামলার বাদীকে হুমকি’ শীর্ষক প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়েছেন ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী মো. জাহাঙ্গীর আলম। 

প্রতিবাদপত্রে তিনি লিখেছেন, ‘দিলীপ কুমার আগরওয়ালা ২০২৪ সালের ৩ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘদিন ধরে কারাগারে বন্দি। ইতোপূর্বে অনেকগুলো মিথ্যা মামলায় তাকে একাধিকবার রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি গুরুতর অসুখ হয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় আদালতের নির্দেশে হাসপাতালের প্রিজন সেলে বন্দি রয়েছেন। কারাগারে অবস্থান বা চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল প্রেরণ প্রতিটি বিষয়ই আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী যথাযথ কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপ গ্রহণ করে। কারা জীবনের প্রথম থেকেই পরিবারের সদস্যরা উনার সঙ্গে দেখা করতে পারছেন না। উনার পক্ষে যেখানে স্বাভাবিকভাবে কথা বলা কোনোভাবেই সম্ভব নয়, সে ক্ষেত্রে হাসপাতালের প্রিজন সেলে বসে মামলার বাদীকে হুমকি দেওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ ভুয়া, বিভ্রান্তি মূলক ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। এছাড়া উনার প্রতিষ্ঠানের কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী উনার মামলা বা মামলাসংক্রান্ত কোনো বিষয়ে সম্পৃক্ত নন।’

তিনি আরও বলেন, ‘ওই সংবাদে অ্যাটর্নি জেনারেলের নাম জড়িয়েও বিভ্রান্তি মূলক তথ্য প্রকাশ করা হয়। অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে দিলীপ কুমার আগরওয়ালার কোনো ধরনের পরিচিতি নেই।’ 

প্রতিবেদকের বক্তব্য

প্রকাশিত প্রতিবেদনে সংবাদ সম্মেলনে উত্থাপিত অভিযোগ তুলে ধারা হয়েছে। সোমবার ডিআরইউ সাগর-রুনি মিলনায়তনে ওই অভিযোগ করেন নিহত আশিকের বড় বোন তাহমিনা আক্তার। প্রতিবেদকের নিজস্ব কোনো বক্তব্য প্রকাশিত প্রতিবেদনে নেই।   

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

দিলীপ কুমারের ফ্ল্যাট, দোকানসহ স্থাবর সম্পত্তি জব্দের আদেশ

ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও আওয়ামী লীগ নেতা দিলীপ কুমার আগরওয়ালার সাতটি ফ্ল্যাট, দুটি দোকানসহ ৩৩ দলিলের স্থাবর সম্পত্তি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. সাব্বির ফয়েজের আদালত এই আদেশ দেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. রিয়াজ হোসেন জানান, দুদকের সহকারী পরিচালক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন এসব সম্পত্তি অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন। আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন।

আবেদনে বলা হয়, আসামি দিলীপ কুমার আগরওয়ালার বিরুদ্ধে অসাধু উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ১১২ কোটি ৪৭ লাখ ২৮ হাজার ৪০৭ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করার অভিযোগ রয়েছে। আগরওয়ালা এবং তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে ৩৪টি ব্যাংক হিসাবে মোট ৩৮৫ কোটি ৩২ লাখ ৬২ হাজার ১২৩ টাকা জমা ও ৩৬৯ কোটি ৯৭ লাখ ৯৪ হাজার ১৪০ টাকা উত্তোলনসহ সর্বমোট ৭৫৫ কোটি ৩০ লাখ ৫৬ হাজার ২৬৩ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন করে মানি লন্ডারিংয়ের অপরাধ করেছেন। সে জন্য তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে।

তদন্তকালে রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, আসামির নামে ও তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের স্থাবর সম্পদ অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার প্রচেষ্টা করছেন। মামলা নিষ্পত্তির না হওয়ায় পর্যন্ত সম্পত্তি হস্তান্তর বা স্থানান্তর হয়ে গেলে ক্ষতির কারণ রয়েছে। অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামির স্থাবর সম্পত্তি অবরুদ্ধ করা একান্ত প্রয়োজন।

এর আগে গত ২২ জুলাই পরিবারসহ ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের দিলীপ কুমার আগরওয়ালার দেশত্যাগ নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন একই আদালত।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দিলীপ কুমারের ফ্ল্যাট, দোকানসহ স্থাবর সম্পত্তি জব্দের আদেশ