ছুটির দিনে ২০ হাজার দর্শকে পরিপূর্ণ জহুর আহাম্মদ স্টেডিয়াম
Published: 17th, January 2025 GMT
চট্টগ্রাম জহুর আহাম্মদ চৌধূরী স্টেডিয়ামে চলছে বিপিএল-এর চট্টগ্রাম পর্বের ম্যাচ। আজ শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) ছুটির দিনেই ২০ হাজার দর্শক ধারন ক্ষমতার চট্টগ্রাম জহুর আহাম্মদ চৌধুরী ক্রিকেট স্টেডিয়াম কানায় কানায় পূর্ণ হয়েছে। দুপুরের পর থেকেই স্টেডিয়ামের ভেতরে বাইরে দর্শকদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। টিকিট যারা পেয়েছেন তাদের উপস্থিতিতে ভরে গেছে দর্শক গ্যালারি, আবার টিকিট না পেয়ে স্টেডিয়ামের বাইরেও ভিড় করছে অসংখ্য দর্শক। টিকিট কাটতে কাউন্টারেও দেখা গেছে দীর্ঘ সারি।
দুপুর দুইটাই মুখোমুখি হয় রাজশাহী ও সিলেট। ম্যাচ শুরু থেকেই দর্শকদের ভিড় বাড়তে থাকে স্টেডিয়ামের ভেতরে- বাইরে। ২০০ টাকা দামের টিকিট আগেই বিক্রি হয়ে যাওয়ায় দর্শকদের ক্ষোভ লক্ষ্য করা গেছে। দুর দুরান্ত থেকে আসা ক্রিকেটপ্রেমি দর্শকরা টিকিট না পেয়ে ক্ষুদ্ধ হন। স্টেডিয়ামের বাইরে তৃতীয় লিঙ্গের অনেককেই বেশি দামে টিকিট বিক্রি করতে দেখা গেছে।
২০ হাজার দর্শক ধারনক্ষমতার সাগর পাড়ের জহুর আহাম্মদ চৌধুরী ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিকেলেই স্টেডিয়াম গ্যালারি পরিপূর্ণ হয়ে গেছে দর্শকে। দিনের দ্বিতীয় খেলায় মুখোমুখি হয়েছে চিটাগং কিংস ও রংপুর রাইডার্স।
আরো পড়ুন:
তিন দল নিয়ে নারীদের বিপিএল ফেব্রুয়ারিতে
ম্যাচ প্রতি রেকর্ড ২০০০ ডলারে বিপিএল আম্পায়ারিংয়ে সৈকত
চট্টগ্রাম/রেজাউল/আমিনুল
চট্টগ্রাম/রেজাউল/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
হামলায় কেঁপে উঠে মুজাফফরাবাদ, পাহাড়ের দিকে ছোটেন সবাই
পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের রাজধানী মুজাফফরাবাদে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে হামলা চালায় ভারত। ওই সময় স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে আশপাশের পাহাড়গুলোর দিকে ছুটে যান।
হামলার সময়ের পরিস্থিতি বর্ণনা দিয়ে রয়টার্সকে স্থানীয়রা জানান, চারপাশে বিস্ফোরণের শব্দ হচ্ছিল, ভূমি কেঁপে উঠছিল। তখন মসজিদের মাইকে লোকজনকে নিরাপদে সরে যেতে বলা হয়।
৪৬ বছর বয়সী বাসিন্দা মুহাম্মদ শায়ের মীর বলেন, বিস্ফোরণের শব্দ শুনে আমরা ঘরের বাইরে বেরিয়ে আসি। পরে আরও বিস্ফোরণ হয়। পুরো ঘর কেঁপে উঠছিল। সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। আমরা বাচ্চাদের সঙ্গে নিয়ে পাহাড়ের দিকে চলে যাই।
মুজাফফরাবাদের বাসিন্দা শায়ের মীর বলেন, হামলার পর তিনি ও তার পরিবার চার ঘণ্টা খোলা আকাশের নিচে কাটিয়েছেন। তার কিছু প্রতিবেশী আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বাসিন্দারা চরম আতঙ্কে ভুগছেন।
তিনি বলেন, গরিব, নিরীহ মানুষদের সঙ্গে যা হয়েছে তা অন্যায়। আমাদের অসহায় মায়েরা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, বোনেরা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। আমাদের ঘরগুলো কেঁপে উঠেছিল, দেয়ালে ফাটল ধরেছে।
বুধবার হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত একটি মসজিদে জড়ো হন অনেকে। মসজিদটির ছাদ ধসে পড়েছে, মিনার ভেঙে পড়েছে। এলাকাটি নিরাপত্তা বাহিনী ঘিরে রাখে।
স্থানীয় এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, মসজিদটির কাছে তিনজন নিহত হয়েছেন।
মুজাফফরাবাদের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলেছে, সেখানকার হাসপাতালগুলো চালু আছে। আজ সকালে কিছু ছোট ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খুলেছে। তবে স্কুলগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। পরীক্ষাও বাতিল করা হয়েছে।
গত ২২ এপ্রিল ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জনের প্রাণহানির পর ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। এখন তা পাল্টাপাল্টি হামলায় রূপ নিয়েছে। মঙ্গলবার মধ্যরাতে পাকিস্তানে হামলা চালিয়েছে ভারত। জবাবে পাল্টা হামলা চালায় পাকিস্তান। পাকিস্তান জানিয়েছে, তাদের ২৬ জন নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে ভারতের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাত থেকে পাকিস্তানের কামানের গোলা হামলায় ১৫ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ৪৩ জন আহত হয়েছেন।