ব্যর্থতার গ্লানি দূর করে রুপালি জগতে ভালো সময় পার করছেন বলিউড অভিনেতা সানি দেওল। ‘গদর টু’ সিনেমার মাধ্যমে বক্স অফিস ব্যর্থতার দায় মোচন করেছেন এই অভিনেতা। গত ১০ এপ্রিল প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে তার অভিনীত নতুন সিনেমা ‘জাট’।

গোপীচাঁদ মালিনেনি নির্মিত ‘জাট’ সিনেমার ট্রেইলার মুক্তির পরই প্রশংসা কুড়ায়। ভারতের সাড়ে পাঁচ হাজার পর্দায় প্রদর্শিত হয়েছে এটি। মুক্তির পর দর্শক-সমালোচকদেরও প্রশংসা পাচ্ছে। বলিউড হাঙ্গামা জানিয়েছে, পয়সা উসুল হওয়ার মতো সিনেমা এটি। পাঁচে রেটিং দিয়েছে সাড়ে তিন। ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগে বিতর্কে জড়ালেও বক্স অফিসে বেশ সাড়া ফেলেছে সিনেমাটি।

স্যাকনিল্কের তথ্য অনুসারে, মুক্তির প্রথম দিনে ‘জাট’ সিনেমা আয় করে ৯.

৫ কোটি রুপি। ১৪ দিনে ভারতে আয় করেছে ৯০ কোটি রুপি (গ্রস)। বিদেশে আয় করেছে ১২.২৫ কোটি রুপি। বিশ্বব্যাপী সিনেমাটির মোট আয় দাঁড়িয়েছে ১০২.২৫ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৪৫ কোটি ৯৮ লাখ টাকার বেশি)।

আরো পড়ুন:

অভিনেতার মরদেহ উদ্ধার

অক্ষয়ের নতুন সিনেমার কী হালচাল?

১০০ কোটি রুপি বাজেটের সিনেমা ‘জাট’। ভারতীয় গণমাধ্যমের তথ্যমতে, এ সিনেমার জন্য সানি দেওল নিয়েছেন ৫০ কোটি রুপি পারিশ্রমিক। এর আগে তিনি ‘গদর টু’ সিনেমার জন্য পেয়েছিলেন মাত্র ৮ কোটি রুপি। অর্থাৎ মাত্র দুই বছরের ব্যবধানে ছয় গুণের বেশি পারিশ্রমিক বাড়িয়েছেন সানি দেওল।

অ্যাকশন-থ্রিলার ঘরানার এই সিনেমায় সানি ছাড়াও অভিনয় করেছেন— রণদীপ হুদা, রেজিনা ক্যাসেন্দ্রা, বীনিত কুমার সিং, সায়েমি খের, জগপতি বাবু, অজয় ঘোষ প্রমুখ।

‘গদর টু’ সিনেমার পর সানি দেওল বক্স অফিসের সাফল্য ধরে রেখেছেন। ‘জাট টু’ নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন নির্মাতারা। সিনেমা নিয়েও তার ব্যস্ততা বেড়েছে। বর্তমানে তার হাতে পাঁচটি সিনেমার কাজ রয়েছে। এ তালিকায় রয়েছে— ‘লাহোর ১৯৪৭’, ‘বর্ডার টু’, ‘রামায়ণ’, ‘সাফার’, ‘জাট টু’।

ঢাকা/শান্ত

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

দাফনফেরত স্বজনের ওপর ককটেল হামলা

মুন্সীগঞ্জে পুরোনো বিরোধের জেরে নিহত শ্রমিক লীগ কর্মী সানা মাঝির (৪২) লাশ দাফনের পরপরই তাঁর স্বজনদের লক্ষ্য করে ককটেল হামলা হয়েছে। শনিবার বিকেল ৩টার দিকে সদরের মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের মধ্য মাকহাটি গ্রামে এ হামলা হয়। 

প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, ককটেল হামলার সময় ঘটনাস্থলের অদূরে রজতরেখা নদীর অন্য প্রান্তে ছিলেন পুলিশ সদস্যরা।

সানা মাঝি মাকহাটি গ্রামের প্রয়াত মোহাম্মদ মাঝির ছেলে। তিনি মোল্লাকান্দি ইউনিয়ন শ্রমিক লীগ কমিটির সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ছিলেন। গত বছরের ৫ আগস্টের পর গ্রাম ছেড়ে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে একই উপজেলার বজ্রযোগিনী ইউনিয়নের ডেকরাপাড়া গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে চলে যান। 

পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে মাকহাটি গ্রামের মসজিদের মাইকে ডাকাত পড়ার ঘোষণা দিয়ে লোকজন জড়ো করে সানা মাঝিকে মারধর করে প্রতিপক্ষ। সংবাদ পেয়ে পুলিশ অচেতন অবস্থায় রাত ৩টার দিকে তাঁকে উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মাকহাটি গ্রামের মোহাম্মদ মাঝির পরিবারের সঙ্গে বিরোধ চলছিল শামসুল মাঝির পরিবারের। এর জের ধরে ১৯৯৭ সালে হত্যার শিকার হন মোহাম্মদ মাঝি। এ হত্যার প্রতিক্রিয়ায় ২০০১ সালের ফেব্রুয়ারিতে খুন হন শামসুল মাঝির ছেলে বিএনপি কর্মী শিপন মাঝি। এ হত্যা মামলায় ২০০৪ সালে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩ প্রয়াত মোহাম্মদ মাঝির ছেলে খলিল মাঝিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। সানা মাঝি ও তাঁর চার ভাই দীর্ঘদিন কারাগারে ছিলেন। ২০১৬ সালে কারামুক্ত হয়ে গ্রামে ফেরেন তারা। পরে দুই পক্ষের মধ্যে মীমাংসা হয়। তবে শিপন হত্যার ঘটনায় তাঁর ছোট ভাই বাবু মাঝির মনে ক্ষোভ রয়ে যায়। বাবু ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি প্রার্থী। তিনিই বড় ভাই হত্যার প্রতিশোধ নিতে বৃহস্পতিবার রাতে সানা মাঝিকে ডেকে এনে হত্যা করেন বলে এলাকাবাসীর দাবি।

সানা মাঝির পরিবার জানায়, শনিবার সকালে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। দুপুরে লাশ নেওয়া হয় মধ্য মাকহাটি গ্রামের বাড়িতে। জোহরের নামাজের পর জানাজা শেষে গ্রামের সামাজিক কবরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হয়। সেখান থেকে বিকেল ৩টার দিকে স্বজনরা ফেরার সময় তাদের ওপর অর্ধশতাধিক ককটেল ছুড়ে মারা হয়। এতে পুরো গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

নিহত সানার ছোট ভাই আসাদ মাঝির দাবি করেন, বাবু মাঝির সন্ত্রাসী বাহিনী অর্ধশতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।

সদর থানার ওসি সাইফুল আলম বলেন, এ ঘটনায় সানা মাঝির বড় ভাই হাবু মাঝি বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে শনিবার হত্যা মামলা করেন। এতে প্রধান আসামি করা হয়েছে বাবু মাঝিকে।

মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবীর বলেন, স্বজনরা লাশ দাফন শেষে কবরস্থান থেকে ফিরছিলেন। এ সময় তাদের পেছন থেকে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। কবরস্থানের অদূরে জমিতে প্রতিপক্ষের লোকজন ককটেল ছোড়ে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ