নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে আগামী ২২ জুন প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে গবেষণা মেলা। বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ সেলের উদ্যোগে এ মেলা আয়োজিত হবে।
মঙ্গলবার (২০ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ সেলের পরিচালক ড. মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “এ ধরনের আয়োজন করতে পারা আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের বিষয়। আশা করি, এর মাধ্যমে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা গবেষণা কার্যক্রমে আরো বেশি অনুপ্রাণিত হবেন, যা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেবে।”
আরো পড়ুন:
ইউআইইউ অধ্যাপকের টেলিকম ও আইসিটি অ্যাওয়ার্ড অর্জন
বাউরেস সনদ ও সম্মাননা স্মারকে বড় ভুল
তিনি আরো বলেন, “গবেষণা মেলায় সেরা গবেষক সম্মাননা প্রদান, ডিনস সম্মাননা ও উপাচার্য সম্মাননা প্রদান করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৩টি বিভাগের গবেষণা কার্যক্রম ও অর্জন প্রদর্শনের জন্য স্টল প্রদর্শনীর ব্যবস্থা থাকছে। এর মধ্য থেকে একটি বিভাগকে ‘বেস্ট স্টল’ হিসেবে পুরস্কৃত করা হবে। ২০২০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রতিটি শিক্ষাবর্ষে এবং প্রতিটি পদের (প্রভাষক, সহকারী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপক) জন্য চারটি স্তরে মোট ১৬ জনকে ‘সেরা গবেষক সম্মাননা’ প্রদান করা হবে।”
“বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক অনুষদ থেকে তিনজন শিক্ষার্থীকে ‘ডিনস সম্মাননা’ প্রদান করা হবে। এই পুরস্কারের জন্য সমাজবিজ্ঞান ও কলা অনুষদের ক্ষেত্রে নূন্যতম রেজাল্ট ৩.
প্রথমবারের মতো এ গবেষণা মেলার আয়োজনকে সাধুবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাকিব বলেন, “এ ধরনের আয়োজন আমাদের জন্য ভীষণ অনুপ্রেরণা দেবে। বিভিন্ন বিভাগের গবেষণাধর্মী প্রজেক্ট এক জায়গায় দেখে আমরা অনেক কিছু শিখতে পারছি। আমাদের নিজেদের গবেষণার ক্ষেত্রেও নতুন নতুন ধারণা তৈরি হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি প্রতি বছর এ আয়োজন চালু রাখে, তাহলে আমরা আরো বেশি করে গবেষণামুখী হতে পারব এবং ভবিষ্যতে দেশের উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারব।”
২০২০-২১ শিক্ষার্থী তানভীর হাসান বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে এমন ভিন্ন আয়োজন নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। গবেষণা মেলা নোবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের শিক্ষাগত জীবনের পাশাপাশি গবেষণা কার্যক্রমে উৎসাহ দেবে এবং ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীরা এ ধরনের কাজে মনোনিবেশ করবে।”
ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল কাইয়ুম মাসুদ বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। গবেষণা মেলা শিক্ষার্থীদের গবেষণায় আগ্রহী করে তুলবে। এ ধরনের আয়োজন শুধু একবারের জন্য নয়, প্রতি বছর নিয়মিতভাবে করা উচিত। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা গবেষণায় অনুপ্রাণিত হবে এবং জ্ঞানচর্চায় আরো মনোনিবেশ করবে।”
নোবিপ্রবি রেজিস্ট্রার তামজিদ হোসাইন বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো গবেষণা মেলার আয়োজন হচ্ছে, যা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গবেষণায় মনোনিবেশ করতে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে। এবারের আয়োজনে তিন ধরনের সম্মাননা প্রদান করা হবে, যা গবেষণার প্রতি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আগ্রহ ও উৎসাহকে আরো বাড়িয়ে তুলবে।”
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন ব প রব এ ধরন র অন প র আম দ র র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
৩ দাবিই পূরণ চান অনশনরত জবি শিক্ষার্থীরা
শিক্ষার্থীদের লাগাতার অনশন কর্মসূচির মুখে অবশেষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রথমবারের মতো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে।
তবে এই ঘোষণায় সন্তুষ্ট নন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তিন দফা দাবির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন ছাড়া অনশন ভাঙবেন না বলে জানিয়েছেন তারা।
আরো পড়ুন:
জানুয়ারি থেকে বিশেষ বৃত্তি পাবেন জবি শিক্ষার্থীরা
জকসুর রোডম্যাপ ঘোষণা, নির্বাচন ২৭ নভেম্বর
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে জকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করে।
রোডম্যাপ অনুযায়ী, চলতি বছরের ২৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে জকসু নির্বাচন। এর আগে আগামী ৮ অক্টোবর নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে এবং কমিশন ১১তম দিনে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করবে।
রোডম্যাপ ঘোষণার পরও অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
ছাত্রদলের সদস্য সচিব শামসুল আরেফিন বলেন, “আমরা অনশনকারীদের সঙ্গে একমত। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব।”
ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি একেএম রাকিব বলেন, “আমরা শর্তসাপেক্ষ কোনো ঘোষণা মানব না। আমাদের দাবি ছিল তিনটি—শুধু জকসু নির্বাচন ঘোষণা করে হবে না। তাই অনশন চালিয়ে যাব।”
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের সদস্য সচিব শাহিন মিয়া অভিযোগ করে বলেন, “রোডম্যাপে শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। বিধি কবে পাস হবে তা স্পষ্ট করা হয়নি। আবারও আমাদের মুলা দেখানোর চেষ্টা চলছে। এজন্য আমরা অনশন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- শিক্ষার্থীদের সম্পূরক বৃত্তি কার্যকর হওয়ার নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা; জকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশ; ক্যাফেটেরিয়ায় ভর্তুকি দিয়ে স্বাস্থ্যকর খাবার নিশ্চিত করা এবং কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে আধুনিক সুবিধা ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালু।
এর আগে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের নিচে তিন দফা দাবিতে অনশন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। অনশনে অংশ নেয় বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস), ছাত্র অধিকার পরিষদ ও ছাত্রদলসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
প্রতিষ্ঠার প্রায় দুই দশক পর এবারই প্রথমবারের মতো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে জকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা হলো। কিন্তু ঘোষণায় অস্পষ্টতা ও শর্ত যুক্ত করার অভিযোগে অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা/লিমন/মেহেদী