গায়ক মাঈনুল আহসান নোবেলকে সোমবার দিবাগত রাতে গ্রেপ্তার করেছে ডেমরা থানা-পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে এক নারীকে সাত মাস ধরে একটি বাসায় আটকে রেখে ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়। আজ বিকেলে তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আরও পড়ুনঅপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় গায়ক নোবেল গ্রেপ্তার৬ ঘণ্টা আগে

ডেমরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, নোবেল এক নারীকে সাত মাস ধরে একটি বাসায় আটকে রেখে ধর্ষণ ও নির্যাতন করছিলেন। জাতীয় জরুরি সেবা ‘৯৯৯’ নম্বরে কল পেয়ে বাসাটি থেকে নারীকে উদ্ধার করা হয়। রাতেই ওই নারী মামলা করলে অভিযান চালিয়ে নোবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওসি মাহমুদুর রহমান আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে তাঁরা জানতে পেরেছেন, গত নভেম্বরে ইডেন কলেজের এক ছাত্রীকে গুলশানে দেখা করার কথা বলে ডেকে নেন নোবেল। তাঁকে বিয়ের প্রলোভন দেখান। পরে সাত মাস ডেমরার একটি বাসায় তাঁকে আটকে রাখেন তিনি। এই সময়ে তিনি ছাত্রীকে নির্যাতন ও ধর্ষণ করেন। এসব ঘটনা নিজের মুঠোফোনে ধারণ করেন। এই ভিডিও দিয়ে ছাত্রীকে তিনি ‘ব্ল্যাকমেল’ করছিলেন।

নোবেল.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

৩০ টাকার জন্য বন্ধুকে হত্যা

মমিন হোসেন (২০) ও রাকিব হোসেন (১৯) দুই বন্ধু। রাকিব পরিচ্ছন্নকর্মী আর মমিন দোকানের কর্মচারী। আম বিক্রির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে খুন হন মমিন। রাজধানীর মতিঝিল এজিবি কলোনির গাছ থেকে আম পাড়েন তারা। পরে সেই আম কলোনির বাজারে বিক্রি করে ৩০ টাকা কম–বেশি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে মমিনকে খুন করে রাকিব। সোমবার রাতে তাকে ময়মনসিংহ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার ডিএমপির মতিঝিল জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) হুসাইন মুহাম্মাদ ফারাবী এসব তথ্য জানিয়েছেন।

এসি হুসাইন মুহাম্মাদ ফারাবী বলেন, গত ১২ মে সন্ধ্যায় রাকিব, মমিন ও তাদের আরেক বন্ধু আলামিন মিলে এজিবি কলোনির আল হেলাল জোনের আম গাছ থেকে আম পাড়েন। পরে সেই আম এজিবি কলোনি কাঁচা বাজারে ৩৯০ টাকায় বিক্রি করেন তারা। টাকার একভাগ (১৩০ টাকা) নিয়ে আলামিন চলে যায়। বাকি ২৬০ টাকার মধ্যে রাকিব ৮০ টাকা খরচ করে। ওইদিন রাতে মতিঝিল পোস্টাল অফিসার্স কলোনির সামনে ময়লার ডাস্টবিনের পাশে মমিনকে আম বিক্রির ১০০ টাকা দেয়। তিনি ভাগের ৩০ টাকা দাবি করলে রাকিব ও মমিনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে তারা দু’জন বাড়ি চলে যায়। 

তিনি বলেন, পরের দিন একই স্থানে তাদের মধ্যে আবার টাকা নিয়ে মারামারির একপর্যায়ে রাকিব আম কাটার ছুরি দিয়ে মমিনের গলার আঘাত করে। মমিন রাস্তার উপরে পড়ে গেলে রাকিব ঢাকা মেডিকেলে কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক মমিনকে মৃত ঘোষণা করলে রাকিব লাশ ফেলে পালিয়ে গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ চলে যায়।

এসি বলেন, ওই ঘটনায় নিহত মমিনের বাবা ফিরোজ শেখ মতিঝিল রাকিবের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মতিঝিল থানার এসআই জুলহাস উদ্দিন ৭ দিনের মধ্যে রাকিবকে গ্রেপ্তার করেন। মঙ্গলবার আসামি রাকিবকে আদালতে তোলা হয়। আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

সম্পর্কিত নিবন্ধ