দুর্নীতির মামলায় জামিন না-মঞ্জুর সাধনচন্দ্র মজুমদারের
Published: 16th, March 2025 GMT
দুর্নীতির মামলায় সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধনচন্দ্র মজুমদারের জামিনের আবেদন না-মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রবিবার (১৬ মার্চ) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালতে সাধনচন্দ্র মজুমদারের পক্ষে অ্যাডভোকেট ফারজানা ইয়াসমিন রাখি জামিন চেয়ে আবেদন করেন। দুদকের পক্ষ থেকে জামিনের বিরোধীতা করা হয়।
শুনানি শেষে আদালত জামিনের আবেদন না-মঞ্জুর করেন।
সাধনচন্দ্র মজুমদারের আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন জামিন না-মঞ্জুরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত বছর ৩ অক্টোবর রাতে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে সাধনচন্দ্র মজুমদারকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ। এরপর তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।
এরপর ১৯ ডিসেম্বর সাধনচন্দ্র মজুমদারের বিরুদ্ধে ২৫ কোটি ৩৪ লাখ ৬৬ হাজার ২৬৮ টাকার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতির অভিযোগে মামলা দায়ের করেন দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া। গত ২৯ জানুয়ারি তাকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।
ঢাকা/মামুন//
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
হিরো আলমের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা
আলোচিত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমের বিরুদ্ধে ধর্ষণসহ মারধর করে গর্ভপাত ঘটানোর অভিযোগে মামলা করেছেন এক নারী। মামলায় হিরো আলমসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে। রবিবার (৪ মে) বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত-১ এ তিনি মামলা করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন, হিরো আলমের মেয়ে আলো বেগম, ব্যক্তিগত সহকারী আল আমিন, মালেক, স্ত্রী জেরিন এবং আহসান হাবাবী সেলিম। মামলার পর আদালতের বিচারক মো. আনোয়ারুল হক বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে তদন্তের জন্য বগুড়ার পিবিআই পুলিশ সুপারের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন।
আদালতে দায়েরকৃত মামলায় বাদির অভিযোগে বলা হয়েছে, ওই নারীকে অভিনয়ের সুযোগ দেয়ার আশ্বাস দিলে তিনি হিরো আলমের সঙ্গে ওঠাবসা শুরু করেন। এরপর এক সময় হিরো আলম তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। এর মধ্যে মৌলভী ডেকে এনে কবুল পড়িয়ে বিভিন্ন জায়গায় বাসা ভাড়া নিয়ে তারা সংসার করতে থাকেন। এরই মধ্যে শর্ট ফ্লিম তৈরির জন্য তার কাছ থেকে হিরো আলম ১৫ লাখ টাকা ধার নেন। পরে বিয়ের কাবিনের জন্য চাপ দিলে হিরো আলম গত ১৮ এপ্রিল ওই নারীকে বগুড়ার বাড়িতে নিয়ে আসেন এবং তাকে তার গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। কিন্তু ওই নারী গর্ভের সন্তান নষ্ট করতে রাজি না হলে অন্য আসামিরা গত ২১ এপ্রিল তাকে মারধর করলে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। এরপর ওই দিন তাকে বগুড়া শহরের একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হলে তার গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়। তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৪ এপ্রিল ভর্তি করা হলে সেখানে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত চিকিৎসা নেন।
আরো পড়ুন:
হাসনাতের উপর হামলা: থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা
ঝিনাইদহে মাদক মামলায় গ্রেপ্তার দম্পতি আদালতে
এ বিষয়ে হিরো আলম বলেন, ‘‘মামলার বিষয়ে আমি এখনো জানি না। তবে করলে করতে পারে। রিয়া চক্রান্ত করে করাতে পারেন। যেহেতু রিয়াকে আমি ডিভোর্স দিয়েছি, হয়ত তিনি চাচ্ছেন এরকম মামলা দিয়ে আমাকে আটকাতে। এ সব বিষয়ে কথা বলতে আমি আপনাদের খুব শিগগির ডাকবো।’’
বগুড়া পিবিআইর ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক জাহিদ হোসেন জানান, মামলার কাগজপত্র এখনো তাদের কাছে আসেনি। আগামীকাল এ বিষয়ে খোঁজ নেবেন।
ঢাকা/এনাম/বকুল