নারায়ণগঞ্জ মহানগরী জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মুহাম্মদ জামাল হোসাইন বলেন, বাংলাদেশে আল্লাহর আইন ও কোরআনের শাসন কায়েমে যুব সমাজের ভূমিকা অপরিসীম।

প্রতিটা পরিবর্তনের যুব সমাজকে ভূমিকা রাখতে হয়েছে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের ছায়াতলে এসে যুবকরা হযরত ওমর (রা:) মত নেতৃত্ব দিয়ে  সমাজ গঠন করলে বাংলাদেশের শান্তি ও শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। 

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সিদ্ধিরগঞ্জ উত্তর ও দক্ষিন দুইটি থানার আদর্শ নগর সাংগঠনিক ওয়ার্ডের যুব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শনিবার বিকালে সিদ্ধিরগঞ্জ রসূলবাগ আহসানুল একাডেমী মিলনায়তনে এ যুব সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আগামী নির্বাচনে বাংলাদেশে সৎ ও যোগ্য খোদাভীরু নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় যুবকদেরকে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী যুবকদের সমন্বয়ে আগামী দিনে আল্লাহর আইনের সৎ লোকের শাসন কায়েমে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে ইনশাআল্লাহ। 

তিনি আরও বলেন জামায়াতে ইসলামীর উপর অত্যাচার জুলুম-নিপীড়ন যত বেড়েছে বাংলাদেশের মানুষের  হৃদয়ে  জামায়াতে ইসলামী তত গভীরে পৌঁছে গেছে । একটি সুখী সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার জন্য যুবকদেরকে জামায়াতে ইসলামীর ছায়াতলে এসে ভূমিকা রাখতে আহ্বান জানান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মোঃ সাইদুল হক, মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম, মোহাম্মদ আব্দুল কুদ্দুস, আব্দুস সালাম, শহিদুল ইসলাম ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। 
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ব ল দ শ জ ম য ত ইসল ম ন র য়ণগঞ জ আল ল হ ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

ক্যারিবীয় জাহাজে আবারো যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, নিহত ৩

ক্যারিবীয় সাগরে একটি জাহাজে আবারো হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী। এতে জাহাজটিতে থাকা অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ। 

রবিবার (২ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।

আরো পড়ুন:

নাইজেরিয়ায় হামলার হুমকি ট্রাম্পের

কানাডার সঙ্গে আলোচনায় না বসার ঘোষণা ট্রাম্পের

শনিবার গভীর রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে হেগসেথ বলেন, “মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে এই অভিযান পরিচালিত হয়েছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ওই জাহাজটিকে অবৈধ মাদক চোরাচালানে জড়িত হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছিল।”

তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক জলসীমায় পরিচালিত এই হামলার সময় জাহাজটিতে ‘তিনজন পুরুষ মাদক-সন্ত্রাসী’ ছিলেন। তিনজনই নিহত হয়েছেন।” 

শনিবারের এই হামলার আগে গত বুধবার ক্যারিবীয় সাগরে আরো একটি জাহাজে মার্কিন বাহিনীর হামলায় চারজন নিহত হন। গত সোমবার মার্কিন হামলায় নিহত হন ১৪ জন।

মাদক পাচারের অভিযোগ তুলে সেপ্টেম্বর মাস থেকে এই অঞ্চলে সামরিক অভিযান শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই অভিযানে এখন পর্যন্ত ভেনেজুয়েলা ও কলম্বিয়ার নাগরিকসহ ৬২ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এছাড়া ১৪টি নৌযান এবং একটি সাবমেরিন ধ্বংস হয়েছে।

তবে নৌযানগুলো মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ যুক্তরাষ্ট্র এখনও দেয়নি।  ফলে হামলার বৈধতা নিয়ে ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে। কিছু আইনজীবী যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছেন। কলম্বিয়া এবং ভেনেজুয়েলার মতো প্রতিবেশী দেশগুলো এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে।

ভেনেজুয়েলা বলছে, যুক্তরাষ্ট্র দেশটির বিরুদ্ধে ‘অঘোষিত যুদ্ধ’ শুরু করেছে। ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, দেশটি মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপের যেকোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে লড়াই করবে।

যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে ক্যারিবীয় অঞ্চলে সাতটি যুদ্ধজাহাজ, একটি সাবমেরিন, ড্রোন এবং যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে এবং মেক্সিকো উপসাগরে মোতায়েন করেছে আরেকটি যুদ্ধজাহাজ।

ট্রাম্প প্রশাসন মাদক চোরাচালানকারী নৌযানের ওপর তাদের হামলাকে ‘আত্মরক্ষামূলক পদক্ষেপ’ হিসেবে অভিহিত করেছে। 

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের নৌযান সাধারণত আটক করা হয় ও ক্রুদের গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক মার্কিন অভিযানগুলোতে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পুরো নৌকা ধ্বংস করা হচ্ছে। জাতিসংঘ-নিযুক্ত মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা এই অভিযানগুলোকে ‘বিচারবহির্ভূত মৃত্যুদণ্ড’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ