বগুড়ায় জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নিহত রিকশাচালক আবদুল মান্নান হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামি ঝুমুর সরকারকে (৩৭) গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে জেলার শেরপুর উপজেলার ধুনট থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ঝুমুর সরকার বগুড়া শহরের চক সূত্রাপুর কসাইপাড়া এলাকার মজিবর রহমান সরকারের ছেলে। তিনি দুদকের মামলায় ১৩ বছরের কারাদণ্ড পাওয়া বগুড়ার যুবলীগ নেতা ও সাবেক কাউন্সিলর আবদুল মতিন সরকার এবং আলোচিত শ্রমিক লীগ নেতা তুফান সরকারের ভাই। ঝুমুর হত্যা, মাদক, অপহরণসহ এক ডজন মামলার আসামি বলে পুলিশ জানিয়েছে।

বগুড়া ডিবির ইনচার্জ ইকবাল বাহার বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বগুড়া সদর উপজেলার এরুলিয়া ইউনিয়নের বানদীঘি পূর্বপাড়া গ্রামের রিকশাচালক আবদুল মান্নানকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় গত ১১ সেপ্টেম্বর সদর থানায় নিহতের ছেলে রানা হামিদ মামলা করেন। মামলায় আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১২২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। মামলায় আবদুল মতিন সরকার ও তাঁর ভাই ঝুমুর সরকার এজাহারনামীয় আসামি। ৫ আগস্টের পর থেকেই তাঁরা পলাতক ছিলেন।

ইকবাল বাহার বলেন, ঝুমুর সরকারের বিরুদ্ধে হত্যা, মাদক, অপহরণ, চাঁদাবাজি, মারধরসহ অন্তত ডজনখানেক মামলা তদন্তাধীন ও আদালতে বিচারাধীন। তাঁকে আবদুল মান্নান হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মামলার সংক্ষিপ্ত এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৪ আগস্ট বেলা একটার দিকে বগুড়া শহরের প্রধান সড়কে বড়গোলা ট্রাফিক মোড় এলাকায় ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে রিভলবার, পিস্তল, বন্দুক, আগ্নেয়াস্ত্র, ককটেল ও দেশি অস্ত্র নিয়ে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালানো হয়। এ সময় ককটেল ও পেট্রলবোমা হামলাও করা হয়। এ সময় বগুড়া পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা আবদুল মতিন সরকারের হাতে থাকা পিস্তলের গুলি রিকশাচালক আবদুল মান্নানের হৃৎপিণ্ডে বিদ্ধ হয়। এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এ সময় ছাত্র-জনতা হামলাকারী অন্য আসামিদের ধাওয়া দিলে তাঁরা চলে যান। পরে স্থানীয় লোকজন গুলিবিদ্ধ আবদুল মান্নানকে উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আবদ ল ম ন ন ন ঝ ম র সরক র ছ ত র জনত ন সরক র সরক র র

এছাড়াও পড়ুন:

স্মার্টফোনে কী ভাইরাস ঘুরছে কতটা ঝুঁকিপূর্ণ

বাসা বা দপ্তরে ব্যবহৃত কম্পিউটারে ভাইরাস বা ম্যালওয়ারের আক্রমণ হতে পারে কারণ ছাড়াই। স্মার্ট ডিভাইসে হুটহাট ভাইরাস ঢুকে পড়ার কথা কমবেশি সবারই জানা; দ্রুত যা ভয়ংকর হয়ে যেতে পারে। সক্রিয় এমন বেশ কিছু ম্যালওয়ারের সরব উপস্থিতি নেটিদুনিয়ায় সব সময়ই দৃশ্যমান হয়; যার উপস্থিতি শুধু পিসিতে নয়, স্মার্টফোনও যার লক্ষ্য।
নতুন করে দুশ্চিন্তার কারণ, একবার আক্রমণের সফল হলে ক্ষতি হবে নিশ্চিত। তাই স্মার্টফোন ব্যবহারে যথাযথ সাবধানতার আপতত কোনো বিকল্প দেখছেন না প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা। ব্যক্তিগত তথ্য চুরির সঙ্গে ফোনে ধীরগতি, দ্রুত ব্যাটারি ফুরিয়ে যাওয়া, গরম হয়ে যাওয়ার পেছনে কাজ করে বহুল আলোচিত তিনটি সুপারম্যালওয়ার। উল্লিখিত ম্যালওয়ার থেকে থাকতে হবে সতর্ক। যেমন– ডার্কগেট, ইমোটেট ও লোকিবট। নামে কিউট হলেও ম্যালওয়ার তিনটি কী পরিমাণ ক্ষতিকর তা শুধু ভুক্তভোগী উপলব্ধি করেছেন।
ইন্টারনেটের রঙিন দুনিয়ায় যেন আতঙ্ক ছড়াতে কাজ করছে উল্লিখিত তিনটি ছাড়াও হাজারো সুপারম্যালওয়ার। অসতর্কতার সুযোগে মুহূর্তে ডিভাইসে ক্ষতি করছে ম্যালওয়ারের আক্রমণ। প্রতিনিয়ত ঘটছে ব্যক্তিগত তথ্য চুরি, আর্থিক ক্ষতি বা সামাজিক সম্মানহানির মতো ঘটনা।
রাশিয়ান বহুজাতিক সাইবার নিরাপত্তা ও অ্যান্টিভাইরাস সেবাদাতা ক্যাসপারস্কি প্রকাশিত রিপোর্টে বিশেষ তিনটি সুপারম্যালওয়ারের কথা বলেছে, যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে তথ্য (ডেটা) চুরি করার জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। সুপারম্যালওয়ারের হাত থেকে বাঁচতে হলে তাদের গতিপ্রকৃতির বিষয়ে সুস্পষ্ট ধারণা থাকা প্রয়োজন।
সাধারণত ম্যালওয়ার আক্রমণের কারণে স্মার্টফোনে প্রথমেই ধীরগতি দৃশ্যমান হয়। সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়া ডিভাইসের চার্জ দ্রুত ফুরিয়ে যায়, ডিভাইস দ্রুত গরম হয়ে যায়। স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় অতিরিক্ত গরম হতে পারে ডিভাইসটি। উল্লিখিত বিষয়ের যে কোনোটি ঘটলে ডিভাইসের নিরাপত্তায় মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন। অসতর্ক হলে ঘটবে অনাকাঙ্ক্ষিত বিপদ।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ