সোনারগাঁয়ে অটো চুরির অপবাদ দিয়ে নির্যাতন, ৪ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ
Published: 10th, May 2025 GMT
সোনারগাঁও সাদিপুর ইউপি নানাখী পূর্ব পাড়া গুলনগর এলাকায় অটো চুরির অপবাদ দিয়ে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে রুমে বন্দী করে হাত পা বেঁধে মেরে আহত করে ৪ লাখ টাকা দাবি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এমনকি হাত পা ও মুখ বেধে জোর পূর্বক খালী ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে নিয়েছে এলাকার কিছু স্বার্থন্নেষী কুচক্রী মহল। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মোঃ সজিব মিয়ার স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার বাদী হয়ে ৫ জনকে বিবাদী ও ৮/১০ জনকে অজ্ঞাত করে স্থানীয় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।
থানা অভিযোগ সূত্রমতে, বাদী সুমাইয়ার স্বামী সবুজ মিয়া গাড়ি মেরামতের কাজ করে। তাই গত ০৩-০৫-২৫ইং তারিখ সন্ধার দিকে সজিব মিয়ার দুই বন্ধু তার বাড়িতে বেড়াতে আসে। নিজের বাসায় থাকার জায়গা না থাকায় পাশের বাড়ির বন্ধু নাসিরের বাড়িতে রাত্রী যাপন করে।
একই তারিখে দিবাগত রাতে গুলনগর এলাকার হাজ্বী মোসলেম মিয়ার গ্যারেজ হইতে কয়েকটি অটো চুরি হয়।
পরদিন ৪ মে সকাল আনুমানিক ১০ঘটিকার সময় বিবাদী(১) হাজ্বী মোসলেম উদ্দিন(৬০) পিতা অজ্ঞাত(২) মোঃ তাওলাদ হোসেন (৪০), (৩) রুবেল (৩৮) উভয় পিতা মোসলেম উদ্দিন (৪) বিল্লাল হোসেন (৪২), পিতা- বেনু মিয়া(৫) মোঃ ফারুক(৩৮),পিতা অজ্ঞাত সহ আরো অজ্ঞাতনামা ৮/১০ জন।
উভয় ঠিকানা গুলনগর, সাদিপুর, সোনারগাঁ, নারায়নগঞ্জ।বিবাদীগন পূর্বপরিকল্পিতভাবে বাদীর স্বামী মোঃ সজিব ও নাছিরকে রাস্তা হইতে ধরে নিয়ে ১নং বিবাদী মোসলেম উদ্দিনের বসত ঘরের রুমে নিয়ে আটক করে।
এরপর বিবাদীগন উপরোক্ত অটো চুরির অপবাদ দিয়ে হাত-পা ও চোঁখ বেধে স্টিলের পাইপ ও হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত আহত করে অটো চুরি করেছে বলে স্বীকার করতে বলে। তাতে সজিবের হাতে, পায়ে, পিঠে ও বুকসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিলাফোলা ও জখম হয়।
এমনকি বিবাদীরা নাছিরের পিতা হাজ্বী আব্দুল রহিমকে ডেকে নিয়ে কয়েকটি অলিখিত নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে তিন লক্ষ্য পঞ্চাশ হাজার (৩৫০,০০০/) ও আলাদা অন্য স্ট্যাম্পে পঞ্চাশ হাজার (৫০০০০/) টাকা ক্ষতিপূরণ বাবদ বিবাদীদের দিবে বলে স্বাক্ষর রাখে।
একই তারিখ বিকেল অনুমান ৩ ঘটিকার সময় ছাড়িয়া দেয়। পরে এলাকাবাসীর সহায়তায় সজলকে গুরতর / মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি করে। সজল মিয়া বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
এ বিষয়ে বিবাদী মোসলেম উদ্দিনের সাথে কথা বলতে চাইলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে সজলের স্ত্রী সুমাইয়ার দাবী সঠিক তদন্তের মাধ্যমে যেন বিবাদীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হয়।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
দুদকের ডাকে সাড়া দেননি স্বাস্থ্য উপদেষ্টার ২ পিও
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ডাকে সাড়া দেননি স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের সাবেক ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিও) তুহিন ফারাবি ও ডা. মাহমুদুল হাসান। এমনকি সময় বৃদ্ধির জন্য তারা কোনো আবেদন করেননি।
ক্ষমতার অপব্যবহার করে তদবির বাণিজ্য, চাঁদাবাজি, টেন্ডার বাণিজ্যসহ নানাবিধ দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে নামে-বেনামে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের তলব করে দুদক।
মঙ্গলবার (২০ মে) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হয়ে বক্তব্য প্রদানের কথা ছিল তাদের। তবে তারা কেউই হাজির হননি।
আরো পড়ুন:
সাবেক মেয়র খালেক ও তার স্ত্রীর বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা
গোপালগঞ্জে শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে দুদকের অভিযান
দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন বলেন, “তলবকৃত দুই ব্যক্তি আজ উপস্থিত হননি। এমনকি সময় বৃদ্ধির জন্য তারা কোনো আবেদনও করেননি। তাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল, তারা যদি এ সুযোগ না নেন এটা তাদের বিষয়।”
তিনি বলেন, “তাদের অনুপস্থিতির কারণে দুদকের অনুসন্ধান থেমে থাকবে না। দুদকের আইন ও বিধিমালা অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলমান থাকবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অনুসন্ধান শেষ হলে দুদকের টিম তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন জমা দেবে। প্রতিবেদনের আলোকে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের সাবেক ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিও) ছাত্র প্রতিনিধি তুহিন ফারাবিকে ২০ মে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়। এছাড়া এনসিপির সাবেক নেতা গাজী সালাউদ্দিন আহমেদ তানভীরকে ২১ মে এবং স্থানীয় সরকার ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সাবেক সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মোয়াজ্জেম হোসেনকে ২২ মে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মো. মোয়াজ্জেম হোসেন এবং উপদেষ্টা নুরজাহান বেগমের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিও) ছাত্র প্রতিনিধি তুহিন ফারাবিকে সম্প্রতি অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
সাবেক এপিএস মোয়াজ্জেম হোসেন ও সাবেক ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মোহাম্মদ তুহিন ফারাবির বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, তদবির বাণিজ্য, চাঁদাবাজি, টেন্ডার বাণিজ্যসহ নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে শত শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠে। অভিযোগ আমলে নিয়ে দুইজনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। এ জন্য আলাদা টিমও গঠন করা হয়েছে।
অন্যদিকে, জাতীয় নাগরিক পার্টির সাবেক যুগ্ম সদস্য সচিব গাজী সালাউদ্দীন তানভীরের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, তদবির বাণিজ্য, চাঁদাবাজি, টেন্ডার বাণিজ্যসহ নানাবিধ দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে নামে বেনামে শত শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠলে দুর্নীতি দমন কমিশন অভিযোগ আমলে নিয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়। তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য একটি টিম গঠন করা হয়েছে।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/মাসুদ