সোনারগাঁও সাদিপুর ইউপি নানাখী পূর্ব পাড়া গুলনগর এলাকায় অটো চুরির অপবাদ দিয়ে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে রুমে বন্দী করে হাত পা বেঁধে মেরে আহত করে ৪ লাখ টাকা দাবি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এমনকি হাত পা ও মুখ বেধে জোর পূর্বক  খালী ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে নিয়েছে এলাকার কিছু স্বার্থন্নেষী কুচক্রী মহল। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মোঃ সজিব মিয়ার স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার বাদী হয়ে ৫ জনকে বিবাদী ও ৮/১০ জনকে অজ্ঞাত করে স্থানীয় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।


থানা অভিযোগ সূত্রমতে, বাদী সুমাইয়ার স্বামী সবুজ মিয়া গাড়ি মেরামতের কাজ করে। তাই গত ০৩-০৫-২৫ইং তারিখ সন্ধার দিকে সজিব মিয়ার দুই বন্ধু তার বাড়িতে বেড়াতে আসে। নিজের বাসায় থাকার জায়গা না থাকায় পাশের বাড়ির বন্ধু নাসিরের বাড়িতে রাত্রী যাপন করে।

একই তারিখে দিবাগত রাতে গুলনগর এলাকার হাজ্বী  মোসলেম মিয়ার গ্যারেজ হইতে কয়েকটি অটো চুরি হয়।

পরদিন ৪ মে সকাল আনুমানিক ১০ঘটিকার সময় বিবাদী(১) হাজ্বী মোসলেম উদ্দিন(৬০) পিতা অজ্ঞাত(২) মোঃ তাওলাদ হোসেন (৪০), (৩) রুবেল (৩৮) উভয় পিতা মোসলেম উদ্দিন (৪) বিল্লাল হোসেন (৪২), পিতা- বেনু মিয়া(৫) মোঃ ফারুক(৩৮),পিতা অজ্ঞাত সহ আরো অজ্ঞাতনামা ৮/১০  জন।

উভয় ঠিকানা গুলনগর, সাদিপুর, সোনারগাঁ, নারায়নগঞ্জ।বিবাদীগন পূর্বপরিকল্পিতভাবে বাদীর স্বামী মোঃ সজিব ও নাছিরকে রাস্তা হইতে ধরে নিয়ে ১নং বিবাদী মোসলেম উদ্দিনের বসত ঘরের রুমে নিয়ে আটক করে।

এরপর বিবাদীগন উপরোক্ত অটো চুরির অপবাদ দিয়ে হাত-পা ও চোঁখ বেধে স্টিলের পাইপ ও হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত আহত করে অটো চুরি করেছে বলে স্বীকার করতে বলে। তাতে সজিবের হাতে, পায়ে, পিঠে ও বুকসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিলাফোলা ও জখম হয়।

এমনকি বিবাদীরা নাছিরের পিতা হাজ্বী আব্দুল রহিমকে ডেকে নিয়ে কয়েকটি অলিখিত নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে তিন লক্ষ্য পঞ্চাশ হাজার (৩৫০,০০০/) ও  আলাদা অন্য স্ট্যাম্পে পঞ্চাশ হাজার (৫০০০০/) টাকা ক্ষতিপূরণ বাবদ  বিবাদীদের দিবে বলে স্বাক্ষর রাখে।

একই তারিখ বিকেল অনুমান ৩ ঘটিকার সময় ছাড়িয়া দেয়। পরে এলাকাবাসীর সহায়তায় সজলকে গুরতর / মুমূর্ষু  অবস্থায়  উদ্ধার করে ঢাকা সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি করে। সজল মিয়া বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।

এ বিষয়ে বিবাদী মোসলেম উদ্দিনের সাথে কথা বলতে চাইলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে সজলের স্ত্রী সুমাইয়ার দাবী সঠিক তদন্তের মাধ্যমে যেন বিবাদীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হয়। 
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

আধুনিক টিভির যত আধুনিক সুবিধা

টেলিভিশনকে বাংলায় বলা হয় ‘দূরদর্শন’। মাত্র কয়েক বছর আগেও এটি সত্যিই ছিল দূরদর্শনের মাধ্যম—দূরের কোনো ঘটনা চোখের সামনে এনে দেওয়ার একটি যন্ত্র। কিন্তু সময়ের সঙ্গে বদলে গেছে টিভির সংজ্ঞা, উদ্দেশ্য ও ব্যবহার। প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রগতিতে আজকাল টিভি হয়ে উঠেছে একটি ‘স্মার্ট হাব’, যেখানে সিনেমা দেখা, গেম খেলা, ভিডিও কল করা, এমনকি বাড়ির অন্যান্য স্মার্ট ডিভাইসও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। আধুনিক টিভিগুলোর সুবিধা কেবল ছবি বা সাউন্ডে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এগুলো এখন ব্যবহারকারীদের এনে দিয়েছে একসঙ্গে বিনোদন, সংযোগ, যোগাযোগ ও নিয়ন্ত্রণের নতুন এক এক্সপেরিয়েন্স।

স্মার্ট অপারেটিং সিস্টেম

বর্তমান প্রজন্মের টিভিগুলো শুধু নাটক কিংবা সিনেমা দেখার একটি স্ক্রিন নয়, বরং একটি সম্পূর্ণ স্মার্ট ডিভাইস। স্মার্ট টিভিতে অপারেটিং সিস্টেম (ওএস) হিসেবে টাইজেন, অ্যান্ড্রয়েড টিভি, রোকু টিভি এবং ওয়েবওএস ইত্যাদি ব্যবহৃত হয়। এই সিস্টেমগুলোর মাধ্যমেই বর্তমান যুগের টিভিগুলো হয়ে উঠছে আধুনিক থেকে আধুনিকতর। ব্যবহারকারীরা এখন চাইলেই স্মার্ট টিভিগুলোতে নেটফ্লিক্স, ইউটিউব, স্পটিফাই, অ্যামাজন প্রাইম কিংবা যেকোনো ওটিটি প্ল্যাটফর্মও সরাসরি উপভোগ করতে পারেন।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ‘অ্যাপ স্টোর ইন্টিগ্রেশন’। টিভিতেই এখন মোবাইলের মতো অ্যাপ ডাউনলোড করে ব্যবহার করা যায়। ওয়েদার অ্যাপ, গেমস, নিউজ—এমনকি ভিডিও কনফারেন্সিং অ্যাপও ব্যবহার করা যায় টিভির বড় স্ক্রিনে।

ভয়েস কন্ট্রোল: কথা বলেই নিয়ন্ত্রণ

রিমোট খোঁজার ঝামেলা এখন যেন অতীত। আগে টিভির সবকিছু রিমোট দ্বারা পরিচালিত হলেও এখনকার আধুনিক টিভিগুলোতে আছে ভয়েস কন্ট্রোল—যেখানে ব্যবহারকারীর ভয়েস দ্বারাই টিভি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এই প্রযুক্তি বিক্সবি, গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট, অ্যালেক্সার মতো ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্টের মাধ্যমে কাজ করে। এর পাশাপাশি কিছু হাই-এন্ড মডেলে রয়েছে জেসচার কন্ট্রোল—যেখানে হাত নাড়লেই টিভি রেসপন্স করে। টিভি চালু-বন্ধ করা, চ্যানেল পরিবর্তন—এমনকি ভলিউম বাড়ানো-কমানোর মতো কাজও করা যায় হাতের ইশারায়। এ ক্ষেত্রে গ্যালাক্সি ওয়াচের কথা বলা যায়। এটি হাতের নড়াচড়াকে শনাক্ত করে এসব কমান্ড কার্যকর করে।

মাল্টি-ডিভাইস কানেকটিভিটি: এক স্ক্রিনে সব সংযোগ

বর্তমানে টিভি শুধু সম্প্রচার মাধ্যম নয়; এটি হয়ে উঠেছে একটি সেন্ট্রাল কন্ট্রোল ইউনিট। মোবাইল ফোন, স্পিকার, ল্যাপটপ, গেমিং কনসোল—সব ডিভাইস এখন টিভির সঙ্গে সহজেই সংযুক্ত করা যায়।

বেশির ভাগ স্মার্ট টিভিতে রয়েছে ওয়াই-ফাই, ব্লুটুথ, এইচডিএমআই এআরসি, এয়ার প্লে, মিরাকাস্টসহ বিভিন্ন সুবিধা। ফলে ব্যবহারকারী চাইলে নিজের ফোনের ছবি, ভিডিও বা প্রেজেন্টেশন মুহূর্তেই বড় স্ক্রিনে শেয়ার করতে পারেন। সেই সঙ্গে আধুনিক টিভিগুলোতে রয়েছে গেমারদের জন্য এইচডিএমআই ২.১ পোর্ট এবং কম ইনপুট ল্যাগযুক্ত ডিসপ্লে, যা গেমিং এক্সপেরিয়েন্সকে করে তোলে আরও স্মুথ।

আধুনিক টিভিগুলো ব্যবহারকারীদের এনে দিয়েছে একসঙ্গে বিনোদন, সংযোগ, যোগাযোগ ও নিয়ন্ত্রণের নতুন এক এক্সপেরিয়েন্স

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জামিনের পর মামলা নিয়ে মেহজাবীনের বিবৃতি
  • নাফাখুম ঝর্ণায় নিখোঁজ পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার 
  • আধুনিক টিভির যত আধুনিক সুবিধা
  • যুক্তরাষ্ট্রে দুই কিশোরের মৃত্যু: পেশি ক্ষয়রোগে থেরাপি ব্যবহারে গুরুতর সতর্কতা