2025-07-01@01:39:57 GMT
إجمالي نتائج البحث: 149
«আরব ইসর য় ল»:
ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর স্বাভাবিকভাবে বিশ্বের নজর এখন গাজায় যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনার দিকে। ইসরায়েল খাদ্য বিতরণের নামে মানুষ হত্যার যে অস্বাভাবিক প্রক্রিয়া চালু করেছে, তাতে বিশ্বনেতারাসহ মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো অসন্তুষ্ট। একটা কথা এসেছে, গাজার বর্তমান অবস্থার যে দৃশ্যপট, তা কোনো সিনেমায়ও তৈরি করা সম্ভব না। মানুষ হত্যার সবগুলো কৌশল এখানে সক্রিয়। এই অবস্থায় যুদ্ধবিরতির দিকে তাকিয়ে গোটা বিশ্ব। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি বলেছেন, এক সপ্তাহের মধ্যে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা সম্ভব। তার এই বক্তব্য বিশ্ববাসীকে আরও আশাবাদী করে তুলেছে। প্রশ্ন উঠেছে, যুদ্ধবিরতি কত দূর। গত সপ্তাহে নেতানিয়াহু মধ্যপ্রাচ্যে একটি ‘টেকটোনিক পরিবর্তন’ আনার ঘোষণা দেন। তিনি দাবি করেন, ইরান দুর্বল হয়ে পড়েছে। এই অবস্থায় আরও আরব রাষ্ট্রকে স্বাভাবিকীকরণ চুক্তির (ইসরায়েলকে স্বীকৃতি) আওতা বাড়ানোর সুযোগ তৈরি হয়েছে। তিনি ঘোষণা দেন, ‘আমরা...
গত ১৬ জুন সংবাদ সম্মেলনে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সাহসের সঙ্গে ঘোষণা করেন, ‘আমরা মধ্যপ্রাচ্যের চেহারা বদলে দিচ্ছি’। তারা প্রতিরোধ অক্ষের লক্ষ্যবস্তুতে একাধিক ফ্রন্টে আঘাত হানেন। নেতানিয়াহুর ‘পরিবর্তন’ শুরু হয় তিন দিন আগে তেহরান, এর সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় তীব্র হামলা এবং শীর্ষ সামরিক কমান্ডার ও পারমাণুবিজ্ঞানীদের হত্যার মাধ্যমে। তেহরানের সঙ্গে তেল আবিবের সরাসরি সংঘর্ষের উদ্দেশ্য ছিল, অঞ্চলটিকে বৃহত্তর যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দেওয়া, যা বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র ঘোষিত যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে স্থগিত রয়েছে। গত বুধবার দ্য ক্র্যাডলের বিশ্লেষণে এসব তথ্য উঠে আসে। এতে বলা হয়, পারস্য উপসাগরের আরব দেশগুলোর জন্য, বিশেষ করে ওয়াশিংটনের মিত্র যারা, তাদের সামনে একটি কঠোর বাস্তবতাকে উন্মোচিত করে–যদি তেল আবিব এ লড়াইয়ে প্রভাবশালী হয়ে ওঠে, তাহলে আরব বিশ্ব তার শেষ অর্থপূর্ণ প্রভাব হারাবে। গাজা, লেবানন, ইরাক ও ইয়েমেনে...
ইসরায়েল কয়েক যুগ ধরে মধ্যপ্রাচ্য ঘিরে ষড়যন্ত্রের এক নীলনকশা বাস্তবায়নের চেষ্টা করে আসছে। শেষ পর্যন্ত এবার তা দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে। ইরানে মার্কিন-ইসরায়েল উস্কানির বিপরীতে কাতারে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের হামলা এবং এর প্রতিক্রিয়ায় সেই সাফল্যের প্রতিচ্ছবি। দেড় কোটি ইহুদি আরবের ৩৫ কোটি মুসলমানকে আত্মঘাতী সংঘাতে লেলিয়ে দিল! যেখানে ব্যবহৃত হলো মার্কিন, রাশিয়ান আর চীনা সমরাস্ত্র। ইসরায়েল এবার আরব, ইউরোপ, এশিয়া, আমেরিকাকে তাদের পরিকল্পনামতো পরিচালনা করতে সক্ষম হয়। যদিও ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধবিরতি টানেন, কিন্তু ইসরায়েল সফলভাবেই মুসলিম উম্মাহকে ভাইয়ের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। ইসরায়েল যা পেরেছে, বিশ্বের আর কেউ অন্তত মার্কিন পরাশক্তিকে তাদের ঘাড়ে পা রেখে এভাবে আনুগত্যে বাধ্য করতে পারবে কিনা, সন্দেহ আছে। ৩৫ কোটি মুসলমানসহ গোটা বিশ্বের ধুরন্ধর শাসকদের ধুল খাওয়ানো ইসরায়েলই বিশ্ব-শাসক হওয়ার দাবিদার। ধীরে ধীরে আরব...
ইরানের প্রতিশোধমূলক হামলার আগে কাতারের আল উদেইদ ঘাঁটি থেকে বিমান ও ভারী সামরিক সরঞ্জাম সরিয়ে সৌদি আরবের বিভিন্ন ঘাঁটিতে নিয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্র। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘মিডল ইস্ট আই’ কাতারের একজন কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, এই পদক্ষেপ থেকে পরিষ্কার ধারণা করা যায়, যুক্তরাষ্ট্র জানে ইরান সৌদি আরবে হামলা চালাবে না।তাছাড়া সমন্বয় করে হামলার বিষয়টিও পরিষ্কার হয়, যাতে হামলার প্রভাব সীমিত রাখা যায়। ওই কর্মকর্তা জানান, যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে হামলা নিয়ে পরোক্ষভাবে সমন্বয় হয়েছে, যেখানে কাতার মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করেছে। রবিবার উভয় পক্ষ কাতারের মাধ্যমে যোগাযোগ করেছে। আরো পড়ুন: ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধবিরতিতে কাতারের ‘কূটনৈতিক বিজয়’ ন্যাটোর হেগ সম্মেলন: থাকছেন কারা? আলোচ্যসূচিতে প্রধান্য কীসে কীসে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সরঞ্জাম সৌদি আরবে স্থানান্তর এবং হামলার সময়সুচি ও পরিসর নিয়ে এই সমন্বয়ের খবর ইরানের পক্ষ থেকে উত্তেজনা প্রশমনের ইঙ্গিত...
কয়েক দিনের পাল্টাপাল্টি হামলার পর ইরান ও ইসরায়েল একটি সম্পূর্ণ ও সর্বাত্মক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইরান ও ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম থেকেও যুদ্ধবিরতি শুরুর খবর দেওয়া হয়েছে। তবে এর মধ্যেই ইসরায়েলে ইরানের হামলা চালানোর খবর আসছে।এ যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে হয়তো মধ্যপ্রাচ্যে আরেকটি সর্বাত্মক যুদ্ধের সম্ভাবনা এড়ানো সম্ভব হবে—১৩ জুন ইরানে ইসরায়েলের আকস্মিক হামলার মধ্য দিয়ে যে সংঘাতের সূচনা হয়েছিল।ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে যুক্তরাষ্ট্রও এই সংঘাতে সরাসরি জড়িয়ে পড়েছিল।প্রায় ১২ দিন ধরে চলা এ সংঘাতে বারবারই একটি নাম উচ্চারিত হয়েছে, সেটি হলো হরমুজ প্রণালি।ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে নৌপথে জ্বালানি, বিশেষ করে তেল পরিবহনের গুরুত্বপূর্ণ এ পথটি বন্ধ করে দেওয়ার কথা বিবেচনা করছে ইরান। দেশটির পার্লামেন্টও এ ধরনের পদক্ষেপে সমর্থন দিয়েছে।হরমুজ প্রণালি দিয়ে...
ইরান-ইসরায়েল পাল্টাপাল্টি হামলা শুরু হওয়ার পর বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে ঘরোয়া বাজারে দাম স্থিতিশীল রাখতে এবং ভবিষ্যতের চাহিদা মাথায় রেখে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে অপরিশোধিত তেলের আমদানি বাড়িয়েছে ভারত।১২ দিনের পাল্টাপাল্টি হামলার পর ইরান-ইসরায়েল শেষমেশ যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু এর মধ্যে তেলের বাজারে বড় ধরনের অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছিল। এমনকি ইরান তেল বাণিজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পথ হরমুজ প্রণালি বন্ধ করে দেবে, এমন হুমকি দিয়েছিল। এ বাস্তবতায় রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে তেল আমদানি বৃদ্ধি করে ভারত। খবর ইকোনমিক টাইমসের।বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে বাংলাদেশও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সামগ্রিকভাবে এই যুদ্ধ পরিস্থিতি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বহুমুখী নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এর মধ্যে সবচেয়ে তাৎক্ষণিক হবে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি এবং সে কারণে সৃষ্ট মূল্যস্ফীতির চাপ। এতে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয় বেড়ে...
কাতারে যুক্তরাষ্ট্রের আল-উদেইদ বিমানঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে ইরান। ইরানের তিনটি পরমাণু স্থাপনায় মার্কিন হামলার পর দুই দিন না পেরোতেই এই হামলা চালাল তেহরান। ইরান–ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাতের মধ্যে মার্কিন ঘাঁটিতে হামলায় মধ্যপ্রাচ্য সংকট আরও জটিল হলো। গতকাল সোমবার রাতে কাতারের মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার কথা জানায় ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড কোর (আইআরজিসি)। বিবৃতিতে আইআরজিসি বলেছে, ইরানের আঞ্চলিক অখণ্ডতা, সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তার ওপর হামলার জবাব দিতে কোনো পরিস্থিতিতেই ছাড় দেওয়া হবে না। এ হামলা ‘ভ্রাতৃপ্রতিম’ কাতার বা দেশটির জনগণের বিরুদ্ধে নয় বলে জানিয়েছে ইরানের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা পরিষদ। তারা বলেছে, আবাসিক এলাকা থেকে দূরের মার্কিন ঘাঁটিতে এই হামলা চালানো হয়েছে।ইরানের হামলার সময় কাতারে বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। এ সময় রাজধানী দোহার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। শহরের এক বাসিন্দা সিএনএনকে বলেন, ‘হামলার...
মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে শুরু হয়েছে তীব্র উত্তেজনা। ইরানে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর পরিস্থিতি কোনদিকে মোড় নেয় তা বোঝা যাচ্ছে না। তবে ধারণা করা হচ্ছে, সোমবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচির বৈঠকের পর বিষয়টি পরিষ্কার হবে। সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান রোববার একাধিক টেলিফোন আলাপ করেছেন উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের (জিসিসি) সদস্য দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে। ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর এবং ইসরায়েলের চলমান হামলার প্রেক্ষাপটে এই আলোচনা হয় বলে জানিয়েছে সৌদি প্রেস এজেন্সি। আলোচনায় অংশগ্রহণকারী জিসিসি নেতারা হলেন– বাহরাইনের বাদশা হামাদ বিন ঈসা আল-খলিফা, ওমানের সুলতান হাইথাম বিন তারিক, কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি, কুয়েতের আমির শেখ মিশাল আল-আহমদ আল-জাবের আল-সাবাহ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল-নাহিয়ান। আলোচনায় উঠে আসে ইরানে...
ইতিহাস বলছে, ১৯৪৮, ’৫৮, ’৬৭ ও ’৭৩ সালে আরব দেশগুলোর সঙ্গে যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন পরাশক্তি ইসরায়েলকে সাহায্য করেছিল। যে কারণে আরব দেশগুলোর পরাজয় ঘটেছিল। সামরিক সক্ষমতার তুলনামূলক বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, বিশ্বে ইরানের অবস্থান ১৪তম আর ইসরায়েল ১৭তম। সৈন্যসংখ্যার দিক দিয়ে ইরান ইসরায়েলের চেয়ে অনেক গুণ বড়। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতায় ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী প্রযুক্তিগত উৎকর্ষে অনেক এগিয়ে রয়েছে। ইসরায়েল এবার দেড় হাজার মাইল দূর থেকে ইরানে বিমান হামলা বেশি দিন চালাতে পারবে না। তবে তার আরেকটি শক্তি যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করেছে বলে দাবি করেছে। সে ক্ষেত্রে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র যৌথভাবে ক্রমাগত বিমান হামলা চালালে ইরানের অবকাঠামোগত দিক থেকে ব্যাপক ক্ষতি হবে, তা নিসন্দেহে বলা যায়।১৯৫৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ মোসাদ্দেককে উৎখাতের...
প্রায় এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ইসরায়েল ইরানের ওপর বোমা হামলা চালানোর পর অবশেষে যুক্তরাষ্ট্রও সরাসরি সংঘাতে জড়িয়েছে। তারা ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে আঘাত হেনেছে। এখন যুক্তরাষ্ট্রকে ইরানের প্রতিক্রিয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হচ্ছে। এই প্রতিক্রিয়া খুব শিগগির আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। মার্কিন হামলার পর ইরানি টেলিভিশনের এক উপস্থাপক মন্তব্য করেছেন, ‘মি. ট্রাম্প, আপনি শুরু করেছেন, শেষ করবে আমরা।’এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ইরান কীভাবে প্রতিশোধ নিতে পারে? সবচেয়ে সম্ভাব্য যে জবাবটি আসতে পারে, তা হলো অসামরিক যুদ্ধ কৌশল। এর মধ্যে থাকতে পারে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটিগুলোতে আক্রমণ বা ইরানের মিত্রগোষ্ঠীগুলোর মাধ্যমে পশ্চিমা দেশগুলোতে, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরেও সন্ত্রাসী হামলা।ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এই হামলা চালিয়ে একটি ‘খুব বড় লাল সীমা’ অতিক্রম করেছে। এখন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি যদি কোনো...
ইরানে ইসরায়েলের আক্রমণের সিদ্ধান্তটি মধ্যপ্রাচ্যে গভীর উত্তেজনা বৃদ্ধির সূচনাবিন্দু হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। এ আক্রমণ মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনীতিতে নতুন এবং আরও অস্থির অধ্যায়ের সূচনা করেছে।‘রাইজিং লায়ন’ নামে পরিচালিত ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের মধ্য দিয়ে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সরাসরি সংঘাত বাস্তবে রূপ পেল। ড্রোন ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ইরান পাল্টা জবাব দিচ্ছে। এ জবাব ইরানের জন্য শুধু প্রত্যাশিতই ছিল না, বরং দেশটির প্রতিরোধ সক্ষমতা ও জাতীয় মর্যাদার জন্য রাজনৈতিকভাবে অপরিহার্য ছিল।এ পরিস্থিতি এমন এক সহিংস সংঘাতের চক্র তৈরির হুমকি তৈরি করছে, যা দুই দেশকেই দীর্ঘমেয়াদি অস্থিরতার মধ্যে আটকে ফেলবে।আরও পড়ুনআরব দেশগুলো সাহস দেখানোর এই সুযোগ আর পাবে?২০ জুন ২০২৫ইসরায়েল তাদের হামলার যুক্তি হিসেবে বলছে যে ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা ধ্বংসের জন্য এটি একটি প্রতিরোধমূলক অভিযান। কিন্তু বিশ্লেষকদের এ ব্যাপারে যথেষ্ট সন্দেহ আছে যে...
ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) বৈঠকে যোগ দিতে তুরস্কে পৌঁছেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি। রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ইয়ং জার্নালিস্টস ক্লাব জানিয়েছে, আজ শনিবার এই বৈঠকে ৪০ জনেরও বেশি পররাষ্ট্রমন্ত্রী উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে। খবর আল জাজিরার তুরস্কের ইস্তানবুলে ২১-২২ জুন অনুষ্ঠিত হবে ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) ৫১তম পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক। আরাঘচি গতকাল শুক্রবার জেনেভায় ইউরোপীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করার পর আজ ওআইসি বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন। ইরানে ইসরায়েলি হামলার পর সংঘাত কমানোর প্রচেষ্টায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে দুইবার ফোনালাপ করেছেন বলে জানা গেছে। গতকাল ট্রাম্প ইসরায়েলকে ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান বন্ধ করার জন্য চাপ দেওয়ার সম্ভাবনাকে হালকা করে দেখিয়েছেন। তিনি কূটনৈতিক সমাধানের জন্য দুই সপ্তাহ সময় দিয়েছেন। এদিকে তুরস্কের ইস্তানবুল শহরে আজ শনিবার...
ইরানের ওপর ইসরায়েলের সামরিক হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দ্রুত এই উত্তেজনা থামানোর আহ্বান জানিয়েছে আরব লীগ। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড গোষ্ঠীটি বলেছে, এই ধরনের হামলা জাতিসংঘের সদস্য একটি দেশের সার্বভৌমত্বের স্পষ্ট লঙ্ঘন এবং পুরো অঞ্চলের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি। এক যৌথ বিবৃতিতে আরব পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বলেন, এই উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, তা নিশ্চিত করতে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিকভাবে উদ্যোগ নিতে হবে এবং একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতির জন্য কাজ করতে হবে। জরুরি এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় তুরস্কের ইস্তানবুলে। এই শহরেই ২১-২২ জুন অনুষ্ঠিত হচ্ছে ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)-এর ৫১তম পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক।
ইসরায়েল মূলত ইহুদি রাষ্ট্র। কিন্তু এই দেশে ইহুদিদের পরেই মুসলিমরা সংখ্যা গরিষ্ঠ। বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ইসরায়েলকে রাষ্ট্র হিসেবেই স্বীকৃতি দেয়নি। অর্থাৎ রাষ্ট্র হিসেবেই মানে না। শুধু বাংলাদেশ নয় বিশ্বের অনেক দেশই ইসরায়েলকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি। বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগের চেয়েও আয়তনে ছোট দেশ ইসরায়েল। এই ছোট দেশটি পৃথিবীর অন্যতম বৃহত্তম দেশ ইরানের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে। এদিকে আয়তনের দিক থেকে মধ্যপ্রাচ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ ইরান। ইসরায়েল এমন একটি দেশ যে দেশের মানুষের রয়েছে দীর্ঘ দুর্ভোগ পোহানোর ইতিহাস। যারা বিভিন্ন দেশ থেকে একত্রিত হয়ে নিজেদের জন্য আলাদা রাষ্ট্র গড়ে—এখন পৃথিবীর শক্তিধর দেশগুলোর একটিতে পরিণত হয়েছে। অটোমান সম্রাজ্যের পতন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রভাব আর ব্রিটিশ ম্যান্ডেটের কারণে ইসরায়েল ধীরে ধীরে রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। তারপরেও এই দেশের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়নি অনেক দেশ। এমনকি...
বেসামরিক পারমাণবিক স্থাপনায় সামরিক হামলা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে মন্তব্য করেছে সৌদি আরবের পারমাণবিক ও বিকিরণ নিয়ন্ত্রক কমিশন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ইরানের একাধিক পরমাণু স্থাপনায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিক্রিয়ায় এই মন্তব্য করেছে মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী দেশটি। আল জাজিরার লাইভ আপডেটে বলা হয়েছে, এক সপ্তাহ আগে হামলা শুরুর পর থেকে ইরানের একাধিক পারমাণবিক স্থাপনাকে টার্গেট করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার ইরানের খোন্দাব হেভি ওয়াটার রিসার্চ রিঅ্যাক্টরের ওপরও হামলা হয়েছে। বেসামরিক পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলের এমন হামলার পর সৌদি আরবের পারমাণবিক ও বিকিরণ নিয়ন্ত্রক কমিশন বলেছে, বেসামরিক পরমাণু স্থাপনায় সামরিক হামলা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) বলেছে, ইসরায়েলের হামলায় ইরানের খোন্দাব হেভি ওয়াটার রিসার্চ রিঅ্যাক্টর স্থাপনার মূল ভবনগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে, স্থাপনাটি নির্মাণাধীন হওয়ায় সেখানে কোনও ধরনের পারমাণবিক উপাদান ছিল না। যে কারণে সেখানে...
সব দিক থেকেই মনে হচ্ছে উপসাগরীয় রাষ্ট্রগুলো এক সন্ধিক্ষণে আছে। এই মুহূর্তে উপসাগরীয় রাষ্ট্রগুলোকে কৌশলগত প্রভাব বিস্তারের সুযোগ নিতে হবে। তা না হলে কেবল ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজই বাকি থাকবে। এক দশকের বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্র চেষ্টা করছে এই অঞ্চলে তাদের বেশি শক্তি খরচের জায়গা থেকে বের হয়ে আসতে। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে মোড় ঘোরানো (পিভট টু এশিয়া) নীতির প্রবক্তা। এর পর থেকে প্রতিটি মার্কিন প্রশাসন মধ্যপ্রাচ্য থেকে সরে আসার চেষ্টা করেছে। কিন্তু প্রতিবারই এই অঞ্চলে কোনো না কোনো সংকটে তারা আবার জড়িয়ে পড়েছে। অনেক সময় সেই সংকট তাদের তৈরি করা নয়। তা পুরোপুরি তাদের নিয়ন্ত্রণেও ছিল না।ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ শুরুতে কৌশলগতভাবে মধ্যপ্রাচ্য থেকে সরে আসার একটা বাস্তব সুযোগ তৈরি হয়েছিল। তাঁর প্রশাসন নব্য-রক্ষণশীল প্রভাব কমিয়ে ‘আমেরিকা ফার্স্ট’...
‘আমার প্রচণ্ড রাগ হচ্ছিল’—বলছিলেন ৬৭ বছর বয়সী আরব ইসরায়েল কাসেম আবু আল-হিজা। ইরানের ছোড়া একটা ক্ষেপণাস্ত্র গত শনিবার উত্তর ইসরায়েলের তামরা শহরে কাসেমের বাড়িতে আঘাত হেনেছিল। সিমেন্টের ছাদটা ভেঙে পড়েছিল ঘরের ভেতরেই। ওই এক হামলাতেই কাসেমের পরিবারের চারজন নিহত হয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, বাড়ির ভেতর থেকে বই, জামাকাপড়, বাচ্চাদের খেলনা, আর দেহের টুকরা অংশগুলো উড়ে এসে রাস্তায় পড়েছিল। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ছিলেন কাসেমের মেয়ে ৪৫ বছর বয়সী মানার খাতিব, দুই নাতনি ২০ বছরের শাদা আর ১৩ বছরের হালা আর তাদের ৪১ বছর বয়সী খালা মানাল খাতিব।তাঁরা সবাই একই সঙ্গে বাড়ির ভেতরেই কংক্রিটের ঢালাই করা একটা ঘরে আশ্রয় নিয়েছিলেন। কিন্তু ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রটা সরাসরি এসে পড়েছিল ওই ঘরেই।উত্তর ইসরায়েলের যে তামরা শহরে কাসেম ও তাঁর পরিবার থাকতেন, সেখানকার বেশির ভাগ বাসিন্দাই আরব।ওই চারজনের...
১. নিচের দেশগুলোর মধ্যে কোনটি পারমাণবিক অস্ত্র প্রসার রোধ চুক্তিতে কখনো স্বাক্ষর করেনি?ক. জার্মানিখ. উত্তর কোরিয়াগ. দক্ষিণ সুদানঘ. চীনউত্তর: গ. দক্ষিণ সুদান (ভারত, ইসরায়েল, পাকিস্তান এবং দক্ষিণ সুদান কখনো এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেনি। উত্তর কোরিয়া ২০০৩ সালে এই চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসে।)২. আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার বর্তমান মহাপরিচালক কে?ক. রাফায়েল মারিয়ানো গ্রোসিখ. ইউকিয়া আমানোগ. মোহাম্মদ এল বারাদিঘ. সিগভার্ড একলান্ডউত্তর : ক. রাফায়েল মারিয়ানো গ্রোসি৩. এমআই-৬ কোন দেশের গোয়েন্দা সংস্থা?ক. যুক্তরাষ্ট্রখ. যুক্তরাজ্যগ. জার্মানিঘ. ফ্রান্সউত্তর: খ. যুক্তরাজ্য (পুরো নাম সিক্রেট ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস—SIS, যা সাধারণত এমআই-৬ নামেই পরিচিত।)৪. AWACS এর পূর্ণরূপ কী?ক. Airborne Warning And Control Systemখ. Airborne Weapons And Combat Systemগ. Advanced Weaponry And Communication Systemঘ. Air Warfare And Command Systemউত্তর: ক. Airborne Warning And Control System৫. ২০২৪ সালে ‘কিংস তৃতীয় চার্লস...
মিসাইল একটি নির্দিষ্ট গতিপথ অনুসরণ করে চলে। একইভাবে রাষ্ট্রগুলোর নির্দিষ্ট গতিপথ আছে। গত কয়েক দিনের ইসরায়েলের হামলা ইরানের সেই গতিপথকে নাটকীয়ভাবে পাল্টে দিয়েছে।কিছু মানুষ মনে করেন, ইরান এরই মধ্যে পতনের বৃত্তে ঢুকে পড়েছিল এবং ইসরায়েলের এই হামলা শুধু সেই পতনকে আরও দ্রুততর করবে। গত সোমবার ইরানের নাগরিক সমাজের কয়েকজন বিশিষ্ট নেতা, যাঁদের মধ্যে নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী নার্গেস মোহাম্মদিও রয়েছেন, একটি মতামত কলামে লিখেছেন, ‘ইরান এবং এর জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার একমাত্র গ্রহণযোগ্য পথ হচ্ছে দেশটির বর্তমান শাসকদের পদত্যাগ।’এই দৃষ্টিভঙ্গিতে যুদ্ধকে যেন মুক্তি হিসেবেই দেখা হচ্ছে। ইসরায়েলি কর্মকর্তারাও খোলাখুলিভাবে বলছেন যে তাদের অভিযান ইরানে ‘শাসক পরিবর্তনে’ ভূমিকা রাখতে পারে। কিন্তু ইরানের পতন যদি এমনিতেই অনিবার্য হতো, তাহলে সাধারণ ইরানিরা কেন যুদ্ধ নিয়ে এত আতঙ্কিত কেন? কেন তাঁরা বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ‘ত্রাণকর্তা’...
পারস্য উপসাগরে যাওয়ার একমাত্র সামুদ্রিক প্রবেশপথ হরমুজ প্রণালি। এই প্রণালির একপাশে ইরান, অন্য পাশে ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত এবং ইরাকের মতো ওপেকভুক্ত দেশগুলোর তেল, এই প্রণালি দিয়েই পরিবাহিত হয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পৌঁছায়৷এমনকি কাতারও এই প্রণালীর ওপর নির্ভরশীল। ইরান-ইসরায়ের যুদ্ধ প্রসঙ্গে হরমুজ প্রণালি বন্ধ হতে পারে কিনা, এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা নানা মত দিচ্ছেন। কোনো কারণে হরমুজ প্রণালি বন্ধ হলে পুরো বিশ্বের জ্বালানির বাজারে তুমুল অস্থিরতা শুরু হবে। এই জের ধরে মধ্য প্রাচ্যজুড়ে সংঘাত ছড়িয়ে পড়তে পারে। হরমুজ প্রণালির সবচেয়ে সংকীর্ণ অংশ ৩৩ কিলোমিটার বা ২১ মাইল চওড়া। ওই অংশে শিপিং লেন মাত্র দুই মাইল করে৷ সেজন্য এই সরু অংশ অত্যন্ত ব্যস্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ৷ আরো পড়ুন: ইংল্যান্ড সফরে ভারতের টেস্ট...
ইসরায়েলকে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ‘অবিনশ্বর জাহাজ’ বলা হয়। কিন্তু ইরানের ভয়ংকর নিখুঁত ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ইসরায়েলের বিখ্যাত ‘আয়রন ডোম’ ভেদ করে সেই জাহাজের গায়ে আঘাত হেনেছে। ইরানের জন্য হুমকি হিসেবে এ যুদ্ধ শুরু হয়েছিল, কিন্তু এখন তা উল্টো ইসরায়েলের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইসরায়েলের বৃহস্পতিবার রাতের হামলার জবাবে ইরানের প্রতিক্রিয়ায় পশ্চিমারা হতবাক হয়ে গেছে।ডোনাল্ড ট্রাম্প গর্ব করে বলে থাকেন, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের সেরা সামরিক সরঞ্জাম তৈরি করে আর ইসরায়েলকে সেই সরঞ্জাম দেওয়া হয়েছে। তবে ইরানের সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, ইসরায়েলের ব্যবহৃত দুই বা তিনটি মার্কিন এফ-৩৫ স্টিলথ জেট ইতিমধ্যে ধ্বংস হয়েছে। এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। তবে যদি একটি জেটও ইরান ধ্বংস করে থাকে, তাহলে সেটি নিঃসন্দেহে পশ্চিমা সমর প্রকৌশলীদের এবং ট্রাম্পের জন্য অপমানজনক ব্যাপার হবে।আরও পড়ুনইরানে হামলা ইসরায়েলের জন্য কৌশলগত বিপর্যয় ডেকে আনবে ১৭...
সামার আল-রাশেদের বয়স ২৯ বছর। পাঁচ বছরের মেয়েকে একাই বড় করছেন তিনি। থাকেন ইসরায়েলের একর এলাকার কাছে একটি অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সে। তাঁর প্রতিবেশীদের অধিকাংশই ইহুদি।গত শুক্রবার ইরানের সম্ভাব্য ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সতর্কতা হিসেবে যখন তীব্র শব্দে সাইরেন বাজছিল, তখন বাড়িতেই ছিলেন সামার ও তাঁর মেয়ে জিহান।সাইরেন বাজা শুরু হলে আতঙ্কিত সামার মেয়ের হাত ধরে ভবনের আশ্রয়কেন্দ্রের (বাংকার) দিকে দৌড়াতে শুরু করেন। অন্য বাসিন্দারাও সেদিকে ছুটছিলেন তখন।ওই সময়ের কথা মনে করে সামার বলেন, ‘আমি কিছু গুছিয়ে নেওয়ার সময় পাইনি। শুধু পানি, আমাদের ফোন ও মেয়ের হাত ধরে ছুটতে থাকি।’আরও পড়ুনইরান ও ইসরায়েল: আক্রমণ ও প্রতিরক্ষা সক্ষমতায় কে এগিয়ে১৩ জুন ২০২৫আতঙ্কিত সামার নিজের ভয় লুকিয়ে রেখে মেয়েকে শান্ত রাখার চেষ্টা করছিলেন। নরম গলায় আরবি ভাষায় মেয়েকে ধৈর্য ধরতে বলছিলেন, যেন তাঁরা একসঙ্গে দ্রুতপায়ে আশ্রয়কেন্দ্রের...
ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র মিশরসহ ২১টি মুসলিম দেশ। নিন্দা জানানোর পাশাপাশি উত্তেজনা হ্রাস এবং পরমাণু প্রকল্প বন্ধেরও আহ্বান জানিয়েছে দেশগুলো। মঙ্গলবার মিশরের সরকারি বার্তা সংস্থা (মেনা) এর বরাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা ও সিএনএন। চিঠিতে স্বাক্ষরকারী দেশগুলো হলো- মিশর, আলজেরিয়া, বাহরাইন, ব্রুনেই, চাদ, কমোরোস, জিবুতি, গাম্বিয়া, ইরাক, জর্ডান, কুয়েত, লিবিয়া, মৌরিতানিয়া, ওমান, পাকিস্তান, কাতার, সৌদি আরব, সুদান, সোমালিয়া, তুরস্ক এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত। দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ওই বিবৃতিতে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। খোলা চিঠিতে বলা হয়েছে, ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যে সংঘাত শুরু হয়েছে— তা পুরো মধ্যপ্রাচ্যে ছড়িয়ে পড়ার সমূহ আশঙ্কা রয়েছে এবং এখন জরুরিভিত্তিতে যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন। তারা চান, মধ্যপ্রাচ্য যেন পরমাণু অস্ত্রমুক্ত থাকে এবং এই অঞ্চলের সব...
দুটি লক্ষ্য নিয়ে ইরানে হামলা করেছে ইসরায়েল। একটি হলো পারমাণবিক কর্মসূচি ধ্বংস করা, অন্যটি সরকার পরিবর্তন। এই দুই লক্ষ্য সামনে রেখে ইসরায়েল পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে। বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর এই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন সম্ভব কিনা, তা নিয়ে বিশ্লেষণ করেছে দ্য কনভার্সেশন। নেতানিয়াহু ঘোষণা দিয়েছেন, ইরানে হামলা দুই সপ্তাহ স্থায়ী হতে পারে। এ সময়সীমা একটি কারণে সুনির্দিষ্ট বলে মনে হচ্ছে। তা হলো, ইসরায়েলি গোয়েন্দারা নিখুঁত ছকে ধাপে ধাপে অভিযানের পরিকল্পনা তৈরি করেছে। প্রথম হামলায় ইরানের শীর্ষ সামরিক ও বৈজ্ঞানিক নেতৃত্ব ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পরমাণু বিজ্ঞানীরা নিহত হওয়ায় ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি হুমকির মুখে পড়েছে। অন্যদিকে শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের হত্যা এবং বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে দিয়ে ইসরায়েল সহজে ইরানি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম হচ্ছে। নেতানিয়াহু দেশটির সুরক্ষিত...
সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান গতকাল শনিবার ফোনে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের সঙ্গে কথা বলেছেন। এ সময় তিনি ইরানি প্রেসিডেন্টকে বলেছেন, ইরানে ইসরায়েলের হামলার নিন্দা জানাচ্ছে সৌদি আরব।সৌদি প্রেস এজেন্সির (এসপিএ) খবরে বলা হয়, ইরানের প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানকে যুবরাজ বলেন, এ হামলা ইরানের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি এবং তা আন্তর্জাতিক আইন ও নিয়মের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ আরও বলেন, ইসরায়েলের এ হামলা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে চলমান আলোচনাকে বাধাগ্রস্ত করেছে এবং উত্তেজনা প্রশমনে কূটনৈতিক সমাধানে পৌঁছার প্রচেষ্টাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।মোহাম্মদ বিন সালমান জোর দিয়ে বলেন, সৌদি আরব সব সময় শক্তি প্রয়োগের বিরোধী এবং সমস্যা সমাধানে সংলাপকে প্রধান পথ হিসেবে দেখতে চায়।গত শুক্রবার ইসরায়েল ইরানে নজিরবিহীন হামলা চালায়। ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইরানের শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা, পরমাণুবিজ্ঞানী ও অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা নিহত...
বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি রপ্তানি পথ হরমুজ প্রণালি বন্ধ করে দিতে পারে ইরান। দেশটির এক আইনপ্রণেতার এমন মন্তব্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। ইরান সত্যিই প্রণালিটি বন্ধ করলে বিশ্বজুড়ে তেলের দাম আকাশছোঁয়া হতে পারে। ইরানের সঙ্গে ইসরায়েলের চলমান সংঘাতের মধ্যে প্রভাবশালী আইনপ্রণেতা ইসমাইল কোসারি ইরানি বার্তা সংস্থা আইআরআইএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেছেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, এমন সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে শুধু জ্বালানির বাজারে অস্থিরতা নয়, পুরো মধ্যপ্রাচ্যেই সংঘাত ছড়িয়ে পড়তে পারে। খবর আল-জাজিরার হরমুজ প্রণালি পারস্য উপসাগরে যাওয়ার একমাত্র সামুদ্রিক প্রবেশপথ। এর এক পাশে ইরান, অন্য পাশে ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি তথ্য সংস্থা বলছে, বিশ্বের মোট জ্বালানি তেল সরবরাহের প্রায় ২০ শতাংশ এ পথ দিয়ে পরিবাহিত হয়। সংস্থাটি একে ‘বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তেল পরিবহন পথ’ বলে বর্ণনা করেছে। এ প্রণালি পারস্য...
ইসরায়েল-ইরানের পাল্টাপাল্টি হামলা চলতে থাকলে ইরান কি হরমুজ প্রণালি বন্ধ করে দেবে—এই প্রশ্ন এখন বাণিজ্য ও সমরবিশারদদের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে। তাঁরা মনে করছেন, এই হরমুজ প্রণালি ইরানের হাতে থাকা অদৃশ্য বোমার মতো। যদিও বিশ্লেষকেরা বলছেন, ইরানের পক্ষে হরমুজ প্রণালি বন্ধ করা সম্ভব নয়।ইরান এই প্রণালি বন্ধ করে দিলে তেলের দাম অনেকটাই বেড়ে যাবে, এবং সেই সঙ্গে, ইরান-ইসরায়েল চলমান যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হবে। তেলের দাম বাড়লে বিশ্বজুড়ে আবারও মূল্যস্ফীতি বাড়বে। ব্যাহত হবে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কার্যক্রম। খবর আল–জাজিরার।বৈশ্বিক তেল–বাণিজ্যের অপরিহরণীয় পথ হচ্ছে হরমুজ প্রণালি। এটা যে কেবল ইরানের জন্য ভৌগোলিক সুবিধা তা নয়, বরং এটি তাদের কৌশলগত অস্ত্র। ইরানের উপকূলঘেঁষা এই চ্যানেলের মাধ্যমে জ্বালানি তেলসমৃদ্ধ পারস্য উপসাগর ও আরব সাগর সংযুক্ত হয়েছে। শুধু ইরানই নয়, পারস্য উপসাগরের তীরবর্তী সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত,...
বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি রপ্তানি পথ হরমুজ প্রণালি বন্ধের বিষয়টি বিবেচনা করছে ইরান, দেশটির এক আইনপ্রণেতার এমন মন্তব্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। ইরান সত্যিই প্রণালিটি বন্ধ করলে বিশ্বজুড়ে তেলের দাম আকাশছোঁয়া হতে পারে। ইরানের সঙ্গে ইসরায়েলের চলমান সংঘাতের মধ্যে প্রভাবশালী আইনপ্রণেতা ইসমাইল কোসারি ইরানি বার্তা সংস্থা আইআরআইএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেছেন। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এমন সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে শুধু জ্বালানির বাজারে অস্থিরতা নয়, পুরো মধ্যপ্রাচ্যেই সংঘাত ছড়িয়ে পড়তে পারে। কৌশলগত জলপথটি কী ও কেনই-বা তা বিশ্ববাণিজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, সে বিষয়ে জানা যাক:হরমুজ প্রণালি কোথায়হরমুজ প্রণালি পারস্য উপসাগরে যাওয়ার একমাত্র সামুদ্রিক প্রবেশপথ। এর এক পাশে ইরান, অন্য পাশে ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি তথ্য সংস্থা বলছে, বিশ্বের মোট জ্বালানি তেল সরবরাহের প্রায় ২০ শতাংশ এ পথ দিয়ে পরিবাহিত হয়। সংস্থাটি একে ‘বিশ্বের...
ইসরায়েলের নজিরবিহীন হামলায় সামরিকভাবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে ইরান। হামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশ একক বা জোটগতভাবে ইসরায়েলের নিন্দা জানিয়েছে। কিন্তু হামাস, হিজবুল্লাহ ও হুতিদের মতো তেহরানের সহায়তাপুষ্ট সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর অবস্থা বেশ দুর্বল হওয়ায় ইতিহাসের চরম এই ক্রান্তিকালে দেশটি এই মিত্রদের কাছ থেকে উল্লেখযোগ্য কোনো সহায়তা পাচ্ছে না। চরম এই সংকটকালে উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশটিকে এখন বড় নিঃসঙ্গ মনে হচ্ছে।ইরানে গত শুক্রবার ভোররাতে ইসরায়েলের হামলার কয়েক ঘণ্টা পর এক বিবৃতিতে সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ভ্রাতৃপ্রতিম ইরানের ওপর ইসরায়েলের এই বর্বর হামলা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। ওমান, কাতার, কুয়েত ও বাহরাইনও প্রায় একই সুরে বিবৃতি দিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্য, বিশেষ করে আরব (পারস্য) উপসাগরীয় অঞ্চলের অনেক দেশ ইরানের বর্তমান শাসকদের পছন্দ করে না। প্রকাশ্যে তারা ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানালেও তাদের প্রকৃত চাওয়া...
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানকে ফোন করেছেন। এ সময় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইসরায়েলের হামলা-পাল্টা হামলাসহ সার্বিক পরিস্থিতি সৌদি যুবরাজকে জানান। খবর আল-জাজিরার ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ইরনার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাসুদ পেজেশকিয়ান সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানকে ফোন করে বলেন, ‘আমি রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এই অঞ্চলে শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং নিরাপত্তা জোরদার করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু ইহুদিবাদী সরকার (ইসরায়েল) আমরা যেখানে কিছু অর্জন করতে চেয়েছিলাম সেখানে প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যাঘাত ও নাশকতা সৃষ্টি করেছে।’ তবে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান এ সময় ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানকে কি বলেছেন সেই বিষয়ে কোনো তথ্য উল্লেখ করেনি আল-জাজিরা।
গত কয়েক দশক ধরেই ইরান এবং ইসরায়েলের মধ্যে বৈরি সম্পর্ক বিরাজ করছে। ইসরায়েলকে ‘শত্রু রাষ্ট্র' মনে করা ইরান দেশটিকে মানচিত্র থেকে মুছে দিতে চায়। পিছিয়ে নেই ইসরায়েলও। ইরানকে এই অঞ্চলে নিজেদের সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ বলে বিবেচনা করে ইসরায়েল। কিন্তু এই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক কি সবসময়ই এমন বৈরি ছিল? দুই দেশের রাজনৈতিক ইতিহাস অবশ্য ভিন্ন ইঙ্গিত দিচ্ছে। ইরান-ইসরায়েল যখন পরস্পরের বন্ধু ১৯৭৯ সালে ইরানের ইসলামিক বিপ্লবের আগ পর্যন্ত দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। যেমন, ১৯৪৮ সালে যখন ইসয়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়, তখন দেশটিকে প্রথম স্বীকৃতি দিয়েছিল ইরান। প্রতিষ্ঠার ওই সময়ে আরব রাষ্ট্রগুলোর সাথে বৈরিতায় টিকে থাকতে ইরানকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করে ইসরায়েল। একইভাবে আরব রাষ্ট্রগুলোর সাথে ইসরায়েলকে সাথে নিয়ে বৈরিতা মোকাবিলা করতে চায় ইরান। মজার বিষয় হলো, সেই সময়...
গোয়েন্দাদের মূল্যায়নে যখন সতর্ক করা হয়, ইরান কয়েক সপ্তাহের মধ্যে না হলেও কয়েক মাসের মধ্যে পারামাণবিক অস্ত্র উৎপাদন করতে পারবে, ঠিক তখনই ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে ইসরায়েল ব্যাপক মাত্রার বিমান হামলা চালায়। ইসরায়েলের বিমান হামলায় আক্রান্ত হয় নাতাঞ্জে; ইরানের প্রধান পারমাণবিক সমৃদ্ধিকরণ কেন্দ্র। ইসরায়েলের হামলায় নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ইরানের বিপ্লবী গার্ডের প্রধান হোসেইন সালামি, সামরিক বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ বাগেরি এবং দু’জন খ্যাতিমান পরমাণু বিজ্ঞানী। ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় ‘ব্যাপক শাস্তি’র অঙ্গীকার করেছেন। পারস্য উপসাগর ঘিরে ইসরায়েলের পরমাণু কেন্দ্র ও যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটিগুলোকে ইরান নিশানা করতে পারে। ইসরায়েল দাবি করেছে, তাদের হামলার কয়েক ঘণ্টার পরই ইরান ১০০ ড্রোন হামলা করেছে। ইসরায়েলের হামলার মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্য আবারও এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের সম্মুখীন, যার প্রভাব আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পর্যায়ে...
ইসরায়েলের হামলার পর কঠোর প্রতিশোধ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরান। দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি ইসরায়েলকে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে বলে হুমকিও দিয়েছেন। পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা ও ঊর্ধ্বতন সামরিক নেতাদের হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকার করে তিনি বলেন, এই গল্পের শেষ ইরানের হাতেই লেখা হবে। ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ করা মানে সিংহের লেজ নিয়ে খেলা করা। এই ধরনের হামলার মুখে ইরান পারমাণবিক বোমা তৈরির প্রয়োজন অনুভব করতে পারে বলেও সতর্ক করেন তিনি। পাল্টা হামলায় প্রাথমিকভাবে ইসরায়েলে ১০০ ড্রোন ছুড়েছে ইরান। প্রতিবেশী দেশ ইরাক জানিয়েছে, ইরানি ড্রোনগুলো তাদের আকাশসীমা অতিক্রম করে ইসরায়েলের দিকে ছুটে গেছে। তবে ইসরায়েল নিজ ভূখণ্ডের বাইরে এসব ড্রোন ঠেকিয়ে দেওয়ার দাবি করেছে। জর্দান জানিয়েছে, তাদের দেশে ইরানি ড্রোন বিস্ফোরণের আশঙ্কায় তারা আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে কিছু...
ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনায় আজ শুক্রবার ইসরায়েল হামলা চালানোয় মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা নাটকীয়ভাবে বেড়ে গেছে। এতে জ্বালানির তেলের জোগানে বিঘ্ন ঘটতে পারে, এমন আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ফলে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ছে। খবর বিবিসি ও রয়টার্সের। অপরিশোধিত তেল ব্রেন্ট ক্রুড ফিউচারস ৯ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ বা ৬ দশমিক ২৯ মার্কিন ডলার বেড়ে প্রতি ব্যারেলের দাম ৭৫ দশমিক ৬৫ ডলারে উঠেছে। একপর্যায়ে দাম ৭৮ দশমিক ৫০ ডলারে পৌঁছায়, যা গত ২৭ জানুয়ারির পর সর্বোচ্চ। এ ছাড়া মার্কিন ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ৬ দশমিক ৪৩ ডলার বা ৯ দশমিক ৪৫ শতাংশ বেড়ে ৭৪ দশমিক ৪৭ ডলারে উঠেছে। একপর্যায়ে দাম ৭৭ দশমিক ৬২ ডলারে উঠেছিল, যা কিনা ২১ জানুয়ারির পর সর্বোচ্চ।অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির মানে হচ্ছে দুনিয়াজুড়ে সুপারমার্কেটে খাবারের...
ইতালির প্রেসিডেন্ট সার্জিও মাত্তারেলা ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের মানবিক ও রাজনৈতিক সংকটকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে অভিহিত করেছেন। ক্রমবর্ধমান মানবিক সংকট মোকাবিলায় তিনি তাৎক্ষণিক আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ ও আরব দেশগুলোকে জড়িত করার আহ্বান জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১২ জুন) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলু। প্রতিবেদনে বলা হয়, ইতালির প্রেসিডেন্ট বুধবার (১১ জুন) লুক্সেমবার্গে একটি রাজনৈতিক আলোচনায় এসব মন্তব্য করেন। মাত্তারেলা বলেন, “গাজায় চলমান গুরুতর পরিস্থিতির সমাধানের জন্য আরব দেশগুলোকে জড়িত করে দ্রুত প্রতিফলন প্রয়োজন।” আরো পড়ুন: গাজায় নিহতের সংখ্যা ৫৫ হাজার ছাড়াল গাজা নীতির বিরোধিতাকারী পররাষ্ট্র কর্মকর্তাদের পদত্যাগ করতে বলল যুক্তরাজ্য ইতালির প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, “গাজায় অবিলম্বে একটি যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছাতে হবে এবং হামাস কর্তৃক সব জিম্মিকে মুক্তি দিতে হবে।” এদিকে, ইতালির মধ্যে আঞ্চলিক রাজনৈতিক পরিবর্তনগুলো মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। ইল টেম্পোর এক প্রতিবেদনে বলা...
গাজার বাসিন্দাদের সুরক্ষার জন্য উপত্যকাটিতে আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনের আহ্বান জানিয়েছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। গাজার শাসক গোষ্ঠী হামাসকে অবিলম্বে অস্ত্র সমর্পণ করতে হবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। আব্বাসের এক চিঠির বরাতে আজ মঙ্গলবার ফ্রান্সের পক্ষ থেকে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ ও সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে গতকাল সোমবার লেখা চিঠিতে এ কথা বলেন আব্বাস। ওই চিঠিতে গাজায় সহিংসতা বন্ধে প্রধান কিছু পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন তিনি। ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মনে করেন, ওই পদক্ষেপগুলো নেওয়া হলে যুদ্ধ বন্ধ হবে এবং মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফিরবে।চিঠিতে আব্বাস লেখেন, হামাস আর গাজা শাসন করতে পারবে না। ফিলিস্তিনের নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে তাদের অস্ত্র এবং সামরিক সক্ষমতা সমর্পণ করতে হবে। এ ছাড়া জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ম্যান্ডেট অনুযায়ী সুরক্ষা কর্মসূচির অংশ হিসেবে গাজায় আরব বা...
যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবসের (৪ জুলাই) এক মাস আগে দেশটি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব ভেটো (‘না’ ভোট) দিয়ে আটকে দেয়। প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, গাজায় সব পক্ষকে মেনে চলার জন্য ‘একটি স্থায়ী, নিঃশর্ত ও দ্রুত যুদ্ধবিরতির ঘোষণা’ দিতে হবে এবং হামাস ও অন্যান্য গোষ্ঠীর হাতে থাকা সব ইসরায়েলি বন্দীকে সম্মানজনকভাবে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে।নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যদেশের মধ্যে ১৪টি দেশ এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিলেও একমাত্র যুক্তরাষ্ট্র বিরোধিতা করায় সেটি বাতিল হয়ে যায়। প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছিল, গাজায় মানবিক ত্রাণ পৌঁছাতে যেসব বাধা আছে সেসব বাধা এবং গাজার ওপর আরোপ করা সব নিষেধাজ্ঞা তুলে দিতে হবে; জাতিসংঘ ও অন্যান্য সংস্থা যেন নিরাপদে বাধা ছাড়া ত্রাণ পৌঁছাতে পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে।এই ভেটোর ঘটনার প্রায় সঙ্গে সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও...
দুই বছর হতে চলল, গাজায় ইসরায়েলি ধ্বংসযজ্ঞ শেষ হওয়ার কোনো লক্ষণ নেই। আরব দেশগুলো মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজায় অত্যাধুনিক ‘ট্যুরিস্ট ডেস্টিনেশন’ বানানোর কথা বলে সুবিধা না করতে পেরে অন্য বিষয়ে মন দিয়েছেন। দু-চারটি ইউরোপীয় দেশ মুখে নরম-গরম কথা বললেও গণহত্যা বন্ধে ইসরায়েলের ওপর কার্যকর চাপ সৃষ্টির কোনো লক্ষণীয় উদ্যোগ নেই। জাতিসংঘ মহাসচিব অনেক কথা বলছেন বটে, কিন্তু সে কথা বাস্তবায়নের কোনো শক্তি তাঁর নেই। এই অবস্থায় গাজাবাসীর মরা ভিন্ন আর কী পথ আছে?পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ, তার একটি ছবি মিলেছে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের পাঠানো এক সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে। তাতে ইসলাম আবু তাইয়েমা নামের একজন মা ও তাঁর ৯ বছরের মেয়ের কথা বলা হয়েছে। আবু তাইয়েমা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক ডিগ্রি নিয়েছেন। গাজায় যুদ্ধ শুরুর আগে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক...
ছবি: ইন্টারন্যাশনালে Saudi Arab নামে রাখা আছে ক্যাপশন: সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল–সৌদ জর্ডানের আম্মানে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অংশ নেন। ১ জুন ২০২৫ ছবি: রয়টার্স সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল-সৌদ বলেছেন, আরব মন্ত্রীদের প্রতিনিধিদলকে পশ্চিম তীরে ঢুকতে না দিয়ে ইসরায়েল প্রমাণ করেছে যে তারা চরমপন্থী ও শান্তি চায় না।আম্মানে জর্ডান, মিসর ও বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকের পর এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেছেন। তাঁদের সবার আরবের একটি মধ্যস্থতাকারী দলের অংশ হিসেবে রামাল্লায় ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ইসরায়েল বাধা দেওয়ায় তাঁরা সেখানে যেতে পারেননি।প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল-সৌদ বলেন, ‘প্রতিনিধিদলকে পশ্চিম তীরে যেতে না দিয়ে ইসরায়েল তাদের চরমপন্থা দেখিয়ে দিয়েছে। দেশটি বুঝিয়ে দিয়েছে তারা শান্তিপূর্ণ...
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে অধিকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লায় নির্ধারিত বৈঠকে অংশ নিতে চাওয়া পাঁচ আরব দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সফর আটকে দিয়েছে ইসরায়েল। আজ শনিবার এই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট দেশের নেতারা।জর্ডানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আগামীকাল রোববার রামাল্লায় ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে যোগ দিতে যাওয়া প্রতিনিধিদলের সফর আটকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণযোগ্য নয়, আমরা এর নিন্দা জানাই।’আরও পড়ুনপশ্চিম তীরে আরও ২২টি বসতি স্থাপনের ঘোষণা ইসরায়েলের২৯ মে ২০২৫সৌদি আরব, মিসর, জর্ডান, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ওই সফরে অংশ নেওয়ার কথা ছিল। তাঁদের সঙ্গে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আরব লিগের মহাসচিবেরও থাকার কথা ছিল।ইসরায়েল গতকাল শুক্রবার রাতে ঘোষণা দেয়, তারা [আরব পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের] সফরে কোনো ধরনের সহযোগিতা করবে না। অধিকৃত পশ্চিম তীরের স্থল ও আকাশপথের নিয়ন্ত্রণ ইসরায়েলের হাতে থাকায় দেশটির অনুমতি...
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে আলোচনার প্রস্তাবকে গুরুত্বের সাথে না নিলে ইরানকে ইসরায়েলের সাথে যুদ্ধে জড়াতে হতে পারে। সৌদি আরবের প্রতিরক্ষামন্ত্রী গত মাসে তেহরানে ইরানি কর্মকর্তাদের এই সতর্কবার্তা দিয়েছেন। শুক্রবার রয়টার্স এক বিশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। সৌদি আরবের ৮৯ বছর বয়সী বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ তার ছেলে প্রিন্স খালিদ বিন সালমানকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির কাছে সতর্কবার্তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য পাঠিয়েছিলেন। সরকারি মহলের ঘনিষ্ঠ দুটি উপসাগরীয় সূত্র এবং দুই ইরানি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ১৭ এপ্রিল তেহরানে প্রেসিডেন্ট ভবনে অনুষ্ঠিত রুদ্ধদ্বার বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান, সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি। ৩৭ বছর বয়সী যুবরাজের সফর সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত হলেও, বাদশাহ সালমানের গোপন বার্তার বিষয়বস্তু আগে প্রকাশিত হয়নি।...
গত শতাব্দীর মাঝামাঝি থেকে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক মানচিত্রে সবচেয়ে জটিল ও রক্তাক্ত অধ্যায়গুলোর একটি রচিত হয়েছে ফিলিস্তিন ভূখণ্ডকে ঘিরে। ১৯৪৭ সালে জাতিসংঘের বিভাজন প্রস্তাব থেকে শুরু করে লাখো ফিলিস্তিনির নির্বাসন, যুদ্ধ, সংঘাত ও প্রতিরোধের কেন্দ্রে রয়েছে একটি চিরন্তন আকাঙ্ক্ষা—নিজের ভূখণ্ডে মাথা তুলে স্বাধীনভাবে বাঁচার অধিকার।এই আকাঙ্ক্ষা থেকেই জন্ম নেয় প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন (পিএলও)। অনেকেই মনে করেন, পিএলও ফিলিস্তিনিদের প্রকৃত স্বাধীনতা ও মুক্তির লক্ষ্যে যথাযথভাবে এগিয়ে যেতে পারেনি, বরং নিজেদের স্বার্থে আন্তর্জাতিক সমঝোতার পথে এমন সব আপস করেছে, যা জনগণের চাওয়া থেকে অনেক দূরে। সময়ের বাস্তবতায় পিএলও অনেকটাই জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন, ক্ষমতাহীন ও প্রতীকী একটি কাঠামোতে পরিণত হয়েছে।পিএলওর যাত্রা১৯৪৭ সালে জাতিসংঘে এক ভোটাভুটিতে ফিলিস্তিনকে দুই টুকরা করে আলাদা ইহুদি ও আরব রাষ্ট্র গঠনের কথা বলা হয়। আর জেরুজালেম হবে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত...
গত সপ্তাহে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফর (যার মধ্যে ছিল সৌদি আরব, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত) তাঁর আগের ইসরায়েল–ঘেঁষা অবস্থান থেকে এক বড় ধরনের পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছে।সফরের আগে ট্রাম্প হুতিদের সঙ্গে একটি যুদ্ধবিরতির বিষয়ে সমঝোতা করেন। ওই সমঝোতায় ইয়েমেনের পক্ষ থেকে ইসরায়েলের ওপর হামলা বন্ধের কোনো শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়নি। একই সঙ্গে তিনি হামাসের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার অনুমতি দেন। সে আলোচনায় একটি মার্কিন-ইসরায়েলি বন্দিমুক্তির বিনিময়ে গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।ইসরায়েলের দিক থেকে স্পষ্ট আপত্তি থাকা সত্ত্বেও এই পদক্ষেপগুলো নেওয়া হয়েছে। এ কারণেই প্রশ্ন উঠছে, মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে সিদ্ধান্ত আসলে কে নেয়—ওয়াশিংটন নাকি তেল আবিব?এই প্রশ্ন বহু বছর ধরেই ইতিহাসবিদ, শিক্ষাবিদ ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকদের আলোচনার বিষয় হয়ে আছে।অনেকে মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সম্পর্ক আসলে ইসরায়েলপন্থী লবি নিয়ন্ত্রণ করে।...
ইসরায়েল—একটি রাষ্ট্র, যার নাম উচ্চারণেই ভেসে আসে ফিলিস্তিনের ওপর দখল, বোমাবর্ষণ আর নির্মম হত্যাযজ্ঞের দৃশ্য। কিন্তু এই দখলদার রাষ্ট্রযন্ত্রের ভেতরেও কিছু মানুষ, কিছু সংগঠন নির্ভয়ে দাঁড়িয়ে থাকে যুদ্ধ, বর্ণবাদ আর নিপীড়নের বিরুদ্ধে। তারা কারা? তাদের কথা আমরা খুব বেশি শুনতে পাই না কেন? তারা কি নিছক কিছু নিঃসঙ্গ বিবেকবান ব্যক্তি, নাকি মানবতার পক্ষের কোনো সুদীর্ঘ ঐতিহ্যের ধারক?ইসরায়েলে বর্ণবাদবিরোধিতার আদি মুখ: মেইর ভিলনারইসরায়েলের ইতিহাসে যুদ্ধ ও নিপীড়নের বিপরীতে অবস্থান নেওয়া মানুষের একটি ধারাবাহিকতা রয়েছে। এর শুরুর দিকেই রয়েছেন মেইর ভিলনার (১৯১৮-২০০৩) একজন মার্ক্সবাদী, যিনি ইসরায়েলের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সময় একজন স্বাক্ষরকারী হয়েও জায়নিজমের সমালোচক ছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন, একটি রাষ্ট্রকাঠামোর মাধ্যমে ইহুদি জনগণ আত্মরক্ষা করতে পারে ঠিকই, তবে সেই রাষ্ট্র যেন বর্ণবাদী বা সাম্প্রদায়িক না হয়। তিনি ছিলেন দুই জাতির (ইহুদি ও...
গত মাসে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস হামাসের ওপর কঠোর ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন। তিনি তাদের ‘কুকুরের সন্তান’ বলে মন্তব্য করেন এবং তারা যেন নিরস্ত্র হয়ে বাকি ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তি দেয়। মনে হচ্ছে, তিনি এ সময় ২০২৩ সালের মে মাসে জাতিসংঘে দেওয়া তাঁর পূর্ববর্তী ভাষণটি ভুলে গেছেন। এতে দখলদারদের আগ্রাসন থেকে সুরক্ষার জন্য ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়’-এর কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন। আব্বাস এতে বলেছিলেন, ‘হে বিশ্ববাসী, আমাদের রক্ষা করুন। আমরা কি মানুষ নই? এমনকি প্রাণীদেরও সুরক্ষা দেওয়া উচিত। যদি আপনার একটি প্রাণী থাকে, তাহলে আপনি কি তা রক্ষা করবেন না?’ গত ফেব্রুয়ারি ইসরায়েলি গণমাধ্যম জানিয়েছিল, সৌদি আরব গাজার ব্যাপারে একটি পরিকল্পনা পেশ করেছে। এই প্রস্তাবের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে হামাসকে নিরস্ত্রীকরণ এবং ক্ষমতা থেকে অপসারণ। আরব ও মার্কিন সূত্র ‘ইসরায়েল হায়োম’ পত্রিকায় জানিয়েছে,...
অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিন শরণার্থী শিবির পরিদর্শনের সময় ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আরব ও এশীয় দেশগুলোর একটি কূটনৈতিক প্রতিনিধি দল ইসরায়েলি হামলার শিকার হয়েছে। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ (পিএ) এবং বিভিন্ন দেশ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বলে বুধবার জানিয়েছে আল-জাজিরা অনলাইন। বুধবার কূটনীতিকরা জেনিনের মানবিক পরিস্থিতি মূল্যায়নের জন্য একটি সরকারি মিশনে ছিলেন। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তাদের সেনারা প্রতিনিধি দলটিকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য সতর্কতামূলক গুলি চালিয়েছে। কারণ তারা এমন একটি এলাকায় প্রবেশ করেছিলেন যেখানে তাদের থাকার অনুমতি ছিল না। এতে কেউ আহত হয়নি। সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বেসামরিক প্রশাসনের কমান্ডার ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে কথা বলার নির্দেশ দিয়েছেন। এতে বলা হয়েছে, “কর্মকর্তারা কূটনীতিকদের সাথে ব্যক্তিগতভাবে কথা বলবেন এবং বিষয়টি নিয়ে পরিচালিত প্রাথমিক তদন্তের ফলাফল সম্পর্কে...
গাজা উপত্যকার সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার লক্ষ্যে সেখানে অভিযান জোরদার করেছে ইসরায়েল। দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ওই অভিযানের জেরে যুক্তরাষ্ট্রসহ ঘনিষ্ঠ মিত্ররা ইসরায়েলের ওপর থেকে তাদের সমর্থন প্রত্যাহার করে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় যুদ্ধ শেষ করতে ব্যর্থ হলে ইসরায়েলের প্রতি মার্কিন সমর্থন প্রত্যাহারের হুমকি দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। এই সতর্কবার্তা ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকারকে দেওয়া হয়েছে। আলোচনার বিষয়ে জানেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এমন একটি সূত্রের বরাত দিয়ে ওয়াশিংটন পোস্ট বলেছে, ট্রাম্পের প্রতিনিধিরা ইসরায়েলকে জানিয়েছেন, যদি তারা গাজা যুদ্ধ শেষ না করে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র দেশটিকে পরিত্যাগ করবে।ওই সূত্র বলেছে, ট্রাম্পের লোকজন ইসরায়েলকে জানিয়ে দিয়েছে, ‘যদি আপনারা এই যুদ্ধ শেষ না করেন, তাহলে আমরা আপনাদের পাশে থাকব না।’হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিটও বলেছেন,...
গত সপ্তাহে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফর ছিল বিভ্রান্তির এক মহড়া। যুক্তরাষ্ট্র এবং এই অঞ্চলের মধ্যকার সম্পর্কে পুনরায় ভারসাম্য নিয়ে আসা ও দ্বিধাগ্রস্ত ধারণা; উভয় ক্ষেত্রেই এ কথা প্রযোজ্য। রিয়াদে তিনি সৌদি রাজপরিবারকে বলেছিলেন, ‘কীভাবে জীবন যাপন করতে হয়, সে ব্যাপারে আর কোনো বক্তৃতা’ দেওয়া হবে না। তিনি সিরিয়া থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছিলেন, যাতে দেশটি ‘নতুনভাবে শুরু’ করতে পারে এবং তিনি উট ও বিলাসবহুল স্থাপত্য দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন। ‘একজন নির্মাণকারী হিসেবে ‘তিনি কাতারি প্রাসাদের ব্যাপারে বলেছিলেন, ‘এটি নিখুঁত মার্বেল’। জো বাইডেন জামাল খাসোগি হত্যাকাণ্ড এবং ইয়েমেন যুদ্ধে সৌদি সরকারের ভূমিকার জন্য কঠোর অবস্থান নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপর মনে হয়েছিল, তিনি তা ভুলে গেছেন অথবা বুঝতে পেরেছেন– তিনি কথা রাখতে পারবেন না। ট্রাম্পের কাছ থেকে এমন কোনো মিশ্র ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।...
সম্প্রতি ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফরের মধ্যে আমরা যেন একটি টিভি গেম শো দেখলাম। এর নাম দেওয়া যেতে পারে ‘দ্য হোয়াইট হাউস অন উবার: হাউ টু প্রিপারচেজ আ ইউএস প্রেসিডেন্ট’। এই শোতে মনে হচ্ছিল, উপস্থাপক (ডোনাল্ড ট্রাম্প) যেন হঠাৎ ঠিক স্ক্রিপ্টে ফিরে গেছেন।ট্রাম্প সৌদি আরবে গিয়ে বলছিলেন, উদার হস্তক্ষেপ (লিবারেল ইনটারভেনশনিজম) এক বিপর্যয় ছিল। তিনি ঠিকই বলছিলেন, আফগানিস্তান, ইরাক, লিবিয়া, ইয়েমেন কিংবা সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর রাশিয়া—সব জায়গায় দেখা গেছে, কোনো দেশকে জোর করে ভেঙে আবার নতুনভাবে তৈরি করা যায় না।ট্রাম্প ইয়েমেনের ওপর মার্কিন বোমাবর্ষণ বন্ধ করলেন এবং সিরিয়ার ওপর দীর্ঘদিন ধরে চলা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ঘোষণাও দিলেন। ইরানের সঙ্গে আলোচনার বিষয়েও তিনি ইঙ্গিত দিলেন। এর ফলে মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলের আধিপত্য কায়েমের দুটি প্রধান পথ বন্ধ হয়ে গেল। এর একটি হলো সিরিয়াকে বিভক্ত...
একবার বিষয়টা ভেবে দেখুন তো—ফিলিস্তিনিদের সবচেয়ে আশার আলো হয়ে উঠছেন সেই লোক, যিনি গাজা খালি করে সেখানে সমুদ্রসৈকতের অবকাশকেন্দ্র করার স্বপ্ন দেখেছেন। এখন পর্যন্ত বর্তমান দুর্বিষহ পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার সবচেয়ে পরিষ্কার এবং হয়তো একমাত্র পথটি দেখা যাচ্ছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছ থেকেই। ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি কোণঠাসা হয়ে পড়া ইসরায়েলের প্রতি তিনি ক্রমশই বিরক্ত হয়ে পড়ছেন।ট্রাম্পের বদলে যদি যুক্তরাষ্ট্রের অন্য কোনো পূর্বসূরি প্রেসিডেন্ট হতেন, তাহলে গত সপ্তাহে ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফরের ঘটনাপ্রবাহকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির মৌলিক, এমনকি যুগান্তকারী পরিবর্তন বলে মনে করা যেত। কিন্তু লোকটা যেহেতু ট্রাম্প, সে কারণেই এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না, এটা স্থায়ী নাকি আকস্মিক কোনো সিদ্ধান্ত। কেননা তার বেলায় কয়েক সপ্তাহ অথবা কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সিদ্ধান্ত পুরোপুরি বদলে যেতে পারে।আরও পড়ুনআফগান তালেবান ও সৌদি আরবের সম্পর্ক কি নতুন...
আড়াই মাস ধরে গাজায় কোনো সহায়তা ঢুকতে দেয়নি ইসরায়েল। পানীয় জল, খাবার ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জামের ঘাটতি ভয়াবহ আকার নিয়েছে। জ্বালানির অভাবে ধুঁকছে হাসপাতালগুলোও। এর মধ্যেও ফিলিস্তিনের উপত্যকায় বর্বর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার দেশটি। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত ইসরায়েলের বিমান হামলায় শতাধিক ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। এ অবস্থায় গাজায় বহু মানুষ না খেয়ে আছে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। উপসাগরীয় সফরের শেষ দিন শুক্রবার আবুধাবিতে তিনি এ মন্তব্য করেন। দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের গাজা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত মন্তব্য এমন একসময় এলো, যখন তিনি তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম বিদেশ সফর শেষ করছিলেন। সফরে তিনি বেশ কয়েকটি উপসাগরীয় দেশ ভ্রমণ করলেও গুরুত্বপূর্ণ মিত্র ইসরায়েলকে বাদ দিয়েছেন। যদিও ব্যাপকভাবে আশা করা হয়েছিল, সৌদি আরব, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত...
এই সপ্তাহে যখন ডোনাল্ড ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্য সফরে বের হয়েছেন, তখন তিনি আগের চেনা জায়গাটা আর আগের মতো নেই দেখে অবাক হচ্ছেন—কারণ, এবার তিনি যে মধ্যপ্রাচ্য দেখছেন, সেটা তাঁর প্রথম প্রেসিডেন্ট থাকার সময়কার মধ্যপ্রাচ্য থেকে অনেকটাই বদলে গেছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে হামলা চালানোর পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে চোখে পড়ার মতো পরিবর্তন হলো—ইসরায়েলের একটি আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে আবির্ভাব।আরব বিশ্ব এখনো গভীর বিশৃঙ্খলার মধ্যে রয়েছে। অন্তত পাঁচটি আরব দেশ নিজেদের দেশের ভেতরে গভীর সংকটে পড়েছে। এর ফলে তারা কার্যত অকার্যকর হয়ে পড়েছে বা রাষ্ট্র হিসেবে ব্যর্থতার পথে রয়েছে। এই ক্ষমতাশূন্যতার মধ্যে দুটি বিকল্প শক্তিকেন্দ্র গড়ে উঠেছে।প্রথমত, পারস্য উপসাগরের ধনী দেশগুলো—বিশেষ করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কাতারের কথা বলা যায়। আরব বসন্তে তারা তুলনামূলকভাবে অক্ষত থেকেছে এবং তেল-গ্যাস ও...
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলকে উপেক্ষা করে মধ্যপ্রাচ্যে ঐতিহাসিক সফর করছেন। চার দিনের এ সফরের প্রথম দিন গত মঙ্গলবার তিনি সৌদি আরবে যান। সেখানে অস্ত্র ও বাণিজ্যচুক্তি করেন। পরে বুধবার কাতারে পৌঁছান। সেখানে দুই দেশের মধ্যে ১ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য চুক্তি হয়। মার্কিন উড়োজাহাজ প্রস্তুতকারক কোম্পানি বোয়িংয়ের কাছ থেকে ৯৬ বিলিয়ন ডলার খরচে ২১০টি বিমান কিনতে যাচ্ছে কাতার। ওই অঞ্চলের ভূরাজনৈতিক জটিলতার প্রেক্ষাপটে হোয়াইট হাউস এটিকে ট্রাম্পের চুক্তি করার সক্ষমতা প্রদর্শনের সফর হিসেবে বর্ণনা করছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এটা এর চেয়ে বেশি কিছু। গতকাল বৃহস্পতিবার সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, সফরকালে ট্রাম্প সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিকে আবার নতুন সুযোগ দিয়েছেন। তবে তাঁর পদেক্ষেপ ট্রাম্পের পররাষ্ট্র ও বাণিজ্যনীতিকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে। হোয়াইট হাউস ট্রাম্পকে যেভাবে...
সেটা আজ থেকে ১৪০ বছর আগের কথা। অস্ট্রিয়ার ইহুদি লেখক-সাংবাদিক নাথান ব্রিনবাম তখন স্বমুক্তি (সেলফ ইমানসিপেশন) নামে একটি সংবাদ সাময়িকী প্রকাশ শুরু করেন ভিয়েনা থেকে। ইহুদি পুনর্জাগরণ ঘটানো ও ফিলিস্তিনে তাদের পুনর্বসতি স্থাপনের ধারণাটি প্রচারণায় নিয়ে আসাই ছিল এর মূল লক্ষ্য। এ কাজে ব্রিনবাম আবার অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন পোলীয় ইহুদি চিকিৎসক ও লেখক লিওন পিনসকারের দ্বারা, যিনি ১৮৮২ সালে একই নামে জার্মান ভাষায় একটি পুস্তিকা রচনা ও প্রকাশ করেন। রাশিয়ায় ইহুদি নিধনযজ্ঞ দেখে ব্যথিত হয়ে ছদ্মনামে এটি লিখেছিলেন, যেখানে তিনি ইহুদি সম্প্রদায়কে স্বাধীনতার ও জাতীয় চেতনাবোধ জাগ্রত করার এবং স্বাধীন ভূমিতে ফেরার আহ্বান জানান। এর তিন বছর পর ব্রিনবামের সাময়িকী এ আহ্বানকেই আরেকটু উচ্চকিত করার জন্য মাঠে নামে। তারা তখন থেকে জায়নভূমির বিষয়টি সামনে আনতে শুরু করে। ১৮৯০ সালে ব্রিনবাম ‘জায়নিস্ট’...
ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করাসহ সিরিয়াকে পাঁচটি প্রস্তাব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এসব প্রস্তাবের পক্ষে সম্মতির ইঙ্গিত পাওয়ার পরই সিরিয়ার ওপর থেকে সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে ওয়াশিংটন।শুধু তাই নয়, এখনো নিজেদের সন্ত্রাসী তালিকাভুক্ত সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার সঙ্গেও বৈঠক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের মতে, ‘সিরিয়াকে মহান হওয়ার জন্য আরেকটি সুযোগ’ দেওয়া হয়েছে।বুধবার সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে আল-শারার সঙ্গে বৈঠকের কথা ট্রাম্প নিজেই নিশ্চিত করেন। এটি গত ২৫ বছরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও সিরিয়ার শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের মধ্যে প্রথম বৈঠক। বৈঠকে সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান উপস্থিত ছিলেন। ভিডিও লিংকে যোগ দিয়েছিলেন সিরিয়ার প্রভাবশালী প্রতিবেশী তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।রিয়াদে বুধবার সকালে গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিল (জিসিসি) সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, ওয়াশিংটন সিরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আলোচনা করছে, যাতে দেশটি ‘মহান...
মধ্যপ্রাচ্য সফররত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সৌদি আরবে সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। সেখানে তিনি দীর্ঘদিনের শত্রু ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য তাঁকে আহ্বান জানান। সেই সঙ্গে সিরিয়ার ইসলামপন্থি সরকারের ওপর থেকে সব ধরনের মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ঘোষণা দেন। সাক্ষাতে শারাকে ‘আকর্ষণীয়’ ও ‘দৃঢ় তরুণ’ বলে বর্ণনা করেন ট্রাম্প। গতকাল বুধবার রয়টার্সের প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। এতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র ও উপসাগরীয় আরব দেশগুলোর মধ্যে একটি শীর্ষ সম্মেলনের আগে ট্রাম্প সিরিয়ার আহমেদ আল-শারার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। শারা একসময় আল কায়দার প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেছিলেন। এটি ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ বলে অভিহিত করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলু জানায়, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ান ভার্চুয়ালি ট্রাম্প ও সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠকে যোগ দেন। ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন...
মধ্যপ্রাচ্য সফররত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সৌদি আরবে সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। সেখানে তিনি দীর্ঘদিনের শত্রু ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য তাঁকে আহ্বান জানান। সেই সঙ্গে সিরিয়ার ইসলামপন্থি সরকারের ওপর থেকে সব ধরনের মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ঘোষণা দেন। সাক্ষাতে শারাকে ‘আকর্ষণীয়’ ও ‘দৃঢ় তরুণ’ বলে বর্ণনা করেন ট্রাম্প। বুধবার রয়টার্সের প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। এতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র ও উপসাগরীয় আরব দেশগুলোর মধ্যে একটি শীর্ষ সম্মেলনের আগে ট্রাম্প সিরিয়ার আহমেদ আল-শারার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। শারা একসময় আল কায়দার প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেছিলেন। এটি ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ বলে অভিহিত করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলু জানায়, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ান ভার্চুয়ালি ট্রাম্প ও সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠকে যোগ দেন। ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন বিষয়ে...
ডোনাল্ড ট্রাম্প সবার আগে নেমেছিলেন রিয়াদে। ২০১৭ সালে তাঁর নয়া প্রশাসনের কয়েক মাস না পেরোতেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট সৌদি বাদশাহর সঙ্গে বৈঠক করেন। আরব বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নচেষ্টার অংশ ছিল সেটা। তবে সে সফরসূচিতে ইসরায়েলে যাওয়ার কথা না থাকাটা প্রকটভাবে চোখে পড়ে। আর এখন যখন ট্রাম্প তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদে মধ্যপ্রাচ্য সফরে, একই সমস্যা প্রকট হয়েই রয়ে গেছে। গতকাল মঙ্গলবার সৌদি আরবে পৌঁছেছেন ট্রাম্প। সৌদি আরব ছাড়াও তিনি কাতার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতও সফর করবেন। হোয়াইট হাউস ট্রাম্পের এই সফরকে ‘মধ্যপ্রাচ্যে ঐতিহাসিক প্রত্যাবর্তন’ আখ্যা দিয়েছে। পাশপাশি ‘স্থিতিশীলতা, সুযোগ ও পারস্পরিক সম্মানের একটি যৌথ দৃষ্টিভঙ্গির’ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে ট্রাম্পের এবারের মধ্যপ্রাচ্যের সফরসূচিতেও ইসরায়েলের নাম নেই। এর আগে ইরানের সঙ্গে আলোচনার ঘোষণা, ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের সঙ্গে চুক্তি এবং হামাসের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার মতো বিষয়ে...
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আজ বুধবার সৌদি আরবের রিয়াদে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এর আগে আকস্মিক এক ঘোষণায় যুক্তরাষ্ট্র জানায়, সিরিয়ার ইসলামপন্থী নেতৃত্বাধীন সরকারের ওপর থেকে তারা আরোপিত সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নিচ্ছে এবং দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়টি বিবেচনা করছে।রিয়াদে আজ যুক্তরাষ্ট্র ও উপসাগরীয় আরব দেশগুলোর মধ্যে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে ট্রাম্প এ তথ্য জানান। সম্মেলনের আগে ট্রাম্প শারার সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের উপস্থিতিতে করমর্দন করেন তাঁরা। এই ছবি সৌদির রাষ্ট্রীয় টিভিতে প্রচার করা হয়।হোয়াইট হাউসের একজন মুখপাত্র জানান, শারাকে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আহ্বানও জানিয়েছেন ট্রাম্প।আরও পড়ুনসৌদি আরবের যুবরাজের সঙ্গে বৈঠক করলেন ট্রাম্প১৩ মে ২০২৫ট্রাম্প প্রশাসনের কিছু অংশ আল-কায়েদার সঙ্গে শারার অতীত সংযোগ নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকলেও রিয়াদে গতকাল...
ইসরায়েলি অবরোধে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের মুখে ফিলিস্তিনের গাজার বাসিন্দারা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ফিলিস্তিনের একটি প্রজন্মের ওপর দুর্ভিক্ষের স্থায়ী প্রভাব পড়ার শঙ্কা প্রকাশ করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল মঙ্গলবার সৌদি আরবে পা রাখার সঙ্গেই গাজায় হামলা বাড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েল। জাতিসংঘের আশ্রয়কেন্দ্রে নতুন করে হামলা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ গেছে ৪৬ ফিলিস্তিনির। আলজাজিরা জানায়, দুই মাসের বেশি সময় ধরে গাজা অবরুদ্ধ করে রেখেছে ইসরায়েল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি রিক পিপারকর্ন বলেন, তিনি ক্লিনিকগুলোতে এমন শিশু দেখেছেন, অপুষ্টির কারণে যাদের কম বয়সী দেখায়। পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও স্বাস্থ্যসেবার মারাত্মক সংকট দেখা দিয়েছে। ইসরায়েল স্বীকার করেছে, হামাসকে অবশিষ্ট বন্দি মুক্তি দেওয়ার জন্য চাপে ফেলতে খাদ্য, পানি ও ওষুধ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এদিকে ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্য সফরের অংশ হিসেবে সৌদি...
বৈশ্বিক ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা, গাজায় অবরোধ ও অনাহারে রেখে মানুষ হত্যার মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চার দিনের সফরে মধ্যপ্রাচ্যে পৌঁছেছেন। বেশ কিছু বাণিজ্য চুক্তি করতে গতকাল মঙ্গলবার তিনি সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে আসেন। সেখানে সৌদি-যুক্তরাষ্ট্র ইনভেস্টমেন্ট ফোরাম নামের বিনিয়োগ সম্মেলনে যোগ দেন। সফরে সৌদি আরবের সঙ্গে ১৪২ বিলিয়ন ডলারের (১৪ হাজার ২০০ কোটি) অস্ত্র চুক্তি করে নিজ দেশের রেকর্ড ভেঙেছেন ট্রাম্প। এই চুক্তিকে হোয়াইট হাউস ‘ইতিহাসের বৃহত্তম প্রতিরক্ষা বিক্রয় চুক্তি’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। ট্রাম্প সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ারও ঘোষণা দেন। ট্রাম্প আজ বুধবার কাতারে যাবেন। সেখান থেকে পরদিন (বৃহস্পতিবার) সংযুক্ত আরব আমিরাতে পৌঁছাবেন। তবে সফরজুড়ে তাঁর ইসরায়েলে যাওয়ার কোনো কর্মসূচি নেই। সৌদি আরবে পৌঁছানোর পর দেশটির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে ট্রাম্পের একটি প্রাথমিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ...
যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের মধ্যে প্রায় ১৪২ বিলিয়ন (১৪ হাজার ২০০ কোটি) ডলারের অস্ত্র চুক্তি হয়েছে। আজ মঙ্গলবার রিয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত সৌদি-মার্কিন বিনিয়োগ ফোরামে এসব চুক্তি হয়। এদিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে অস্ত্র কেনার এই চুক্তি ছাড়াও দেশটিতে বড় অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগের চুক্তি করেছে সৌদি আরব। সৌদি-মার্কিন বিনিয়োগ ফোরামে এসব চুক্তি সইয়ের পর সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বলেন, বন্ধুত্বপূর্ণ দুই দেশ সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দৃঢ় বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে। আজ ৬০০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ চুক্তির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগামী মাসগুলোতে তা বেড়ে ১ ট্রিলিয়ন (এক হাজার বিলিয়ন) ডলারে উন্নীত হবে।মধ্যপ্রাচ্যে তিন দিনের সফরের প্রথম দিনে আজ সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে পৌঁছান ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ সময় তাঁকে স্বাগত জানান মোহাম্মদ বিন সালমান। এরপর...
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আজ মঙ্গলবার চার দিনের মধ্যপ্রাচ্যের তিনটি দেশ সফরে যাচ্ছেন। এই সফরে সৌদি আরব, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে একাধিক বৈঠকে যোগ দেবেন তিনি। ট্রাম্প এমন সময় এই সফর করছেন, যখন মধ্যপ্রাচ্যে ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা বিরাজ করছে। এই সফরে গাজায় যুদ্ধবিরতি, ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ, বাণিজ্য ও তেলের দাম কমানো নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।ডোনাল্ড ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরে উপসাগরীয় আরব দেশগুলো, বিশেষ করে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরবের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছেন। এসব দেশে তাঁর সন্তানদের একাধিক ব্যবসা ও আবাসন প্রকল্প আছে। দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ট্রাম্প রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে মধ্যস্থতার চেষ্টা করছেন। তাঁর এই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ইতিমধ্যে দুটি দেশ সৌদি আরবে বৈঠকে বসেছে। এ কারণে সৌদি আরব ওয়াশিংটনের কাছে আরও গুরুত্বপূর্ণ...
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় বিশুদ্ধ পানির স্থাপনা ধ্বংস করছে দখলদার ইসরায়েল। তাদের এমনটা করার মূল উদ্দেশ্য, ফিলিস্তিনিরা যেন বিশুদ্ধ পানি না পায়। এতে গাজার মানবিক বিপর্যয় আরও গভীর হচ্ছে। ইসরায়েলের এমন কর্মকাণ্ড নিয়ে সতর্ক বার্তা দিয়েছেন জাতিসংঘের এক বিশেষজ্ঞ। তিনি বলছেন, ইসরায়েলের এমন কর্মকাণ্ড পরিস্থিতিকে আরও বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। পানি নীরবে প্রাণঘাতী বোমা হিসেবে কাজ করছে। তুরস্কের সংবাদ সংস্থাটিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জাতিসংঘের হিউম্যান রাইটস টু সেফ ড্রিংকিং ওয়াটার অ্যান্ড স্যানিটেশনের বিশেষ প্রতিবেদক পেদ্রো আরোজো-আগুদু বলেন, বিশুদ্ধ পানি বন্ধ করা তাদের ওপর ভয়াবহ নীরব বোমা ফেলার সমতুল্য। যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় আটকা পড়েছে ২১ লাখ ফিলিস্তিনি। তারা বিশুদ্ধ পানির সংকটে রয়েছে। পেদ্রো বলেন, গাজার ৭০ শতাংশ পানির স্থাপনা ধ্বংস করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে পানি পাচ্ছেন না ফিলিস্তিনিরা। তারা যে পানি পাচ্ছে, তার...
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল শুক্রবার ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যমের খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ইসরায়েলি আর্মি রেডিওর সাংবাদিক ইয়ানির কোজিন তার এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে এক পোস্টে লিখেছেন, ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠমহল মনে করছে, নেতানিয়াহু তাকে ব্যক্তিগতভাবে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করার চেষ্টা করছেন—এমন সন্দেহ থেকেই ট্রাম্প তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অবশ্য এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র বা ইসরায়েল—দুই দেশের কারও পক্ষ থেকেই এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করা হয়নি। তবে ইসরায়েল হায়োম নামের একটি পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের সঙ্গে কোজিনের বক্তব্য মিলে গেছে। ডানপন্থি এই পত্রিকা নেতানিয়াহুর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। হায়োমের প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুর মধ্যে ব্যক্তিগত সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। দু’জনের মধ্যে বাড়তে থাকা হতাশা ও দূরত্ব...
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। গতকাল শুক্রবার ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যমের খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।ইসরায়েলি আর্মি রেডিওর সাংবাদিক ইয়ানির কোজিন এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে এক পোস্টে লিখেছেন, ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠমহল মনে করছে, নেতানিয়াহু তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করার চেষ্টা করছেন—এমন সন্দেহ থেকেই ট্রাম্প সম্পর্ক ছিন্ন করার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।অবশ্য এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র বা ইসরায়েল—দুই দেশের কারও পক্ষ থেকেই এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করা হয়নি। তবে ইসরায়েল হায়োম নামের একটি পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের সঙ্গে কোজিনের বক্তব্য মিলে গেছে। ডানপন্থী এই পত্রিকা নেতানিয়াহুর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত।প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুর মধ্যে ব্যক্তিগত সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। দুজনের মধ্যে বাড়তে থাকা হতাশা ও দূরত্ব স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।কোজিন আরও দাবি করেন, ট্রাম্প...
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের বয়স হয়েছে। এখন তাঁর উত্তরসূরি বেছে নিতে চাপে বাড়ছে প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (পিএলও) ওপর। এ অবস্থায় ২৪ এপ্রিল জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি বৈঠক শেষে পিএলও ভাইস প্রেসিডেন্ট নামে নতুন এক পদ সৃষ্টি করেছে।ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (পিএ) প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস গত মার্চে একটি ভাইস প্রেসিডেন্ট পদ সৃষ্টির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। মার্চের শুরুতে এক জরুরি আরব সম্মেলনে তিনি এই প্রতিশ্রুতি দেন।আব্বাসের পর পিএ প্রেসিডেন্ট কে হবেন, তা নিয়ে ক্ষমতার লড়াই বন্ধ করতে ভাইস প্রেসিডেন্টের পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। কারণ, ইসরায়েল এমন পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে পিএকে শেষ করে দিতে পারে। এমনকি ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীরের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে ও গাজায় জাতিগত নির্মূল অভিযান চালাতে পারে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।যদিও কানাডীয় আইনজীবী ডায়ানা বুট্টু বলেছেন, আব্বাস চলে যাওয়ার পর পিএতে ভাইস প্রেসিডেন্ট...
সোমালিয়ার আধা স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল পুন্টল্যান্ডের বোসাসো বিমানবন্দরকে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের সম্ভাব্য হামলা থেকে রক্ষায় এ বছরের শুরুতে সেখানে একটি সামরিক রাডার বসিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)। বিষয়টির সঙ্গে পরিচিত একাধিক সূত্র মিডল ইস্ট আইকে এ তথ্য জানিয়েছে।গত মার্চের শুরুতে কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে তোলা ছবিতে দেখা যায়, ইসরায়েলের তৈরি ইএলএম-২০৮৪ থ্রিডি অ্যাকটিভ ইলেকট্রনিকালি স্ক্যানড অ্যারে মাল্টিমিশন রাডারটি বোসাসো বিমানবন্দরের কাছে স্থাপন করা হয়েছে।সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত বিমান চলাচলের তথ্য অনুযায়ী, সুদানের আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসকে (আরএসএফ) সহায়তা পাঠাতে অব্যাহতভাবে বোসাসো বিমানবন্দর ব্যবহার করছে ইউএই।এ বছরের শুরুতে আরএসএফের সঙ্গে সংযুক্ত থাকার অভিযোগে সুদান সরকার ইউএইর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মামলা করে। তবে ইউএই এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, তারা আরএসএফকে কোনো সামরিক সহায়তা দেয় না।আরএসএফ দুই বছর ধরে সুদানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে...
ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলাকে যুদ্ধ নয়, গণহত্যা বললেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি বলেছেন, আসলে এটা কোনো যুদ্ধ নয়। এটা গণহত্যা। যার কারণ আধিপত্য বিস্তার আর জবর দখল। গাজা থেকে মানুষ উৎখাত করে জবর দখলের জন্য এই গণহত্যা করা হচ্ছে।ফিলিস্তিনিদের মুক্তির উপায় পুঁজিবাদী ব্যবস্থাকে বিদায় করার মধ্যে নিহিত বলে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী মনে করেন। তিনি বলেন, আজকে যত উন্নতি তত বৈষম্য, যত উন্নতি, তত ধ্বংস। যত বেশি উন্নতি হচ্ছে, মানুষের মধ্যে তত বিষণ্নতা, হতাশা বাড়ছে। পৃথিবীজুড়ে যে হতাশা বিরাজ করছে, তার কারণ পুঁজিবাদ। পুঁজিবাদকে বিদায় করতে হবে। এ জন্য প্রতিটা দেশে প্রয়োজন সামাজিক বিপ্লব। এককথায় সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে।আজ শনিবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি সমাবেশে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী এসব কথা বলেন। ফিলিস্তিন সংহতি কমিটি, বাংলাদেশ এ...
গর্ভবতী মহিলা কোনোভাবেই উঁচু-নিচু রাস্তায় হাঁটতে পারছিলেন না। পড়ে যাচ্ছিলেন, আবার উঠে দাঁড়িয়ে চলার চেষ্টা করছিলেন। সঙ্গে একটি শিশুসন্তান। তার কচি পা ঠিকঠাক হাঁটতে শেখেনি। মায়ের কোলই তার ভরসা। কোলে উঠতে না পেরে চিৎকার করছে আকাশ কাঁপিয়ে। গর্ভবতী মাও চিৎকার করছেন। প্রসবযন্ত্রণায় কাতর মা মাটি আকরে ধরে বারবার উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা বরছেন। হাত-পায়ে ক্ষত থেকে রক্ত ঝরছে অবিরাম। এক সময় সে ধ্বংসপ্রায় রাস্তার পাশে জ্ঞানহীন হয়ে পড়ে। আশপাশে তখনও কাউকে দেখা যাচ্ছিল না। শিশুটি আরও জোরে কেঁদে চলেছে। এমন হৃদয়বিদারক দৃশ্য দিয়ে নয় মিনিটের ভিডিওটির সমাপ্তি ঘটে। ফিলিস্তিনে প্রতিনিয়ত জীবন-যুদ্ধের এটি একটি মাত্র দৃশ্য। ইসরায়েল নির্বিচারে সামরিক ও বেসামরিক মানুষ হত্যা করছে, শক্তিশালী বোমা দিয়ে উড়িয়ে দিচ্ছে ঘর-বাড়ি, রাস্তা-ঘাট। তাদের লক্ষ্য গাজায় স্থায়ী কোনো বাসিন্দা থাকবে না, এটা...
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলা শুরু হয় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর। হামলা থেকে বাদ যায়নি বিদ্যালয়, ধর্মীয় স্থাপনা, উদ্বাস্তুদের আশ্রয়স্থল, এমনকি হাসপাতাল। হামাসনিয়ন্ত্রিত গাজার সরকারি গণমাধ্যম দপ্তর জানিয়েছে, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ উপত্যকায় এখন পর্যন্ত ৩৫টি হাসপাতালে হামলা করেছে কিংবা আগুন দিয়েছে ইসরায়েল। ক্ষতিগ্রস্ত হাসপাতালগুলোর একটি তালিকা আজ রোববার প্রকাশ করেছে গাজার সরকারি গণমাধ্যম দপ্তর। তালিকায় সর্বশেষ হামলার শিকার গাজা নগরীর আল-আহলি আরব ব্যাপ্টিস্ট হাসপাতালের নামও রয়েছে। আজ এ হাসপাতালে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।তালিকায় আরও রয়েছে গাজা নগরীর আল-শিফা মেডিকেল কমপ্লেক্স, আল-কুদস হাসপাতাল, তার্কিশ-ফিলিস্তিনি ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল, উত্তর গাজার ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতাল, কামাল আদওয়ান হাসপাতাল, আল-আওদা হাসপাতাল, জর্ডান ফিল্ড হাসপাতাল, মধ্য গাজার জাফা হাসপাতাল, দক্ষিণ গাজার নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সসহ মোট ৩৫টি হাসপাতালের নাম।২০২৩ সালের অক্টোবরে আল-আহলি আরব ব্যাপ্টিস্ট হাসপাতালে...
ফিলিস্তিনের গাজার অন্যতম প্রধান একটি হাসপাতাল ভবনে আজ রোববার দুটি ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে।এ হামলায় হাসপাতালটির জরুরি বিভাগ, অভ্যর্থনাকেন্দ্রসহ অন্যান্য স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসাকর্মীরা।হামলার ঘটনাটি ঘটেছে আল-আহলি আরব ব্যাপ্টিস্ট হাসপাতালে। হামলার আগে আগে এক ব্যক্তি দাবি করেন, তিনি একটি ফোনকল পেয়েছেন। যে ব্যক্তি ফোন করেছেন, তিনি নিজেকে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে পরিচয় দেন। বলেন, হাসপাতালটিতে হামলা চালানো হবে। এরপরই হাসপাতাল থেকে রোগীদের সরিয়ে নেওয়া হয়।হাসপাতালে হামলার ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে হতাহত হওয়ার কোনো খবর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে গাজার বেসামরিক জরুরি পরিষেবা। হামলার বিষয়ে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে কিছু বলা হয়নি।সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা গেছে, বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলো এই জায়গা ছেড়ে যাচ্ছে। তাদের কাউকে কাউকে হাসপাতালে থাকা অসুস্থ স্বজনদের নিয়ে যেতে দেখা যায়; যদিও এই ছবির সত্যতা যাচাই...
ফিলিস্তিনিদের নিজ ভূমি থেকে উচ্ছেদের প্রস্তাবকে সৌদি আরব প্রত্যাখ্যান করেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান। স্থানীয় সময় শুক্রবার তুরস্কের আন্তালিয়াতে ‘গাজা যুদ্ধ বন্ধে’ বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে নিজেদের অবস্থান ব্যক্ত করেন তিনি। নিউজ সৌদি গেজেটের। সৌদির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তির সঙ্গে গাজায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য প্রবেশকে কোনোভাবেই মেলানো যাবে না। গাজায় যেন কোনো বাধা ছাড়া খাদ্য ও অন্যান্য পণ্য প্রবেশ করে সেটি নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। প্রিন্স ফারহান আরও বলেন, ফিলিস্তিনের গাজার মানুষকে বেঁচে থাকার ন্যূনতম প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র থেকেও বঞ্চিত করা হচ্ছে। প্রায় দেড় মাস আগে গাজায় পূর্ণ অবরোধ আরোপ করে দখলদার ইসরায়েল। ওই সময় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে জিম্মি বিনিময় শেষ হয়ে যায় এবং যুদ্ধবিরতি চুক্তিটিও নড়বড়ে হয়ে...
সিরিয়ায় নতুন করে দখল করা অঞ্চলে পর্যটকদের নিয়ে যাবে ইসরায়েল। ইহুদিদের পাসওভার উৎসব উপলক্ষে গোলান মালভূমির ওই সব এলাকায় ইসরায়েলের বেসামরিক পর্যটকদের নিয়ে যাওয়া হবে। আগামী রোববার শুরু হবে এই পর্যটন। চলবে এক সপ্তাহ। এরই মধ্যে প্রায় সব টিকিট কিনে নিয়েছেন পর্যটকেরা।১৯৬৭ সালে আরব দেশগুলোর সঙ্গে যুদ্ধের সময় গোলান মালভূমি দখল করে নেয় ইসরায়েল। গত বছরের ডিসেম্বরে সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের পর মালভূমির ‘বাফার জোন’ (সংঘাতের প্রভাব এড়াতে বিশেষ অঞ্চল) দখলে নেয় ইসরায়েলি বাহিনী। বর্তমানে সিরিয়ার বেশ কয়েক বর্গকিলোমিটার এলাকা ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।ইসরায়েলের স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, সামরিক পাহারায় বুলেটপ্রুফ বাসে করে পর্যটকদের ছোট ছোট দলকে সিরিয়ার ভূখণ্ডের সর্বোচ্চ আড়াই কিলোমিটার ভেতরে নেওয়া হবে। পথে পড়বে হারমন পর্বতের সিরীয় অংশ।পর্যটকেরা রাদান নদীতে সাঁতার কাটতে পারবেন এবং নদীর তীরে...
মানবাধিকার, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের ধ্বজাধারী যারা, তাদের হাতেই ফিলিস্তিনে জাতিগত নিধন, স্বাধীনতা হরণ ও গণতন্ত্রের সমাধি রচিত হচ্ছে। এই প্রহসন যেন সভ্যতার সঙ্গে উপহাস। আসলে এরা বর্ণচোরা মুনাফিক। ১৯১৭ সালে ইংরেজরা ফিলিস্তিনে অনুপ্রবেশ করে ও ১৯২০ খ্রিষ্টাব্দে পূর্ণ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে এবং ইহুদিরা ফিলিস্তিনে স্থায়ীভাবে বসতি স্থাপন করে। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদীরা অন্যায়ভাবে মুসলমানদের ফিলিস্তিন ভূমিকে মুসলমান ও ইহুদিদের মধ্যে ভাগ করে দেয়। ১৯৪৮ সালের ১৫ মে বেলফোর ঘোষণার মাধ্যমে জায়নবাদী অবৈধ ইসরায়েল রাষ্ট্র ঘোষিত হয়। তখন থেকে মুসলমানদের প্রতি ইহুদিদের জুলুম, নির্যাতন ও অত্যাচারের মাত্রা বাড়তে থাকে, যা আজও চলছে।১৯৬৭ সালে অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েল ‘মসজিদুল আকসা’ জবরদখল করে। এর পর থেকে মুসলিম জনগণ স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ সূচনা করে। ১৯৭৯ সাল থেকে ‘আল–আকসা’ মসজিদ মুক্তির লক্ষ্যে সমগ্র মুসলিম উম্মাহ প্রতিবছর...
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলি বর্বরতম ধ্বংসযজ্ঞ ও মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টির প্রতিবাদে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার চত্বরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শহীদুল হকের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য দেন, চবি উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এনায়েত উল্যা পাটোয়ারী প্রমুখ। আরো পড়ুন: দেশের প্রথম জাহাজ নিয়ন্ত্রণ অফিস ‘দেয়াঙ কেল্লা’ ৪৫ হাজার রোজাদারকে ইফতার করিয়েছে চবি শিবির উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন বলেন, “আজ আমাদের একটাই এজেন্ডা, গাজাবাসিকে রক্ষা করা। আমাদের প্রতিবাদ তাদের বিরুদ্ধে, যারা নিয়মিতভাবে মানবতা লঙ্ঘন করে ফিলিস্তিনের নিরপরাধ শিশু,...
ইসরায়েলের নৃশংস হত্যাযজ্ঞ বন্ধের দাবির পাশাপাশি বিশ্ববাসীকে এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ‘মার্চ ফর প্যালেস্টাইন’ কর্মসূচি পালন করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মার্কিন দূতাবাস ও সৌদি আরব দূতাবাসে বাংলা, ইংরেজি ও আরবি ভাষায় স্মারকলিপি জমা দেন।বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে আজ বৃহস্পতিবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক থেকে দুই দূতাবাস ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্দেশে পদযাত্রা বের হয়। পদযাত্রাটি তাঁতীবাজার মোড়ে গেলে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুরোধে এবং দেশে চলমান এসএসসি পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে পদযাত্রাটি ক্যাপাসে ফিরে আসে।পরে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ বিলাল হোসাইনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মার্কিন ও সৌদি আরবের দূতাবাসে স্মারকলিপি জমা দেয়।বিলাল হোসাইন প্রথম আলোকে বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নেতারা এবং শিক্ষার্থী প্রতিনিধিরা গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর গণহত্যা...
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান গণহত্যার প্রতিবাদে ও ফিলিস্তিনের সমর্থনে আয়োজিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ‘মার্চ ফর প্যালেস্টাইন’ কর্মসূচি পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। পরে তাঁতীবাজার মোড় থেকে তারা লংমার্চ কর্মসূচি প্রত্যাহার করে ক্যাম্পাসে ফিরে আসে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির ব্যানারে ক্যাম্পাস থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের দূতাবাসের উদ্দেশ্যে এ পদযাত্রা শুরু করেন তারা। তবে আজ থেকে শুরু হওয়া এসএসসি পরীক্ষার কথা উল্লেখ করে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ক্যাম্পাসে ফিরে যেতে অনুরোধ করে। পুলিশের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে এবং বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে বিক্ষোভকারীরা তাঁতীবাজার মোড় থেকে রায়সাহেব বাজার দিয়ে ক্যাম্পাসে ফিরে আসেন। এ সময় ‘ফ্রম দ্যা রিভার টু দ্যা সি, প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি’, ‘ইসরাইলের কালো হাত, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘ইসরাইলি আগ্রাসন, বন্ধ করো...
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে তার দেশ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে। স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার ফ্রান্স ফাইভ টেলিভিশনের সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপে এ কথা বলেন মাখোঁ। আজ বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স। ম্যাক্রোঁ বলেন, “ফ্রান্সের লক্ষ্য জুন মাসে সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের কনফারেন্সে নেতৃত্ব দেওয়া, যেখানে বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ফিলিস্তিনকে একটি রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে।” আরো পড়ুন: টাইব্রেকার জিতে সেমিফাইনালে ফ্রান্স মদ্রিচের সামনে মুখ থুবড়ে পড়লেন এমবাপে ফরাসি প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, “আমি কাউকে খুশি করার জন্য এটি করছি না। আমি এটি করব, কারণ আমি মনে করি এক সময় এটি সঠিক হবে এবং আমি একটি যৌথ গতিশীলতাতে যুক্ত হতে চাই, যেটিতে যারা ফিলিস্তিনকে...
ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের জনগণের মধ্যকার বিবাদ বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘ সময় ধরে চলা ও সবচেয়ে সহিংস সংঘাতের একটি। এ দ্বন্দ্ব–সংঘাতের সূত্রপাত এক শ বছরের বেশি আগে। দীর্ঘ এ সময়ে ইসরায়েল ও আরব দেশগুলোর মধ্যে কয়েক দফা যুদ্ধ বেধেছে। হয়েছে ‘ইন্তিফাদা’ নামে পরিচিত ফিলিস্তিনিদের ইসরায়েলবিরোধী অভ্যুত্থান, হয়েছে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের পাল্টা প্রতিশোধ ও দমনমূলক অভিযান। নিজেদের ভূমি, সীমান্ত ও অধিকার নিয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের ঐতিহাসিক বিবাদের পরিণাম আজও টানতে হচ্ছে তাদের। এরই সাম্প্রতিকতম ফলাফল, ইসরায়েল ও গাজায় হামাসের মধ্যে চলা যুদ্ধ।১৯৪৮ সালের আগে ইসরায়েল কী ছিল এবং কীভাবে এর সৃষ্টিঅটোমান সাম্রাজ্যের পতনের পর প্রথম বিশ্বযুদ্ধকালে ব্রিটেন ‘প্যালেস্টাইন’ (ফিলিস্তিন) নামে পরিচিত ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে। মধ্যপ্রাচ্যের এই অংশ দীর্ঘকাল অটোমান শাসকদের অধীনে ছিল।ফিলিস্তিনে আগে থেকেই সংখ্যাগরিষ্ঠ আরব ও সংখ্যালঘু ইহুদিদের পাশাপাশি অন্যান্য...
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান গণহত্যার প্রতিবাদে ও ফিলিস্তিনের সমর্থনে ‘মার্চ ফর প্যালেস্টাইন’ কর্মসূচি পালন করবেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের দূতাবাসের উদ্দেশে এ পদযাত্রা করবেন তাঁরা।আজ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রইছ উদ্দীন প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।অধ্যাপক রইছ উদ্দীন বলেন, ‘ইসরায়েলের নৃশংস হামলা ও বিশ্ব মানবতাকে জাগ্রত করতে আমাদের এই উদ্যোগ। ফিলিস্তিনের প্রতি ন্যায়বিচার ও বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে আমাদের এ আয়োজন। বিশ্ববাসীকে আমরা আমাদের পক্ষ থেকে বার্তা দেব এবং শান্তিপূর্ণভাবে দূতাবাসে স্মারকলিপি প্রদান করব।’শিক্ষক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসাইন প্রথম আলোকে বলেন, ‘যেহেতু অনেক শিক্ষার্থী দীর্ঘ পথ হেঁটে অংশগ্রহণ করবে, তাই শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা, শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি...
ফিলিস্তিনিদের দাবিগুলোকে আনুষ্ঠানিকভাবে সমর্থন করে আরব দেশগুলো। তবে নিরাপত্তা এবং আঞ্চলিক ও গোষ্ঠীগত উত্তেজনা মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে থাকা ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে দেশগুলোর সম্পর্ক জটিল করে তুলেছে। এতে দেখা দিয়েছে রাজনৈতিক ও সামরিক সংকট।জর্ডান১৯৪৮ সালে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার সময় অন্তত ৭ লাখ ফিলিস্তিনি নিজেদের ভূখণ্ড ছেড়ে পালিয়েছিলেন বা তাঁদের চলে যেতে বাধ্য করা হয়েছিল। তখন বিপুলসংখ্যক ফিলিস্তিনিকে আশ্রয় দিয়েছিল জর্ডান। এ ছাড়া ১৯৬৭ সালের আরব দেশগুলোর সঙ্গে যুদ্ধে ইসরায়েল জয় পাওয়ার পর ইয়াসির আরাফাতের নেতৃত্বাধীন সংগঠন প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন (পিএলও) জর্ডানে আশ্রয় নেয়।জর্ডান থেকে সীমান্ত পেরিয়ে ইসায়েলে হামলা চালাত পিএলও। দেশটির তৎকালীন বাদশাহ হুসাইনকেও হুমকি দিয়েছিল তারা। ১৯৭০ সালে বাদশাহর মোটর শোভাযাত্রায় এলোপাতাড়ি গুলি চালায় বন্দুকধারীরা। তবে বেঁচে যান বাদশাহ। পরে তিনি পাল্টা আঘাত করেন এবং গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। তখন হাজার হাজার মানুষ...
যখন ভবিষ্যতের কোনো ইতিহাসবিদ আমাদের এই সময় নিয়ে লিখবেন, তখন তাঁর মনে হবে, এই সময়ে সব আন্তর্জাতিক আইন অর্থহীন হয়ে গিয়েছিল। মুছে গিয়েছিল ন্যায় আর মানবতার ধারণা। আর পশ্চিমা বিশ্ব যে গণতন্ত্র আর মানবাধিকারের মুখোশ পরে থাকে, সেই মুখোশ ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়েছিল। যখন জেগে থাকা প্রতিটি মুহূর্ত আমাদের সামনে এক ভয়াবহ গণহত্যার চিত্র তুলে ধরে, তখন আর কীই–বা বলা যায়? যখন শিশুদের থেঁতলানো মুখ, বিচ্ছিন্ন অঙ্গ, আহত মায়েদের কান্না আর চিহ্নহীন মৃতদেহগুলো আমাদের চোখের সামনে ঘুরতে থাকে.... মানুষ আর তার মানবিক সত্তা যেন নিখোঁজ হয়ে গেছে।যাদের হাতে রয়েছে ধ্বংসের সবচেয়ে আধুনিক অস্ত্র, সেই সব ক্ষমতাধর রাষ্ট্র নিঃসংকোচে, নির্লজ্জভাবে তা ব্যবহার করছে। শুধু তা–ই নয়, নিজেদের এই রক্তপিপাসাকে ন্যায়সংগত প্রমাণ করতে তারা তৈরি করছে বানানো তথ্য, বিকৃত ইতিহাস। ইসরায়েলের নেতানিয়াহু সরকার যেন...
ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের অব্যাহত হামলা ও গণহত্যার বিরুদ্ধে ডাকা বিশ্বব্যাপী ধর্মঘটের সমর্থনে সোমবার বিকেলে পল্টন মোড়ে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল সম্পাদক ফয়জুল হাকিমের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সৌরভ রায়, সুমন মল্লিক ও বর্ষা বিশ্বাস। বিক্ষোভ সমাবেশে ফয়জুল হাকিম বলেন, বিশ্বের দেশে দেশে বিবেকবান মানুষ বর্ণবাদী সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরায়েল কর্তৃক প্যালেস্টাইনে গণহত্যার বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে। ধর্মের পরিচয়ে নয়, বিবেকবান মানুষ হিসেবে দেশে দেশে বিভিন্ন ধর্ম বর্ণ জাতির মানুষ এই গণহত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে রাস্তায় এসে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশের মানুষও আজ ঢাকায় গাজাবাসীর ডাকে রাজপথে নেমেছে। তিনি বলেন, যারা মানবাধিকারের কথা বলে সেসব আন্তর্জাতিক সংস্থা, রাষ্ট্র আজকে কেন নীরব? নীরব সৌদি আরব, কুয়েত প্রভৃতি আরব দেশগুলো। এরা এই গণহত্যার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়নি, কেননা এরা সকলেই মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের দালাল। জাতীয়...
ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের বর্বর হামলা ও গণহত্যা বন্ধে রাজধানীতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ। সমাবেশে মুক্ত–স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিনের সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করতে এবং ইসরায়েলকে মধ্যপ্রাচ্য থেকে উৎখাত করতে আরব বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। আজ সোমবার জোহরের নামাজ শেষে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে সমাবেশ হয়। সেখানে বক্তব্য দেন ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের নেতারা। সমাবেশ শেষে মিছিল বের হয়। মিছিলটি মসজিদ গেট থেকে পল্টন, প্রেসক্লাব, মৎস্য ভবন ও শাহবাগ হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়।সমাবেশে ইসলামী আন্দোলনের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান ফিলিস্তিনে শান্তির উদ্যোগ নিতে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূসের খ্যাতি রয়েছে। আমরা চাই, আপনি বিশ্ববাসীকে বলুন, আমরা যুদ্ধ চাই না, আমরা শান্তি চাই। যুদ্ধ বন্ধ করে...
অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেছেন, আরব দেশগুলোর নিষ্ক্রিয়তার কারণে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের সহযোগিতা নিয়ে ফিলিস্তিনে গণহত্যা চালানোর সুযোগ পাচ্ছে ইসরায়েল। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘আজকে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের এক হাত যদি হয় ইসরায়েল, তাহলে তার আরেক হাত আজকে আমরা দেখতে পাচ্ছি সৌদি আরবকে।’ বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন আনু মুহাম্মদ। ফিলিস্তিন সংহতি আন্দোলন বাংলাদেশের আয়োজনে সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল হয়। যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের শুরু করা গণহত্যা বন্ধে এ বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়। সেখান থেকে ২৩ মার্চ রোববার সারা দেশে বাম গণতান্ত্রিক শক্তির উদ্যোগে প্রতিবাদ সমাবেশ আয়োজনের আহ্বান জানানো হয়।অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, জাতিসংঘ একটি অকার্যকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে এবং তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের সাম্রাজ্যবাদী বিশ্বব্যবস্থা কর্তৃত্ব করছিল, যা এখনো করছে। এ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে দেশে...
ফিলিস্তিন সংহতি কমিটি বাংলাদেশের আহ্বায়ক ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, ‘ফিলিস্তিনের মানুষের মুক্তির লড়াই আমাদেরও। এ লড়াই পুঁজিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে। পুঁজিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদ থামানো না গেলে এ ধরনের আগ্রাসন এবং হামলা অব্যাহত থাকবে।’বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এ কথাগুলো বলেন অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা বন্ধে এ বিক্ষোভে আয়োজন করা হয়। ফিলিস্তিন সংহতি কমিটি বাংলাদেশের আয়োজনে সমাবেশ শেষে একটি মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘আমরা ফিলিস্তিনের পক্ষে আছি, পক্ষে থাকব। এ পক্ষে থাকার অর্থ হচ্ছে, যারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটাচ্ছে বা যে ব্যবস্থা এ হত্যাকাণ্ড ঘটাচ্ছে তার বিরুদ্ধে আমাদের এ সংগ্রাম। আমরা এ ব্যবস্থার বিরুদ্ধে।’ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত এই অধ্যাপক বলেন, ‘আগে ইসরায়েল ফিলিস্তিনে হামলা...
ফিলিস্তিনিদের ওপর ন্যাক্কারজনক হামলা ও ভারতে হিন্দুত্ববাদীদের আগ্রাসনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থীরা। বুধবার (১৯ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে মিছিল নিয়ে খামার মোড় হয়ে আবার প্রধান ফটকে এসে সমাবেশ করেন তারা। মিছিলে তারা ‘ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন’, ‘ইসরায়েলের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘ভারত ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘কিলার কিলার মোদী, নেতানিয়াহু কিলার’, ‘বদরের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন। সমাবেশে শিক্ষার্থী শাহরিয়ার সোহাগ বলেন, “সুইডেনের মতো দেশ যেখানে প্রতিবাদ জানাতে পারে, সেখানে আরব বিশ্ব চুপ কেন? তারা কি নেতানিয়াহুর পকেটে ঢুকে আছে? ছিন্নভিন্ন দেহের ছবি আমাদের সামনে এলে আমরা ঘুমাতে পারি না। আরব বিশ্ব কীভাবে ঘুমায়? যদি ১২০ কোটি মুসলিম একসঙ্গে রুখে দাঁড়াই, তাহলে তারা পালানোর জায়গা পাবে না।...
গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে সোমালিয়া ও সোমালিল্যান্ডে পাঠানোর পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল। গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে এর দখল নিতে চায় ট্রাম্প প্রশাসন। ট্রাম্পের এ প্রস্তাব বাস্তবায়নে আফ্রিকার কয়েকটি দেশকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে সোমালিয়া ও সোমালিল্যান্ডের পক্ষ থেকে থেকে বলা হয়েছে, তারা এ ধরনের কোনো প্রস্তাব পায়নি। দেশ দুটির পক্ষ থেকে এ ধরনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে এর আগে আরব দেশগুলোকে এ ধরনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। ট্রাম্পের ওই প্রস্তাবের বিকল্প হিসেবে আরব দেশগুলোর পক্ষ থেকে মিসরের একটি প্রস্তাবে সমর্থন দেওয়া হয়েছে। মিসরের প্রস্তাবে ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুত করার পরিবর্তে গাজার পুনর্গঠনের কথা বলা হয়েছে। ট্রাম্পের প্রস্তাবের পরিবর্তে আরব নেতাদের পরিকল্পনায় গাজায় ৫ হাজার ৩০০ কোটি মার্কিন ডলারের পুনর্গঠনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল ওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।যুক্তরাষ্ট্র...
গাজার বাসিন্দাদের বাস্তুচ্যুত করার পরিকল্পনা থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার (১২ মার্চ) হোয়াইট হাউজে আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মাইকেল মার্টিনের সঙ্গে এক বৈঠকে ট্রাম্প এমন ইঙ্গিত দেন। তিনি বলেন, ‘কেউ গাজা থেকে কোনো ফিলিস্তিনিকে বের করে দিচ্ছে না।’ একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন। ট্রাম্পের এমন মন্তব্য প্রেসিডেন্টের পূর্বে প্রস্তাবিত পরিকল্পনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মনে হচ্ছে। খবর রয়টার্সের। আরো পড়ুন: যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনায় মস্কো যাচ্ছেন মার্কিন প্রতিনিধিরা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব অমান্য করলে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে: ট্রাম্প এর আগে ট্রাম্প বলেছিলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গাজার মালিকানা নিবে। ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠীকে অন্য জায়গায় স্থানান্তর করা হবে এবং এই অঞ্চলটিকে ‘মধ্যপ্রাচ্যের রিভেরা’ হিসেবে গড়ে তুলবে।” গাজায় ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে একটি ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি...
ইউরোপের প্রধান দেশগুলো বলেছে, তারা ফিলিস্তিনের গাজা পুনর্গঠনে আরব-সমর্থিত পরিকল্পনাকে সমর্থন করে।আরব-সমর্থিত পরিকল্পনাটি বাস্তবায়নের ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুত না করেই পরিকল্পনাটি বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে।গাজা পুনর্গঠনে মিসরের পরিকল্পনাটি আরব নেতারা অনুমোদন করেছেন। কায়রোতে গত মঙ্গলবার আরব লিগের সম্মেলনে মিসরের প্রস্তাবটি অনুমোদন করা হয়। এর তিন দিন পর গতকাল শনিবার জেদ্দায় ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) বৈঠকে প্রস্তাবটি আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করা হয়।আরও পড়ুনআরব নেতাদের গাজা পুনর্গঠন প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল০৫ মার্চ ২০২৫কিন্তু আরব-সমর্থিত পরিকল্পনাটি ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যাখ্যান করেছে। যুদ্ধ-পরবর্তী গাজায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গাজা জোর করে খালি করার পরিকল্পনা রয়েছে ট্রাম্পের।ট্রাম্পের প্রস্তাবে গাজাবাসীকে জর্ডান ও মিসরে সরিয়ে দিতে বলা হয়েছে। গাজাকে ‘মধ্যপ্রাচ্যের রিভেরা’য় (ভূমধ্যসাগরীয় উপকূল বরাবর একটি...
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা দখল এবং এখানকার বাসিন্দাদের বাস্তুচ্যুত করার পরিকল্পনার বিরুদ্ধে আরব লিগের বিকল্প প্রস্তাব আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করেছে ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)। সৌদি আরবের জেদ্দায় শনিবার ওআইসির এক জরুরি বৈঠক শেষে এ প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। এ সময় ওআইসির পক্ষ থেকে আঞ্চলিক উদ্যোগকে সমর্থন করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। মিসরের কায়রোতে গত মঙ্গলবার আরব লিগের এক সম্মেলনে গাজা পুনর্গঠনে মিসরের দেওয়া প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। এর তিন দিন পর জেদ্দায় ৫৭ সদস্যের ওআইসির বৈঠকে প্রস্তাবটি আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করা হয়েছে। ট্রাম্পের প্রস্তাবের বিকল্প মিসরের প্রস্তাবে গাজা পুনর্গঠনে এর ভবিষ্যৎ প্রশাসন ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এর দখল নেওয়ার বিষয়টিতে ব্যাপক নিন্দা জানানো হয়েছে। ওআইসির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ওআইসি গাজার দ্রুত পুনরুদ্ধার এবং পুনর্গঠনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। মুসলিম...
সম্প্রতি একটি সামরিক অনুষ্ঠানে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সিরিয়ার সরকারের উদ্দেশে একটি উত্তেজক বক্তব্য দিয়েছেন। আসাদ সরকারের পতনের পর সিরিয়াকে নিয়ে তাঁর দেশের কৌশলগত রূপরেখাও তিনি তুলে ধরেন। নেতানিয়াহুর বক্তব্যে তিনটি মূল বিষয়ের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। প্রথমত, নেতানিয়াহু বলেছেন, সিরিয়ার নতুন সরকারকে ইসরায়েল দামেস্কের দক্ষিণে সেনাবাহিনী নিয়োগ দেওয়ার অনুমতি দেবে না। নির্দিষ্ট করে তিনি কুয়েইট্রা, দারা ও সুইদে প্রদেশে ‘সম্পূর্ণ নিরস্ত্র’ অঞ্চল ঘোষণার আহ্বান জানান।দ্বিতীয়ত, নেতানিয়াহু এই অবস্থান ঘোষণা করেছেন যে ইসরায়েল সংখ্যালঘু দ্রুজ সম্প্রদায়ের রক্ষক। অতি সম্প্রতি ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কার্টজ বলেছেন, সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের ‘বন্ধুত্বপূর্ণ জনগোষ্ঠী’র সঙ্গে তারা সম্পর্ক জোরালো করতে চায়।তৃতীয়ত, সিরিয়ার ভূমি ইসরায়েলের দখলে রাখতে নেতানিয়াহু তাঁর অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে নিরপেক্ষ অঞ্চল ও হেরমন পর্বত এলাকায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী অনির্দিষ্টকালের জন্য থাকবে।আরও...
ইসরায়েলি আগ্রাসনে বিধ্বস্ত গাজা পুনর্গঠনে ৫ হাজার ৩০০ কোটি ডলারের একটি পরিকল্পনায় ঐকমত্য হয়েছেন আরব বিশ্বের নেতারা। ভবিষ্যতে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (পিএ) অধীনে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হবে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজাকে ‘মধ্যপ্রাচ্যের রিভেরায়’ পরিণত করার পরিকল্পনার বিকল্প হিসেবে এ প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। খবর রয়টার্সের। মিসর উত্থাপিত ও আরব দেশগুলোর গৃহীত প্রস্তাবে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কথা বলা হলেও পিএর অধীনে গাজার শাসন ব্যবস্থা এখনও অনিশ্চিত। কারণ, ইসরায়েল ভবিষ্যতে পিএর কোনো ভূমিকা নাকচ করে দিয়েছে এবং ট্রাম্প তাঁর প্রথম দফায় ফিলিস্তিনি মুক্তি সংস্থার (পিএলও) ওয়াশিংটন অফিস বন্ধ করে দিয়েছিলেন। মিসরের পরিকল্পনাটি জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সমর্থনও পেয়েছে। ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ পরিকল্পনাকে ‘পরিস্থিতির বাস্তবতা উপেক্ষা’ করার শামিল বলে উল্লেখ করেছে। ট্রাম্প প্রশাসনও এ পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করেছে।
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার পুনর্গঠনে আরব নেতারা যে প্রস্তাব দিয়েছেন, তা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল প্রত্যাখ্যান করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর প্রস্তাবেই অটল রয়েছেন বলে জানিয়েছেন দেশটির এক কর্মকর্তা।গতকাল মঙ্গলবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র ব্রায়ান হিউস এক বিবৃতিতে বলেন, (আরব নেতাদের) বর্তমান প্রস্তাবে গাজার বাস্তবতাকে আমলে নেওয়া হয়নি। বর্তমানে গাজা বসবাসের অনুপযোগী। ধ্বংসস্তূপ ও অবিস্ফোরিত জঞ্জাল থাকায় সেখানে মানুষের পক্ষে বসবাস করা সম্ভব নয়।ব্রায়ান হিউসের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘হামাসমুক্ত গাজাকে পুনর্গঠনের ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁর পরিকল্পনায় অটল রয়েছেন। ওই অঞ্চলে শান্তি ও সমৃদ্ধি আনতে আমরা আরও আলোচনা চালিয়ে যেতে আগ্রহী।’আরও পড়ুনগাজা নিয়ে বিকল্প প্রস্তাব গ্রহণ করল আরব দেশগুলো১৬ ঘণ্টা আগেযুদ্ধপরবর্তী গাজা পুনর্গঠনের জন্য ট্রাম্পের দেওয়া প্রস্তাবের বিকল্প প্রস্তাব গ্রহণ করতে গতকাল মঙ্গলবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে এক জরুরি বৈঠকে বসেছিলেন আরব...
গাজা পুনর্গঠনে আবারও জরুরি বৈঠকে বসেছেন আরব নেতারা। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার বিকেলে মিসরের কায়রোয় অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে মূল আলোচ্যসূচি ছিল ফিলিস্তিনি উপত্যকার পুনর্গঠন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবের পরিবর্তে আরব, মুসলিম ও পশ্চিমা দেশগুলোর সমন্বয়ে একটি অন্তর্বর্তী সংস্থা গাজা পরিচালনা করবে– এমন একটি পরিকল্পনা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তারা। খবর রয়টার্সের। ইসরায়েলের ১৫ মাসের আগ্রাসনে ভেঙে পড়া গাজা কে পরিচালনা করবে, তা একটি বড় প্রশ্ন। হামাস বলেছে, বাইরের পক্ষগুলোর চাপিয়ে দেওয়া যে কোনো সমাধান তারা প্রত্যাখ্যান করে। মিসরের নেতৃত্বে এই আলোচনায় জর্ডান, সিরিয়া, আরব লিগ ও গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিল বা জিসিসির সদস্য দেশগুলো অংশগ্রহণ করে। আলোচনায় গুরুত্ব দেওয়া হয়, গাজার প্রাথমিক পুনরুদ্ধার, পরিকাঠামো পুনর্নির্মাণ, বসবাসযোগ্য অবকাঠামো গঠন, সেবা প্রদান এবং দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান বাস্তবায়নের রাজনৈতিক পথ উন্মোচনের সম্ভাব্য পরিকল্পনা। এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নের...
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজা থেকে লোকজনকে উৎখাত করে এর নিয়ন্ত্রণ নিতে যে প্রস্তাব দিয়েছিলেন, তার বিকল্প প্রস্তুত করেছে মিসর। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর আবদেলাত্তি গত রোববার এ কথা বলেন। তিনি বলেন, মিসরের পক্ষ থেকে গাজা পুনর্গঠনের পরিকল্পনা প্রস্তুত করা হয়েছে এবং তা আজ মঙ্গলবার কায়রোতে জরুরি আরব সম্মেলনে উত্থাপন করা হবে। এ প্রস্তাবে ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুত হতে হবে না।আজ মিসরের কায়রোতে আরব লিগের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এ বৈঠকে গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে একটি বিকল্প পরিকল্পনা হাজির করতে যাচ্ছে মিসর।মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এরই মধ্যে গাজা নিয়ে নিজের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। যুদ্ধপরবর্তী গাজায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চায় ট্রাম্প প্রশাসন। গাজা জোরপূর্বক খালি করার পরিকল্পনাও রয়েছে ট্রাম্পের। তাঁর এমন পরিকল্পনার প্রতিক্রিয়ায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি রিয়াদে বৈঠক করেন আরব নেতারা। তাঁরা গাজার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ট্রাম্পের...
গাজা উপত্যকায় সব মানবিক সহায়তার প্রবেশ বন্ধ করায় ইসরায়েলের প্রতি নিন্দা জানিয়েছে বেশ কয়েকটি আরব দেশ ও জাতিসংঘ।গতকাল রোববার গাজায় ত্রাণ ও পণ্যের প্রবেশ বন্ধ করে দেয় ইসরায়েল। এ পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে দেশটি যুদ্ধবিরতির চুক্তি লঙ্ঘন করেছে বলে জানিয়েছে মিসর ও কাতার। অন্যদিকে জাতিসংঘের মানবিক প্রধান টম ফ্লেচার এটিকে ‘উদ্বেগজনক’ বলে বর্ণনা করেছেন।ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, হামাস মানবিক সহায়তার সরবরাহ চুরি করছিল এবং এগুলোকে সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নের কাজে ব্যবহার করেছিল। এ কারণেই তাঁর দেশ পদক্ষেপটি নিয়েছে। নেতানিয়াহুর এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে হামাস।গত শনিবার যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র এটির মেয়াদ বাড়ানোর যে প্রস্তাব দিয়েছিল, তা হামাস প্রত্যাখ্যান করেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।হামাসের এক মুখপাত্র বলেছেন, গাজায় ইসরায়েলের মানবিক সহায়তা প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়টি ‘সস্তা ব্ল্যাকমেল’ এবং...
আরব নেতাদের যাচাইয়ের মুহূর্ত এখন আর মাত্র ১০ দিন দূরে। ৪ মার্চেই সেই গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলন কায়রোয় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ২১ ফেব্রুয়ারি রিয়াদে এক অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় ‘ফিলিস্তিন সংকট মোকাবিলায় যৌথ প্রচেষ্টা’ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ওপরের সংবাদটি এসেছে রয়টার্সের একটি প্রতিবেদনে। সঙ্গে একটি গ্রুপ ছবিও ছিল। ছবিতে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের পাশে জর্ডান, মিসর, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), বাহরাইন ও কুয়েতের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানেরা উপস্থিত ছিলেন।এই সাত দেশের মধ্যে মিসর ও জর্ডান বহু আগেই ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনও ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে আব্রাহাম চুক্তির আওতায় ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছে।অন্যদিকে সৌদি আরব ও কাতারও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা সম্পর্ক বজায় রাখে। তাই এই নেতারা যখন ট্রাম্পের গাজায় জাতিগত নিধনের পরিকল্পনার...
গাজা সংঘাত নিয়ে সৌদি আরবের সম্পৃক্ততার ধরন ছিল ‘ধরি মাছ না ছুঁই পানি’ ধরনের। কিন্তু হঠাৎ করেই সৌদি আরব কূটনৈতিকভাবে সক্রিয় হওয়ার একটি অভিজ্ঞতার মুখে পড়েছে।গাজাকে নিয়ে নেওয়ার ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনার জন্য রিয়াদে মিসর, জর্ডান, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের নেতারা মিলিত হয়েছিলেন। এখানে উল্লেখ করা দরকার যে সৌদি আরব নিজেদের বৈশ্বিক সংঘাত, বৈরিতা মীমাংসার মধ্যস্ততাকারী দেশ হিসেবে দেখছে। ইউক্রেন সংঘাত মীমাংসার জন্য যে আলোচনা হতে যাচ্ছে, তার আয়োজক দেশ সৌদি আরব।সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ট্রাম্পের ভয়ানক আপত্তিকর ‘রিভেরা পরিকল্পনায়’ ভীষণভাবে উদ্বিগ্ন। ট্রাম্প গাজা পুনর্গঠনের জন্য সেখানকার বাসিন্দাদের উচ্ছেদ করে প্রতিবেশী দেশগুলোতে পাঠাতে চান।মোহাম্মদ বিন সালমান আশা করেন, আরব নেতাদের সঙ্গে নিয়ে তিনি পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিকল্প একটি প্রস্তাব দিতে পারবেন। তিনি...