2025-10-03@04:02:38 GMT
إجمالي نتائج البحث: 213
«আরব ইসর য় ল»:
প্রথম দৃষ্টিতে মনে হতে পারে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ২০ দফা পরিকল্পনা (যা ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুও সমর্থন করেছেন) গাজার দীর্ঘ দুই বছরের রক্তক্ষয়ী সংঘাত থামানোর জন্য এখন পর্যন্ত যত উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে সবচেয়ে কার্যকর উদ্যোগ। ট্রাম্প নিজেই বলছেন, তিনি মধ্যপ্রাচ্যের ‘হাজার বছরের’ পুরোনো সমস্যার সমাধান খুঁজছেন, আর সে লক্ষ্যে তিনি প্রচুর রাজনৈতিক ‘মূলধন বিনিয়োগ’ করেছেন। এই পরিকল্পনার পেছনে আঞ্চলিক দেশগুলোর সমর্থনও আছে বলে শোনা যাচ্ছে।কিন্তু সমস্যা হলো, এটি আসলে কোনো স্পষ্ট ও বিস্তারিত রোডম্যাপ নয়। বরং এটিকে তাড়াহুড়া করে কাগজে টেনে দেওয়া একটা খসড়া বলা যেতে পারে। মানে, এতে গন্তব্যের দিকনির্দেশনা আছে বটে, কিন্তু তা এতটাই অস্পষ্ট ও ঝাপসা যে, যেকোনো মুহূর্তে পুরো পথ হারিয়ে ফেলার ঝুঁকি তৈরি হবে।সহজভাবে বললে—এই পরিকল্পনা ঠিকঠাক কাজে লাগলে হয়তো সংঘাতের অবসান ঘটাতে পারে, কিন্তু...
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, তারা গাজার জন্য একটি নতুন শান্তি পরিকল্পনায় একমত হয়েছেন। রবিবার হোয়াইট হাউজে বৈঠক শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে নতুন নেতা এই ঘোষণা দেন। বিবিসি জানিয়েছে, নতুন পরিকল্পনায় গাজায় সামরিক অভিযান অবিলম্বে বন্ধ করার প্রস্তাব করা হয়েছে, এর আওতায় হামাস ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ২০ জন জীবিত ইসরায়েলি জিম্মি এবং দুই ডজনেরও বেশি জিম্মির দেহাবশেষ হস্তান্তর করবে, যাদের মৃত বলে মনে করা হচ্ছে এবং ইসরায়েলে শত শত আটক গাজার নাগরিককে মুক্তি দেওয়া হবে। আরো পড়ুন: গাজায় নিহতের সংখ্যা ৬৬ হাজার ছাড়াল ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিল ইউরোপের আরেক দেশ যুদ্ধবিরতি আলোচনার সঙ্গে পরিচিত একটি ফিলিস্তিনি সূত্র বিবিসিকে জানিয়েছে, গাজায় যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেয়া ২০-দফা শান্তি প্রস্তাব হামাস কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে,...
গাজায় প্রায় দুই বছর ধরে চলা ফিলিস্তিনি গণহত্যা থামিয়ে যুদ্ধবিরতি ও শান্তি আসবে—এমন কোনো বাস্তব আশার কারণ কি আছে? এ প্রশ্নই অনেকের মনে ঘুরছে। আগের মতো এবারও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু, ব্যবসায়িক অংশীদার ও বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ বলেছেন, গাজায় শান্তি এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে কাছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো আগে যেমন তাঁদের আশাবাদ ভুল প্রমাণিত হয়েছিল, এবার তা হবে না, সে নিশ্চয়তা কোথায়?আমি মনে করি, দুটি বড় ঘটনা এবার বাঁকবদল বিন্দু হতে পারে।প্রথমটি হলো কাতারে হামাস নেতাদের লক্ষ্য করে ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা। যদিও ইসরায়েল হামাস নেতাদের হত্যা করতে ব্যর্থ হয়েছে, কিন্তু এ ঘটনা বড় আকারে আলোচিত হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান পশ্চিমা মিত্রদের কয়েকটি দেশ (যেমন যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া) অবশেষে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে। এমনকি...
ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান সংঘাত নিয়ে বৈঠক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত ২০ দফার ‘শান্তি পরিকল্পনা’ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বৈঠক শেষে এই আলোচনার বিষয়ে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেছেন ট্রাম্প ও নেতানিয়াহু।সোমবার হোয়াইট হাউসে দুজনের বৈঠক হয়। বৈঠকে ট্রাম্প জানান, তাঁর প্রস্তাবিত ‘শান্তি পরিকল্পনায়’ সায় দিয়েছেন নেতানিয়াহু। এ সময় পরিকল্পনার বিভিন্ন দফাগুলো সম্পর্কে কথা বলেন তিনি। তবে সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্ন করার সুযোগ দেওয়া হয়নি। চলুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনাটি নিয়ে কী কী বলেছেন ট্রাম্প ও নেতানিয়াহু— ১. নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকের দিনটিকে ‘শান্তির জন্য ঐতিহাসিক একটি দিন’ বলে উল্লেখ করেন ট্রাম্প। যদিও যে হামাসকে নির্মূলের জন্য গাজায় অভিযান চালানো হচ্ছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েল, তাদের ‘শান্তি পরিকল্পনার’ সঙ্গে যুক্ত করা হয়নি।...
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, গাজা যুদ্ধ শেষ করার জন্য তাঁর প্রস্তাবিত ২০ দফা পরিকল্পনায় রাজি হয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতনিয়াহু। ‘কীভাবে গাজায় যুদ্ধ শেষ করা যায়’ তা নিয়ে নেতানিয়াহুর সঙ্গে আলোচনা করেছেন তিনি। হামাসকে এই প্রস্তাবে রাজি করাতে আরব ও মুসলিম বিশ্বের নেতারা কাজ করবেন উল্লেখ করে ট্রাম্প আশা প্রকাশ করেন, হামাস এই প্রস্তাবে রাজি হবে।সোমবার হোয়াইট হাউসে নেতানিয়াহুর সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প এ কথাগুলো বলেন। তবে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে হামাসের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।সোমবার ট্রাম্পের সঙ্গে নেতানিয়াহুর বৈঠকের সময় তাঁরা কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মেদ বিন আব্দুলরহমান বিন জসিম আল-থানির সঙ্গে কথা বলেন। ফোনালাপে চলতি মাসের শুরুতে কাতারে হামলা চালানোর ঘটনায় আল-থানির কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন নেতানিয়াহু।সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, এই প্রস্তাব (২০ দফা) ‘অত্যন্ত...
ফিলিস্তিনের গাজায় সংঘাত বন্ধে নতুন ২১ দফা পরিকল্পনা নিয়ে হোয়াইট হাউসে বৈঠক শুরু করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সোমবার বৈঠক শুরুর আগে ট্রাম্প এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বলেন, গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে ‘আমি বেশ আত্মবিশ্বাসী।’ট্রাম্প-নেতানিয়াহুর আলোচিত এই বৈঠকে সাংবাদিকদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি। বৈঠক শেষে তাঁরা মধ্যাহ্নভোজ করবেন। এরপর স্থানীয় সময় বেলা সোয়া একটার দিকে তাঁরা যৌথ সংবাদ সম্মেলন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।আজ ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় বেলা ১১টা তাঁদের বৈঠক শুরুর কথা থাকলেও তা একটু বিলম্বে শুরু হয়েছে। গত জানুয়ারিতে ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর থেকে এ নিয়ে চতুর্থবার যুক্তরাষ্ট্র সফরে গেলেন নেতানিয়াহু।গত সপ্তাহে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনের ফাঁকে আরব ও মুসলিম নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ট্রাম্প। তাঁদের সঙ্গে তিনি নতুন ২১...
এবার স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিল ইউরোপের দেশ সান মারিনো। শনিবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে এ ঘোষণা দেন সান মারিনোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী লুকা বেক্কারি। খবর আরব নিউজের। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “গত ১৫ মে আমাদের সংসদ সর্বসম্মত সমর্থনসহ সরকারকে এ বছরের মধ্যে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। আজ এই পরিষদের সামনে আমরা সেই নির্দেশ পূরণের ঘোষণা দিচ্ছি। সান মারিনো আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিচ্ছে।’ আরো পড়ুন: ট্রাম্প গাজা যুদ্ধের সমাপ্তি চান, নেতানিয়াহুকে স্পষ্ট বার্তা ফিলিস্তিনিকে এখনই স্বীকৃতি দেবে না নিউজিল্যান্ড বেক্কারি জাতিসংঘের প্রস্তাব অনুযায়ী নিরাপদ ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সীমানার ভেতরে ফিলিস্তিনকে একটি সার্বভৌম ও স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতির ঘোষণা দেন। তিনি আরো বলেন, “একটি রাষ্ট্র পাওয়া ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার। এটি হামাসের জন্য কোনো পুরস্কার নয়...
গত মঙ্গলবার নিউইয়র্ক সিটিতে গালফ কোঅপারেশন কাউন্সিলের (জিসিসি) দেশগুলোর নেতারা গভীর অস্বস্তিকর পরিবেশে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেন। উপসাগরীয় অঞ্চলের কোনো একটি দেশে (কাতার) প্রথমবারের মতো ইসরায়েল হামলা চালানোর পর অনুষ্ঠিত এই শীর্ষ বৈঠকে অন্যান্য আরব ও মুসলিম দেশের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। কাতারে ইসরায়েলের হামলা এমন একটি অপ্রত্যাশিত উত্তেজনা তৈরি করেছে, যা মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন নিরাপত্তা নিশ্চয়তার ওপর যে বিশ্বাস, সেটিই গভীরভাবে নাড়িয়ে দিয়েছে।ওই হামলার পর জিসিসির প্রভাবশালী দেশ সৌদি আরব পাকিস্তানের সঙ্গে একটি প্রতিরক্ষা চুক্তি করেছে। পাকিস্তান হলো পারমাণবিক শক্তিধর সামরিক শক্তি। মনে করা হচ্ছে, চুক্তিটি স্বাক্ষর না হওয়া পর্যন্ত সৌদি আরব তার অংশীদার দেশ যুক্তরাষ্ট্রকে এ বিষয়টি জানায়নি।আরও পড়ুনআরব দেশগুলো এখন বুঝছে—ইরান নয়, ইসরায়েলই তাদের জন্য বড় হুমকি১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ওয়াশিংটনে কেউ কেউ এ ঘটনাকে যুক্তরাষ্ট্রের বলয় থেকে সৌদি...
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ও জামাতা জ্যারেড কুশনার গাজায় যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করতে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। মার্কিন দূতরা এসময় ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্পষ্ট করে বলেছেন যে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গাজায় ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের অবসান চান। আরো পড়ুন: ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভে কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট, ভিসা বাতিল করবে যুক্তরাষ্ট্র সন্দেহভাজন মাদকবাহী নৌকায় মার্কিন হামলা ‘স্বৈরাচারী কাজ’: কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট শুক্রবার সন্ধ্যায় (২৬ সেপ্টেম্বর) ইসরায়েলের জাতীয় পাবলিক ব্রডকাস্টার কান নিউজ এ তথ্য জানিয়েছে। খবর জেরুজালেম পোস্টের। কান নিউজ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে নেতানিয়াহু ও মার্কিন প্রেসিডেন্টের দূতদের মধ্যে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে উইটকফ এবং কুশনার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মনে করেন যুদ্ধ শেষ করার জন্য এখনই সময়।” প্রতিবেদন অনুসারে, যুদ্ধ শেষ করার জন্য নেতানিয়াহুর নতুন পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনার জন্য যে পরিবর্তনগুলো চেয়েছিলেন...
গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলে সেখানে একটি অন্তর্বর্তী প্রশাসন পরিচালনার বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার। এমনটা জানতে পেরেছে বিবিসি।২০০৩ সালে ইরাক যুদ্ধে যুক্তরাজ্যকে জড়িয়েছিলেন টনি ব্লেয়ার। তিনি গাজায় যুদ্ধ বন্ধে এবং ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডটির ভবিষ্যৎ নিয়ে সব পক্ষের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে করছেন বলে জানা গেছে।চলতি সপ্তাহে জাতিসংঘে ট্রাম্প ও আরব নেতাদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ সময় তাঁরা একটি প্রস্তাব তুলে ধরেন। প্রস্তাবের মূল বিষয় হলো—যুদ্ধ–পরবর্তী সময়ে একটি অন্তর্বর্তী প্রশাসন গাজার দায়িত্ব নেবে। প্রশাসনকে জাতিসংঘ সমর্থন দেবে এবং আরব দেশগুলো সহায়তা করবে। গাজার দায়িত্ব ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করার আগপর্যন্ত এ প্রশাসন কার্যকর থাকবে।এক প্রস্তাবে টনি ব্লেয়ারকে গাজার অন্তর্বর্তী প্রশাসনের দায়িত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এ প্রস্তাবে সমর্থন দিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে টনি ব্লেয়ারের...
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি অধিকৃত পশ্চিম তীরকে ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত করতে দেবেন না। গতকাল বৃহস্পতিবার ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।ইসরায়েলের কিছু উগ্র ডানপন্থী নেতা দেশটির সঙ্গে পশ্চিম তীর যুক্ত করে সেখানে নিজেদের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়ে আসছেন। তাঁরা ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনাকে ধূলিসাৎ করতে চান। তাঁদের এ আহ্বান নাকচ করে দিয়েছেন ট্রাম্প।ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু পশ্চিম তীরকে তাঁর দেশের সঙ্গে যুক্ত করার পরিকল্পনা নিয়ে মিত্রদের চাপের মুখে আছেন। বিষয়টি আরব নেতাদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন গত মঙ্গলবার জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।ওভাল অফিসে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি পশ্চিম তীর ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত করতে দেব না, কোনোভাবেই না। এটা হবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘যথেষ্ট হয়েছে। এবার থামতে হবে।’ট্রাম্প এমন সময়...
ছবি: এএফপি
গাজার জন্য একটি শান্তি পরিকল্পনা তৈরিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, সৌদি আরব, ফ্রান্স এবং জাতিসংঘের সাথে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে দেওয়া ভিডিও বার্তায় তিনি এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। চলতি বছর সাধারণ পরিষদে যোগ দেওয়ার জন্য ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে ভিসা দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। এ কারণে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট আব্বাস ভার্চুয়ালি বক্তৃতা দিয়েছেন। চলতি মাসের শুরুতে ১৯৩ সদস্যের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ সাত পৃষ্ঠার একটি ঘোষণাপত্রকে বিপুল ভোটে সমর্থন করে। এই ঘোষণাপত্রের লক্ষ্য ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিদের জন্য দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান এগিয়ে নেওয়া এবং ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে গাজা যুদ্ধের অবসান ঘটানো। কয়েক দশক ধরে চলা সংঘাতের উপর জুলাই মাসে সৌদি আরব ও ফ্রান্স আয়োজিত জাতিসংঘে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন থেকে এই ঘোষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল এই...
সিরিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে ইউক্রেন। যুক্তরাষ্ট্রে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার সঙ্গে বৈঠক করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এরপরই তিনি সিরিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের ঘোষণা দেন।সিরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও স্বৈরশাসক বাশার আল–আসাদের আমলে এ দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছিল।এ বছরের আগে ১৯৬৭ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর থেকে সিরিয়া সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে প্রেসিডেন্ট পর্যায়ে অংশ নেয়নি। যুদ্ধে সিরিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমের গোলান মালভূমি দখল করে ইসরায়েল।গতকাল বুধবার নিউইয়র্কে দুই নেতার ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ আল-শাইবানিও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বলে সংক্ষিপ্ত এক বিবৃতিতে জানিয়েছে সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।রাশিয়া–সমর্থিত ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চল নিজেদের স্বাধীনতার ঘোষণা দিলে সিরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ তাদের স্বীকৃতি দেন। এর...
ফিলিস্তিনের গাজা নগরীর আরও ভেতরে অগ্রসর হয়েছে ইসরায়েলি সেনারা। বড় বড় ভবন লক্ষ্য করে যুদ্ধবিমান থেকে ফেলা হচ্ছে বোমা। শুধু গাজা নগরী নয়, পুরো গাজা উপত্যকায় চলছে ইসরায়েলি আগ্রাসন। এতে গত মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার পর্যন্ত অন্তত ৮৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।গাজায় ইসরায়েলের চলা আগ্রাসন নিয়ে মুসলিম আট দেশের নেতাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈঠকের মধ্যেই এমন নৃশংসতা চালানো হয়। নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনের ফাঁকে মঙ্গলবার এই বৈঠক হয়।ট্রাম্পের সঙ্গে যেসব দেশের নেতাদের বৈঠক হয়েছে, সেগুলো হলো সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, মিসর, জর্ডান, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া ও পাকিস্তান। গত রবি ও সোমবার ফিলিস্তিনকে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, কানাডা, অস্ট্রেলিয়াসহ ১০ দেশের স্বীকৃতির পর এই বৈঠক নিয়ে বেশ আলোচনা ছিল।মঙ্গলবারের বৈঠকের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ট্রাম্প। এ সময় মুসলিম...
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছেন, গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ শেষ করার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আরব ও মুসলিম দেশগুলোর নেতাদের ‘ফলপ্রসূ’ বৈঠকের ফলাফলে তিনি ‘সন্তুষ্ট’।বৈঠকের ফলাফল নিয়ে ট্রাম্পও ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, গতকাল মঙ্গলবার নিউইয়র্কে ৮০তম জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে ‘ইসরায়েল ছাড়া সব শক্তিধর দেশের’ সঙ্গে অনুষ্ঠিত এ বৈঠক ‘সফল’ হয়েছে।যদিও গাজা সিটিতে ইসরায়েল এখনো ক্রমাগত বোমাবর্ষণ করে চলেছে। সেখানে প্রতিদিন ডজন ডজন ফিলিস্তিনিকে হত্যা এবং হাজার হাজার মানুষকে জোরপূর্বক অজানা ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।আরও পড়ুনগাজায় জাতিসংঘ কেন এত অক্ষম, এত অসহায়২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫তবে এখন পর্যন্ত বৈঠকের কোনো বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। বৈঠকে মিসর, ইন্দোনেশিয়া, জর্ডান, পাকিস্তান, কাতার, সৌদি আরব, তুরস্ক ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) নেতারা অংশ নেন। ট্রাম্প এই বৈঠক সম্পর্কে বলেছেন,...
ফ্রান্সের স্বীকৃতির মধ্য দিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী পাঁচ সদস্যের চারটির কাছ থেকে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র হিসেবে গ্রহণযোগ্যতা পেল। স্বীকৃতি না দেওয়া একমাত্র দেশ এখন যুক্তরাষ্ট্র। অবশ্য এই স্বীকৃতির মাধ্যমে হামাসকে পুরস্কৃত করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে তিনি গাজায় সংঘাত দ্রুত বন্ধ হোক, সেটাও চান। গতকাল মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে দেওয়া বক্তব্যে ডোনাল্ড ট্রাম্প ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি ও গাজা সংঘাত নিয়ে ওই মন্তব্য করেন।এর আগের দিন সোমবার সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের আগে এক বিশেষ সম্মেলনে ফ্রান্সসহ নতুন ছয় দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়। ওই সম্মেলনের উদ্যোগ নিয়েছিল সৌদি আরব ও ফ্রান্স। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের গাজায় টানা নৃশংস হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। একে জাতিগত নিধন বলে জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। ইসরায়েলের...
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধের অবসান এবং বেশিরভাগ ধ্বংসপ্রাপ্ত ফিলিস্তিনি ছিটমহলের ভবিষ্যৎ নিয়ে আরব ও মুসলিম নেতাদের কাছে একটি পরিকল্পনা উপস্থাপন করতে যাচ্ছেন। মঙ্গলবার এই পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছে আল-জাজিরা অনলাইন। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট জানিয়েছেন, নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ফাঁকে ট্রাম্প সৌদি আরব, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিশর, জর্ডান, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া এবং পাকিস্তানের নেতাদের সাথে বৈঠক করবেন ট্রাম্প। আরো পড়ুন: গর্ভবতী নারীদের প্যারাসিটামল নিয়ে পরামর্শ দিয়ে চিকিৎসকদের তোপের মুখে ট্রাম্প পারমাণবিক অস্ত্র ছাড়তে না বললে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় প্রস্তুত কিম নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসরায়েলি ও আরব সূত্র ইসরায়েলের চ্যানেল ১২ এবং মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওসকে জানিয়েছে, ভবিষ্যতে গাজা থেকে কীভাবে ইসরায়েল তার সেনাবাহিনী প্রত্যাহার করতে পারে, কীভাবেআঞ্চলিক নেতারা শৃঙ্খলা...
ছবি–০১: Saudi-Arabia–01 নামে ইন্টারন্যাশনালে। ক্যাপশন: ছবি ও ক্যাপশন–০২, ০৩: —শিরোনামের নিউজ থেকে দুইটা ছবি নিতে হবে। ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা এবং ‘দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধান’ (ইসরায়েল–ফিলিস্তিন সংকটের) কার্যকর করা বিষয়ে ফ্রান্স ও সৌদি আরবের উদ্যোগে আয়োজিত জাতিসংঘ শীর্ষ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র খুশি নয়। ওয়াশিংটন এটি স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিয়েছে।যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কয়েকজন ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও শীর্ষ কর্মকর্তা এ নিয়ে কিছু লুকোননি। তাঁরা নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনের সমালোচনা করেছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও সম্মেলনকে আগে ‘প্রতীকী’ ও ‘ইসরায়েল–ফিলিস্তিন সংঘাতের ওপর কোনো প্রভাব নেই’ বলে মন্তব্য করেছেন। তবে তিনি বলেছিলেন, এটি হামাসকে ‘সাহস জোগানোর’ একটি পদক্ষেপ।ইসরায়েলে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মাইক হাকাবি আরও খানিকটা এগিয়ে সম্মেলনকে ‘ঘৃণ্য’ আখ্যায়িত করেছেন এবং বলেছেন, সহ-আয়োজক ফ্রান্সকে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের জন্য ‘ফ্রেঞ্চ রিভিয়েরা’ (ফ্রান্সের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের একটি সমুদ্রসৈকত এলাকা) ত্যাগ করতে...
ফিলিস্তিনকে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে বিশ্বের আরো ছয়টি দেশ। নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বার্ষিক অধিবেশনের আগে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ফ্রান্সসহ ৬টি দেশের নেতারা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা। আরো পড়ুন: ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি: প্রতিশোধ না নিতে ইসরায়েলকে সতর্ক করল যুক্তরাজ্য এবার ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিল পর্তুগাল প্রতিবেদনে বলা হয়, মধ্যপ্রাচ্যের আল আকসা অঞ্চলে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান (টু স্টেট সলিউশন) নীতির বাস্তবায়ন এবং ফিলিস্তিনকে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে ফ্রান্স ও সৌদি আরবের উদ্যোগে সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে বৈশ্বিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল ব্যতীত জাতিসংঘের অধিকাংশ সদস্যরাষ্ট্র এই সম্মেলনে শামিল হয়েছিলেন। সম্মেলনে ফ্রান্সের পাশাপাশি বেলজিয়াম, অ্যান্ডোরা, লুক্সেমবার্গ, মাল্টা এবং মোনাকো জানিয়েছে, তারা একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিচ্ছে। অস্ট্রেলিয়া, কানাডা,...
গত সপ্তাহে কাতারের ওপর ইসরায়েলের বিমান হামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত ‘ন্যাটোবহির্ভূত প্রধান মিত্র’ এবং উপসাগরীয় অঞ্চলে ওয়াশিংটনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী দেশ ইসরায়েলের সমর্থক ভাষ্যকারেরা দ্রুত নজর ঘুরিয়ে নেন তুরস্কের দিকে।ওয়াশিংটনে ডানপন্থী আমেরিকান এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের সিনিয়র ফেলো মাইকেল রুবিন প্রস্তাব করেন যে তুরস্ক হতে পারে ইসরায়েলের পরবর্তী লক্ষ্য এবং সতর্ক করেন যে ন্যাটো সদস্যপদ তুরস্কের রক্ষাকবচ হবে না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইসরায়েলি একাডেমিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মেইর মাসরি পোস্ট করেন, ‘আজ কাতার, কাল তুরস্ক।’আঙ্কারা তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায়। প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা অস্বাভাবিক কঠোর ভাষায় লেখেন, ‘জায়নবাদী ইসরায়েলের কুকুর...শিগগিরই তোমাদের মানচিত্র থেকে মুছে ফেলার মধ্য দিয়ে পৃথিবী শান্তি খুঁজে পাবে।’মাসের পর মাস ধরে ইসরায়েল–সমর্থিত সংবাদমাধ্যম তুরস্কবিরোধী বক্তব্য বাড়িয়েছে, তুরস্ককে ‘ইসরায়েলের সবচেয়ে বিপজ্জনক শত্রু’ হিসেবে উপস্থাপন করছে। ইসরায়েলি ভাষ্যকারেরা পূর্ব ভূমধ্যসাগরে...
গাজায় চলমান জাতিগত নিধন (জেনোসাইড) বন্ধে ইসরায়েলকে চাপ এবং ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে সোমবার ইতালির রাজধানী রোমসহ দেশটির কয়েকটি বড় শহরে আড়াই লাখের বেশি মানুষ বিক্ষোভ করেছেন। কয়েকটি বন্দরে শ্রমিকেরা ধর্মঘট করেছেন।সোমবার ২৪ ঘণ্টা সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দেয় ইতালির শ্রমিকদের সংগঠন ইউএসবি ইউনিয়ন। তাঁরা ইতালির সরকারকে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান জানান। কোনো কোনো স্থানে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে দাঙ্গা পুলিশের সংঘর্ষ হয়। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের খবর জানা যায়নি।রোম পুলিশ জানিয়েছে, শহরটির প্রধান টার্মিনি রেলস্টেশনের সামনে প্রায় দুই লাখ শিক্ষার্থী বিক্ষোভ করেন। অনেকের হাতে ফিলিস্তিনের পতাকা ছিল। তাঁরা ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’-সহ নানা স্লোগান দেন। বিক্ষোভের কারণে বাস ও মেট্রো সেবা ব্যাহত হয়। অভ্যন্তরীণ রেল সংস্থাগুলো যাত্রা বিলম্ব ও বাতিলের সতর্কবার্তা জারি করে।আয়োজকদের দাবি, মিলানের বিক্ষোভে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ অংশ নেন। বোলোনিয়ায় স্থানীয় পুলিশের...
গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেওয়া প্রস্তাব নিয়ে কাতারের দোহায় আলোচনায় বসেন হামাসের নেতারা। এ সময় একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানতে শুরু করে দোহার আবাসিক এলাকায় হামাস নেতাদের ভবনে। কুণ্ডলী পাকিয়ে ধোঁয়া উড়তে দেখা যায় দোহার আকাশে। অবশ্য ৯ সেপ্টেম্বরে ওই হামলা থেকে অল্পের জন্য বেঁচে যান দোহায় অবস্থানরত হামাসের রাজনৈতিক শাখার নেতারা। এতে নিহত হন হামাসের শীর্ষ নেতা খলিল আল-হায়ার ছেলেসহ পাঁচজন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে কাতারের একজন নিরাপত্তাকর্মীও রয়েছেন। বাকিরা হামাস নেতাদের নিরাপত্তারক্ষী। কাতারে ইসরায়েলের এই হামলার পর নড়রচড়ে বসেছে উপসাগরীয় আরব দেশগুলো। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাতারের কৌশলগত সম্পর্ক থাকার পর ইসরায়েলের এমন ‘স্পর্ধা’ হজম করা কঠিন হয়ে উঠেছে উপসাগরীয় নেতাদের জন্য। বিশেষ করে হামলার আগে ইসরায়েল বিষয়টি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জানিয়েছেন, এমন খবর...
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার স্বপ্ন বহু দশক ধরে আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে। ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়াও চলছে বহু দশক ধরে। ১৯৪৫ সালের পর জাতিসংঘের ১৪০টির বেশি সদস্যরাষ্ট্র ফিলিস্তিনকে সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র এখনো স্বীকৃতি দেয়নি। তার এ অবস্থান শুধু ইসরায়েল–ফিলিস্তিন সম্পর্ককেই নয়, গোটা মধ্যপ্রাচ্যের বিস্তৃত ভূরাজনীতি, আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার ক্ষেত্রেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।ইসরায়েল–ফিলিস্তিন সংকটে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান মূলত ‘দুই রাষ্ট্র সমাধান’ নীতির ওপর নির্ভরশীল। এর অর্থ হলো, ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলি পক্ষের মধ্যে সরাসরি আলোচনা ও চুক্তির মাধ্যমে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হওয়া উচিত। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের অনিশ্চিত স্বীকৃতি, ফিলিস্তিনিদের ন্যায্য দাবির পক্ষে পদক্ষেপ না নেওয়া, সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মিত্র ইসরায়েলকে সামরিক–অর্থনৈতিক দিক থেকে তার সহায়তা করা মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রতিবন্ধক।যুক্তরাষ্ট্রের এ পক্ষপাতদুষ্ট অবস্থান পশ্চিমা ও আরব জোটের...
বহু দশক ধরে মধ্যপ্রাচ্য একের পর এক যুদ্ধের বৃত্তে ঢুকে পড়েছে। একের পর এক দেশ আক্রমণের শিকার হয়েছে, ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এবং অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে। সব দিক বিবেচনায় মধ্যপ্রাচ্য হয়ে উঠেছে বিশ্বশক্তিগুলোর যুদ্ধক্ষেত্র। মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি নিয়ে তাদের উদ্বেগ কম, আগ্রহের জায়গা প্রাকৃতিক সম্পদ।কাতারের দোহায় ইসরায়েলের হামলার পর উপসাগরীয় আরব দেশগুলোর মধ্যে ‘মার্কিন নির্ভরযোগ্যতা’ নিয়ে ক্রমে সন্দেহ বাড়ছে। দ্য টাইমস অব ইসরায়েলে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দোহায় হামলার আগে নেতানিয়াহু ট্রাম্পকে বিষয়টি জানিয়েছিলেন। যদিও ট্রাম্প পরে তা অস্বীকার করেছেন।আসল ব্যাপার হলো ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের শর্তহীন সমর্থন ও পৃষ্ঠপোষকতা উপভোগ করে। স্বাভাবিকভাবেই এ সন্ধিক্ষণে সবার নজর ‘বৃহত্তর ইসরায়েল’ প্রকল্পের দিকে। কারণ, ইসরায়েলের এই প্রকল্প খোলাখুলিভাবে মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলোর ওপর হুমকি তৈরি করেছে।আরও পড়ুনযুবরাজ সালমান এক দশকে যেভাবে সৌদি আরবকে পাল্টে দিলেন১৪...
অনেক আরব দেশ ইসরায়েলের কাছ থেকে ক্রমবর্ধমান হুমকি অনুভব করছে। তাই মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশই এখন নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। এই উদ্বেগ থেকে মুক্তি পেতে চলতি সপ্তাহে পাকিস্তানের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তির বদৌলতে সৌদি আরব নিজেকে ইসলামাবাদের পারমাণবিক ছাতার তলায় নিয়ে এসেছে। বুধবার পাকিস্তান ও সৌদি আরবের মধ্যে স্বাক্ষরিত ‘কৌশলগত পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি’ কার্যকরভাবে রিয়াদের বিপুল অর্থ পাকিস্তানের বিশাল পারমাণবিক সশস্ত্র সেনাবাহিনীতে বিনিয়োগ করলো। এই চুক্তির খুব কম বিবরণ প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু রিয়াদ ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, চুক্তির অধীনে তাদের একটি কার্যত পারমাণবিক ঢাল থাকবে। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ রয়টার্সকে বলেছেন,পারমাণবিক অস্ত্রের বিষয়টি চুক্তির ‘দৃষ্টিসীমায় নেই।’ চুক্তিটি অন্যান্য উপসাগরীয় দেশগুলোকেও অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সম্প্রসারিত করা যেতে পারে। আসিফ বলেন, “আমাদের এই চুক্তিটি কোনো আগ্রাসনের জন্য ব্যবহার করার ইচ্ছা...
কূটনীতিতে ব্যক্তিগত রসায়নই যে শেষ কথা নয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে তা ফের নতুন করে মনে করিয়ে দিল কংগ্রেস। সৌদি আরবের সঙ্গে পাকিস্তানের কৌশলগত প্রতিরক্ষা চুক্তির পর সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে কংগ্রেস বলেছে, কূটনৈতিক দিক থেকে ওই চুক্তি আরও এক বড় ধাক্কা। কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র জয়রাম রমেশ বৃহস্পতিবার ওই চুক্তি প্রসঙ্গে বুঝিয়ে দেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বারবার ব্যক্তিগত রসায়নের যে উল্লেখ করেন, কূটনীতিতে তা অর্থহীন। ‘এক্স’ হ্যান্ডেলে এক পোস্টে তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, পেহেলগামে যেদিন হামলা হয়, প্রধানমন্ত্রী সেদিন সৌদি আরবে ছিলেন। পাকিস্তানের সঙ্গে সেই সৌদি আরব প্রতিরক্ষা চুক্তি সেরে ফেলল।পোস্টে জয়রাম আরও উল্লেখ করেন, ‘অপারেশন সিঁদুর’–এর পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরকে মধ্যাহ্নভোজে আপ্যায়ন করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি ঘটা করে চীন সফর করলেন। তার...
আরব ও মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলো যদি সমন্বিতভাবে ইসরায়েলের জন্য আকাশপথ অবরোধ করে, তবে তার অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও নিরাপত্তাগত প্রভাব কী হতে পারে—সে বিষয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মালিকানাধীন একটি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান। গত বুধবার আল হাবতুর রিসার্চ সেন্টার এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, ৯ সেপ্টেম্বর কাতারের রাজধানী দোহায় ইসরায়েলের হামলাই এমন সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়ার প্রেরণা বা অনুঘটক হতে পারে। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের নেতাদের লক্ষ্য করে চালানো ওই হামলায় ছয়জন নিহত হন। তাঁদের মধ্যে একজন ছিলেন কাতারের নিরাপত্তা কর্মকর্তা। তবে হামাসের কোনো শীর্ষ নেতা নিহত হননি। গত সোমবার কাতারের রাজধানীতে জরুরি বৈঠকে বসে ৫৭ সদস্যের ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) ও আরব লীগ। বৈঠকে ইসরায়েলের হামলার জবাবে কী পদক্ষেপ নেওয়া যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।আল হাবতুর রিসার্চ সেন্টারের...
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বুধবার ‘কৌশলগত পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি’ (এসএমডিএ) স্বাক্ষর করেছেন। রিয়াদে শাহবাজ শরিফকে সৌদি এফ-১৫ যুদ্ধবিমানের অভিবাদন, লালগালিচা সংবর্ধনা এবং পূর্ণ রাজকীয় প্রটোকলের মাধ্যমে স্বাগত জানানো হয়েছিল। চুক্তি স্বাক্ষরের সময়ও তাঁকে বেশ হাস্যোজ্জ্বল দেখা গিয়েছিল।পর্যবেক্ষকরা বলছেন, প্রায় আট দশক ধরে চলে আসা পুরোনো দুই মিত্রদেশের জন্য এই চুক্তি স্বাক্ষর একটি যুগান্তকারী মুহূর্ত।রাজধানী রিয়াদের আল-ইয়ামামাহ প্রাসাদের রয়্যাল কোর্টে এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সৌদি আরবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সৌদি আরব ইসলামের দুটি পবিত্রতম স্থানের তত্ত্বাবধায়ক। অনুষ্ঠানে মুসলিম বিশ্বের একমাত্র পারমাণবিক শক্তিধর দেশ পাকিস্তানের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।প্রতিরক্ষা চুক্তিটি এমন এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে স্বাক্ষরিত হয়েছে, যখন এ অঞ্চলের রাজনীতি টালমাটাল। দুই বছর ধরে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন চলছে। প্রতিবেশী কয়েকটি দেশে হামলার ঘটনা ঘটেছে। গত...
গাজা সিটিতে ইসরায়েলি স্থল অভিযানের ‘কঠোরতম ভাষায়’ নিন্দা জানিয়েছে সৌদি আরব। বুধবার সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানিয়েছে। ইসরায়েল মঙ্গলবার গাজার প্রধান নগর কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ দখলের জন্য স্থল আক্রমণ শুরু করেছে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বুধবার জানিয়েছে, মঙ্গলবার ভোরে শুরু হওয়া স্থল অভিযানের আগে তারা ১৫০টি বিমান ও কামান হামলা চালিয়েছে। দুটি সেনা বিভাগ শহরের কেন্দ্রস্থলের দিকে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে এবং আগামী দিনে তৃতীয়টি তাদের সাথে যোগ দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর একদিন পরে সৌদি আরব এই বিবৃতি দিলো। সৌদি পররাষ্ট্র দপ্তর বিবৃতিতে ফিলিস্তিনিদের হত্যা, অনাহার এবং জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতের ঘটনা বন্ধ করার জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। মঙ্গলবার জাতিসংঘের তদন্ত কমিশন তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইসরায়েল গাজায় গণহত্যা চালিয়েছে।...
কাতারের দোহায় হামাস কর্মকর্তা ও আলোচকদের হত্যার মাধ্যমে ইসরায়েল মধ্যপ্রাচ্যের জন্য এক নতুন পরিস্থিতি তৈরি করেছে। এটা উপেক্ষা করা আরব রাষ্ট্রগুলোর পক্ষেও সম্ভব নয়।ইসরায়েল বরাবরই তার নিরাপত্তার স্বার্থে আগাম (আক্রান্ত হওয়ার আগেই) ও সীমান্তের বাইরে হামলার যৌক্তিকতা দেখিয়ে এসেছে। গত দুই বছরে ৭ অক্টোবর হামাসের আক্রমণের প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল অন্তত ছয়টি দেশে (ফিলিস্তিনসহ) হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলের এসব হামলার লক্ষ্য ছিল দেশটির নিরাপত্তার জন্য সব ধরনের হুমকি দূর করা।কিন্তু কাতারের রাজধানী দোহায় হামলা সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়। কাতার শুধু সমৃদ্ধ উপসাগরীয় রাজতন্ত্রই নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ নিরাপত্তা সহযোগী ও ন্যাটোবহির্ভূত একটি মিত্র। একই সঙ্গে এটা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল-হামাস আলোচনার একটি কেন্দ্র।ফলে এই হামলা আরেকটি ‘টার্গেট কিলিং’ নয়, বরং এক মৌলিক পরিবর্তনের সূচনা। এখন থেকে আরব রাষ্ট্রগুলো শুধু ইরানকেই নয়, ইসরায়েলকেও আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতার...
কাতারের দোহায় আরব ও মুসলিম দেশগুলোর একটি জরুরি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো কাতারের প্রতি সংহতি এবং গত সপ্তাহে দোহায় ইসরায়েলি বোমা হামলার নিন্দা জানিয়েছে।গতকাল সোমবার আরব লিগ ও ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) যৌথ সম্মেলনে প্রায় ৬০টি সদস্যদেশ অংশ নেয়। এসব দেশের নেতারা বলেছেন, ইসরায়েলের নজিরবিহীন আগ্রাসনের মধ্যে একটি ঐক্যবদ্ধ বার্তা দেওয়ার জন্য এ বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।গত সপ্তাহে দোহায় হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতাদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েল। এ সময় হামাস নেতারা যুক্তরাষ্ট্র–সমর্থিত একটি যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করছিলেন। নজিরবিহীন ওই হামলায় অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরব ও মুসলিম দেশগুলোসহ বিশ্বের নানা প্রান্তে নিন্দার ঝড় ওঠে।চলুন জেনে নেওয়া যাক, সম্মেলনে কোন দেশের নেতারা কী বলেছেন:কাতারকাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি তাঁর স্বাগত বক্তব্যে বলেন, ‘আমার দেশের...
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারা হঠাৎ করে জরুরি বৈঠক ও সম্মেলনে মিলিত হচ্ছেন। কারণ, কাতারের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করে ইসরায়েল দোহায় হামাস নেতাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। কাতার শুধু যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্রই নয়, দেশটি গাজার শান্তি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুও।এ হামলার পর উপসাগরীয় দেশগুলোর নেতারা উদ্বেগ প্রকাশ করতে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছেন। যেমন সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান দোহায় এসে কাতারের আমিরকে আলিঙ্গন করেছেন। কয়েক বছর আগে যখন এ দুই দেশের মধ্যে তীব্র দ্বন্দ্ব ছিল, তখন এমন দৃশ্য ভাবাও সম্ভব ছিল না। এ ছাড়া সৌদি আরব ইসরায়েলি হামলার পর প্রতিক্রিয়া দেখাতে আরব, ইসলামি ও আন্তর্জাতিক সমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে এবং ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডকে অপরাধ বলে নিন্দা জানিয়েছে।সম্প্রতি আমরা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে চীনের তিয়ানজিনে...
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার বলেছেন, পাকিস্তানের ‘অনেক বড়’ এবং ‘কার্যকর’ সশস্ত্র বাহিনী রয়েছে যারা প্রচলিত যুদ্ধে তাদের সক্ষমতা প্রমাণ করেছে। ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধে মধ্যপ্রাচ্যে একটি ঐক্যবদ্ধ সংস্থা গঠন করা হলে ইসলামাবাদ তাতে যোগ দেবে। কাতারে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলার পর আরব ও ইসলামিক দেশগুলোর শীর্ষ সম্মেলনের আগে তিনি এ কথা বলেছেন। সোমবার রাতে এই সাক্ষাৎকারটি আল জাজিরাতে প্রকাশিত হয়েছে। আল-জাজিরার পক্ষ থেকে পাক-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হয়- গাজায় হস্তক্ষেপের জন্য জাতিসংঘের কাঠামো থেকে সরে এসে মধ্যপ্রাচ্যে একটি ঐক্যবদ্ধ সংস্থা গঠনের বিকল্প কী? এর জবাবে দার বলেন, “জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের মতো একটি ব্যবস্থা তৈরি করা যেতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, যেসব দেশ তাদের কথা শোনে না তাদের উপর অত্যন্ত গুরুতর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে নিরাপত্তা পরিষদ। এটি যেকোনো দেশের জন্য একটি অত্যন্ত...
কাতারের রাজধানী দোহায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের নেতাদের ওপর ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়েছে আরব ও ইসলামি দেশগুলো। গতকাল সোমবার দোহায় আরব ও ইসলামি দেশগুলোর জরুরি সম্মেলনে একে ইসরায়েলের ‘কাপুরুষোচিত’ হামলা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা কোনো সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেননি।দোহায় অনুষ্ঠিত ওই সম্মেলনে গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিলের (জিসিসি) ‘যৌথ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা চালু করার’ বিষয়ে অঙ্গীকার করা হয়েছে। এটাকেই এ সম্মেলনের সবচেয়ে বাস্তব পদক্ষেপ বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।গতকাল সম্মেলনের উদ্বোধন করেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। তিনি তাঁর দেশে ইসরায়েলের বোমা হামলাকে নির্লজ্জ এবং কাপুরুষোচিত উল্লেখ করে সমালোচনা করেন।সম্মেলনে জিসিসির সদস্যদেশ বাহরাইন, কুয়েত, ওমান, কাতার, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত একটি প্রতিরক্ষা চুক্তি করেছে। জিসিসির সদস্যদেশগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এ চুক্তি করা হয়েছে।শেখ তামিম তাঁর...
কাতারে হামাস নেতাদের ওপর ইসরায়েলের হামলার পর সোমবার দেশটির রাজধানী দোহায় আরব ও মুসলিম দেশগুলোর শীর্ষ নেতারা এক জরুরি শীর্ষ সম্মেলনে বসেন। সম্মেলন শেষে তাঁরা ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানান।আরব লীগ ও ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) এই যৌথ বৈঠকে প্রায় ৬০টি দেশ অংশ নেয়। গত মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত নতুন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়ে দোহায় হামাস নেতাদের বৈঠক চলাকালে বিমান ও ড্রোন হামলা চালায় ইসরায়েল।হামাস জানিয়েছে, হামলায় তাদের পাঁচ সদস্য ও কাতারের এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। কিন্তু ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠনটির শীর্ষ কোনো নেতা নিহত হননি। এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় সোমবার জরুরি সম্মেলনটির আহ্বান করেছিল কাতার।সম্মেলন শেষে এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের চলমান কার্যক্রম রোধে সব ধরনের আইনি ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে (বৈঠকে অংশগ্রহণকারী) সব...
ফিলিস্তিনের গাজায় নৃশংস হামলা ও হত্যাযজ্ঞের মধ্যে ইসরায়েল সফর করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তিনি। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, গাজায় চলমান সংঘাতে ইসরায়েলকে ‘অবিচল সমর্থন’ দিয়ে যাবে তাঁর দেশ। উপত্যকাটি থেকে হামাসকে নির্মূল করার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।রুবিও ইসরায়েলে পৌঁছান গতকাল রোববার। এরপর আজ সোমবার জেরুজালেমে নেতানিয়াহুর সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন। এ সময় পশ্চিমা বিভিন্ন দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার যে পরিকল্পনা করছে, তার সমালোচনা করেন তিনি। বলেন, এমন পদক্ষেপ স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব ফেলবে না। তা শুধু হামাসকে আরও সাহসী করে তুলবে।রুবিও বলেন, ভালো একটি ভবিষ্যৎ গাজার বাসিন্দাদের প্রাপ্য। তবে যতক্ষণ পর্যন্ত হামাসকে নির্মূল না করা হবে, ততক্ষণ তারা কোনো ভালো ভবিষ্যৎ পাবে না। নেতানিয়াহুর উদ্দেশে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আপনি আমাদের...
দোহার উপর ইসরায়েলের আক্রমণের নিন্দা জানাতে এবং উপসাগরীয় রাষ্ট্রের সাথে সংহতি প্রকাশের জন্য কাতার আরব ও মুসলিম নেতাদের নিয়ে একটি শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা মাজেদ আল-আনসারি জানিয়েছেন, সোমবারের সম্মেলনে ‘কাতারের উপর ইসরায়েলি আক্রমণের বিষয়ে একটি খসড়া প্রস্তাব’ বিবেচনা করা হবে। রবিবার একটি মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে এই প্রস্তাবের খসড়া তৈরি করা হবে। তিনি বলেন, শীর্ষ সম্মেলন “ইসরায়েলের কাপুরুষোচিত আগ্রাসনের মুখে কাতারের সাথে আরব ও ইসলামী দেশগুলোর সংহতি ... এবং ইসরায়েলের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদের স্পষ্ট প্রত্যাখ্যান”কে প্রতিফলিত করে। বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, এই বৈঠকের উদ্দেশ্য ইসরায়েলকে একটি স্পষ্ট সংকেত পাঠানো। কিংস কলেজ লন্ডনের আন্দ্রেস ক্রিগ বলেন, ইসরায়েলি হামলা “উপসাগরজুড়ে সার্বভৌমত্বের একটি অভূতপূর্ব লঙ্ঘন এবং কূটনীতির উপর আক্রমণ” হিসাবে দেখা হচ্ছে। শীর্ষ সম্মেলন ইঙ্গিত দেয় যে ‘এই ধরনের আগ্রাসন...
স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে অধিকাংশ সদস্যদেশ। এই প্রস্তাবকে ‘নিউইয়র্ক ঘোষণা’ বলা হচ্ছে। প্রস্তাবে ফিলিস্তিন–ইসরায়েল দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের প্রচেষ্টায় তৎপরতা আনার কথা বলা হয়েছে। এ–ও বলা হয়েছে যে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলে, সেখানে হামাসের কোনো সংশ্লিষ্টতা থাকবে না।গতকাল শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে এ ভোটাভুটি হয়। প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে সাধারণ পরিষদের ১৪২টি দেশ। বিপক্ষে ভোট দিয়েছে মাত্র ১০টি দেশ। তাদের মধ্যে ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র রয়েছে। ভোটদানে বিরত ছিল ১২টি দেশ। সাধারণ পরিষদে প্রস্তাবটি উত্থাপন করেছিল ফ্রান্স ও সৌদি আরব।২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। তারই পরিপ্রেক্ষিতে সেদিন থেকে গাজায় নৃশংস হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার নিন্দা না জানানোর জন্য জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থাকে নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে...
ইসরায়েলের সেনাবাহিনী গাজা শহরের ‘সব বাসিন্দাকে’ নতুন আক্রমণের আগে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। মঙ্গলবার এক্স-এ এক পোস্টে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পোস্টে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর আরবি ভাষার মুখপাত্র বলেছেন, তারা গাজা শহরে ‘প্রচণ্ড শক্তি’ নিয়ে কাজ করবে এবং বাসিন্দাদের চলে যাওয়ার জন্য সতর্ক করেছে। মুখপাত্র আভিচায় আদ্রাই লিখেছেন, “প্রতিরক্ষা বাহিনী হামাসকে পরাজিত করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং গাজা সিটি এলাকায় প্রচণ্ড শক্তির সাথে কাজ করবে।” অনলাইনে স্থানান্তরের নির্দেশিকা পোস্ট করার পাশাপাশি আকাশ থেকে গাজা শহরে বিপুল পরিমাণ লিফলেট ফেলেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এই লিফলেটগুলোতে স্থানান্তরের নির্দেশের একটি মানচিত্র দেওয়া হয়েছে এবং ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী লিখেছে- ‘দ্রুত খালি কর।’ আইডিএফের আরবি ভাষার মুখপাত্র কর্তৃক জারি করা সেই আদেশে বলা হয়েছে, শহরের বাসিন্দাদের আল-মাওয়াসির মানবিক অঞ্চলের দিকে যেতে হবে। ...
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার বাসিন্দাদের দক্ষিণ সুদানে স্থানান্তরের লক্ষ্যে একটি চুক্তি করতে আলোচনা চালাচ্ছে ইসরায়েল। শনিবার সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে। তবে ফিলিস্তিনি নেতারা এ পরিকল্পনাকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ আখ্যা দিয়ে প্রত্যাখ্যান করেছেন। বিষয়টি সম্বন্ধে অবগত নাম-পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো চুক্তি হয়নি, তবে দক্ষিণ সুদান ও ইসরায়েলের মধ্যে আলোচনা চলছে। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে ইসরায়েলের সঙ্গে প্রায় দুই বছর ধরে চলা যুদ্ধে বিধ্বস্ত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডটির বাসিন্দাদের এমন এক দেশে যেতে হবে, যেটি বহু বছর ধরে চলমান রাজনৈতিক ও জাতিগত সহিংসতায় কাবু হয়ে পড়েছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের এক মুখপাত্র বলেন, “আমরা অনানুষ্ঠানিক কূটনৈতিক আলোচনার বিষয়ে কিছু...
গাজা সিটি দখলে ইসরায়েলের পরিকল্পনার তীব্র সমালোচনা হচ্ছে আন্তর্জাতিক মহলে। কিন্তু একে তেমন একটা গুরুত্ব দিচ্ছে না দেশটি। বরং নিজেদের সিদ্ধান্তে অটল থাকার কথা জানিয়েছে নেতানিয়াহুর সরকার।গাজা সিটি দখলের পরিকল্পনা নিয়ে বিশ্বনেতাদের সমালোচনা জোরালোভাবে প্রত্যাখ্যান করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ বলেছেন, ‘যেসব দেশ আমাদের নিন্দা করছে এবং নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিচ্ছে, তারা ইসরায়েলের সংকল্প “দুর্বল” করতে পারবে না।’কাৎজ আরও বলেন, ‘শত্রুরা আমাদের শক্তিশালী ঐক্যবদ্ধ মুষ্টি নিয়ে তাদের দিকে এগিয়ে আসতে দেখতে পাবে, যা তাদের ওপর প্রবল শক্তি দিয়ে আঘাত হানবে।’আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা সিটি দখলের পরিকল্পনাকে পুরো গাজা উপত্যকা দখলের অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এরই মধ্যে উপত্যকাটির প্রায় ৭৫ শতাংশের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে ইসরায়েল। গাজা সিটি দখলে নেওয়া হলে উপত্যকাটির প্রায় ৮৫ শতাংশ ইসরায়েলের দখলে চলে যাবে। তবে ইসরায়েল...
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর গাজা দখলের পরিকল্পনা ঘোষণা পর ১২ ঘণ্টারও বেশি সময়ে পেরিয়ে গেছে। পশ্চিমা কয়েকটি দেশ এই ঘোষণার প্রতিক্রিয়া জানালেও এখনো আরব দেশগুলো কোনো মন্তব্য করেনি। শুক্রবার আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানা গেছে। নেতানিয়াহু বুধবার (৭ আগস্ট) রাতে এক টেলিভিশন ভাষণে গাজা দখলের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেছেন, “গাজা যেন আর কখনো আমাদের নাগরিকদের জন্য হুমকি না হয়, তা নিশ্চিত করতেই আমাদের এ পরিকল্পনা। আমরা চূড়ান্ত বিজয়ের পথে এগিয়ে যাচ্ছি।” নেতানিয়াহুর এই ঘোষণার পর ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার ইসরায়েলকে সিদ্ধান্তটি ‘অবিলম্বে পুনর্বিবেচনা করার’ আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যুক্তরাজ্য ‘দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের অংশ হিসেবে’ শান্তি নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছে। অস্ট্রেলিয়া ইসরায়েলকে তার পরিকল্পনা থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি...
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ওসমানি শাসন–পরবর্তী যে আরব রাষ্ট্রগুলো গড়ে তোলা হয়েছিল, তা ছিল পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদীদের স্বার্থরক্ষায়—এ অঞ্চলের নিজস্ব অধিবাসীদের জন্য নয়।১৯১৮ সালে, ওসমানি শাসন–পরবর্তী মধ্যপ্রাচ্যে ব্রিটিশ আধিপত্য স্পষ্ট হয়ে উঠতে থাকে। এটি স্বীকার করে ব্রিটিশ ভারতের একজন কর্মকর্তা লিখেছিলেন, ‘পুরোনো স্লোগান এখন অচল। আমাদের নতুন পথ বেছে নিতে হবে; যা মূল লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক। কাজটি সম্ভব, তবে তার জন্য কিছুটা দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন দরকার। “আরব মুখোশ” হয়তো আমাদের পূর্বপরিকল্পনার চেয়ে আরও শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করাতে হতে পারে।’১৯১৯ সালের তথাকথিত প্যারিস শান্তি সম্মেলনের সময় ব্রিটিশরা বুঝে যায়, ব্যাহত প্রতীয়মান ‘স্বনির্ধারণীর’ এ যুগে নিজেদের আধিপত্য আর সরাসরি চাপিয়ে দিতে পারবে না তারা। তাই তাঁদের আধিপত্য আড়াল করতে দরকার ‘স্থানীয় কর্তৃত্ব’ নামের এক মুখোশ।কিছু ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদী, যেমন টি ই লরেন্স ভাবতেন, তাঁরা আরবদের...
জি-৭ ভুক্ত গুরুত্বপূর্ণ তিন দেশ—কানাডা, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স আগামী সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সভায় ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে।এর মধ্য দিয়ে ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়া রাষ্ট্রের সংখ্যা ১৫০–এ দাঁড়াবে। প্রশ্ন উঠছে, এ স্বীকৃতির বাস্তবিক অর্থ কী? এতে আসলে ফিলিস্তিনের কতটুকু লাভ হবে? এর আগে ১৪৭টি রাষ্ট্র ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিলেও তা ৭৭ বছর ধরে ফিলিস্তিন একটি পূর্ণাঙ্গ স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে দাঁড়াতে পারেনি।বহু দেশের স্বীকৃতি সত্ত্বেও ফিলিস্তিন কিংবা গাজা উপত্যকার নিরীহ সাধারণ মানুষের ওপর ইসরায়েলের অব্যাহত আগ্রাসন কখনোই থামেনি। এমনকি বর্তমানে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল সৃষ্ট চলমান অবরোধ সেখানে দুর্ভিক্ষ রূপ লাভ করেছে। ওষুধ, খাদ্য ও জরুরি সহায়তা সেখানে পৌঁছানো একপ্রকার অসম্ভব হয়ে পড়েছে। আজ পর্যন্ত গাজা উপত্যকায় হাজার শিশু, নারী, বৃদ্ধ ও নিরস্ত্র সাধারণ নাগরিককে হত্যা করা হয়েছে।আরও...
গত সপ্তাহে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে ফিলিস্তিন প্রশ্নে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সম্মেলনে গৃহীত এক প্রস্তাবে বলা হয়েছে, গাজায় অব্যাহত যুদ্ধ বন্ধ করার স্বার্থে হামাসকে সরে যেতে হবে। শুধু নিরস্ত্র করাই যথেষ্ট নয়, তাদের গাজার শাসনভার থেকেও পুরোপুরি বিযুক্ত করতে হবে।হামাসের জায়গায় অঞ্চলটির শাসনভার গ্রহণ করবে মাহমুদ আব্বাসের ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ (প্যালেস্টিনিয়ান অথরিটি, সংক্ষেপে পিএ)। তবে তিনি একা নন, তাঁকে এই কাজে সাহায্য করবে একটি আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা বাহিনী। প্রশাসনিক কাজে সাহায্য করতেও বিদেশি, মুখ্যত আরব, বিশেষজ্ঞেরা যোগ দেবেন।প্রস্তাবটি খুব নতুন, তা নয়। ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের প্রধান মাহমুদ আব্বাস নিজেও মাত্র দুই সপ্তাহ আগে গাজা থেকে হামাসের সশস্ত্র সদস্যদের সরে যাওয়ার দাবি করেছেন। তবে প্রথমবারের মতো সৌদি আরব ও কাতারের মতো আরব দেশ, যাদের অর্থে হামাস টিকে আছে, তারা নিরস্ত্র করার পাশাপাশি...
সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) থেকে ইসরায়েল তাদের বেশির ভাগ কূটনৈতিক কর্মী ফিরিয়ে আনছে। দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল (এনএসসি) উপসাগরীয় দেশটিতে ইসরায়েলিদের জন্য ভ্রমণ সতর্কতা হালনাগাদ করার পর এ পদক্ষেপ নিয়েছে বলে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে। এ সিদ্ধান্ত এমন এক সময় এল, যখন ইসরায়েল আমিরাতে নিযুক্ত তাদের রাষ্ট্রদূত ইয়োসি আব্রাহাম শেলিকে ফিরিয়ে নিয়েছে। এর আগে আমিরাত জানায়, রাজধানী আবুধাবির একটি বারে নারীদের সঙ্গে নিয়ে প্রবেশ করে ‘অশোভন আচরণ’ করার কারণে তারা আর শেলিকে গ্রহণ করতে ইচ্ছুক নয়।গত বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা পর্ষদ সতর্ক করে দেয় যে আরব আমিরাতে ইহুদি ও ইসরায়েলিদের ওপর হামলার চেষ্টা হতে পারে, বিশেষ করে শাব্বাত ও ইহুদিধর্মীয় ছুটির সময়ে।সাম্প্রতিককালে ইরানে ইসরায়েলের ১২ দিনের হামলার জেরে ‘পাল্টা আক্রমণের আশঙ্কা’ এবং গাজায় চলমান অভিযানের কারণে বৈশ্বিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার প্রেক্ষাপটে...
গত জুনে সংঘাতের সময় ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে উপর্যুপরি আঘাত হানছিল। তা প্রতিরোধ করতে গিয়ে দেশটির ভান্ডারে থাকা টার্মিনাল হাই অল্টিটিউড এরিয়া ডিফেন্সে (থাড) টান পড়েছিল। সংঘর্ষ চলাকালে সৌদি আরবের হাতে এই প্রতিরক্ষাব্যবস্থা না থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি অন্য আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা তাদের ছিল। তাই সংকটকালে ইসরায়েলকে কিছু আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা দিতে সৌদি আরবকে অনুরোধ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু রিয়াদ তাতে রাজি হয়নি।অনুরোধের বিষয়টি জানেন, এমন দুজন মার্কিন কর্মকর্তা মিডল ইস্ট আইকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।দুজনের একজন বলেন, ‘যুদ্ধ চলাকালে আমরা সবাইকে (মধ্যপ্রাচ্যের যেসব দেশে মার্কিন প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ছিল) তাদের সবাইকে (ইসরায়েলকে কিছু ধার দেওয়া) অনুরোধ করেছিলাম। যখন কাজ হলো না, তখন আমরা চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছিলাম। শুধু কোনো একটি দেশকে অনুরোধ করা হয়েছিল, তা কিন্তু নয়।’কিন্তু ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলকে সাহায্য করার জন্য সবচেয়ে...
ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান ধ্বংসাত্মক যুদ্ধ বন্ধে এ ভূখণ্ডে হামাসের শাসনের অবসান ঘটানো এবং সংগঠনটিকে নিরস্ত্রীকরণের আহ্বান জানিয়েছে কাতার, সৌদি আরব ও মিসরসহ একাধিক আরব দেশ।ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকটের দ্বি–রাষ্ট্রীয় সমাধানের প্রস্তাব পুনরুজ্জীবিত করতে গতকাল মঙ্গলবার জাতিসংঘের উদ্যোগে নিউইয়র্কে সংস্থাটির সদর দপ্তরে একটি সম্মেলন আয়োজন করা হয়। সেখানেই গৃহীত সাত পৃষ্ঠার একটি ঘোষণাপত্রে এ আহ্বান জানানো হয়। ঘোষণাপত্রটিকে সমর্থন করেছে ১৭টি দেশ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আরব লিগ।ঘোষণায় বলা হয়, ‘গাজায় যুদ্ধ বন্ধে হামাসকে অবশ্যই তার শাসন (এ উপত্যকায়) শেষ করতে হবে এবং আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণ ও সমর্থনের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে অস্ত্র সমর্পণ করতে হবে। এটি একটি সার্বভৌম ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ।’ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, কানাডাসহ অন্যান্য পশ্চিমা দেশ এ ঘোষণায় স্বাক্ষর করে। এতে যুদ্ধ শেষে গাজায় স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে বিদেশি সেনা...
সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) এক পানশালায় ‘অমর্যাদাকর’ আচরণের জেরে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূতকে দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে বলে হিব্রু সংবাদমাধ্যমের এক খবরে জানা গেছে।ইসরায়েলের চ্যানেল ১২ টেলিভিশনের প্রতিবেদনে গতকাল মঙ্গলবার বলা হয়েছে, আবুধাবি কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে তারা আর ওই রাষ্ট্রদূতকে গ্রহণ করতে প্রস্তুত নয়। এরপরই তেল আবিব সরকার উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশটি থেকে রাষ্ট্রদূত ইয়োসি আব্রাহাম শেলিকে ফিরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।এর আগে হিব্রু সংবাদমাধ্যম এন১২ বলেছে, শেলি কয়েকজন ইসরায়েলিকে নিয়ে আমিরাতের একটি বারে হাজির হন এবং এমন আচরণ করেন, যা আরব আমিরাতের কর্মকর্তারা ‘অগ্রহণযোগ্য ও মর্যাদাহানিকর’ বলে ইসরায়েলকে জানান। রাষ্ট্রদূতের সঙ্গীদের মধ্যে নারীরাও ছিলেন।২০২০ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত আব্রাহাম চুক্তির আওতায় সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইসরায়েলের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়। গাজা যুদ্ধ ঘিরে বিশ্বজুড়ে ইসরায়েলের তুমুল সমালোচনা চললেও...
ফিলিস্তিনি জনগণকে গণহত্যা ও নিষ্ঠুরতম বর্বরতা থেকে রক্ষা করতে অবিলম্বে পরিপূর্ণ যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। আজ বুধবার ফিলিস্তিন সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে আয়োজিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ইসরায়েল এ পর্যন্ত ৫৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে গণহত্যা অব্যাহত রেখেছে। তিনি ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য দায়ী সকলকে বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানান। আরো পড়ুন: ইসরায়েলি মানবাধিকার সংগঠনই বলছে, ‘গাজায় গণহত্যা চলছে’ ফিলিস্তিন সংকট সমাধান: সবার দৃষ্টি জাতিসংঘের বিশ্ব সম্মেলনে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রতি বাংলাদেশের অব্যাহত সমর্থন পুর্নব্যক্ত করে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি স্থাপনের একমাত্র পথ হিসেবে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পাশাপাশি শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের লক্ষ্যে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান বাস্তবায়নে কার্যকর...
ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যে দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের আলোচনা পুনরায় চালুর লক্ষ্যে জাতিসংঘে সম্মেলন শুরু হচ্ছে। আজ সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলন শুরু হবে। সম্মেলনের নেতৃত্ব দিচ্ছে ফ্রান্স ও সৌদি আরব। সম্প্রতি ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে প্যারিস। ১৯৪৭ সালে জাতিসংঘে ফিলিস্তিন বিভক্ত করার প্রস্তাব তোলা হয়। পরে ইহুদিদের জন্য ইসরায়েল এবং আরবদের জন্য ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত হয়। সে অনুযায়ী ১৯৪৮ সালে ইসরায়েলকে রাষ্ট্র ঘোষণা করা হয়। দশকের পর দশক ধরে জাতিসংঘের অধিকাংশ সদস্য ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের সমর্থন জানিয়ে আসছে। তবে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র কখনো আলোর মুখ দেখেনি।এএফপির তথ্য অনুযায়ী, জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্যদেশের মধ্যে ফ্রান্সসহ ১৪২টিই ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এ তালিকায় যুক্তরাজ্যও যোগ দেবে বলে আশা ফ্রান্সের। কারণ, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানিয়ে...
ফিলিস্তিন সংকটের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তি ও দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান বিষয়ে হতে যাচ্ছে উচ্চ পর্যায়ের আন্তর্জাতিক সম্মেলন। জাতিসংঘ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিতব্য এ সম্মেলন ফিলিস্তিনের পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকে। সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক নাম ‘ফিলিস্তিন প্রশ্নের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তি ও দ্বিরাষ্ট্র সমাধান বাস্তবায়নের লক্ষ্যে উচ্চ পর্যায়ের আন্তর্জাতিক সম্মেলন’। এ সম্মেলন যেমন জরুরি, তেমনি ঐতিহাসিক বলেও অভিহিত করা হচ্ছে। এই উচ্চ পর্যায়ের জাতিসংঘ সম্মেলনকে গাজা শাসনব্যবস্থা নিয়ে ঐকমত্য গঠন, বাধাহীন মানবিক সহায়তা প্রবাহ নিশ্চিত করা এবং ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি জোরদারে তাৎপর্যপূর্ণ বৈশ্বিক প্রয়াস হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। আরো পড়ুন: গাজায় যুদ্ধে ফিরে যেতে অস্বীকৃতি জানানোয় ৩ ইসরায়েলি সেনার কারাদণ্ড জাতিসংঘের ফিলিস্তিন সম্মেলনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের গৃহীত প্রস্তাব...
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) সতর্ক করে বলেছে, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় অপুষ্টির মাত্রা উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে, তা বিপজ্জনক গতিপথে রয়েছে। দীর্ঘ বিরতির পর গাজায় উড়োজাহাজ থেকে ত্রাণসামগ্রী ফেলার কার্যক্রম আবার শুরুর পর ডব্লিউএইচওর কাছ থেকে এ সতর্কবার্তা এল।গতকাল রোববার জর্ডান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত গাজায় উড়োজাহাজ থেকে ত্রাণসামগ্রী ফেলে। এর আগে ইসরায়েল জানায়, তারা গাজার কিছু অংশে প্রতিদিন ১০ ঘণ্টা করে যুদ্ধ বন্ধ রাখবে। যাকে তারা বলছে, ‘কৌশলগত বিরতি’। এ বিরতির আওতায় জাতিসংঘের ত্রাণবহরের জন্য করিডর তৈরি করে দেওয়ার কথাও জানায় তারা।ইসরায়েলের দাবি, গাজাবাসীকে ইচ্ছাকৃতভাবে অনাহারে রাখার যে ‘মিথ্যা অভিযোগ’ উঠেছে, তা খণ্ডন করতেই এ বিশেষ ব্যবস্থাগুলো নেওয়া হয়েছে। ইসরায়েলের ভাষ্য, হামাস ইচ্ছাকৃতভাবে এমন অভিযোগ তুলে বিশ্বের সামনে ইসরায়েলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করছে।জর্ডানের সামরিক বাহিনী বলেছে, গাজাবাসীর জন্য ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে...
আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ চলছে, চারপাশে গর্জে উঠছে যুদ্ধবিমান আর গোলার শব্দ। ইসরায়েলের যুদ্ধবিমান যখন একে একে ধ্বংস করছে আরব বাহিনীর বিমানঘাঁটি, তখন জর্ডান থেকে উড়ে আসা একজন পাইলট গুলি করে ভূপাতিত করেন ইসরায়েলের একটি যুদ্ধবিমান। এতেই হঠাৎ পাল্টে যায় দৃশ্যপট। সাইফুল আজম নামের ওই পাইলট ছিলেন বাঙালি।১৯৬৭ সালের ছয় দিনের সেই ভয়ংকর যুদ্ধে তিনটি ভিন্ন দেশের হয়ে যুদ্ধ করে চারটি ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেন সাইফুল আজম নামের ওই পাইলট। তখন তিনি ছিলেন পাকিস্তান বিমানবাহিনীর পাইলট, পরে স্বাধীন বাংলাদেশের বিমানবাহিনীতে যোগ দেন। এই সাহসিকতা তাঁকে বানিয়েছে বিশ্ব ইতিহাসে এক অনন্য বাঙালি নায়ক।১৯৬৭ সালের ৫ জুন। ওই দিন বিকেলে ইসরায়েলের চারটি যুদ্ধবিমান জর্ডানের মাফরাক বিমানঘাঁটিতে আক্রমণ করে। উদ্দেশ্য ছিল, ছোট্ট দেশটির বিমানবাহিনীকে শেষ করে দেওয়া। এর আগে তারা মিসরীয় বিমানবাহিনীকে ধ্বংস করে দিয়েছিল।...
সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ফ্রান্সিস ফুকুয়ামা অভূতপূর্ব সাহসিকতায় ‘ইতিহাসের সমাপ্তি’ ঘোষণা করেছিলেন। এটি শুধু সোভিয়েত ইউনিয়নের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিজয় নয়, বরং উদার গণতন্ত্র ও পুঁজিবাদী অর্থনীতিরও বিজয় ঘোষণা করেছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক ব্যবস্থাকে নতুন করে রূপ দিয়েছে। রাশিয়াকে তার শক্তি পুনর্গঠন করতে; জর্জিয়া ও ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে এবং সাহসী চীনের উত্থান প্রত্যক্ষ করতে দুই দশক সময় লেগেছে। আজ আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা প্রমাণ করেছে– ইতিহাসের শেষ বলে কিছু নেই; উদার গণতন্ত্র পিছিয়ে পড়ছে এবং পরিচয়ের সংকটাপন্ন। তা ছাড়া দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ফলে যে বিশ্বব্যবস্থা গড়ে উঠেছিল, তার জন্য লড়াই করছে। ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সাম্প্রতিক যুদ্ধের অবসানের সঙ্গে সঙ্গে দাবিগুলো আবারও উঠে এসেছে। বলা হচ্ছে, এটি এক ‘নতুন মধ্যপ্রাচ্য’র জন্ম দিতে পারে, যেখানে ইরানের প্রতিরোধের অক্ষ দুর্বল হয়ে...
সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর রাজনৈতিক বিজ্ঞানী ফ্রান্সিস ফুকোয়ামা নজিরবিহীন দম্ভের সঙ্গে ‘ইতিহাসের অবসান’ বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। শুধু সোভিয়েত ইউনিয়নের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের বিজয়ই তিনি ঘোষণা করেছিলেন, তা নয়; বরং উদার গণতন্ত্র ও পুঁজিবাদী অর্থনীতিরও বিজয় ঘোষণা করেছিলেন।এরপর যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক ব্যবস্থাকে পুনর্বিন্যস্ত করেছিল। নিজেদের শক্তি পুনর্গঠন করতে রাশিয়ার দুই দশক লেগে গিয়েছিল। এরপর দেশটি জর্জিয়া ও ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। একই সময়ে আমরা এক আত্মবিশ্বাসী চীনের উত্থান প্রত্যক্ষ করছি।আজকের বিশ্বব্যবস্থা দেখিয়ে দিয়েছে, ইতিহাসের সমাপ্তি হয়নি। উদার গণতন্ত্র এখন পিছু হাঁটছে, নিজের পরিচয় বাঁচাতে সংগ্রাম করছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই বিশ্বব্যবস্থার জন্ম হয়েছিল।সম্প্রতি ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে যুদ্ধ অবসানের পর আবারও এমন দাবি সামনে এসেছে যে এটি একটি ‘নতুন মধ্যপ্রাচ্যের’ জন্ম দিতে পারে। কেননা ইরানের প্রতিরোধ অক্ষ দুর্বল হয়ে গেছে। সিরিয়া, লেবানন...
মধ্যপ্রাচ্যে নিজেদের আঞ্চলিক প্রতিপক্ষ সৌদি আরবের সঙ্গে বৈঠক করেছে ইরান। মঙ্গলবার রিয়াদে সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৈয়দ আব্বাস আরাগচি। ইসরায়েল সঙ্গে সংঘাতের পর প্রথমবারের মতো সৌদি আরবের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে ইরান। সৌদির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাতে জানা গেছে, মঙ্গলবারের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে মূলত ইরান-ইসরায়েল সংঘাতকে ঘিরেই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বৈঠকে ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের সময় ইসরায়েলের প্রতি নিন্দা জানানোয় সৌদির সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন আব্বাস আরাগচি। এএফপি জানায়, যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বলেছেন, রিয়াদ আশা করছে, ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তি মধ্যপ্রাচ্যকে স্থিতিশীল করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিক পালন করবে। পাশাপাশি তিনি আরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, ইরানের সঙ্গে যেসব দেশের বিরোধ আছে, তা কূটনৈতিক পন্থায় সমাধানে সহযোগিতা করবে রিয়াদ। ...
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি গতকাল মঙ্গলবার জেদ্দায় সৌদি আরবের কার্যত নেতা (ডি ফ্যাক্টো) যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতির দুই সপ্তাহের মাথায় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো। আজ বুধবার ভোরে সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে এই কথা জানিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বৈঠকে বলেন, তাঁরা আশা করেন, এই যুদ্ধবিরতি আঞ্চলিক স্থিতিশীলতায় ভূমিকা রাখবে। তিনি কূটনৈতিক উপায়ে আলোচনা ও মতবিনিময়ের মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তির পক্ষে রিয়াদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন।সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত মাসে ইরানের ওপর ইসরায়েলের হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা প্রকাশ করায় রিয়াদকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন আরাগচি। একই সঙ্গে তিনি সৌদি নেতৃত্বের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।গত মাসে ইরানের ওপর ইসরায়েলের হামলাকে ‘আগ্রাসন’ ও ‘আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন’ বলে মন্তব্য...
ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য চীনা ক্ষেপণাস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ ব্যবস্থা এইচকিউ-৯বি ইরানের হাতে এসে পৌঁছেছে। আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পুনরায় শক্তিশালী করতেই নিজেদের অস্ত্রভান্ডার সমৃদ্ধ করার দিকে মনোযোগ দিয়েছে তেহরান। মিডল ইস্ট আইয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১২ দিনের যুদ্ধে ইসরায়েলের হামলায় বিধ্বস্ত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাগুলো দ্রুত পুনর্গঠন করতে চাচ্ছে ইরান। সেই লক্ষ্যেই চীন থেকে ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা সংগ্রহ করেছে দেশটি। একজন আরব গোয়েন্দা কর্মকর্তা মিডল ইস্ট আইকে বলেন, গত ২৪ জুন ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির পর চীনের তৈরি ওই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা তেহরানে পাঠানো হয়েছে। আরেক আরব কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের আরব মিত্ররা তেহরানের এই প্রতিরক্ষা জোরদারের প্রচেষ্টা বিষয়ে সচেতন এবং হোয়াইট হাউসকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। তবে ইরান ঠিক কতটা ক্ষেপণাস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ ব্যবস্থা হাতে পেয়েছে, তা...
চীনের কাছ থেকে ভূমি-থেকে-আকাশে উৎক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র–ব্যবস্থা হাতে পেয়েছে ইরান। ইসরায়েলের সঙ্গে ১২ দিনের সংঘাতের পর নিজেদের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা পুনরায় শক্তিশালী করতে তেহরান নিজেদের অস্ত্রভান্ডার সমৃদ্ধ করার দিকে মনোযোগ দিয়েছে। একজন আরব গোয়েন্দা কর্মকর্তা মিডল ইস্ট আইকে বলেন, গত ২৪ জুন ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির পর চীনের তৈরি ওই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা তেহরানে পাঠানো হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরেক আরব কর্মকর্তা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের আরব মিত্ররা জানত যে তেহরান তার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার ও শক্তিশালী করার চেষ্টা করছে। হোয়াইট হাউসকেও ইরানের অগ্রগতির বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে।ইরান যুদ্ধবিরতির পর চীনের কাছ থেকে কতগুলো ভূমি-থেকে-আকাশে উৎক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র বা এসএএম পেয়েছে সে বিষয়ে ওই কর্মকর্তা কিছু বলেননি। তবে একজন আরব কর্মকর্তা বলেন, ইরান তেলের বিনিময়ে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো কিনেছে।ইরান যুদ্ধবিরতির পর চীনের কাছ থেকে কতগুলো ক্ষেপণাস্ত্র বা...
ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে একত্র হয়েছেন উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তির দেশগুলোর জোট ব্রিকসের নেতারা। জোটের দুই দিনব্যাপী সম্মেলনে বেশ কিছু বিষয়ে একমত হয়েছেন তাঁরা। ব্রিকসের নেতাদের পক্ষ থেকে ফিলিস্তিনের গাজায় ‘শর্তহীন যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হয়েছে। ইরানে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের হামলার নিন্দায়ও সরব হয়েছে ১১ দেশের এই জোট।গতকাল রোববার ছিল সম্মেলনের প্রথম দিন। এবার জোটের ১৭তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ব্রিকসের ১১ সদস্যদেশের মধ্যে রয়েছে রাশিয়া, ভারত, ব্রাজিল, চীন, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইরান, ইন্দোনেশিয়া, মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব ও ইথিওপিয়া। এই দেশগুলোয় বিশ্বের প্রায় অর্ধেক মানুষ বসবাস করে এবং বৈশ্বিক উৎপাদনে ৪০ শতাংশের বেশি অবদান রাখে।রোববার সম্মেলনের বিবৃতিতে বলা হয়, গাজায় দ্রুত, স্থায়ী ও শর্তহীন একটি যুদ্ধবিরতির জন্য সব পক্ষকে সদিচ্ছার সঙ্গে আরও আলোচনার আহ্বান জানাচ্ছে সদস্যদেশগুলো। একই সঙ্গে গাজা এবং ফিলিস্তিনের...
ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে নেতারা ‘ভবিষ্যৎ না ভেবে দেওয়া’ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাল্টা আমদানি শুল্ক আরোপ এবং সম্প্রতি ইরানে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ হামলার কড়া সমালোচনা করেছেন। গতকাল রোববার ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।গতকাল রাতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এই সমালোচনার জবাবে হুমকি দিয়ে লিখেছেন, ‘যেকোনো দেশ, যারা ব্রিকসের যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী নীতির সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করবে, তাদের ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। এ নীতির কোনো ব্যতিক্রম হবে না।’ব্রিকসের ১১টি উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে রয়েছে ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশ। এই সংস্থা বিশ্বের প্রায় অর্ধেক মানুষের প্রতিনিধিত্ব করে এবং বৈশ্বিক উৎপাদনের ৪০ শতাংশের বেশি অবদান রাখে।এই জোট অনেক বিষয়ে বিভক্ত হলেও যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা শুল্কনীতি ও আচরণের বিষয়ে তারা একমত। অবশ্য...
প্রায় ১৪ বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধের পর সিরিয়ায় নতুন সরকার আঞ্চলিক সম্পর্ক পুনর্গঠনের পথে এগোচ্ছে। তাদের অনেকটা মনোযোগ এখন ইসরায়েলের সঙ্গে সম্ভাব্য সম্পর্কের দিকে।নানা প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, নিজেদের মধ্যে ভবিষ্যৎ সম্পর্ক নিয়ে সিরিয়া ও ইসরায়েলের মধ্যে কথাবার্তা শুরু হয়েছে। এমনকি দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার সম্ভাব্য সময়সীমা নিয়েও নানান কথা শোনা যাচ্ছে।১৯৪৮ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের সময় থেকে সিরিয়া ও ইসরায়েল কার্যত এখনো যুদ্ধাবস্থায় রয়েছে। ১৯৭৪ সালে দুই দেশের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হলেও পরে তা ভেঙে যায়। এখন পর্যন্ত যা ঘটেছেইসরায়েলি গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিরিয়া ও ইসরায়েল সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের বিষয়ে সম্ভাব্য চুক্তি নিয়ে সরাসরি আলোচনা শুরু করেছে।দুই দেশের মধ্যে এই যোগাযোগে মধ্যস্থতা করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)। দেশটি গোপন যোগাযোগের মাধ্যমে আলোচনা সহজ করেছে বলে জানা গেছে।যদি কোনো...
ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর স্বাভাবিকভাবে বিশ্বের নজর এখন গাজায় যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনার দিকে। ইসরায়েল খাদ্য বিতরণের নামে মানুষ হত্যার যে অস্বাভাবিক প্রক্রিয়া চালু করেছে, তাতে বিশ্বনেতারাসহ মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো অসন্তুষ্ট। একটা কথা এসেছে, গাজার বর্তমান অবস্থার যে দৃশ্যপট, তা কোনো সিনেমায়ও তৈরি করা সম্ভব না। মানুষ হত্যার সবগুলো কৌশল এখানে সক্রিয়। এই অবস্থায় যুদ্ধবিরতির দিকে তাকিয়ে গোটা বিশ্ব। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি বলেছেন, এক সপ্তাহের মধ্যে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা সম্ভব। তার এই বক্তব্য বিশ্ববাসীকে আরও আশাবাদী করে তুলেছে। প্রশ্ন উঠেছে, যুদ্ধবিরতি কত দূর। গত সপ্তাহে নেতানিয়াহু মধ্যপ্রাচ্যে একটি ‘টেকটোনিক পরিবর্তন’ আনার ঘোষণা দেন। তিনি দাবি করেন, ইরান দুর্বল হয়ে পড়েছে। এই অবস্থায় আরও আরব রাষ্ট্রকে স্বাভাবিকীকরণ চুক্তির (ইসরায়েলকে স্বীকৃতি) আওতা বাড়ানোর সুযোগ তৈরি হয়েছে। তিনি ঘোষণা দেন, ‘আমরা...
গত ১৬ জুন সংবাদ সম্মেলনে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সাহসের সঙ্গে ঘোষণা করেন, ‘আমরা মধ্যপ্রাচ্যের চেহারা বদলে দিচ্ছি’। তারা প্রতিরোধ অক্ষের লক্ষ্যবস্তুতে একাধিক ফ্রন্টে আঘাত হানেন। নেতানিয়াহুর ‘পরিবর্তন’ শুরু হয় তিন দিন আগে তেহরান, এর সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় তীব্র হামলা এবং শীর্ষ সামরিক কমান্ডার ও পারমাণুবিজ্ঞানীদের হত্যার মাধ্যমে। তেহরানের সঙ্গে তেল আবিবের সরাসরি সংঘর্ষের উদ্দেশ্য ছিল, অঞ্চলটিকে বৃহত্তর যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দেওয়া, যা বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র ঘোষিত যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে স্থগিত রয়েছে। গত বুধবার দ্য ক্র্যাডলের বিশ্লেষণে এসব তথ্য উঠে আসে। এতে বলা হয়, পারস্য উপসাগরের আরব দেশগুলোর জন্য, বিশেষ করে ওয়াশিংটনের মিত্র যারা, তাদের সামনে একটি কঠোর বাস্তবতাকে উন্মোচিত করে–যদি তেল আবিব এ লড়াইয়ে প্রভাবশালী হয়ে ওঠে, তাহলে আরব বিশ্ব তার শেষ অর্থপূর্ণ প্রভাব হারাবে। গাজা, লেবানন, ইরাক ও ইয়েমেনে...
ইসরায়েল কয়েক যুগ ধরে মধ্যপ্রাচ্য ঘিরে ষড়যন্ত্রের এক নীলনকশা বাস্তবায়নের চেষ্টা করে আসছে। শেষ পর্যন্ত এবার তা দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে। ইরানে মার্কিন-ইসরায়েল উস্কানির বিপরীতে কাতারে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের হামলা এবং এর প্রতিক্রিয়ায় সেই সাফল্যের প্রতিচ্ছবি। দেড় কোটি ইহুদি আরবের ৩৫ কোটি মুসলমানকে আত্মঘাতী সংঘাতে লেলিয়ে দিল! যেখানে ব্যবহৃত হলো মার্কিন, রাশিয়ান আর চীনা সমরাস্ত্র। ইসরায়েল এবার আরব, ইউরোপ, এশিয়া, আমেরিকাকে তাদের পরিকল্পনামতো পরিচালনা করতে সক্ষম হয়। যদিও ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধবিরতি টানেন, কিন্তু ইসরায়েল সফলভাবেই মুসলিম উম্মাহকে ভাইয়ের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। ইসরায়েল যা পেরেছে, বিশ্বের আর কেউ অন্তত মার্কিন পরাশক্তিকে তাদের ঘাড়ে পা রেখে এভাবে আনুগত্যে বাধ্য করতে পারবে কিনা, সন্দেহ আছে। ৩৫ কোটি মুসলমানসহ গোটা বিশ্বের ধুরন্ধর শাসকদের ধুল খাওয়ানো ইসরায়েলই বিশ্ব-শাসক হওয়ার দাবিদার। ধীরে ধীরে আরব...
ইরানের প্রতিশোধমূলক হামলার আগে কাতারের আল উদেইদ ঘাঁটি থেকে বিমান ও ভারী সামরিক সরঞ্জাম সরিয়ে সৌদি আরবের বিভিন্ন ঘাঁটিতে নিয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্র। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘মিডল ইস্ট আই’ কাতারের একজন কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, এই পদক্ষেপ থেকে পরিষ্কার ধারণা করা যায়, যুক্তরাষ্ট্র জানে ইরান সৌদি আরবে হামলা চালাবে না।তাছাড়া সমন্বয় করে হামলার বিষয়টিও পরিষ্কার হয়, যাতে হামলার প্রভাব সীমিত রাখা যায়। ওই কর্মকর্তা জানান, যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে হামলা নিয়ে পরোক্ষভাবে সমন্বয় হয়েছে, যেখানে কাতার মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করেছে। রবিবার উভয় পক্ষ কাতারের মাধ্যমে যোগাযোগ করেছে। আরো পড়ুন: ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধবিরতিতে কাতারের ‘কূটনৈতিক বিজয়’ ন্যাটোর হেগ সম্মেলন: থাকছেন কারা? আলোচ্যসূচিতে প্রধান্য কীসে কীসে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সরঞ্জাম সৌদি আরবে স্থানান্তর এবং হামলার সময়সুচি ও পরিসর নিয়ে এই সমন্বয়ের খবর ইরানের পক্ষ থেকে উত্তেজনা প্রশমনের ইঙ্গিত...
কয়েক দিনের পাল্টাপাল্টি হামলার পর ইরান ও ইসরায়েল একটি সম্পূর্ণ ও সর্বাত্মক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইরান ও ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম থেকেও যুদ্ধবিরতি শুরুর খবর দেওয়া হয়েছে। তবে এর মধ্যেই ইসরায়েলে ইরানের হামলা চালানোর খবর আসছে।এ যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে হয়তো মধ্যপ্রাচ্যে আরেকটি সর্বাত্মক যুদ্ধের সম্ভাবনা এড়ানো সম্ভব হবে—১৩ জুন ইরানে ইসরায়েলের আকস্মিক হামলার মধ্য দিয়ে যে সংঘাতের সূচনা হয়েছিল।ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে যুক্তরাষ্ট্রও এই সংঘাতে সরাসরি জড়িয়ে পড়েছিল।প্রায় ১২ দিন ধরে চলা এ সংঘাতে বারবারই একটি নাম উচ্চারিত হয়েছে, সেটি হলো হরমুজ প্রণালি।ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে নৌপথে জ্বালানি, বিশেষ করে তেল পরিবহনের গুরুত্বপূর্ণ এ পথটি বন্ধ করে দেওয়ার কথা বিবেচনা করছে ইরান। দেশটির পার্লামেন্টও এ ধরনের পদক্ষেপে সমর্থন দিয়েছে।হরমুজ প্রণালি দিয়ে...
ইরান-ইসরায়েল পাল্টাপাল্টি হামলা শুরু হওয়ার পর বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে ঘরোয়া বাজারে দাম স্থিতিশীল রাখতে এবং ভবিষ্যতের চাহিদা মাথায় রেখে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে অপরিশোধিত তেলের আমদানি বাড়িয়েছে ভারত।১২ দিনের পাল্টাপাল্টি হামলার পর ইরান-ইসরায়েল শেষমেশ যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু এর মধ্যে তেলের বাজারে বড় ধরনের অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছিল। এমনকি ইরান তেল বাণিজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পথ হরমুজ প্রণালি বন্ধ করে দেবে, এমন হুমকি দিয়েছিল। এ বাস্তবতায় রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে তেল আমদানি বৃদ্ধি করে ভারত। খবর ইকোনমিক টাইমসের।বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে বাংলাদেশও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সামগ্রিকভাবে এই যুদ্ধ পরিস্থিতি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বহুমুখী নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এর মধ্যে সবচেয়ে তাৎক্ষণিক হবে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি এবং সে কারণে সৃষ্ট মূল্যস্ফীতির চাপ। এতে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয় বেড়ে...
কাতারে যুক্তরাষ্ট্রের আল-উদেইদ বিমানঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে ইরান। ইরানের তিনটি পরমাণু স্থাপনায় মার্কিন হামলার পর দুই দিন না পেরোতেই এই হামলা চালাল তেহরান। ইরান–ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাতের মধ্যে মার্কিন ঘাঁটিতে হামলায় মধ্যপ্রাচ্য সংকট আরও জটিল হলো। গতকাল সোমবার রাতে কাতারের মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার কথা জানায় ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড কোর (আইআরজিসি)। বিবৃতিতে আইআরজিসি বলেছে, ইরানের আঞ্চলিক অখণ্ডতা, সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তার ওপর হামলার জবাব দিতে কোনো পরিস্থিতিতেই ছাড় দেওয়া হবে না। এ হামলা ‘ভ্রাতৃপ্রতিম’ কাতার বা দেশটির জনগণের বিরুদ্ধে নয় বলে জানিয়েছে ইরানের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা পরিষদ। তারা বলেছে, আবাসিক এলাকা থেকে দূরের মার্কিন ঘাঁটিতে এই হামলা চালানো হয়েছে।ইরানের হামলার সময় কাতারে বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। এ সময় রাজধানী দোহার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। শহরের এক বাসিন্দা সিএনএনকে বলেন, ‘হামলার...
মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে শুরু হয়েছে তীব্র উত্তেজনা। ইরানে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর পরিস্থিতি কোনদিকে মোড় নেয় তা বোঝা যাচ্ছে না। তবে ধারণা করা হচ্ছে, সোমবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচির বৈঠকের পর বিষয়টি পরিষ্কার হবে। সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান রোববার একাধিক টেলিফোন আলাপ করেছেন উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের (জিসিসি) সদস্য দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে। ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর এবং ইসরায়েলের চলমান হামলার প্রেক্ষাপটে এই আলোচনা হয় বলে জানিয়েছে সৌদি প্রেস এজেন্সি। আলোচনায় অংশগ্রহণকারী জিসিসি নেতারা হলেন– বাহরাইনের বাদশা হামাদ বিন ঈসা আল-খলিফা, ওমানের সুলতান হাইথাম বিন তারিক, কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি, কুয়েতের আমির শেখ মিশাল আল-আহমদ আল-জাবের আল-সাবাহ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল-নাহিয়ান। আলোচনায় উঠে আসে ইরানে...
ইতিহাস বলছে, ১৯৪৮, ’৫৮, ’৬৭ ও ’৭৩ সালে আরব দেশগুলোর সঙ্গে যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন পরাশক্তি ইসরায়েলকে সাহায্য করেছিল। যে কারণে আরব দেশগুলোর পরাজয় ঘটেছিল। সামরিক সক্ষমতার তুলনামূলক বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, বিশ্বে ইরানের অবস্থান ১৪তম আর ইসরায়েল ১৭তম। সৈন্যসংখ্যার দিক দিয়ে ইরান ইসরায়েলের চেয়ে অনেক গুণ বড়। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতায় ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী প্রযুক্তিগত উৎকর্ষে অনেক এগিয়ে রয়েছে। ইসরায়েল এবার দেড় হাজার মাইল দূর থেকে ইরানে বিমান হামলা বেশি দিন চালাতে পারবে না। তবে তার আরেকটি শক্তি যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করেছে বলে দাবি করেছে। সে ক্ষেত্রে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র যৌথভাবে ক্রমাগত বিমান হামলা চালালে ইরানের অবকাঠামোগত দিক থেকে ব্যাপক ক্ষতি হবে, তা নিসন্দেহে বলা যায়।১৯৫৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ মোসাদ্দেককে উৎখাতের...
প্রায় এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ইসরায়েল ইরানের ওপর বোমা হামলা চালানোর পর অবশেষে যুক্তরাষ্ট্রও সরাসরি সংঘাতে জড়িয়েছে। তারা ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে আঘাত হেনেছে। এখন যুক্তরাষ্ট্রকে ইরানের প্রতিক্রিয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হচ্ছে। এই প্রতিক্রিয়া খুব শিগগির আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। মার্কিন হামলার পর ইরানি টেলিভিশনের এক উপস্থাপক মন্তব্য করেছেন, ‘মি. ট্রাম্প, আপনি শুরু করেছেন, শেষ করবে আমরা।’এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ইরান কীভাবে প্রতিশোধ নিতে পারে? সবচেয়ে সম্ভাব্য যে জবাবটি আসতে পারে, তা হলো অসামরিক যুদ্ধ কৌশল। এর মধ্যে থাকতে পারে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটিগুলোতে আক্রমণ বা ইরানের মিত্রগোষ্ঠীগুলোর মাধ্যমে পশ্চিমা দেশগুলোতে, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরেও সন্ত্রাসী হামলা।ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এই হামলা চালিয়ে একটি ‘খুব বড় লাল সীমা’ অতিক্রম করেছে। এখন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি যদি কোনো...
ইরানে ইসরায়েলের আক্রমণের সিদ্ধান্তটি মধ্যপ্রাচ্যে গভীর উত্তেজনা বৃদ্ধির সূচনাবিন্দু হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। এ আক্রমণ মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনীতিতে নতুন এবং আরও অস্থির অধ্যায়ের সূচনা করেছে।‘রাইজিং লায়ন’ নামে পরিচালিত ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের মধ্য দিয়ে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সরাসরি সংঘাত বাস্তবে রূপ পেল। ড্রোন ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ইরান পাল্টা জবাব দিচ্ছে। এ জবাব ইরানের জন্য শুধু প্রত্যাশিতই ছিল না, বরং দেশটির প্রতিরোধ সক্ষমতা ও জাতীয় মর্যাদার জন্য রাজনৈতিকভাবে অপরিহার্য ছিল।এ পরিস্থিতি এমন এক সহিংস সংঘাতের চক্র তৈরির হুমকি তৈরি করছে, যা দুই দেশকেই দীর্ঘমেয়াদি অস্থিরতার মধ্যে আটকে ফেলবে।আরও পড়ুনআরব দেশগুলো সাহস দেখানোর এই সুযোগ আর পাবে?২০ জুন ২০২৫ইসরায়েল তাদের হামলার যুক্তি হিসেবে বলছে যে ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা ধ্বংসের জন্য এটি একটি প্রতিরোধমূলক অভিযান। কিন্তু বিশ্লেষকদের এ ব্যাপারে যথেষ্ট সন্দেহ আছে যে...
ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) বৈঠকে যোগ দিতে তুরস্কে পৌঁছেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি। রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ইয়ং জার্নালিস্টস ক্লাব জানিয়েছে, আজ শনিবার এই বৈঠকে ৪০ জনেরও বেশি পররাষ্ট্রমন্ত্রী উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে। খবর আল জাজিরার তুরস্কের ইস্তানবুলে ২১-২২ জুন অনুষ্ঠিত হবে ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) ৫১তম পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক। আরাঘচি গতকাল শুক্রবার জেনেভায় ইউরোপীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করার পর আজ ওআইসি বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন। ইরানে ইসরায়েলি হামলার পর সংঘাত কমানোর প্রচেষ্টায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে দুইবার ফোনালাপ করেছেন বলে জানা গেছে। গতকাল ট্রাম্প ইসরায়েলকে ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান বন্ধ করার জন্য চাপ দেওয়ার সম্ভাবনাকে হালকা করে দেখিয়েছেন। তিনি কূটনৈতিক সমাধানের জন্য দুই সপ্তাহ সময় দিয়েছেন। এদিকে তুরস্কের ইস্তানবুল শহরে আজ শনিবার...
ইরানের ওপর ইসরায়েলের সামরিক হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দ্রুত এই উত্তেজনা থামানোর আহ্বান জানিয়েছে আরব লীগ। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড গোষ্ঠীটি বলেছে, এই ধরনের হামলা জাতিসংঘের সদস্য একটি দেশের সার্বভৌমত্বের স্পষ্ট লঙ্ঘন এবং পুরো অঞ্চলের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি। এক যৌথ বিবৃতিতে আরব পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বলেন, এই উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, তা নিশ্চিত করতে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিকভাবে উদ্যোগ নিতে হবে এবং একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতির জন্য কাজ করতে হবে। জরুরি এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় তুরস্কের ইস্তানবুলে। এই শহরেই ২১-২২ জুন অনুষ্ঠিত হচ্ছে ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)-এর ৫১তম পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক।
ইসরায়েল মূলত ইহুদি রাষ্ট্র। কিন্তু এই দেশে ইহুদিদের পরেই মুসলিমরা সংখ্যা গরিষ্ঠ। বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ইসরায়েলকে রাষ্ট্র হিসেবেই স্বীকৃতি দেয়নি। অর্থাৎ রাষ্ট্র হিসেবেই মানে না। শুধু বাংলাদেশ নয় বিশ্বের অনেক দেশই ইসরায়েলকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি। বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগের চেয়েও আয়তনে ছোট দেশ ইসরায়েল। এই ছোট দেশটি পৃথিবীর অন্যতম বৃহত্তম দেশ ইরানের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে। এদিকে আয়তনের দিক থেকে মধ্যপ্রাচ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ ইরান। ইসরায়েল এমন একটি দেশ যে দেশের মানুষের রয়েছে দীর্ঘ দুর্ভোগ পোহানোর ইতিহাস। যারা বিভিন্ন দেশ থেকে একত্রিত হয়ে নিজেদের জন্য আলাদা রাষ্ট্র গড়ে—এখন পৃথিবীর শক্তিধর দেশগুলোর একটিতে পরিণত হয়েছে। অটোমান সম্রাজ্যের পতন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রভাব আর ব্রিটিশ ম্যান্ডেটের কারণে ইসরায়েল ধীরে ধীরে রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। তারপরেও এই দেশের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়নি অনেক দেশ। এমনকি...
বেসামরিক পারমাণবিক স্থাপনায় সামরিক হামলা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে মন্তব্য করেছে সৌদি আরবের পারমাণবিক ও বিকিরণ নিয়ন্ত্রক কমিশন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ইরানের একাধিক পরমাণু স্থাপনায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিক্রিয়ায় এই মন্তব্য করেছে মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী দেশটি। আল জাজিরার লাইভ আপডেটে বলা হয়েছে, এক সপ্তাহ আগে হামলা শুরুর পর থেকে ইরানের একাধিক পারমাণবিক স্থাপনাকে টার্গেট করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার ইরানের খোন্দাব হেভি ওয়াটার রিসার্চ রিঅ্যাক্টরের ওপরও হামলা হয়েছে। বেসামরিক পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলের এমন হামলার পর সৌদি আরবের পারমাণবিক ও বিকিরণ নিয়ন্ত্রক কমিশন বলেছে, বেসামরিক পরমাণু স্থাপনায় সামরিক হামলা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) বলেছে, ইসরায়েলের হামলায় ইরানের খোন্দাব হেভি ওয়াটার রিসার্চ রিঅ্যাক্টর স্থাপনার মূল ভবনগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে, স্থাপনাটি নির্মাণাধীন হওয়ায় সেখানে কোনও ধরনের পারমাণবিক উপাদান ছিল না। যে কারণে সেখানে...
সব দিক থেকেই মনে হচ্ছে উপসাগরীয় রাষ্ট্রগুলো এক সন্ধিক্ষণে আছে। এই মুহূর্তে উপসাগরীয় রাষ্ট্রগুলোকে কৌশলগত প্রভাব বিস্তারের সুযোগ নিতে হবে। তা না হলে কেবল ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজই বাকি থাকবে। এক দশকের বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্র চেষ্টা করছে এই অঞ্চলে তাদের বেশি শক্তি খরচের জায়গা থেকে বের হয়ে আসতে। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে মোড় ঘোরানো (পিভট টু এশিয়া) নীতির প্রবক্তা। এর পর থেকে প্রতিটি মার্কিন প্রশাসন মধ্যপ্রাচ্য থেকে সরে আসার চেষ্টা করেছে। কিন্তু প্রতিবারই এই অঞ্চলে কোনো না কোনো সংকটে তারা আবার জড়িয়ে পড়েছে। অনেক সময় সেই সংকট তাদের তৈরি করা নয়। তা পুরোপুরি তাদের নিয়ন্ত্রণেও ছিল না।ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ শুরুতে কৌশলগতভাবে মধ্যপ্রাচ্য থেকে সরে আসার একটা বাস্তব সুযোগ তৈরি হয়েছিল। তাঁর প্রশাসন নব্য-রক্ষণশীল প্রভাব কমিয়ে ‘আমেরিকা ফার্স্ট’...
‘আমার প্রচণ্ড রাগ হচ্ছিল’—বলছিলেন ৬৭ বছর বয়সী আরব ইসরায়েল কাসেম আবু আল-হিজা। ইরানের ছোড়া একটা ক্ষেপণাস্ত্র গত শনিবার উত্তর ইসরায়েলের তামরা শহরে কাসেমের বাড়িতে আঘাত হেনেছিল। সিমেন্টের ছাদটা ভেঙে পড়েছিল ঘরের ভেতরেই। ওই এক হামলাতেই কাসেমের পরিবারের চারজন নিহত হয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, বাড়ির ভেতর থেকে বই, জামাকাপড়, বাচ্চাদের খেলনা, আর দেহের টুকরা অংশগুলো উড়ে এসে রাস্তায় পড়েছিল। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ছিলেন কাসেমের মেয়ে ৪৫ বছর বয়সী মানার খাতিব, দুই নাতনি ২০ বছরের শাদা আর ১৩ বছরের হালা আর তাদের ৪১ বছর বয়সী খালা মানাল খাতিব।তাঁরা সবাই একই সঙ্গে বাড়ির ভেতরেই কংক্রিটের ঢালাই করা একটা ঘরে আশ্রয় নিয়েছিলেন। কিন্তু ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রটা সরাসরি এসে পড়েছিল ওই ঘরেই।উত্তর ইসরায়েলের যে তামরা শহরে কাসেম ও তাঁর পরিবার থাকতেন, সেখানকার বেশির ভাগ বাসিন্দাই আরব।ওই চারজনের...
১. নিচের দেশগুলোর মধ্যে কোনটি পারমাণবিক অস্ত্র প্রসার রোধ চুক্তিতে কখনো স্বাক্ষর করেনি?ক. জার্মানিখ. উত্তর কোরিয়াগ. দক্ষিণ সুদানঘ. চীনউত্তর: গ. দক্ষিণ সুদান (ভারত, ইসরায়েল, পাকিস্তান এবং দক্ষিণ সুদান কখনো এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেনি। উত্তর কোরিয়া ২০০৩ সালে এই চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসে।)২. আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার বর্তমান মহাপরিচালক কে?ক. রাফায়েল মারিয়ানো গ্রোসিখ. ইউকিয়া আমানোগ. মোহাম্মদ এল বারাদিঘ. সিগভার্ড একলান্ডউত্তর : ক. রাফায়েল মারিয়ানো গ্রোসি৩. এমআই-৬ কোন দেশের গোয়েন্দা সংস্থা?ক. যুক্তরাষ্ট্রখ. যুক্তরাজ্যগ. জার্মানিঘ. ফ্রান্সউত্তর: খ. যুক্তরাজ্য (পুরো নাম সিক্রেট ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস—SIS, যা সাধারণত এমআই-৬ নামেই পরিচিত।)৪. AWACS এর পূর্ণরূপ কী?ক. Airborne Warning And Control Systemখ. Airborne Weapons And Combat Systemগ. Advanced Weaponry And Communication Systemঘ. Air Warfare And Command Systemউত্তর: ক. Airborne Warning And Control System৫. ২০২৪ সালে ‘কিংস তৃতীয় চার্লস...
মিসাইল একটি নির্দিষ্ট গতিপথ অনুসরণ করে চলে। একইভাবে রাষ্ট্রগুলোর নির্দিষ্ট গতিপথ আছে। গত কয়েক দিনের ইসরায়েলের হামলা ইরানের সেই গতিপথকে নাটকীয়ভাবে পাল্টে দিয়েছে।কিছু মানুষ মনে করেন, ইরান এরই মধ্যে পতনের বৃত্তে ঢুকে পড়েছিল এবং ইসরায়েলের এই হামলা শুধু সেই পতনকে আরও দ্রুততর করবে। গত সোমবার ইরানের নাগরিক সমাজের কয়েকজন বিশিষ্ট নেতা, যাঁদের মধ্যে নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী নার্গেস মোহাম্মদিও রয়েছেন, একটি মতামত কলামে লিখেছেন, ‘ইরান এবং এর জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার একমাত্র গ্রহণযোগ্য পথ হচ্ছে দেশটির বর্তমান শাসকদের পদত্যাগ।’এই দৃষ্টিভঙ্গিতে যুদ্ধকে যেন মুক্তি হিসেবেই দেখা হচ্ছে। ইসরায়েলি কর্মকর্তারাও খোলাখুলিভাবে বলছেন যে তাদের অভিযান ইরানে ‘শাসক পরিবর্তনে’ ভূমিকা রাখতে পারে। কিন্তু ইরানের পতন যদি এমনিতেই অনিবার্য হতো, তাহলে সাধারণ ইরানিরা কেন যুদ্ধ নিয়ে এত আতঙ্কিত কেন? কেন তাঁরা বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ‘ত্রাণকর্তা’...
পারস্য উপসাগরে যাওয়ার একমাত্র সামুদ্রিক প্রবেশপথ হরমুজ প্রণালি। এই প্রণালির একপাশে ইরান, অন্য পাশে ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত এবং ইরাকের মতো ওপেকভুক্ত দেশগুলোর তেল, এই প্রণালি দিয়েই পরিবাহিত হয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পৌঁছায়৷এমনকি কাতারও এই প্রণালীর ওপর নির্ভরশীল। ইরান-ইসরায়ের যুদ্ধ প্রসঙ্গে হরমুজ প্রণালি বন্ধ হতে পারে কিনা, এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা নানা মত দিচ্ছেন। কোনো কারণে হরমুজ প্রণালি বন্ধ হলে পুরো বিশ্বের জ্বালানির বাজারে তুমুল অস্থিরতা শুরু হবে। এই জের ধরে মধ্য প্রাচ্যজুড়ে সংঘাত ছড়িয়ে পড়তে পারে। হরমুজ প্রণালির সবচেয়ে সংকীর্ণ অংশ ৩৩ কিলোমিটার বা ২১ মাইল চওড়া। ওই অংশে শিপিং লেন মাত্র দুই মাইল করে৷ সেজন্য এই সরু অংশ অত্যন্ত ব্যস্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ৷ আরো পড়ুন: ইংল্যান্ড সফরে ভারতের টেস্ট...
ইসরায়েলকে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ‘অবিনশ্বর জাহাজ’ বলা হয়। কিন্তু ইরানের ভয়ংকর নিখুঁত ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ইসরায়েলের বিখ্যাত ‘আয়রন ডোম’ ভেদ করে সেই জাহাজের গায়ে আঘাত হেনেছে। ইরানের জন্য হুমকি হিসেবে এ যুদ্ধ শুরু হয়েছিল, কিন্তু এখন তা উল্টো ইসরায়েলের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইসরায়েলের বৃহস্পতিবার রাতের হামলার জবাবে ইরানের প্রতিক্রিয়ায় পশ্চিমারা হতবাক হয়ে গেছে।ডোনাল্ড ট্রাম্প গর্ব করে বলে থাকেন, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের সেরা সামরিক সরঞ্জাম তৈরি করে আর ইসরায়েলকে সেই সরঞ্জাম দেওয়া হয়েছে। তবে ইরানের সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, ইসরায়েলের ব্যবহৃত দুই বা তিনটি মার্কিন এফ-৩৫ স্টিলথ জেট ইতিমধ্যে ধ্বংস হয়েছে। এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। তবে যদি একটি জেটও ইরান ধ্বংস করে থাকে, তাহলে সেটি নিঃসন্দেহে পশ্চিমা সমর প্রকৌশলীদের এবং ট্রাম্পের জন্য অপমানজনক ব্যাপার হবে।আরও পড়ুনইরানে হামলা ইসরায়েলের জন্য কৌশলগত বিপর্যয় ডেকে আনবে ১৭...
সামার আল-রাশেদের বয়স ২৯ বছর। পাঁচ বছরের মেয়েকে একাই বড় করছেন তিনি। থাকেন ইসরায়েলের একর এলাকার কাছে একটি অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সে। তাঁর প্রতিবেশীদের অধিকাংশই ইহুদি।গত শুক্রবার ইরানের সম্ভাব্য ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সতর্কতা হিসেবে যখন তীব্র শব্দে সাইরেন বাজছিল, তখন বাড়িতেই ছিলেন সামার ও তাঁর মেয়ে জিহান।সাইরেন বাজা শুরু হলে আতঙ্কিত সামার মেয়ের হাত ধরে ভবনের আশ্রয়কেন্দ্রের (বাংকার) দিকে দৌড়াতে শুরু করেন। অন্য বাসিন্দারাও সেদিকে ছুটছিলেন তখন।ওই সময়ের কথা মনে করে সামার বলেন, ‘আমি কিছু গুছিয়ে নেওয়ার সময় পাইনি। শুধু পানি, আমাদের ফোন ও মেয়ের হাত ধরে ছুটতে থাকি।’আরও পড়ুনইরান ও ইসরায়েল: আক্রমণ ও প্রতিরক্ষা সক্ষমতায় কে এগিয়ে১৩ জুন ২০২৫আতঙ্কিত সামার নিজের ভয় লুকিয়ে রেখে মেয়েকে শান্ত রাখার চেষ্টা করছিলেন। নরম গলায় আরবি ভাষায় মেয়েকে ধৈর্য ধরতে বলছিলেন, যেন তাঁরা একসঙ্গে দ্রুতপায়ে আশ্রয়কেন্দ্রের...
ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র মিশরসহ ২১টি মুসলিম দেশ। নিন্দা জানানোর পাশাপাশি উত্তেজনা হ্রাস এবং পরমাণু প্রকল্প বন্ধেরও আহ্বান জানিয়েছে দেশগুলো। মঙ্গলবার মিশরের সরকারি বার্তা সংস্থা (মেনা) এর বরাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা ও সিএনএন। চিঠিতে স্বাক্ষরকারী দেশগুলো হলো- মিশর, আলজেরিয়া, বাহরাইন, ব্রুনেই, চাদ, কমোরোস, জিবুতি, গাম্বিয়া, ইরাক, জর্ডান, কুয়েত, লিবিয়া, মৌরিতানিয়া, ওমান, পাকিস্তান, কাতার, সৌদি আরব, সুদান, সোমালিয়া, তুরস্ক এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত। দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ওই বিবৃতিতে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। খোলা চিঠিতে বলা হয়েছে, ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যে সংঘাত শুরু হয়েছে— তা পুরো মধ্যপ্রাচ্যে ছড়িয়ে পড়ার সমূহ আশঙ্কা রয়েছে এবং এখন জরুরিভিত্তিতে যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন। তারা চান, মধ্যপ্রাচ্য যেন পরমাণু অস্ত্রমুক্ত থাকে এবং এই অঞ্চলের সব...
দুটি লক্ষ্য নিয়ে ইরানে হামলা করেছে ইসরায়েল। একটি হলো পারমাণবিক কর্মসূচি ধ্বংস করা, অন্যটি সরকার পরিবর্তন। এই দুই লক্ষ্য সামনে রেখে ইসরায়েল পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে। বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর এই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন সম্ভব কিনা, তা নিয়ে বিশ্লেষণ করেছে দ্য কনভার্সেশন। নেতানিয়াহু ঘোষণা দিয়েছেন, ইরানে হামলা দুই সপ্তাহ স্থায়ী হতে পারে। এ সময়সীমা একটি কারণে সুনির্দিষ্ট বলে মনে হচ্ছে। তা হলো, ইসরায়েলি গোয়েন্দারা নিখুঁত ছকে ধাপে ধাপে অভিযানের পরিকল্পনা তৈরি করেছে। প্রথম হামলায় ইরানের শীর্ষ সামরিক ও বৈজ্ঞানিক নেতৃত্ব ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পরমাণু বিজ্ঞানীরা নিহত হওয়ায় ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি হুমকির মুখে পড়েছে। অন্যদিকে শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের হত্যা এবং বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে দিয়ে ইসরায়েল সহজে ইরানি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম হচ্ছে। নেতানিয়াহু দেশটির সুরক্ষিত...
সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান গতকাল শনিবার ফোনে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের সঙ্গে কথা বলেছেন। এ সময় তিনি ইরানি প্রেসিডেন্টকে বলেছেন, ইরানে ইসরায়েলের হামলার নিন্দা জানাচ্ছে সৌদি আরব।সৌদি প্রেস এজেন্সির (এসপিএ) খবরে বলা হয়, ইরানের প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানকে যুবরাজ বলেন, এ হামলা ইরানের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি এবং তা আন্তর্জাতিক আইন ও নিয়মের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ আরও বলেন, ইসরায়েলের এ হামলা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে চলমান আলোচনাকে বাধাগ্রস্ত করেছে এবং উত্তেজনা প্রশমনে কূটনৈতিক সমাধানে পৌঁছার প্রচেষ্টাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।মোহাম্মদ বিন সালমান জোর দিয়ে বলেন, সৌদি আরব সব সময় শক্তি প্রয়োগের বিরোধী এবং সমস্যা সমাধানে সংলাপকে প্রধান পথ হিসেবে দেখতে চায়।গত শুক্রবার ইসরায়েল ইরানে নজিরবিহীন হামলা চালায়। ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইরানের শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা, পরমাণুবিজ্ঞানী ও অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা নিহত...
বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি রপ্তানি পথ হরমুজ প্রণালি বন্ধ করে দিতে পারে ইরান। দেশটির এক আইনপ্রণেতার এমন মন্তব্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। ইরান সত্যিই প্রণালিটি বন্ধ করলে বিশ্বজুড়ে তেলের দাম আকাশছোঁয়া হতে পারে। ইরানের সঙ্গে ইসরায়েলের চলমান সংঘাতের মধ্যে প্রভাবশালী আইনপ্রণেতা ইসমাইল কোসারি ইরানি বার্তা সংস্থা আইআরআইএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেছেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, এমন সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে শুধু জ্বালানির বাজারে অস্থিরতা নয়, পুরো মধ্যপ্রাচ্যেই সংঘাত ছড়িয়ে পড়তে পারে। খবর আল-জাজিরার হরমুজ প্রণালি পারস্য উপসাগরে যাওয়ার একমাত্র সামুদ্রিক প্রবেশপথ। এর এক পাশে ইরান, অন্য পাশে ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি তথ্য সংস্থা বলছে, বিশ্বের মোট জ্বালানি তেল সরবরাহের প্রায় ২০ শতাংশ এ পথ দিয়ে পরিবাহিত হয়। সংস্থাটি একে ‘বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তেল পরিবহন পথ’ বলে বর্ণনা করেছে। এ প্রণালি পারস্য...
ইসরায়েল-ইরানের পাল্টাপাল্টি হামলা চলতে থাকলে ইরান কি হরমুজ প্রণালি বন্ধ করে দেবে—এই প্রশ্ন এখন বাণিজ্য ও সমরবিশারদদের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে। তাঁরা মনে করছেন, এই হরমুজ প্রণালি ইরানের হাতে থাকা অদৃশ্য বোমার মতো। যদিও বিশ্লেষকেরা বলছেন, ইরানের পক্ষে হরমুজ প্রণালি বন্ধ করা সম্ভব নয়।ইরান এই প্রণালি বন্ধ করে দিলে তেলের দাম অনেকটাই বেড়ে যাবে, এবং সেই সঙ্গে, ইরান-ইসরায়েল চলমান যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হবে। তেলের দাম বাড়লে বিশ্বজুড়ে আবারও মূল্যস্ফীতি বাড়বে। ব্যাহত হবে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কার্যক্রম। খবর আল–জাজিরার।বৈশ্বিক তেল–বাণিজ্যের অপরিহরণীয় পথ হচ্ছে হরমুজ প্রণালি। এটা যে কেবল ইরানের জন্য ভৌগোলিক সুবিধা তা নয়, বরং এটি তাদের কৌশলগত অস্ত্র। ইরানের উপকূলঘেঁষা এই চ্যানেলের মাধ্যমে জ্বালানি তেলসমৃদ্ধ পারস্য উপসাগর ও আরব সাগর সংযুক্ত হয়েছে। শুধু ইরানই নয়, পারস্য উপসাগরের তীরবর্তী সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত,...
বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি রপ্তানি পথ হরমুজ প্রণালি বন্ধের বিষয়টি বিবেচনা করছে ইরান, দেশটির এক আইনপ্রণেতার এমন মন্তব্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। ইরান সত্যিই প্রণালিটি বন্ধ করলে বিশ্বজুড়ে তেলের দাম আকাশছোঁয়া হতে পারে। ইরানের সঙ্গে ইসরায়েলের চলমান সংঘাতের মধ্যে প্রভাবশালী আইনপ্রণেতা ইসমাইল কোসারি ইরানি বার্তা সংস্থা আইআরআইএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেছেন। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এমন সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে শুধু জ্বালানির বাজারে অস্থিরতা নয়, পুরো মধ্যপ্রাচ্যেই সংঘাত ছড়িয়ে পড়তে পারে। কৌশলগত জলপথটি কী ও কেনই-বা তা বিশ্ববাণিজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, সে বিষয়ে জানা যাক:হরমুজ প্রণালি কোথায়হরমুজ প্রণালি পারস্য উপসাগরে যাওয়ার একমাত্র সামুদ্রিক প্রবেশপথ। এর এক পাশে ইরান, অন্য পাশে ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি তথ্য সংস্থা বলছে, বিশ্বের মোট জ্বালানি তেল সরবরাহের প্রায় ২০ শতাংশ এ পথ দিয়ে পরিবাহিত হয়। সংস্থাটি একে ‘বিশ্বের...
ইসরায়েলের নজিরবিহীন হামলায় সামরিকভাবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে ইরান। হামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশ একক বা জোটগতভাবে ইসরায়েলের নিন্দা জানিয়েছে। কিন্তু হামাস, হিজবুল্লাহ ও হুতিদের মতো তেহরানের সহায়তাপুষ্ট সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর অবস্থা বেশ দুর্বল হওয়ায় ইতিহাসের চরম এই ক্রান্তিকালে দেশটি এই মিত্রদের কাছ থেকে উল্লেখযোগ্য কোনো সহায়তা পাচ্ছে না। চরম এই সংকটকালে উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশটিকে এখন বড় নিঃসঙ্গ মনে হচ্ছে।ইরানে গত শুক্রবার ভোররাতে ইসরায়েলের হামলার কয়েক ঘণ্টা পর এক বিবৃতিতে সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ভ্রাতৃপ্রতিম ইরানের ওপর ইসরায়েলের এই বর্বর হামলা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। ওমান, কাতার, কুয়েত ও বাহরাইনও প্রায় একই সুরে বিবৃতি দিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্য, বিশেষ করে আরব (পারস্য) উপসাগরীয় অঞ্চলের অনেক দেশ ইরানের বর্তমান শাসকদের পছন্দ করে না। প্রকাশ্যে তারা ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানালেও তাদের প্রকৃত চাওয়া...
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানকে ফোন করেছেন। এ সময় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইসরায়েলের হামলা-পাল্টা হামলাসহ সার্বিক পরিস্থিতি সৌদি যুবরাজকে জানান। খবর আল-জাজিরার ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ইরনার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাসুদ পেজেশকিয়ান সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানকে ফোন করে বলেন, ‘আমি রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এই অঞ্চলে শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং নিরাপত্তা জোরদার করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু ইহুদিবাদী সরকার (ইসরায়েল) আমরা যেখানে কিছু অর্জন করতে চেয়েছিলাম সেখানে প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যাঘাত ও নাশকতা সৃষ্টি করেছে।’ তবে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান এ সময় ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানকে কি বলেছেন সেই বিষয়ে কোনো তথ্য উল্লেখ করেনি আল-জাজিরা।
গত কয়েক দশক ধরেই ইরান এবং ইসরায়েলের মধ্যে বৈরি সম্পর্ক বিরাজ করছে। ইসরায়েলকে ‘শত্রু রাষ্ট্র' মনে করা ইরান দেশটিকে মানচিত্র থেকে মুছে দিতে চায়। পিছিয়ে নেই ইসরায়েলও। ইরানকে এই অঞ্চলে নিজেদের সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ বলে বিবেচনা করে ইসরায়েল। কিন্তু এই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক কি সবসময়ই এমন বৈরি ছিল? দুই দেশের রাজনৈতিক ইতিহাস অবশ্য ভিন্ন ইঙ্গিত দিচ্ছে। ইরান-ইসরায়েল যখন পরস্পরের বন্ধু ১৯৭৯ সালে ইরানের ইসলামিক বিপ্লবের আগ পর্যন্ত দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। যেমন, ১৯৪৮ সালে যখন ইসয়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়, তখন দেশটিকে প্রথম স্বীকৃতি দিয়েছিল ইরান। প্রতিষ্ঠার ওই সময়ে আরব রাষ্ট্রগুলোর সাথে বৈরিতায় টিকে থাকতে ইরানকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করে ইসরায়েল। একইভাবে আরব রাষ্ট্রগুলোর সাথে ইসরায়েলকে সাথে নিয়ে বৈরিতা মোকাবিলা করতে চায় ইরান। মজার বিষয় হলো, সেই সময়...
গোয়েন্দাদের মূল্যায়নে যখন সতর্ক করা হয়, ইরান কয়েক সপ্তাহের মধ্যে না হলেও কয়েক মাসের মধ্যে পারামাণবিক অস্ত্র উৎপাদন করতে পারবে, ঠিক তখনই ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে ইসরায়েল ব্যাপক মাত্রার বিমান হামলা চালায়। ইসরায়েলের বিমান হামলায় আক্রান্ত হয় নাতাঞ্জে; ইরানের প্রধান পারমাণবিক সমৃদ্ধিকরণ কেন্দ্র। ইসরায়েলের হামলায় নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ইরানের বিপ্লবী গার্ডের প্রধান হোসেইন সালামি, সামরিক বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ বাগেরি এবং দু’জন খ্যাতিমান পরমাণু বিজ্ঞানী। ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় ‘ব্যাপক শাস্তি’র অঙ্গীকার করেছেন। পারস্য উপসাগর ঘিরে ইসরায়েলের পরমাণু কেন্দ্র ও যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটিগুলোকে ইরান নিশানা করতে পারে। ইসরায়েল দাবি করেছে, তাদের হামলার কয়েক ঘণ্টার পরই ইরান ১০০ ড্রোন হামলা করেছে। ইসরায়েলের হামলার মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্য আবারও এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের সম্মুখীন, যার প্রভাব আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পর্যায়ে...
ইসরায়েলের হামলার পর কঠোর প্রতিশোধ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরান। দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি ইসরায়েলকে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে বলে হুমকিও দিয়েছেন। পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা ও ঊর্ধ্বতন সামরিক নেতাদের হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকার করে তিনি বলেন, এই গল্পের শেষ ইরানের হাতেই লেখা হবে। ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ করা মানে সিংহের লেজ নিয়ে খেলা করা। এই ধরনের হামলার মুখে ইরান পারমাণবিক বোমা তৈরির প্রয়োজন অনুভব করতে পারে বলেও সতর্ক করেন তিনি। পাল্টা হামলায় প্রাথমিকভাবে ইসরায়েলে ১০০ ড্রোন ছুড়েছে ইরান। প্রতিবেশী দেশ ইরাক জানিয়েছে, ইরানি ড্রোনগুলো তাদের আকাশসীমা অতিক্রম করে ইসরায়েলের দিকে ছুটে গেছে। তবে ইসরায়েল নিজ ভূখণ্ডের বাইরে এসব ড্রোন ঠেকিয়ে দেওয়ার দাবি করেছে। জর্দান জানিয়েছে, তাদের দেশে ইরানি ড্রোন বিস্ফোরণের আশঙ্কায় তারা আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে কিছু...
ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনায় আজ শুক্রবার ইসরায়েল হামলা চালানোয় মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা নাটকীয়ভাবে বেড়ে গেছে। এতে জ্বালানির তেলের জোগানে বিঘ্ন ঘটতে পারে, এমন আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ফলে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ছে। খবর বিবিসি ও রয়টার্সের। অপরিশোধিত তেল ব্রেন্ট ক্রুড ফিউচারস ৯ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ বা ৬ দশমিক ২৯ মার্কিন ডলার বেড়ে প্রতি ব্যারেলের দাম ৭৫ দশমিক ৬৫ ডলারে উঠেছে। একপর্যায়ে দাম ৭৮ দশমিক ৫০ ডলারে পৌঁছায়, যা গত ২৭ জানুয়ারির পর সর্বোচ্চ। এ ছাড়া মার্কিন ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ৬ দশমিক ৪৩ ডলার বা ৯ দশমিক ৪৫ শতাংশ বেড়ে ৭৪ দশমিক ৪৭ ডলারে উঠেছে। একপর্যায়ে দাম ৭৭ দশমিক ৬২ ডলারে উঠেছিল, যা কিনা ২১ জানুয়ারির পর সর্বোচ্চ।অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির মানে হচ্ছে দুনিয়াজুড়ে সুপারমার্কেটে খাবারের...
ইতালির প্রেসিডেন্ট সার্জিও মাত্তারেলা ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের মানবিক ও রাজনৈতিক সংকটকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে অভিহিত করেছেন। ক্রমবর্ধমান মানবিক সংকট মোকাবিলায় তিনি তাৎক্ষণিক আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ ও আরব দেশগুলোকে জড়িত করার আহ্বান জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১২ জুন) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলু। প্রতিবেদনে বলা হয়, ইতালির প্রেসিডেন্ট বুধবার (১১ জুন) লুক্সেমবার্গে একটি রাজনৈতিক আলোচনায় এসব মন্তব্য করেন। মাত্তারেলা বলেন, “গাজায় চলমান গুরুতর পরিস্থিতির সমাধানের জন্য আরব দেশগুলোকে জড়িত করে দ্রুত প্রতিফলন প্রয়োজন।” আরো পড়ুন: গাজায় নিহতের সংখ্যা ৫৫ হাজার ছাড়াল গাজা নীতির বিরোধিতাকারী পররাষ্ট্র কর্মকর্তাদের পদত্যাগ করতে বলল যুক্তরাজ্য ইতালির প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, “গাজায় অবিলম্বে একটি যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছাতে হবে এবং হামাস কর্তৃক সব জিম্মিকে মুক্তি দিতে হবে।” এদিকে, ইতালির মধ্যে আঞ্চলিক রাজনৈতিক পরিবর্তনগুলো মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। ইল টেম্পোর এক প্রতিবেদনে বলা...
গাজার বাসিন্দাদের সুরক্ষার জন্য উপত্যকাটিতে আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনের আহ্বান জানিয়েছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। গাজার শাসক গোষ্ঠী হামাসকে অবিলম্বে অস্ত্র সমর্পণ করতে হবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। আব্বাসের এক চিঠির বরাতে আজ মঙ্গলবার ফ্রান্সের পক্ষ থেকে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ ও সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে গতকাল সোমবার লেখা চিঠিতে এ কথা বলেন আব্বাস। ওই চিঠিতে গাজায় সহিংসতা বন্ধে প্রধান কিছু পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন তিনি। ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মনে করেন, ওই পদক্ষেপগুলো নেওয়া হলে যুদ্ধ বন্ধ হবে এবং মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফিরবে।চিঠিতে আব্বাস লেখেন, হামাস আর গাজা শাসন করতে পারবে না। ফিলিস্তিনের নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে তাদের অস্ত্র এবং সামরিক সক্ষমতা সমর্পণ করতে হবে। এ ছাড়া জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ম্যান্ডেট অনুযায়ী সুরক্ষা কর্মসূচির অংশ হিসেবে গাজায় আরব বা...